বর্তমানে বেঁচে থাকা বয়স্ক প্রাণী কচ্ছপ জোনাথনের বয়স ১৮৯ বছর। আমরা আশা করছি জনাথনও অনেক দিন বেঁচে থাকবে।
মানুষ দীর্ঘদিন বাঁচতে চায়, ১ম বিশ্বযুদ্ধের আগেও মানুষের গড় আয়ু ছিল ৩৪ বছর এখন দ্বিগুণেরও বেশী, এটা সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞান ও চিকিৎসার উন্নতির ফলে, তারপরেও মানুষ দীর্ঘজীবি প্রাণী নয়। এই রহস্যময় পৃথিবীতে অনেক জলচর প্রাণী আছে যারা ৪০০-৫০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে, কিন্তু স্থলচর প্রাণীর সর্বোচ্চ বেঁচে থাকার রেকর্ড কচ্ছপ আলাগবার। কচ্ছপটির জন্ম হয়েছিল ১৬৭৫ সালে, যার বসবাস ছিল নাইজেরিয়ার রাজ পরিবারে। ২০১৯ সালের অক্টবরে মারা যায় আলাগবা, বয়স হয়েছিল ৩৪৪ বছর। বর্তমানে বেঁচে থাকা কচ্ছপ জোনাথনের বয়স ১৮৯ বছর। আমরা আশা করছি জনাথনও অনেক দিন বেঁচে থাকবে।
জোনাথনের জন্ম ১৮৩২ সালে। জোনাথনই পৃথিবীর স্থলচরের সবচেয়ে বয়স্ক প্রাণী!, ১৮৮২ সালে তাকে ভারত মহাসাগর থেকে সংগ্রহ করা হয়। চোখে ছানি পড়ে যাওয়ায় কিছু দেখতে পায় না সে, ঘ্রাণ শক্তিও নেই। শুধু আছে গায়ের জোর এবং প্রখর শ্রবণ শক্তি।
এই কচ্ছপ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, রাশিয়ান বিপ্লব পেরিয়ে এখনও জীবনযাপন করছে। জনাথন ব্রিটিশ সিংহাসনে সাতজন রাজা এবং ৩৯ জন মার্কিন রাষ্ট্রপতি দেখেছে। বিশ্বে অনেক ঘটনার সাক্ষী এই কচ্ছপ। শুধু স্থলজ প্রাণী হিসেবেই নয়, এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম প্রাণী হিসেবে গিনিজ বুকের রেকর্ডে নাম করে নিয়েছে জোনাথন।
দক্ষিণ আটলান্টিকের সেন্ট হেলেনা দ্বীপে গভর্নরের বাসভবনে এর বাস।
ঠিক কীভাবে ব্রিটিশদের অধীনস্থ সেন্ট হেলেনায় এর আগমন এ ব্যাপারে কেউই সঠিক কিছু বলতে পারে না। তবে এ পর্যন্ত ৩৩ জন গভর্নর সেন্ট হেলেনায় এসেছেন, সবাই তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন জোনাথন যেন তাদের দায়িত্বকালে মারা না যায়। Geochelone nigra বৈজ্ঞানিক নামের এ ধরণের কচ্ছপ সাধারণত ২৫০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে, সে হিসেবে জোনাথনের হাতে এখনো অনেক সময় বাকি রয়েছে। তবে দ্বীপবাসী ঠিক করে রেখেছে জোনাথন মারা গেলে তার খোলসটি প্রদর্শনীর জন্য রেখে দেয়া হবে, সেই সাথে তৈরি করা হবে জোনাথনের একটি ব্রোঞ্জের স্ট্যাচু।
সেন্ট হেলেনা আইল্যান্ডে সে এসেছিল সেই ১৮৮২ সালে। এই দ্বীপেই নির্বাসিত করা হয়েছিল নেপোলিয়ন বোনাপোর্টকে। গভর্নর স্যার স্পেন্সার ডেভিস তার নাম রেখেছিলেন জোনাথন। আগমনের ৪৮ বছর পর নাম পায় সে। তার বয়স যে ১৮৯ বছর তা প্রমাণে রীতিমতো কাগজপত্র রয়েছে।
সূত্রঃ রোর মিডিয়া, কোরা,কালের কন্ঠ
0 coment rios: