রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

Class: Intraday Trading

DSEX: Intraday Trading chart

Intraday Trading


Courtesy: School of DSE Money Maker
Mentor: K M Mizanur Rahman
Admin: DSE Money Maker

বিকল্প পদ্ধতিতে বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে ইন্ট্রাডে ট্রেডিং


Day Trading বা  Intraday Trading কী?

MRMedia24: Intraday Trading মানে হলো – একই দিনে শেয়ার কিনে সেই দিনেই বিক্রি করাসাধারণত দিনের শুরুতে শেয়ার কেনা হয় এবং দিনের শেষে বা তার আগেই বিক্রি করে দেওয়া হয়। শেয়ার ছাড়াও হতে পারে ক্রিপ্টোকারেন্সি, ফরেক্স বা অন্য কোনো আর্থিক সম্পদ কেনা-বেচার ক্ষেত্রে, উদ্দেশ্য হলো ছোট প্রাইস মুভমেন্ট (যেমন ২.৫-৫%) থেকে প্রফিট করা। এখানে Long-term investment এর মতো মাস/বছর ধরে শেয়ার রাখা হয় না।

বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে ডে ট্রেডিং এর সুবিধা না থাকলেও বিকল্প পদ্ধতিতে তা করা যায়, ব্রোকার হাউজ আপনাকে একদিনের লোন দেয়, সেটাকে কাজে লাগিয়েই ডে ট্রেডিং করা যায়।  এতে আপনার কাছে থাকা শেয়ারগুলো কেনা-বেচা করে ফাউ আয় করা যায় কোনো ঝামেলা ছাড়াই, এতে আপনার শেয়ার কিন্তু আপনার কাছেই থাকবে। শর্ত হলোঃ আপনার কাছে ম্যাচিউরড শেয়ার থাকতে হবে, দিনের কেনা-বেচা দিনেই শেষ করতে হবে অর্থাৎ ব্রোকার হাউজের টাকা আপনাকে ঐ দিনই শেয়ার বিক্রী করে টাকা পরিশোধ করতে হবে। তবে নগদ টাকা দিয়ে আপনি ঐ শেয়ার কিনে পরদিনও বিক্রী করতে পারবেন। তাই সূচনা হোক নতুন দিনের, আর প্রতিটি দিন হোক আনন্দের!

Intraday Trading হলো দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার খেলা। যারা নিয়ম মানে, ছোট প্রফিটে খুশি থাকে এবং Stop Loss ব্যবহার করে, তারা সফল হয়।
আজ আমরা জানবো Day trading-এর মূল বিষয়গুলি এবং কীভাবে শুরু করবো? এতে কোন্ ইন্ডিকেটর এবং টাইমফ্রেম ভালো কাজ কাজ করে? আশা করছি সবাই খুব মনোযোগ দিয়ে শুনবেন। কারণ একটুখানি ভুলের জন্য লসের পাল্লা ভারী হয়ে যেতে পারে।

পরিকল্পনা
ডে ট্রেডিং শুরু করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি। নিচে কয়েকটি ধাপ উল্লেখ করা হলোঃ
জ্ঞান অর্জন করুনঃ ট্রেডিং শুরু করার আগে বাজার সম্পর্কে ভালোভাবে জানা অত্যন্ত জরুরি। টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস, ফান্ডামেন্টাল অ্যানালিসিস এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলো শিখুন।
অনুশীলন করুনঃ আসল টাকা বিনিয়োগ করার আগে, মনে মনে শেয়ার কেনা-বেচা করুন, যাকে পেপার ট্রেড বলে, আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য একটি ডেমো বা ভার্চুয়াল অ্যাকাউন্টে অনুশীলন করুন। এটি আপনাকে কোনো ঝুঁকি ছাড়াই ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মের সাথে পরিচিত হতে এবং আপনার কৌশল পরীক্ষা করতে সাহায্য করবে।

মূলধন প্রস্তুত করুনঃ ট্রেডিংয়ের জন্য এমন পরিমাণ অর্থ আলাদা করুন যা হারালে আপনার আর্থিক জীবনে বড় কোনো প্রভাব পড়বে না। একটি সাধারণ নিয়ম হলো, কোনো একটি ট্রেডে আপনার মোট মূলধনের ১% থেকে ২% এর বেশি ঝুঁকি না নেওয়া।
রিস্ক ম্যানেজমেন্ট: Stop-loss, position sizing, risk-reward ratio—সবকিছু পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করতে হবে।
ভলিউম ও প্রাইস অ্যাকশনঃ ভলিউমের সাথে প্রাইসের সম্পর্ক বুঝে ট্রেন্ড ধরতে হবে।
ইনট্রাডে স্ট্র্যাটেজিঃ Breakout, pullback, reversal—এই কৌশলগুলো আয়ত্ত করতে হবে।
নিউজ ও ইভেন্ট সচেতনতাঃ কোম্পানি নিউজ, অর্থনৈতিক রিপোর্ট, সূচক পরিবর্তন—সবকিছু নজরে রাখতে হবে।
মনোসংযোগ ও ডিসিপ্লিনঃ আবেগ নিয়ন্ত্রণ, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া, এবং নিয়ম মেনে চলা—এই মানসিক দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শেয়ার নির্বাচন
ভলিউম বেশি, লিকুইড শেয়ার বেছে নিতে হয় (যেমন –Saiham cotton, Etl, Dominage, AcmePL GENEXIL ইত্যাদি)।
সঠিক ব্রোকার নির্বাচন করাঃ এমন একটি ব্রোকার বেছে নিন যার লেনদেন ফি কম, প্ল্যাটফর্ম নির্ভরযোগ্য এবং গ্রাহক পরিষেবা ভালো।
ডে ট্রেডিংয়ের জন্য চার্টে যে ইন্ডিকেটরগুলো ব্যবহার করবো
VWAP, RSI, MFI, EMA, Ichimoku Cloud এবং প্রাইস এ্যাকশন (ক্যান্ডেলস্টিক)
প্রথমেই VWAP:
Volume-Weighted Average Price (VWAP) এর কাজঃ
ভাবুন, আপনি বাজারে আপেল কিনতে গেছেন। দিনের বিভিন্ন সময়ে আপেলের দাম বিভিন্ন রকম ছিল:
সকালেঃ ১০০ টাকা/কেজি (১০ কেজি বিক্রি হয়েছে)
দুপুরেঃ ৯৫ টাকা/কেজি (৫০ কেজি বিক্রি হয়েছে)
বিকালেঃ ১০৫ টাকা/কেজি (৫ কেজি বিক্রি হয়েছে)
এখন, দিনের গড় দাম কত? সাধারণ গড় করলে হবে (100 + 95 + 105) / 3 = ১০০ টাকা।
কিন্তু এটি আসল চিত্র নয়, কারণ সবচেয়ে বেশি আপেল (৫০ কেজি) বিক্রি হয়েছে ৯৫ টাকা দরে। VWAP এখানেই কাজে আসে। এটি শুধু দামের গড় করে না, বরং কোন দামে কত পরিমাণ (Volume) ট্রেড হয়েছে, সেটিকেও গুরুত্ব দেয়। তাই VWAP আপনাকে ওই দিনের "প্রকৃত" বা "ন্যায্য" গড় মূল্য দেখাবে, যা এক্ষেত্রে ৯৫ টাকার কাছাকাছি হবে।
ট্রেডিং-এ VWAP এর প্রধান কাজঃ
চার্টে VWAP একটি লাইনের মতো দেখা যায়। ট্রেডাররা এটি ব্যবহার করে কারণঃ
"সস্তা" না "দামী" বোঝাঃ
দাম VWAP লাইনের উপরেঃ এর মানে হলো, শেয়ার বা স্টক বা ক্রিপ্টোটি দিনের গড় মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ট্রেড হচ্ছে। এটিকে "দামী" বা overbought মনে করা হয়।
দাম VWAP লাইনের নিচেঃ এর মানে হলো, এটি দিনের গড় মূল্যের চেয়ে কম দামে ট্রেড হচ্ছে। এটিকে "সস্তা" বা oversold মনে করা হয়।
সাপোর্ট এবং রেসিস্ট্যান্স হিসেবেঃ
একটি আপট্রেন্ডে থাকা স্টক প্রাইস কমে VWAP লাইনের কাছে এসে সাপোর্ট নিয়ে আবার উপরে যেতে পারে।
একটি ডাউনট্রেন্ডে থাকা স্টক প্রাইস বেড়ে VWAP লাইনের কাছে গিয়ে বাধা পেয়ে আবার নিচে নামতে পারে।
ট্রেন্ড নিশ্চিত করাঃ
যদি প্রাইস সারাদিন VWAP লাইনের উপরেই থাকে, তবে এটি একটি শক্তিশালী বুলিশ (ঊর্ধ্বমুখী) ট্রেন্ড নির্দেশ করে। আগে যে শেয়ারগুলোর দর বেড়েছে কিভাবে বেড়েছে তা দেখুন।
যদি প্রাইস সারাদিন VWAP লাইনের নিচেই থাকে, তবে এটি একটি শক্তিশালী বেয়ারিশ (নিম্নমুখী) ট্রেন্ড নির্দেশ করে।
সহজ কথায়, VWAP হলো দিনের 'আসল' গড় মূল্য, যা ট্রেডারদের বুঝতে সাহায্য করে যে বর্তমান মূল্যটি সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতাদের লেনদেনের তুলনায় সস্তা না দামী। বড় বড় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও তাদের বড় অর্ডারগুলো প্লেস করার জন্য VWAP ব্যবহার করে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের গোপনে ট্রেড করা (Stealth Trading)
বিশাল অর্ডার প্লেস করলে মার্কেটের অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরা (বিশেষ করে হাই-ফ্রিকোয়েন্সি ট্রেডাররা) তা বুঝে ফেলে এবং এর সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে (যাকে front-running বলে)।
VWAP-ভিত্তিক ট্রেডিং তাদের লেনদেনকে বাজারের স্বাভাবিক প্রবাহের সাথে মিশিয়ে দেয়। যেহেতু তাদের অর্ডারগুলো ছোট ছোট অংশে বিভক্ত হয়ে সারাদিন ধরে কার্যকর হয়, তাই বাইরে থেকে বোঝা কঠিন যে কোনো একজন বড় প্লেয়ার মার্কেটে প্রবেশ করেছে। এতে তারা নিজেদের উদ্দেশ্য গোপন রাখতে পারে।
সহজ কথায়: প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য VWAP একটি ম্যাপ এবং রুলবুকের মতো কাজ করে। এটি তাদের বলে দেয় কখন, কোথায় এবং কীভাবে বড় অর্ডারগুলো কার্যকর করলে বাজারের উপর সর্বনিম্ন প্রভাব পড়বে এবং তারা একটি ন্যায্য মূল্য পাবে। তারা ট্রেন্ড বোঝার জন্য VWAP ব্যবহার করে, কিন্তু তার চেয়েও বেশি ব্যবহার করে তাদের বিশাল ট্রেডগুলো দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করার জন্য।
VWAP এর সাথে hlc3 session কেনো? এর সাথে ক্লোজ প্রাইস এর সম্পর্ক আছে কি?
এটি VWAP বিশ্লেষণের একটি সূক্ষ্ম কিন্তু শক্তিশালী দিক।
সরাসরি উত্তরটি হলো: হ্যাঁ, VWAP (বিশেষ করে যখন hlc3 ব্যবহার করে গণনা করা হয়) এবং সেশনের ক্লোজ প্রাইসের মধ্যে একটি শক্তিশালী পরোক্ষ সম্পর্ক আছে, কিন্তু তারা এক জিনিস নয় এবং প্রায়শই তাদের মান ভিন্ন হয়।
যদি Close Price > VWAP হয়ঃ
ব্যাখ্যাঃ এর মানে হলো, দিনের শেষে ক্রেতারা যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল এবং তারা স্টকটিকে দিনের গড় মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে।
সেন্টিমেন্ট: বুলিশ (Bullish) বা শক্তিশালী। এটি ইঙ্গিত দেয় যে দিনের শেষে ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণ ছিল এবং এই গতি পরের দিনেও থাকতে পারে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এই দিনটিকে একটি শক্তিশালী Accumulation Day হিসেবে দেখতে পারে।
যদি Close Price < VWAP হয়:
ব্যাখ্যাঃ এর মানে হলো, দিনের শেষে বিক্রেতারা প্রভাবশালী ছিল এবং তারা দামকে দিনের গড় মূল্যের নিচে নামিয়ে এনেছে।
সেন্টিমেন্টঃ বিয়ারিশ (Bearish) বা দুর্বল। এটি ইঙ্গিত দেয় যে দিনের শেষে বিক্রেতাদের চাপ বেশি ছিল, যা দুর্বলতার লক্ষণ।
যদি Close Price ≈ VWAP হয় (খুব কাছাকাছি):
ব্যাখ্যাঃ বাজার একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে দিন শেষ করেছে। ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে কোনো পক্ষই স্পষ্টভাবে জয়ী হয়নি।
সেন্টিমেন্ট: নিরপেক্ষ (Neutral) বা সিদ্ধান্তহীন। বাজার দিনের "ন্যায্য মূল্য" বা Fair Value-এর কাছাকাছি বন্ধ হয়েছে।
সহজ উদাহরণঃ ধরুন, একটি ক্লাসের সব ছাত্রের পরীক্ষার গড় নম্বর হলো ৭৫ (এটি VWAP)। কিন্তু একেবারে শেষে যে ছাত্রটি খাতা জমা দিয়েছে, সে পেয়েছে ৯৫ (এটি Close Price)। এর মানে হলো, শেষ মুহূর্তে একজন শক্তিশালী ছাত্র পারফর্ম করেছে, যা একটি ইতিবাচক লক্ষণ। উল্টোভাবে, সে যদি ৫০ পেত, তবে তা একটি নেতিবাচক লক্ষণ হতো।
আশা করি, এই উদাহরণটি VWAP এবং সেশন ক্লোজ প্রাইসের মধ্যকার সম্পর্ক বুঝতে আপনাদের সাহায্য করেছে। এটি টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের একটি খুবই কার্যকর ধারণা।

RSI
৩০–৭০ রেঞ্জে নজর রাখুন।
৭০-এর ওপরে গেলে overbought, ৩০-এর নিচে গেলে oversold।
Intraday momentum ধরতে কাজে লাগে।
EMA 5 line crosses EMA 20 → এন্ট্রি/এক্সিট সিগন্যাল।
প্রাইস অ্যাকশন বা ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন লক্ষ্য করুন।
৬টা শক্তিশালি বুলিশ ক্যান্ডেল স্টিক প্যাটার্নঃ

১. Long green single candlestick, ২. Hammer, ৩. Piercing Line, ৪. Bullish Engulfing pattern, ৫. Morning star, ৬. Bullish Doji Star

গ্রীণ ক্যান্ডেলস্টিক=বুলিশ, বায়ার বা ক্রয় নির্দেশ দেয়
রেড ক্যান্ডেলস্টিক= বিয়ারিশ, সেলার বা বিক্রয় নির্দেশ দেয়।
ভলিউম
দাম বাড়ার সাথে ভলিউম বাড়লে → ট্রেন্ড শক্তিশালী।
o দাম বাড়ছে কিন্তু ভলিউম কমছে → ফেক মুভ হতে পারে।
VWAP (Volume Weighted Average Price)
o VWAP-এর ওপরে প্রাইস থাকলে → ক্রেতারা শক্তিশালী।
o VWAP-এর নিচে থাকলে → বিক্রেতারা শক্তিশালী।
o Intraday সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স হিসেবে কাজ করে।
কিভাবে একসাথে ব্যবহার করবেন
এন্ট্রি সিগন্যালঃ RSI ৫০-এর ওপরে উঠছে, প্রাইস VWAP-এর ওপরে → শক্তিশালী ক্রয় সিগন্যাল।
এক্সিট সিগন্যালঃ RSI ৭০-এর ওপরে গিয়ে দুর্বল হচ্ছে + ভলিউম শুকিয়ে যাচ্ছে → বিক্রির সময়।
ফিল্টারঃ শুধু প্রাইস অ্যাকশন নয়, ভলিউম ও VWAP দিয়ে কনফার্ম করুন।
Entry (Buy)
Pullback বা Breakout এ Entry নেওয়া যায়।
Exit (Sell)
দিনের মধ্যে ২-৫% প্রফিট হলে সেল করতে হয়।
Stop-Loss ব্যবহার
ক্ষতি এড়াতে একটি নির্দিষ্ট প্রাইস ঠিক করে নিতে হবে যেখানে শেয়ারটা সেল করে বেরিয়ে আসবেন।
উদাহরণ দিয়ে বোঝা যাক
ধরা যাক, একটি শেয়ার সকাল ১০:৩০-এ 100 টাকা দরে ট্রেড হচ্ছে।
আপনি 100 টাকায় 1000 শেয়ার কিনলেন (মোট বিনিয়োগ = 100 × 1000 = 100,000 টাকা)।
· দুপুরে দাম বেড়ে হলো 103 টাকা।
· আপনি বিক্রি করলেন।
· প্রফিট = (103 - 100) × 1000 = 3,000 টাকা।
যদি দাম কমে 98 টাকা হয়ে যায় এবং আপনার Stop-Loss 98 থাকে, তাহলে ক্ষতি হবে (100 - 98) × 1000 = 2,000 টাকা।
শিখলাম Intraday Trading এ ব্যবহৃত কিছু গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক্যাল টুল
· EMA (Exponential Moving Average): ট্রেন্ড চিহ্নিত করতে।
· RSI (Relative Strength Index): শেয়ার overbought/oversold কিনা জানতে।
