।। নাম বিভ্রাট ।।
রেজাউল করিম।
রেজাউল করিম।
পূব গাঁয়ে ছিলরে ভাই
জোতদার এক হরলাল
গন্ড মুর্খ হলেও তাঁর
সম্পদ ছিল বেসামাল।
দক্ষিণে ছিল মৌজাদার এক
নামটি তাঁহার হরধন,
লোকটি যেমন লম্বা চওড়া
ভিতরটা ছিল উদার মন।
দুজনের মধ্যে মিল মহব্বত
ছিলরে ভাই ঢের,
জমি ছিল কানি কানি
আরো মাছের ঘের।
জমিজমা রেকর্ডের সময়
হলো বিপত্তি মহা,
রেকর্ডে হলো নামের বিভ্রাট
যা যায়না সহা।
একের জমি রেকর্ড হলো
অন্য জনের নামে,
এই চিন্তায় দুজনের ভাই
শরীর ভিজে ঘামে।
দুজনকে ডেকে কাজী সাহেব
পরামর্শ দেন এক,
ভুমি অফিসে আবেদন করে
ফল হয় কিনা দেখ।
বাবু হরলাল এইনা শুনে
জলদি এসে দাওয়ায় বসে,
শক্ত হাতে কলম ধরে
আরজি লিখে মনের রোষে।
বিনীত নিবেদন এইযে জনাব
আমি বাবু হরলাল হই,
হরধনের নামে রেকর্ড হয়েছে
আমার ভুঁই বিঘা তিন, দুই।
অতএব মহাশয় করছি আরজ
নামের ভুলের বিঘা দুই, তিন,
বাবু হরধনের ধন কাটিয়া
লাল লাগাইয়া দিন।
অনুরুপ ভেবে হরধন বাবু
হইবে ফল এইনা আশে,
কলম চেপে আরজি লিখে
মনোযোগ দিয়ে চেয়ারে বসে।
আপনার অধীনের দক্ষিণ গাঁয়ের
আমি বাবু হরধন হই,
হরলালের নামে রেকর্ড হয়েছে
আমার ভুমি বিঘা তিন, দুই।
অতএব মহাশয় করি আরজ
নামের ভুলের বিঘা দুই, তিন
হরলাল বাবুর লাল কাটিয়া
আমার ধন লাগাইয়া দিন।
ভুমি মহাশয় পাইয়া আরজ
কপালে ওঠে চোখ,
আবেদন পড়িয়া ভুমি অফিসের
হাসেন শতেক লোক।
0 coment rios: