![]() |
শেয়ার বাজার থেকে Money Make করার কৌশল, ৪র্থ পর্ব |
’Doji’
candle stick এবং MACD
দিয়ে ক্রয়/বিক্রয় করুন।
Money Make করার কৌশল ৩য় পর্বে আপনাদের ক্যান্ডেল স্টিক কি, কোন্ ডোজি প্যাটার্নে ক্রয় এবং investing.com ওয়েব সাইট থেকে লাইভ চার্ট কিভাবে বের করতে হয় তা শিখিয়েছি, আজ চার্টে আরও পরিষ্কার করে দেখাচ্ছি।
কে বলে ডোজি কোন কাজ করে না?
চিত্রঃ টাইম ফ্রেমে 1D chart |
এই রকম চার্ট প্যাটার্ন যদি কোন শেয়ারে কেউ পেয়ে থাকেন তবে আমাকে জানানোর অনুরোধ করছি
নিচে চার্টের বামের প্রথম লাল বক্সের প্যাটার্নটি লক্ষ্য করুন (৩ জুন ২০২১) এখানে ৩ দিনের ৩টা ক্যান্ডেল স্টিক আছে, ২য় দিন শেয়ারটি ডোজি তৈরী করেছিল, যার ওপেন প্রাইস ও ক্লোজ প্রাইস ছিল ১২.৭০ টাকা, ডোজির ল্যাজটা একটু নীচের দিকে লম্বা ছিল, ডোজি তৈরীর পরের দিন শক্তিশালী বুলিশ ক্যান্ডেল স্টিক তৈরী হয়েছিল (সবুজ বড় ক্যান্ডেল স্টিক), এরপর থেকে পুরো চার্টটি ঊর্ধ্বমূখী (আপট্রেন্ড)এ আছে, তারপর বাড়ছে-কমছে, আবার বাড়ছে আবার কমছে এভাবে বাড়তেই আছে আজ (০১/১১/২১) এর ক্লোজিং দর ৩৫.৬০ টাকা, সর্বোচ্চ ৩৬.২০টাকায় উঠেছিল,এতে আরও দর বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। লাল বক্সগুলো দেখুন কতবার ডোজি তৈরী করেছে, এবং ডোজিগুলো দেখুন উর্ধ্বমুখী, ভলিয়ম চার্ট খেয়াল করলে আমরা দেখতে পাই, ডোজি তৈরীর শেষের দিকে বড় ভলিয়মে ব্রেকআউট হয়েছিল তার পর থেকে লম্বা রেলি হয়ে বাড়তেই আছে। আর গত ৫ মাসে এই শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩ গুণ, তাই প্রতিদিন নতুন নতুন শেয়ার না কিনে এ রকম চার্ট বাছাই করে ৪/৫টি স্টকে বিনিয়োগ করে যদি ২/৩টায় ২/৩গুণ প্রফিট হয় তাহলে সমস্যা কোথায়? খেয়াল রাখতে হবে স্টকটির প্যাটার্ন অবশ্যই উর্ধ্বমূখী থাকতে হবে। আর বড় ভলিয়মে কোন স্টকের দর কমে গেলে (৫/৭%) লসে বিক্রি করে দিতে হয়, এটাকেই স্টপ লস বলে।
গত ২৫ অক্টোবর বাজারের শুরুতে এই চার্টটি নিয়ে আপনাদের একটা ধাঁধা দিয়েছিলাম, সেদিনও ওপেন প্রাইস ছিল ২৮.০০টাকা দর কমেও গিয়েছিল আমি পোস্ট দেয়ার পরে হল্টেড হলো। যারা অভিজ্ঞ তারা ঐ দিনই কিন্তু শেয়ারটি কিনে নিয়েছিল।
টাইম ফ্রেমে 1D chart এ আরেকটি প্যাটার্ন লক্ষ্য করুন, বটমে প্রথম ডোজির (১ম লাল বক্স) সাথে আমি দুইটি এমা (EMA) সেট করেছি একটা সবুজ (9) আরেকটি লাল (26) লালকে ক্রস করে সবুজ ওপরে উঠে গেছে এটা কিছুটু MACD -এর মতো, এই সবুজ দাগ কখনই লাল দাগকে ক্রস করে নিচে নামে নাই, এতে বোঝা যায় শেয়ারটির দর আরো বাড়বে। যদি নীচে নামতো তবে বিক্রী নির্দেশ করতো। এমা ক্রস শেয়ারটির দর বাড়ার বিশ্বাস আরও পোক্ত হলো, কনফার্মেশনের জন্য আমি আরেকটি ইন্ডিকেটর Super Trend ব্যবহার করেছি সেটাও দেখেন কখনও লাল হয় নাই, লাল হলে বিক্রী নির্দেশ করতো। এরকম আরো কিছু ইন্ডিকেটর যোগ করতে পারলে একটা শেয়ার সম্বন্ধে নিশ্চিয় হওয়া যায় যে দাম আরও বাড়বে।
0 coment rios: