রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩

এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ শেয়ার বাজার কি পিছিয়ে থাকবে?

এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ শেয়ার বাজার কি পিছিয়ে থাকবে?

 



শেয়ার টকিজ!!

বিশেষ প্রতিবেদন
K M Mizanur Rahman
Admin: DSE Money Maker
Mentor: School of DSE Money Maker

 

বাজার ভালো হবেই, চাই সবার সচেতনতা!
আমরা কি পেতে পারি না কমপক্ষে ২০,০০০ সূচক?
উন্নয়নের কতটা প্রভাব পড়ছে দেশে!
ভয় নাই যারা ফ্লোরে আটকে আছেন
বাংলাদেশের স্টক মার্কেট সূচকের সাথে যাদেরক তুলনা করা যেতে পারে
বাংলাদেশের স্টক মার্কেটের ইতিহাস কি বলে?
২০২৪ সাল বড় উত্থান হতেও পারে!! 
বাংলাদেশ এখন যে ধরণের অর্থনৈতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ দেশটি হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। সূত্রঃ বিবিসি বাংলা
ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনোমিক্স এন্ড বিজনেস রিসার্চ তাদের এক রিপোর্টে এই পূর্বাভাস দিয়েছিলো। 'ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবল ২০২১' নামে এই রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়, সেই একই গবেষণা সংস্থ্যা ২০২৩ সালের রিপোর্টে বলেছে ২০৩৭ সাল হবে বিশ্বের ২০তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ২০২০ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থান ছিলো ৪১ নং-এ, বর্তমানে ৩৫, ৩ বছরে এগিয়েছে ৬ ধাপ অর্থাৎ এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, তা যদি হয় তবে আমাদের শেয়ার বাজার কি পিছিয়ে থাকবে?
এই রিপোর্ট অনুযায়ী ২০৩০ সালে চীন হবে বিশ্বের এক নম্বর বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, আর ভারত হবে তৃতীয়। তার মানে দাঁড়ালো চীন ভারতের বাতাস বাংলাদেশের গায়েও এসে লাগবে। আর ২০৩৫ সাল নাগাদ ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান বহু ধাপ উপরে উঠে পৌঁছে যাবে ২৫ নম্বরে, তার ২ বছর পরেই ২০ নম্বরে, কি মনে হয়? বাংলাদেশ কি এগুচ্ছে?
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে গুজব উঠেছিলো বাংলাদেশ শ্রীলংকার মতো দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে, এখন আর তা শোনা যায় না, কারণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সূচক এখন ইতিবাচক। সংকটের মধ্যেও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস অর্থাৎ জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি আয় বেড়েছে সাড়ে ১০ শতাংশ। এক কথায় এগিয়ে যাচ্ছে বালাদেশ।
যেসব অর্থনীতিকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে যাবে তার মধ্যে আছে মালয়েশিয়া, মিশর হংকং, ডেনমার্ক, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নরওয়ে, আর্জেন্টিনা, ইসরায়েল, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, নাইজেরিয়া, বেলজিয়াম, সুইডেন, ইরান এবং তাইওয়ান। বর্তমান বিশ্ব সূচকে এই দেশগুলো বাংলাদেশের উপরে, কারণ তাদের অর্থনীতি বাংলাদেশের চেয়ে বড়। তথ্যঃ বিবিসি বাংলা
উন্নয়নের কতটা প্রভাব পড়ছে দেশে!
শহরে কাজের বুয়া কি সহজে পাওয়া যায়? খুবই কম, গ্রামে মজুরও আর সহজে পাওয়া যায় না, একটা রাখাল রাখতে গিয়ে কৃষকের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়? কারণ হলো গার্মেন্ট শিল্পের প্রসার ও প্রবাসে মজুরদের চাকরির সুযোগ। ফলে শহর ও গ্রামাঞ্চলে একটি অর্থনৈতিক বুম ঘটছে। তবে বেশীরভাগ শিক্ষিতরা কিন্তু বেকার!! তারা খুবই অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে, না পারছে নিচে নামতে, না পারছে ওপরে উঠতে, তবে যারা চালাক-চতুর তারা কিন্তু বসে নেই, ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো আয় করছে, যা দেশের অর্থনীতিতে ভালো প্রভাব পড়ছে, এ ছাড়াও রেমিট্যান্স ও তৈরি পোশাক শিল্পের ঘোড়ায় চড়ে ছুটছে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি। তাহলে শেয়ার বাজার কেনো পিছিয়ে থাকবে?
কানাডাভিত্তিক অনলাইন প্রকাশনা ‘ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট’ দেখিয়েছে, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশের জিডিপির আকার ৪৬০ বিলিয়ন ডলার বা ৪৬ হাজার কোটি ডলার। বাংলাদেশের ঠিক আগেই রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও অস্ট্রিয়ার মতো দেশ। আর ঠিক পরেই আছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম, তার মানে আমারা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম থেকে এগিয়ে আছি। তা যদি হয় শেয়ার বাজার কি পিছিয়ে থাকবে?
দেশের অর্থনীতির সূচকের প্রতিফলন দেখা যায় পুঁজিবাজারে, আমাদের পুঁজিবাজারে আসলে কি তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে? আমি বলবো অবশ্যই না, পতঙ্গ যেমন না বুঝে আগুনে ঝাঁপ দেয় তেমনি আমাদের দেশের অধিকাংশ বিনিয়োগকারী না জেনে, না বুঝে নিজের কষ্টার্জিত জমানো টাকা শেয়ারবাজারে বিনোয়োগ করেন, তাদের অজ্ঞতার সুযোগে কিছু কারসাজীকারক তাদেরকে খুব সহজেই ঠকিয়ে অর্থাৎ ২০টাকার শেয়ার ৩০০টাকায় ধরিয়ে দিয়ে বাজার থেকে টাকা বের করে নেয়, আর সূচক বাড়তে পারে না। আমি বলবো এ দিন আর থাকবে না, যদি সাধারণ বিনিয়োগকারী সচেতন হয়, তবে সচেতনতা বাড়াতে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও শেয়ার বাজার সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও বিশেষ ভূমিকা রাখতে বা এগিয়ে আসতে হবে।
শেয়ার বাজারের একটা গতিবেগ আছে যাকে বলা হয় মোমেন্টাম, যার গতি আছে তা কখনও একটানা চলতে পারে না, যায়, থামে, থেমে যায় আবার চলে বিশ্রামের প্রয়োজন হয়, সেইরূপ আমাদের বাজারের অধিকাংশ শেয়ার ফ্লোরে বিশ্রাম নিচ্ছে, অনেকেই উদ্বেগে আছে, কবে ফ্লোর ছেড়ে উঠে দাঁড়াবে, জীবজন্ত থেকে শুরু করে যে কোনো যানবাহন সবাইকেই বিশ্রাম নিতে হয়, শক্তি নিতে হয়, ফুয়েল নিতে হয়, ফুয়েল নেয়া শেষ হলেই আবারও গতি পায়, মনে স্বস্তি আসে, তেমনি শেয়ার বাজার ফুয়েল নিচ্ছে আবার ভালো হবে, আবারও গতি পাবে ইনশাল্লাহ্।
ভয় নাই যারা ফ্লোরে আটকে আছেন

বাংলাদেশের স্টক মার্কেট সূচকের সাথে যাদেরকে তুলনা করা যেতে পারে

যেসব অর্থনীতিকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে যাবে তার মধ্যে আছে মিশর যার স্টক ইনডেক্স ১৭,০৪৩.৬২, মালয়শিয়া স্টক ইনডেক্স ১৩,৪৫২.৯২, হংকং ১৮,৭৪৬.৯২, তাহলে বাংলাদেশের সূচক ২০,০০০ ছাড়াবে এতে মনে হয় সন্দেহ থাকার কথা না, শুধুই সময়ের ব্যাপার, তাই যারা আজ ভালো শেয়ার কম দামে কিনে ফ্লোরে আটকে যাওয়াও মহা চিন্তায় আছেন, তারা যদি ভাবেব টাকা গুলো ইনভেস্ট করেছেন তাহলে ক’বছর পর যা রিটার্ন দেবে তা আপনাদের কল্পনার বাইরে। তখন আমার কথার সত্যতা বুঝতে পারবেন।
২০১০সালের ডিসেম্বরে ডিএসই সূচক ছিলো প্রায় ৯০০০ সেখানে থেকে কমে ২০১৩ সালের এপ্রিলে ৩৪০০তে এসেছিলো, ১৩ বছরে এখন পর্যন্ত ২০১০ সালের সূচকই ছুতে পারে নাই, অথচ ২০০৮ সালে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সেনসেক্স সূচক ছিলো মাত্র ৭৬৯৭.৩২, ১৫ বছরের ব্যবধানে সেই সূচক আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১,৮৭২.৬২, প্রায় ৯ গুণ, দেউলিয়া দেশ, শ্রীলংকার ইনডেক্স ৮৭৫৫.১৭, বাংলাদেশ পাকিস্তানের উন্নয়নের রোল মডেল, ২০০৯ সালে পাকিস্তানের সূচক ছিলো ৬,২০০.৮৯, সেই পাকিস্তানের স্টক মার্কেট সূচক ১৪ বছর পর এখন ৪১,০২৯.০২, বাড়লো প্রায় ৭ গুণ, সেখানে বাংলাদেশের স্টক মার্কেটের সূচক মাত্র ৬৩২৫.৭৩ খুবই হাস্যকর নয়কি? বাংলাদেশের সূচক যদি পাকিস্তানের অর্ধেকও ধরি তবে সূচক কমপক্ষে ২০,০০০.০০ হওয়া উচিৎ আপনারা কি বলেন?
বাংলাদেশের স্টক মার্কেটের ইতিহাস কি বলে?
২০২৪ সাল বড় উত্থান হতেও পারে!!
সামনে ইলেকশন, ইলেকশনের পরে নতুন সরকার আসবে, স্থিতিশীলতা আসবে, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শেষ হয়ে যেতে পারে, বৈশ্বিক পরিস্থিতি যদি ভালো হয়, তবে আমাদের শেয়ার বাজারও ভালো হবে এছাড়া এতোক্ষণ যে তথ্য উপাত্তগুলোর শেয়ার করলাম তাতে বাজার ভালো হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই প্রবল, বাজার কিন্তু কচ্ছপ গতিতে হলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে, ২০১০ সালের ধ্বসের পর সূচক ৩৪০০তে নেমে বর্তমানে ৬৩২৫.৩৭, অর্থাৎ বাজার কিন্তু আপট্রেন্ডে আছে, তবে গতি খুবই কম। এই কচ্ছপ গতির কারণ হলো কারসাজিকারকদের কারণে বেশ কিছু টাকা বাজার থেকে বেরিয়ে গেছে, এখন যদি বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা তৈরী হয়, তবে বাজার আর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা নাই, শেয়ার বাজার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করে, আমরা যদি আমাদের শেয়ার বাজারের ইতিহাসের দিকে তাকাই তবে দেখবো ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের বড় উল্লম্ফন হয়েছিলো, তার পরে দেখলাম ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের উল্লম্ফন, যা আমি ইউটিউবে প্রকাশিত ১০ম/১১তম ওয়েবিনারে বলেছি, ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯৬ সালের ব্যবধান ১২ বছর, ১৯৯৬ থেকে ২০১০ সালের ব্যবধান ১৪ বছর, ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল, ব্যবধান ১৪ বছর তার মানে বর্তমান সময় থেকে আগামী ২/৪ বছরের মধ্যে পাকিস্তান-ভারতের মতো আমাদের শেয়ার বাজারে একটা বড় উল্লম্ফন হলেও হতে পারে, সে আশা আমরা করতেই পারি কি বলেন?


শনিবার, ২০ মে, ২০২৩

কোর্স শিডিউলঃ স্কুল অব ডিএসই মানি মেকার

কোর্স শিডিউলঃ স্কুল অব ডিএসই মানি মেকার

 


SDMM, Batch-10

এ্যাডমিন বা মেনটরের কথা

প্রিয় বিনিয়োগকারী বন্ধু,

School of DSE Money Maker অনলাইন কোর্সে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ’ শেখার আগ্রহ প্রকাশ করার জন্য স্বাগতম।

আপনার ওপর মহান সৃষ্টিকর্তার শান্তি বর্ষিত হোক, শেয়ার বাজার একটা বিশাল ধনভান্ডার, যেখানে টাকা উড়ে, সে টাকা ধরতে জানতে হয় বিশেষ কিছু কৌশল, যা না জানলে শেয়ার বাজার থেকে লাভ করা খুবই কঠিন, গুণতে হবে শুধুই লস আর লস্। শেয়ার বাজার থেকে প্রচুর আয় করতে আমি আপনাদের কিছু কৌশল শিখাবো, এ কৌশলগুলো একদম ইউনিক, একান্তই নিজস্ব। এগুলো যেন বিশাল ধনভান্ডারের তালার একগুচ্ছ চাবির মতো, শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ করতে যে কৌশলগুলো দরকার এ বিশেষ কোর্সে আশা করি তা পূর্ণ হবে। সেই কৌশলগুলো শিখে আমার শিক্ষার্থীরা এখন আয় করছে আনলিমিটেড। আমার শিক্ষার্থীরা ভিষণ খুশি। শিক্ষার্থীদের সাথে কি কথা হয়, লাভ করতে পারে কি না? তা জানতে আমার ইউটিউব চ্যানেল “DSE Money Maker”-এ ’Conversation with DSE Money Maker’ দেখুন, এ ছাড়াও DSE Money Maker ফেসবুক গ্রুপে আমার লেখাগুলো দেখলেও বুঝতে পারবেন।

তারা এখন শিখেছে কোন্ শেয়ারে বড় বিনিয়োগকারী আটকে আছে, কখন তারা প্রবেশ করছে (কিনছে) বা বেরিয়ে যাচ্ছে, তাদের গতিবিধির ওপরে নজর রাখার কৌশল শিখেছে, তাদের সাথে থাকছে, তাই তারা খারাপ বাজারেও করেছে প্রচুর প্রফিট, ইনশাল্লাহ আপনিও পারবেন। যারা আমার ক্লাসে মনোযোগী হবেন এবং সহজ কিছু কৌশল আয়ত্ব করতে পারবেন। তাঁরা অনেক অনেক বেশী আয় করতে পারবেন। এ ছাড়াও আছে গ্রুপ স্টাডি করার সুযোগ। ভালো করলে স্পেশাল গ্রুপে যাওয়ার সুযোগ, যেখানে অভিজ্ঞরা শেয়ার কেনা ও বেচার দিক নির্দেশনা দেন।

 ক্লাস শিডিউল

ক্লাস হবে মোট ১২টা, সপ্তাহে ২ দিন, মঙ্গলবার ও শুক্রবার রাত ৯:০০-১১:০০টা, এছাড়াও কোর্স শেষে ৩ মাস স্পেশাল গ্রুপে সবার সাথে মতবিনিময় ও কনসালটেন্সির সুযোগ।

কোর্স ফি ১৫,০০০/-টাকা, ২টা ইন্সটলমেন্ট থাকবে, ক্লাস শুরুর আগে ১০,০০০/-টাকা, বাঁকী ৫,০০০/- টাকা কোর্স শুরুর ১৫দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। একবারে পরিশোধ করলে ১৩,০০০/-টাকা। যারা কনসালটেন্সি নিতে চান না তাদের জন্য কোর্স ফি ৮,০০০/-, একবারে পরিশোধ করতে হবে।

ছাত্র/ছাত্রী ও গৃহিনীদের জন্য কোর্স ফি ১০,০০০/-টাকা ৪ মাস ফ্রি কনসালটেন্সি।

ক্লাস শুরুর আগেই ফি পরিশোধ করে ভর্তি হতে হবে। ফি একসাথে পরিশোধ করলে ক্লাস শুরুর পর পরই স্পেশাল গ্রুপে যাওয়ার সুযোগ।

শিক্ষার্থীদের জন্য ফেসবুকগ্রুপ (প্রাইভেট), মেসেঞ্জার ও স্পেশাল মেসেঞ্জার (শিক্ষার্থীগণ যার নাম দিয়েছেন স্বপ্নপুরী) ৩টা গ্রুপ থাকবে, যেখানে ভিডিও, মেসেজ, খবর ইত্যাদি আদান প্রদান করা হবে। এ জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে হবে। ক্লাস শুরুর আগে একবারে ফি পরিশোধ করলে বা নিজের মেধার বিকাশ ঘটাতে পারলে ভর্তির পরেই স্পেশাল মেসেঞ্জার গ্রুপে এ্যাড হতে পারবেন। ক্লাস হবে অনলাইনে, গুগল মিট (google meet app)এ। তাই মোবাইলে গুগল মিট এ্যাপ ইনস্টল করে নিতে হবে। ক্লাসের গুগল মিট লিংক দেয়া থাকবে মেসেঞ্জার গ্রুপে।

দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টালে জীবন বদলে যায়

bKash/Nagad: 01631429169, এটাই একমাত্র বিকাশ নং

ব্যাংকেও টাকা পাঠাতে পারেন

যে কোনো সমস্যায় ফোন দিন।

স্পেশাল মেসেঞ্জার গ্রুপঃ এখানে ডাক্তার, প্রফেসর, বিসিএস ক্যাডার, সাংবাদিক, উকিল অবসরপ্রাপ্ত সরকারী/বেসরকারী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশাজীবির বিনিয়োগকারী আছেন, তাই কমেন্ট/মেসেজ আদান প্রদানে শালীনতা বজায় রাখতে হবে নইলে গ্রুপে থাকার যোগ্যতা হারাবেন। স্পেশালগ্রুপে প্রতি সপ্তাহে শনিবার এ্যাডমিন নিজে সব শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিটিং ক্লাস করেন, দূর্বল শিক্ষার্থীদের স্পেশাল কেয়ার নেন। পুনঃপ্র্যাকটিস করান, শিক্ষার্থীরা শেয়ার নিয়ে এ্যানালাইসিস, তথ্য সংগ্রহ, লাভজনক শেয়ার বাছাই করে সবাইকে সহযোগীতা করেন এবং বিনিয়োগ করেন।

কেনো লস্ হয়?

একবার ভেবে দেখেছেন কি? শেয়ার বাজারে ৯০-৯৮ শতাংশ বিনিয়োগকারী কেনো লস করেন?

পুঁজিবাজারে আপনাকে- প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, বৈদেশিক বিনিয়োগকারী এবং ফটকাবাজদের সাথে প্রতিযোগিতা করে তবেই মুনাফা করতে হয় যা খুবই কঠিন।

শেয়ার বাজার সম্বন্ধে না জেনে বুঝে যারা অন্যের কথায় বা গুজবে শেয়ার কিনেছেন আর লস করেছেন বা ফ্লোরে আটকে পড়েছেন তারা আমার ক্লাসগুলো করলেই বুঝবেন এতোদিন কেনো লস করেছেন, আপনাকে বলতেই হবে- আগে কেনো শিখিনি তাহলেতো এই লসগুলো হতো না, এটা আমার কথা নয়, আমার শিক্ষার্থীদের কথা।

শিক্ষক ছাড়া যেমন অ আ, শেখা যায় না তেমনি মেন্টর ছাড়া শেয়ার বাজারে লাভ করা যায় না এটা ধ্রুব সত্য ।

"Anybody think it is easy to make profit from stock market, he is a stupid." কথাটা শেয়ার বিশেষজ্ঞদের

 কিভাবে শেয়ার ব্যবসায় এলাম!

আমার নাম কে এম মিজানুর রহমান মানিক, আমি বেক্সিমকো মিডিয়াতে কর্মরত ছিলাম, বেক্সিমকো টেক্সটাইল যখন ১ম আইপিওতে বাজারে আসে তখন এমপ্লয়ীদের জন্য কোটা থাকার সুবাদে আমার জন্যও কিছু শেয়ার বরাদ্দ হয়েছিলো, তখন শেয়ার বাজার  সম্পর্কে আমার কোন ধারণা না থাকায় আমি তা অন্য এক কলিগকে দিয়ে দিয়েছিলাম, পরে সে শেয়ারের আকাশ ছোঁয়া দর উঠেছিলো। ১৯৯৫ সালের শেষের দিকে যখন শেয়ার বাজার একটু একটু বাড়া শুরু হয় তখন তাঁরই পরামর্শে এ ব্যবসায় আসি এবং ৯৬ সালে এ ব্যবসায় প্রচুর প্রফিট করি (অবশ্য পরে কিছু লসও করেছি) তখন থেকেই তা নেশায় পরিণত হয়, এ নেশায় আজ পর্যন্ত ডুবে আছি। আমার অফিস আওয়ার ছিল ৬ ঘন্টা (সংবাদপত্রে ওয়েজবোর্ডভুক্ত সাংবাদিকদের) বাঁকী সময়টা শেয়ার বাজারের পিছনে সময় দিতে পেরেছি এবং এখনও তা করছি। আর এ ২৭ বছরের অভিজ্ঞতাই শেয়ার করছি আপনাদের।

শেয়ার কখন কিনবেন?

যে কোনো ব্যবসাতেই একটা উদ্দেশ্য থাকে আর তা হলো লাভ করা, লাভ কিভাবে করতে হয়? ক্রয় বিক্রয় করে, তাই মুল ফোকাস থাকবে ক্রয়-বিক্রয়কে কেন্দ্র করে। মনে রাখবেন শেয়ার কিনে আপনি বিক্রী করবেন, লাভ করবেন তাই শেয়ার বাছাইয়ে খুবই গুরুত্ব দেয়া হয়, এমনকি স্মার্ট বিনিয়োগকারীদের গতিবিধির দিকে কড়া নজর রাখতে হয়, তাদের সাথে সাথেই থাকতে হয়, তারা কখন কোন্ শেয়ার কেনে বা বেচে তাদের গতিবিধির দিকে সবাই মিলে লক্ষ্য রাখা হয়। সহজ কিছু ইন্ডিকেটর আছে যা দ্বারা সহজেই তাদের গতিবিধি ও শেয়ারের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায় । আমার কাজ হল আপনাদের শেয়ার বিষয়ক সঠিক শিক্ষায় শিক্ষা দেয়া এবং আমি তা করছি, তাই আমার শিক্ষার্থীগণ খুশি, অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায়ও আমার প্রশংসা করেন যা অনেকের কাছে ঈর্ষনীয় এবং আমি আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমি অনন্য কিছু করতে চাই, যা একান্তই স্পেশাল, আমার ২৭ বছরের অভিজ্ঞতায়।

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন শেয়ার বাজার ঝুঁকির বাজার, যেখানে ৯০-৯৮ শতাংশ বিনিয়োগকারী লস করে। সেখানে টিকে থাকতে হলে পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম বলতে লাভজনক শেয়ার খুঁজে বের করা, যা ভলিয়্যূম, প্রাইস ক্যালকুলেশন, ইন্ডিকেটরগুলোর প্যাটার্ন ও কিছু কৌশল এ্যাপ্লাই করে করতে হয়। এটুকু কাজ যদি আপনারা না করতে পারেন তবে বলবো আপনার জন্য শেয়ার ব্যাবসা নয়, এখানে একটু অমনোযোগী হলেই বা লোভ করতে গেলেই প্রচুর লস গুনতে হবে।  এটা করতে- যদি নিয়মিত ক্লাস করেন বা আমার কথা শোনেন তবে আপনি নিজেই আপনার পুজি নিরাপদ রাখতে পারবেন হারানো পুঁজি উদ্ধার করতে পারবেন এবং বাঁকী জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে হবে  না, ইনশাল্লাহ। আর আমিতো সাথে আছিই, যদি সৃষ্টিকর্তা বাঁচিয়ে রাখেন!!

অজানা পথ চলতে একজন সু-পরামর্শক বা মেন্টর দরকার, যার সাথে সঠিক পরামর্শ  বা কথা বলতে পারবেন। তা যদি না থাকে আপনি পদে পদে ভুল করবেন এটাই স্বাভাবিক। এখন আপনিই বেছে নিন  কে হবে আপনার সু-পরামর্শক।

আপনাদের যা লাগবে।

একটা ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার (অপশনাল)

স্মার্ট মোবাইল ফোন

গুগল মিট এ্যাপস

সম্ভব হলে আমার স্টক এ্যাপসটা কিনে নিবেন, ১ বছরের জন্য হলেও

মূল ফোকাসঃ বাই এবং সেল। লাভ করার জন্য যা খুবই দরকার।

প্রতি ক্লাসেই থাকবে বাজার পর্যালোচনা ও আপডেট

শেখানো হয় সহজ করে, কোন জটিলতা ছাড়াই, তাই বয়স্কদেরও শিখতে কোন সমস্যা নাই

প্রতি ক্লাসের ভিডিও দেয়া হয়

মূল ফোকাসঃ বাই এবং সেল=লাভ

 

যা শেখানো হবে

ফান্ডামেন্টাল এ্যানালাইসিস

টেকনিক্যাল এ্যানালাইসিস

মনোস্তাত্ত্বিক এ্যানালাইসিস।

স্টক মার্কেটের দেশী ও বিদেশী কিছু ওয়েবসাইটের ঠিকানা পরিচিতি

আজব সফটওয়্যার, যেন সোনার খনি

খারাপ বাজারেও লাভ করার কৌশল!! কিভাবে?

শেয়ার বাছাই করতে গেইনার/লুজার সেক্টর ভেলু দেখা

যে শেয়ারের দর বাড়বেই! আগে অথবা পরে

যে হিসেব সবচেয়ে কার্যকর, প্রফিট হবেই

যে শেয়ারের দর অনে..... বাড়ে, কিভাবে জানবো?

আগামীকাল কোন শেয়ার কিনবো?

 রয়েছে দেশি বিদেশী সফটওয়্যার ব্যাবহারের নিয়ম।

স্পেশাল ইনডিকেটর, যাকে আমার শিক্ষার্থীগণ নাম দিয়েছেন রাডার কোন শেয়ার বাড়বে বা কমবে তা ধরা পড়বেই এ রাডারে), নিজেই শেয়ার কেনা শিখে ফেলুন ৩য়/৪র্থ ক্লাসের পর থেকেই-

দান মারোতো পচা শেয়ারে, কিভাবে?

শেয়ার বাছাই করতে নিজেকে কমপক্ষে ১৫টি প্রশ্ন

খারাপ বাজারেও লাভ করার কৌশল?

কোনো শেয়ারে আটকা পড়লে বের হওয়ার কৌশল

ক্যান্ডেল স্টিক পরিচিতি তাদের কাজ, প্রাইস এ্যাকশন এবং এমা সহযোগে সহজে ক্রয় বিক্রয়।

পূর্ব ক্লাসের আলোচনা

একটা বিদেশী সফটওয়্যার!! কেনো বলি, এটা সোনার খনি!! ভলিয়্যুম স্প্রেড ক্যালকুলেশন (ফান্ডামেন্টাল টেকনিক্যাল এ্যানালাইসিসে)

ব্রেকআউট কি এবং কেনো? কেনো এতে দ্রুতো প্রচুর প্রফিট হয়? যে সব শেয়ার দর প্রচুর বাড়লো? কেনো এতো বাড়লো?, কিভাবে বাড়লো?

রয়েছে যাদুর চেরাগ প্যাটার্ন, যে প্যাটার্নে, লাভ হওয়ার সম্ভাবনা ৯৫%

নিউটনের সূত্র প্রয়োগ করে শেয়ার কেনার কৌশল  (শতভাগ প্রফিট) মনস্টার শেয়ার

DSE Money Maker এর একটা নিজস্ব গুরুত্বপূর্ণ সূত্র

বলিঙ্গার ব্যান্ড এর কাজ?

আরএসআই মানিফ্লো ইন্ডিকেটর এর স্পেশাল ব্যবহার?

আরএসআই, মানিফ্লো বলিঙ্গার ব্যান্ড ইন্ডিকেটর দিয়ে ক্রয় বিক্রয়

 ২৪টি মোস্ট পাওয়ারফুল ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন যা আপনাকে শেয়ার কিনতে-বেচতে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে, মানে কোথা থেকে দৌড় শুরু করবেন আর কোথায় শেষ করবেন তা জানতে সাহায্য করবে।

 এমন একটা ইন্ডিকেটর যা জ্যোতিষির মতো শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে পূর্বাভাস দেয়

 প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস, নিজে নিজে করতে হবে।

ফ্রি ফ্লোট শেয়ার কি? এবং কেনো। কেনো এই সব শেয়ারের দর বাড়ে

আপনি সেল দিলেন আর দাম বেড়ে গেলো? অথবা কিনলেন দাম কমে গেলো? থেকে বাঁচতে আছে বিশেষ ইন্ডিকেটর

ADX, CCI, ATR এবং EMA সহযোগে সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট এক্সিট পয়েন্ট।

থাকবে সুপার ট্রেন্ড ইন্ডিকেটর-এর ব্যাবহার, এটা কি ভাবে বাই-সেল জেনারেট করে তা দেখানো হবে। তাই মিস্ করলেই লস্।

১৮ বছরেও দর বাড়ে নাই বরং কমেছে কিন্তু তার পরেও লাভ প্রায় ৭০ গুণ এমনই একটা শতভাগ প্রোফিটের শেয়ার নিয়ে ক্যালকুলেশন

কোন্ শেয়ার কখন কিনবেন?

বিনিয়োগকারীরা কেন লস করে বা সর্বশান্ত হয়

কোনো শেয়ারের সঠিক দাম কতো? কিভাবে জানবো?

শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের অনেক পদ্ধতি আছে। একেক শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের পদ্ধতি একেক রকম, আমি যেভাবে ক্রয়-বিক্রয় করি।

ফিবোনাচ্চি তত্ব, এমা, আরওসি, এবং এডিএক্স, সিসিআই সহযোগে শেয়ার ক্রয়।

কোর্স শেষে প্রতি শনিবারে থাকবে মিটিং, প্রয়োজনে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস,
সবাই মিলে শেয়ার প্যাটার্ন ও ভালো শেয়ার খুঁজে বের করে নিশ্চিত লাভের শেয়ার কেনা হয়।

কোর্স চলাকালীন সময়ে আপনার হাতে থাকা শেয়ারের এ্যানালাইসিস আপনি নিজেই করতে পারবেন। আর কারো কাছে শেয়ার চাইতে হবে না।

 

দেরী করলেই লস্

আমার ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলের একই নাম ’DSE Money Maker’ ঢু মেরে দেখে আসুন অনেক কিছু জানতে পারবেন। ইউটিউব চ্যানেলটা নতুন, আপগ্রেডের কাজ চলছে এর মধ্যেই কিছু ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। যা সবাই পছন্দ করেছে, শেখার আগ্রহ থাকলে দেখুন এবং সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। বিনিয়োগে সবার সফলতা কামনা করছি। ধন্যবাদ সবাইকে

আল্লাহ হাফেজ