· Volume: দাম বাড়া-কমার সাথে ভলিউমের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা।
· Candlestick Patterns: Entry/Exit সিগন্যাল দেয় (যেমন Doji, Hammer, Bullish Engulfing)।
Intraday Trading এ করণীয় 
· শেয়ার মার্কেট খোলার প্রথম ৩০ মিনিট Observe করতে হবে।
· ছোট Target (২-৫%) নিয়ে কাজ করতে হবে।
· Stop-Loss অবশ্যই সেট করতে হবে।
· হাই ভলিউম ও লিকুইড শেয়ার বেছে নিতে হবে।
Intraday Trading এ বর্জনীয় 
· আবেগ দিয়ে ট্রেড করা।
· গুজব শুনে ট্রেড করা।
· বড় Target (১০-২০%) সেট করা।
· Margin Trading (ধার করে কেনা) – নতুনদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
সংক্ষিপ্ত নোট (Exam Point of View)
· Intraday = একই দিনে Buy + Sell.
· লক্ষ্য = ছোট প্রফিট (২-৫%)।
· প্রয়োজনীয় টুল = VWAP, EMA, RSI, Volume, Candle।
· Must Have = Stop-Loss।
· Example: 100 টাকা → 103 টাকা হলে ৩% প্রফিট।

উপসংহারঃ
Intraday Trading হলো দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার খেলা। যারা নিয়ম মানে, ছোট প্রফিটে খুশি থাকে এবং Stop-Loss ব্যবহার করে, তারা সফল হয়।
৩০টাকার ২.৫% কম বা বেশী কতো? কিভাবে সহজে বের করা যায়
ধাপ ১: শতাংশকে ভগ্নাংশে রূপান্তর করুন
ধাপ ২: মূল টাকার সঙ্গে গুণ করুন
যদি মূল টাকা হয় ৩০, তাহলে
30×0.025=0.75
ধাপ ৩: যোগ বা বিয়োগ করুন
২.৫% কম = 30−0.75=29.25
২.৫% বেশি = 30+0.75=30.75
100-.75=99.75
100+.75=100.75
দ্রুত বের করার কৌশল
কমানোর জন্য: মূল সংখ্যাকে 0.975 দিয়ে গুণ করুন (কারণ 1−0.025=0.975
বাড়ানোর জন্য: মূল সংখ্যাকে 1.025 দিয়ে গুণ করুন (কারণ 1+0.025=1.025
যেমনঃ
30×0.975=29.25
30×1.025=30.75

তেমনি ২% মানে হলো
2/100=0.02
যদি মূল সংখ্যা হয় ৩০, তাহলে
30×0.02=0.6
তাহলে
২% কম = 30−0.6=29.4
২% বেশি = 30 + 0.6 = 30.6
দ্রুত বের করার কৌশল
কমানোর জন্য: মূল সংখ্যাকে 0.98 দিয়ে গুণ করুন (কারণ 1−0.02= 0.98)
বাড়ানোর জন্য: মূল সংখ্যাকে 1.02 দিয়ে গুণ করুন (কারণ 1+0.02= 1.02)
যেমন:
30×0.98=29.4
30×1.02=30.6
100টাকার-
10%=.9=90, 9%=.91=91, 8%=.92=92, 7%=.93=93, 6%=.94=94, 5%=.95=95, 4%=.96=96, 3%=.97=97, 2%=.98=98

কে এম মিজানুর রহমান (মানিক)
০৬.১২.২৫




শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: