রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১

।। নাবাসাতি।। ।।পর্ব দুই।। Nabasati-Part II




বাস্তব ঘটনা-

জীবনে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর স্মৃতির এটা একটা। পাবনার ভাঙ্গুরায় আমার মেঝ খালাম্মার এল প্যাটার্নের একটা বাড়ী। মফস্বল শহর ছেড়ে একটা হাট। হাট পার হয়ে প্রথম বাড়ীটাই। কারেন্টের আলো ছাড়া গ্রাম। খালাম্মার বাড়ীতে গেলে সেখানে আমি বেশ কিছুদিন থাকতাম। ফলে কিছু বন্ধুও জুটে গিয়েছিল, বন্ধু জোটার কিছু কারণ আছে। আমার খালুজান ব্যবসায়ীক কাজে অনেক রাতে দেরীতে বাসায় ফেরেন। খালাম্মা বাড়ীতে একা একা থাকেন। এ কারণে পাড়া-প্রতিবেশীদের ডেকে কাছে রাখতেন। সেখানে আমার বয়সী (১০/১২ বছর) দু’চারজন ছেলে মেয়েও থাকতো। অনেক দিন আমরা সারারাত গল্পগুজব করে কাটিয়েছি। বাড়ীর পুর্ব পাশে একটা বাঁশ ঝাড়। বাঁশ ঝাড় এর দক্ষিণে লাগোয়া ছোট গোলাকৃতি একটা পাগার (পুকুর থেকে ছোট গর্ত মত জায়গা) অল্প পানিও আছে। কিছু বাঁশ হেলে পড়েছে পাগাড়টার উপর দিয়ে। বাঁশ ঝাড়ে অনেক বড় বড় বাঁশ। পাগার ঘেঁষে সরু একজনের হাঁটার মতো একটা রাস্তা চলে গেছে আলালদের বাড়ী। ওদের বাড়ীতে যেতে এই একটাই মাত্র পথ। আলাল আমার বন্ধুদের একজন। একই ক্লাসে পড়তাম তবে ভিন্ন স্কুলে। সন্ধ্যায় সে আসলো আমাদের মানে খালাম্মার বাসায়। আমরা দুজন গল্প-গুজব করছি। রাত ৯.০০ টার দিকে আলাল বলল, আমার  একটু বাড়ী যাওয়া লাগবি রে অনিক। গ্রামের রাত ৯.০০টা মানে গভীর রাত। সারাগ্রাম ঘুরলে একটা মানুষও পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ। সবাই সকাল সকাল খেয়ে শুয়ে পড়ে।  বললাম একটু আগেইতো বাড়ী থেকে এলি, আবার যাবি কেন?  আলাল বললো কাল রহিম স্যারের ক্লাস। অংক করা অয় নাই। অংক না করলি রহিম স্যার জোড়া ব্যাত দিয়ে পিটায়া আমার পিটির ছাল তুলে ফালাবিনি। বললাম তাড়াতাড়ি আসবি কিন্তু। আলাল চলে গেল। ওদের বাড়ী বাঁশঝাড়ের ওপাশটায়  ঐ পাগারের সরু পথটা পাড়ি দিয়ে যেতে হয়। আমি দরজা আটকে হ্যারিক্যানের আলোতে ঠাকুমা ঝুলি পড়ছি। ৫/৭ মিনিট পড়ে দরজায় ধাক্কা দিয়ে আলাল চিৎকার দিয়ে বলছে অনিক তাড়াতাড়ি দরজা খোল। ওর ভয়ার্ত চিৎকারে আমি হত বিহ্বল হয়ে দ্রুত দরজা খুললাম। ও হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকলো। বললো ওই আইলো, আমারে ধইরলো, তাড়াতাড়ি দরজা আটকা। আমি দরজা আটকে আলালকে টেনে ভিতরে নিয়ে গেলাম। বললাম কি অইচে রে। এরকম করতিছিস কেন? কোন কথা নেই। ওর গা কাঁপছে থর থর করে। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে, বড় বড় গোল গোল হয়ে গেছে চোখ দু’টো টেপা মাছের ফোলানো পেটের মতো । গায়ের লোম খাড়া হয়ে আছে। একটু পর জ্ঞান হারালো। চিৎকার শুনে খালাম্মা ছুটে এসেছেন। মাথায় পানি ঢাললেন। চামচের গোড়া দিয়ে দাঁতকপাটি খুললেন। আমি দোয়া-দরুদ পড়ছি। অনেকক্ষণ পর জোরে একটা নিশ্বাস নেওয়ার শব্দ পেলাম। আলালের জ্ঞান ফিরেছে। আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। ও উঠে দাঁড়ালো। বললাম কি হইচে খুলে ক’তো। অনেকক্ষণ কোন কথা বলতে পারছিলো না। তারপর একটু ধাতস্থ হয়ে বললো, বাড়ীর বাইরে খুব অন্দকার। বাঁশঝাড়ের নিচি আরও অন্দকার হয়া রইচে। আমার চেহারাডাও দেহা যাচ্চিল না। শুধু রাস্তাটা কোন রহমে একটু দেহা যাচ্ছে। আমি পা টিপে টিপে শুধু ঐ রাস্তা দেইখা হাঁটতাচি। এমন সময় দেহি  রাস্তার মধ্যে একটা গলা কাটা লাশ চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকায়া আছে। দুই হাত দিয়ে আমার দইরব্যার আইচে। আমি পিচনে ঘুরতেই আমার একটা পা ধরে ফালাইলো। প্রাণপণ শক্তিতে আমি দুই তিনটে লাথি মাইরা আত (হাত) ছুটায়া দৌড়ায়া চলে আইচি । ওর কথা শুনে প্রচন্ড ঝাঁকুনি দিয়ে আমার শরীরের প্রতিটি লোম খাড়া হয়ে গেল। ভয় পেলে যা হয়। সে রাতে আমরা একটুও আর ঘুমাতে পারিনি। কোথাও একটু শব্দ হতেই মনে হচ্ছিল এই বুঝি ঘড়ের মধ্যে ঢুকে পড়লো গলাকাটা ঐ লাশ। ঐ দিনের কথাটা মনে পড়তে ভয় আরও বেড়ে গেলো।

মিস্টিরিয়াস আইল্যান্ডের চেয়েও মিস্টিরিয়াস মনে হচ্ছে।

আমি ভুত বিশ্বাস করি না। তবে শুনেছি। কিছু দুস্টু জ্বীন মানুষকে ভয় দেখিয়ে মজা পায়। এগুলোকেই নাকি মানুষ ভুত বলে। কখনও কখনও তারা যে সমস্ত জায়গায় বসবাস করে সেই সব জায়গায় অন্য কেউ আবাস তৈরী করলে ভীষণ রেগে যায়। বিভিন্নভাবে মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। যাতে মানুষ সেখান থেকে ভয়ে পালিয়ে যায়। আবার এক ধরনের জ্বীন আছে তারা অন্য মানুষের উপর ভর করে তার শরীরের সাথে মিশে যায়। আমার আবার এদের কার্যকলাপ দেখতে ভীষণ ইচ্ছে করে। একবার আমার এক দূর সম্পর্কের ভাবীকে জ্বীনে ধরলো। দিনের বেলায় সম্পূর্ণ ভালো, রাত এলে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যায়। ভাবীর কাছে শুনেছি সে যখন কাছে আসে তখন বিকট মূর্তি ধারণ করে। তাল গাছের মতো লম্বা, ভীষণ আকৃতির সে জ্বীন। তা দেখেই আমি অজ্ঞান হয়ে যেতাম, এখন আর হই না। তার মানে এখনও আপনার কাছে জ্বীন আসে? ভাবী বললেন, হ্যাঁ আসে, তবে আগের মতো এতো ঘন ঘন আসে না, ভয়ও পাই না। শুনেই ভয়ে আমার গা ছম ছম করে উঠলো, ভাই বললেন আমাদের এ বাড়ীতে অনেক আগে থেকেই জ্বীন থাকে। মার কাছে শুনেছি ছোট বেলায় আমাকেই নিয়ে যাচ্ছিল ঘরের চৌকাঠের নিচ দিয়ে (গ্রামে ঘরের দরজার নিচের অংশ যেখান দিয়ে ঘর ঝাড়– দিয়ে ময়লা বের করার জায়গা রাখা হয়), পরে চৌকাঠের সাথে মাথা আটকে যাওয়ায় আর নিতে পারে নাই। আমাদের আমবাগানে পুরোনো একটা বড় শিমুল ও দেবদারু গাছ ছিল পাশেই ছিল একটা বড় তালগাছ এই তিন গাছেই মিলে ঝুলে থাকতো সাতটা ভয়ংকর জ্বীন, দিনের বেলায়ও সেখানে মানুষ যেতে ভয় পেতো, আমিও সে আমবাগান দেখেছি, আমবাগানের ভিতর দিয়ে একটা পায়ে চলা রাস্তা আছে, সেই রাস্তার উপরে একটা শুয়ে পড়া আমগাছের ডালে ওরা লম্বা লম্বা চুল ছড়িয়ে শুয়ে থাকতো ভয় দেখানোর জন্য, যাতে এদিকে কোন মানুষজন না আসে। কোন মানুষ যদি ভুলে ওদের ডিস্টার্ব করতো তবে বড় বড় সব ঢিল ফেলতো ঘরের টিনের চালে, একবারতো, আখভাঙ্গানো মেশিনের আড়াই মোনি একটা চাকা এনে ঘরের মধ্যে খাটের উপরে এনে রেখেছিল অথচ ঘরের দরজা জানাল সব বন্ধ করা ছিল। কিভাবে এটা আসলো এটা আজও রহস্যই রয়ে গেছে।

আমার এক ছোট ভাই, গ্রামের বাড়ীতে থাকে। পুরাতন ভিটে বাড়ীতে নতুন বাড়ী করেছে। শুরু হলো জ্বীনের উৎপাত। দিনে রাতে সর্বক্ষণ জ্বালাতো। রাতে ঘুমাতে দিত না। অনেক বড় বড় পাথর এনে টিনের চালে ফেলতো। বিকট শব্দে ঘুম হারাম করে ফেলতো। টিনের চালের উপর দিয়ে ধুপ ধুপ করে দৌড়ে যেতো, বড় বড় লাঠি দিয়ে কষে বাড়ী মাড়তো, প্রচন্ড শব্দে পিলে চমকে যেতো, হাত দিয়ে চালের এমাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত গড় গড় করে কি যেন টেনে নিয়ে যেতো, সবচেয়ে ভয় হতো তখন যখন কোন মানুষকে শূন্যে তুলে ঘুরাতো, কখনও তুলে আছাড় মারার চেষ্টা চালাতো, অবশ্য যারা বিশ্বাস করতো না, রাতে থেকে দেখতো আসতো, তবে আছাড় দিতো  না। পীর দরবেশ ধরে অনেক দোয়া তাবিজ করে এখন উৎপাত বন্ধ হয়েছে।

অনেক উপকারী ডাক্তার জ্বীনের কথাও শুনেছি, যে কোন রোগ সারিয়ে দেয়। একবার পত্রিকার খবরে জানলাম জ্বীনেরা এক রোগীর টিউমার অপারেশন করেছে। এরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়াও করছে। এ জ্বীন গুলো নিশ্চয় ঢাকা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে।

সত্যি কি মিথ্যে জানি না। আমি ভাবছি আমার কথা। আজ আমার ঘরেই তার উপস্থিতি। ভাবছি আমার কাছে কোন্ জ্বিন এলো। ভালোটা না খারাপটা? তবে এ পর্যন্ত যে কার্য কলাপগুলো দেখছি তাতে ভালো বলেই মনে হচ্ছে। তবুও ভয় কমছে না। আবার আনন্দও লাগছে। মনে মনে দোয়া দরূদ পড়ছি। ভয়ের মধ্যেও যে আনন্দ আছে সেটা উপলব্ধি করছি। কখনও কখনও খুট করে যখন শব্দ হয়, তখন ভয়ে গা শিউরে উঠে। পরক্ষণেই আবার ঠিক হয়ে যাই। যখণ ভাবি এটাতো আমার ক্ষতি করছে না। আমার উপকারই তো করছে। আমার আবার ভয়কি। সাথে কেউ থাকলে ভিষণ মজা হতো।

রাতের অন্ধকারে জ্বিনেরা বেশী স্বাচ্ছন্দ বোধ করে, বিশেষ করে অমাবস্যার রাতে এদের ফুর্তি অনেক বেড়ে যায়। আজ অমাবস্যা নয়, ফুট ফুটে চাঁদ আলো ছড়াচ্ছে বাইরে। এর উপর ঘরে দু’টো এনার্জী বাল্ব জ্বলছে। তা হলে এটা কোন ধরনের জ্বীন যে আলোকেও ভয় পায় না। কিছু একটা টেনে নেয়ার শব্দ হলো। গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো সে শব্দে। ভয়ের একটা শিতল স্রোত বয়ে গেল মেরুদন্ড বেয়ে। শরীরের প্রতিটি লোম খাড়া হয়ে গেছে। পিছন ফিরে দেখি বুক সেলফের কাঁচটা সরে গেল। একটা বই শুন্যে ভাসছে। নেয়ামুল কোরআন। ভুতটার সাহস দেখে বাঁচি না। শুনেছি কোরআনের আয়াত পড়ে ফুঁ দিলে ওদের শরীরে আগুন ধরে যায়। এখন দেখছি নেয়ামূল কোরআন তার কাছে। খারাপ জ্বীন অবশ্যই নয়। এতক্ষণ যে ভয়টুকু ছিল তা কিছুটা দূর হয়ে গেল। কারণ যে কোরআনের আয়াত দেখে ভয় পায় না, সে অবশ্যই ভালো জ্বীন। আমি এখন পরিস্কার বুঝতে পারছি আমার ঘরে অশরীরী কেউ আছে। আমার খুব ইচ্ছে করছে ওর সাথে গল্প  করতে কিন্তু সেটা কি সম্ভব?

একটা সুইচ টেপার শব্দে আবার চমকে উঠলাম। তবে ভয় পাইনি, কম্পিউটারে সেট করা মাল্টিপ্লাগ-এর সুইচগুলো জ্বলে উঠলো। এর পর কম্পিউটারের সুইচটা অন হলো। চালু হচ্ছে কম্পিউটার। এর পর স্টার্ট মেনু থেকে এম এস ওয়ার্ড এপ্লি-কেশনটা ওপেন হলো। মনিটরে লেখা টাইপ হচ্ছে। কম্পিউটারটা আমার সামনে। টিভি দেখার সুবিধর্থে আমার বিছানাটা এমনভাবে পাতা হয়েছে যাতে শুয়ে শুয়েই মনিটরে সব কিছু দেখা যায়। আমি মনিটরের দিকে তাকিয়ে আছি। মনিটরে কালো অক্ষরে বড় করে লেখা উঠলো-

ভয় পেয়ো না। আমি তোমার কোন ক্ষতি করতে আসিনি, তোমাকে আমার খুব দরকার তাই তোমার কাছে এসেছি।

-আমি বললাম-তুমি কে? কথা বলছো না কেন? আমাকে আবার কি দরকার তোমার। কোন উত্তর নেই। কথা গুলো নিজের কানেই ফিরে এলো। কম্পিউটারের পর্দায় ওর লেখার নিচে লিখলাম-

কথা বলছো না কেন?

লেখা উঠলো-কথা বলছি না এজন্য যে, কথা বলার শব্দে যদি তুমি ভয় পাও। যা ভীতু তুমি। একটু শব্দ হতেই দেখি তোমার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে। কথা বললে তো ভয়েই অজ্ঞান হয়ে যেতে।

-তুমি কি কোন দৈত্য-দানো যে কথা বললে আমি ভয় পাব?

-না আমি দৈত্য-দানো নই।

-তাহলে আমি ভয় পাবো কেন?

-বললাম না তুমি খুব ভীতু তাই।

রাত-এখন ৩.৪৫। এ সময় কোন অশরীরী কেউ যদি ঘরের মধ্যে এসে তার উপস্থিতি প্রকাশ করে তবে তো ভয় পাবারই কথা?

মনে সাহস যোগাও। ভয় করলে ভয়, না করলে নয়!

-ঠিক আছে ভয় পাবনা। তুমি যেই হও স্ব-শরীরে দেখা দাও। সাহস কাকে বলে দেখাচ্ছি।

-সেটাই তো সমস্যা, আমাকে দেখা যাবে না।

-তুমি কি ভুত?

-না

-জ্বিন?

-না

-তাহলে নিশ্চই পরী

আমি দৈত্য-দানো, জিন-পরী, ভুত কিছুই না।

তবে কি ভিন গ্রহের কেউ?

-না, আমি এ গ্রহেরই বাসিন্দা

-তোমার দেশ কোথায়?

-বাংলাদেশ

-না মানে তুমি থাক কোথায়?

-সেটা বললে তুমি আমাকে চিনে ফেলবে।

-তোমাকে আমি চিনি? খুব ইন্টারেস্টিং তো!

-হ্যাঁ

-তোমার পরিচয় জানলে অসুবিধা আছে?

-না

-তাহলে নিজেকে প্রকাশ করছো না কেন?

-তোমার সাথে একটু মজা করছি।

-আমি কি মজার পাত্র।

-মজার পাত্র বললে অন্য কিছু বুঝায়, তুমি ঐ রকম মজার পাত্র না, আসলে-তোমার কাছে এসে খুব ভালো লাগছে।

-আমার কাছে এসে খুব ভালো লাগছে? আমি আবার ভালো লাগার কি করলাম?

-অনেক কিছুই করেছো।

-আর কি করতে পারি।

আরও অনেক কিছু করতে পারো। সেটা পরে বলবো।

-তুমি জ্বিন-পরী দৈত্য, ভুত যেই হওনা কে স্বরূপে হাজির হও। ভয় পাচ্ছ কেন?

-ভয় পাচ্ছি না। তবে স্বরূপ ধরতে পারছি না।

বলো কি? অদৃশ্য যখন হয়েছো অবশ্যই স্বরূপ ধরতে পারবে?

পারবোতো অবশ্যই তবে একটু সময় লাগবে।

-কথা বলায় আপত্তি আছে?

না, বলেই খিল খিল করে হেসে উঠলো-হাসিটা মেয়ে মানুষের।

চলবে-

এরপর পড়ুন ।। নাবাসাতি।। ।।পর্ব তিন।। Nabasati Part III



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: