শেয়ার টকিজ!
কে
এম মিজানুর রহমান মানিক
এ্যাডমিনঃ
ডিএসই মানিমেকার
ফোনঃ
০১৬৩১৪২৯১৬৯
 |
ডিএসইএক্স ইনডেক্স ৭-৮-২০২৩, ১২:০০টা |
চিত্র দেখেই বোঝা যায় কেনো অস্বাভিক আচরণ করছে বাজার
মনে রাখবেন, শেয়ার বিক্রী না করলে কোনো দিনও আপনার লস হবে না বাজার অনেক ভালো হবে, যা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না ২/১ বছর দাঁতে কামড় দিয়ে পড়ে থাকুন, প্রতিজ্ঞা করুন লসে কোনো শেয়ার সেল নয়, দেখবেন বাজার অটোমেটিক ভালো হয়ে গেছে।
বাজার অনেক কমছে, ভয়ে গলা শুকিয়ে আসছে, আমি শেষ! আর বুঝি এখান থেকে বেরুতে পারবো না, ভয় নেই দেখছেনতো বাজার আপট্রেন্ডে প্রবেশে করেছে, বাজার অনেক ভালো হবে, আপনি বাজারে যেয়ে ভালো কোনো জিনিষ কিনতে গেলে কি করেন! দর কমানোর চেষ্টা করেন, তাইনা!! এখানেও তাই হয়।
আমাদের
শেয়ার বাজারটা খুবই ছোট, এই ছোট বাজারে
অশিক্ষিত তথা বোকা বিনিয়োগকারীর সংখ্যা অনেক বেশী, আর বোকাদের ফাঁদে
ফেলা যতো সহজ শিক্ষিতদের ততো সহজ নয়, আর ফাঁদে ফেলার
জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে খুব সহজেই কারসাজিকারকরা তাদের কাছ থেকে শেয়ারগুলো হাতিয়ে নিতে পারে, যার ফলে বাজার উল্টা পাল্টা আচরণ করে, এই সুযোগে বোকাদের কাজে লাগিয়ে শিক্ষিত বিনিয়োগকারীরা খারাপ বাজারেও প্রচুর প্রফিট করে, যার উদাহারণ আমি আপনাদের দেখিয়েছি গত ১১তম ওয়েবিনারে।
এই
সময়ে বিশেষ করে জুন মাসের পর থেকে বাজার
কমার তেমন কোনো ইস্যু থাকে না, এবার ইলেকশন ও টেকনিক্যাল ইস্যুর
মূলা ঝুলিয়ে শেয়ারগুলো হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা চলছে।
আপনারা
জানেন যে বাজারের একটা
ধর্ম আছে, আর তা হলো
বাড়া আর কমা, বাড়ার
পরে কমবে আর কমার পরেই
বাড়বে, অতএব সহজেই বোঝা যায়, গত দুইদিনে সূচক
যেহেতু ২৭ পয়েন্টের ওপরে কমেছে, এবং এখন ১:২০মিনিট আমার লেখা চলাকালীন বাজার আরও ১৪ পয়েন্ট মোট ৪১ পয়েন্ট কমে গেলো সাম্প্রতিক সময়ে এতো বেশী পয়েন্ট কমে নাই, তাই দেখবেন বাজার খুব দ্রুতই ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
আপনার জানেন বাজার আগের রেজিস্ট্যান্সে পৌছে গিয়েছিলো তাই এখন কমছে, তবে কমার হারটা বেশী, ভয়টা এখানেই, নিয়ম অনুযায়ী বাজারে যেভাবে কমছে সেভাবেই উঠে যাবে শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাই বাজারের
বর্তমান আচরণের প্রেক্ষিতে বলছি শয়তানি করা ছাড়া বাজার কমার সম্ভাবনা ছিলো না, তবুও কমছে, খুব
সম্ভব ২/১ দিনেই মধ্যেই বাজার ঘুরে দাঁড়াবে। যেভাবে কমছে সেভাবেই বেড়ে যাবে।
আপনারা
এও শুনেছেন যে কখনও কখনও
ইন্ডিকেটর কাজ করেনা. কারণ কি? বোকাদের বোকামীর কারণে অনেক সময় তা লন্ড ভন্ড
হয়ে যায়। বাজার যা আচরণ করে ইন্ডিকেটরে
তাই ধরা পরে। আগে বাজার, তার পরেই তৈরী হয় ইন্ডিকেটর, তাই আগে বাজার সম্বন্ধে ভাবুন
তার পরে ইন্ডিকেটরকে প্রাধান্য দিন। যেহেতু বাজারটা
খুবই ছোট তাই যে কেউ এ
বাজারকে প্রভাবিত করতে পারে। নতুন নতুন কিছু এ্যানালিস্ট তৈরী হয়েছে যারা উল্টা পাল্টা এ্যানালাইসিস করে ছক আঁকে, দেখায়
যে বাজার কমে যাবে, আর মূর্খ বিনিয়োগকারী
না বুঝে তাদের কথা বিশ্বাস করে সেল দিয়ে দেয় আর বাজার পড়ে
যায়। এই সুযোগ কারসাজীকারকরা কম দামে কিনে
বেশী বেশী লাভ করার সূযোগ পায়।।
মনে
রাখবেন, শেয়ার বিক্রী না করলে কোনো
দিনও আপনার লস হবে না।
বাজার অনেক ভালো হবে, যা আপনারা কল্পনাও
করতে পারবেন না। থাকুন না ২/১
বছর দাঁতে কামড় দিয়ে, প্রতিজ্ঞা করুন লসে কোনো শেয়ার সেল নয়, দেখবেন বাজার অটোমেটিক ভালো হয়ে গেছে।