![]() |
এস কে ট্রিমস কোম্পানীর পরিচালনা পরিষদ যেখানে এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা দেখা যাচ্ছে না, উৎপাদিত পণ্য ও কারখানা। |
পাপির শাস্তি হোক নিরপরাধীর কেনো? শ্রমিক-কর্মচারী, কর্মকর্তা ও শেয়ার বাজারের লাখো বিনিয়োগকারীর স্বার্থে যে কোনো উপায়ে কোম্পানী চালুর ব্যাবস্থা করা হোক
বিশেষ প্রতিবেদন
K M Mizanur Rahman
Admin: DSE Money Maker
Mentor: School ofDSE Money Maker
এম আর মিডিয়া২৪ ডেস্কঃ বন্ধ হলো শেয়ার বাজারে অন্তর্ভুক্ত S K Trims & Industries Ltd. কোম্পানী, আর হৃদস্পন্দন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলো সংশ্লিষ্ট কোম্পানীর শ্রমিক-কর্মচারী, কর্মকর্তা ও শেয়ার বাজারের লাখো বিনিয়োগকারীদের ।
কোম্পানিটি ১ জুন ২০১৪ এ তার বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে এবং ২০১৭ সালে প্রাইভেট লিমিটেড থেকে পাবলিক লিমিটেডে রূপান্তরিত হয় তারপর ২০১৮ সালে এ কোম্পানী উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়। এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের জন্য সমস্ত ধরণের সুইং থ্রেড, ইলাস্টিক, পলি, কার্টন, ফটো কার্ড, ব্যাক বোর্ড, বার কোড, হ্যাংট্যাগ, টিস্যু পেপার, সেলাই থ্রেড, পলি ব্যাগ, বোনা লেবেল, জিপার, পুলার, লেইস লেবেল, মুদ্রিত লেবেল, কালো সাটিন লেবেল মুদ্রণ, সুতির কাপড়ের লেবেল, গাম টেপ ইত্যাদি উত্পাদনে নিযুক্ত ছিলো যা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে রপ্তানী আয়ে ও RMG সেক্টরে। এবং দিনে দিনে ব্যাগ রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কোম্পানীর মেশিনপত্র ছিলো খুবই অত্যাধুনিক। উৎপাদিত পণ্যগুলো ছিলো শতভাগ রপ্তানিমুখী। এস কে ট্রিমস ২০২২-২০২৩ আর্থিক বছর থেকে বিভিন্ন ব্যাগের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেছে এবং দিনে দিনে ব্যাগ রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কোম্পানিটি, OEKO-TEX সার্টিফাইড সমৃদ্ধ। (OEKO-TEX means that these are human-organic textile products which do not have a detrimental effect on human health and well-being. OEKO-TEX® Standard 100 labelled products have been analyzed for a number of substances that are considered harmful to the health of humans.)
নিঃসন্দেহে একটা ভালো কোম্পানী, ফান্ডামেন্টালি স্ট্রং, প্রতি বছরই কম/বেশী ডিভিডেন্ড দিয়ে আসছে বিনিয়োগকারীদের, নিশ্চিত বিনিয়োগ করার মতো একটা কোম্পানী, সেই কোম্পানীটিকে বন্ধ ঘোষণা করা হলো। সাথে সাথে শেয়ারের দর পতন, আর এ পতন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
অনেকে বলে এটা এনবিআরের সদস্য মতিউর রহমানের কোম্পানি, আমি এর ওয়েবসাইট ঘেঁটে কোথাও মতিউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাইনি, কোম্পানিটির উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছে মোঃ তোফাজ্জাল হোসেন ফরহাদ (চেয়ারম্যান), মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন রাইভি, আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ আইনুল কবির, মো. নুরুল হুদা ও এম এ কাইয়ূম হাওলাদার।
কোথাও মতিউর রহমানের নাম নেই, অথচ ছেলের ছাগল কান্ডের পর শুনি এটা মতিউর রহমানের কোম্পানী এ কারণে এ কোম্পানীর ব্যাংক হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
কোম্পানী জানিয়েছে-
মহানগর দায়রা জজ কোর্টের নির্দেশে ১১-৭-২০২৪ ইংরেজি তারিখ থেকে কোম্পানীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ রয়েছে তারপরও আমরা ব্যক্তিগত অর্থায়নের মাধ্যমে মে, জুন ও জুলাই ২০২৪ সালের বেতন ও ওভারটাইম পরিশোধ করেছি, বিগত জুন ২০১৪ সাল থেকে বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি করতে না পারায় বেশ কিছুদিন যাবত কারখানাতে কোন প্রকার কাজ নেই এবং কারখানা সচল রাখার মতো আর কোন অর্থায়নের ব্যবস্থা নাই এমতাবস্থায় কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে ব্যাংক একাউন্ট সচল না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ ধারা মোতাবেক ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ইংরেজি তারিখ হতে কারখানার সকল কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
আমরা চাই পাপির শাস্তি হোক, প্রশ্ন হলো একটা ভালো কোম্পানী বন্ধ করে কাকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে? শ্রমিক-কর্মচারী, কর্মকর্তা ও শেয়ার বাজারের লাখো বিনিয়োগকারীরদের? এ ছাড়াও কোম্পানীর পণ্য রপ্তানী করে বৈদেশিক মূদ্রা আয় করতো সেটা থেকেও দেশ বঞ্চিত হচ্ছে।
কোম্পানী আরও বলেছে যে কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ পাওয়া গেলে কারখানা চালু করা হবে ও চালুর তারিখ যথাযথ নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।
পাপির শাস্তি হোক নিরপরাধীর কেনো? শ্রমিক-কর্মচারী, কর্মকর্তা ও শেয়ার বাজারের লাখো বিনিয়োগকারীর স্বার্থে যে কোনো উপায়ে দ্রুত কোম্পানী চালুর ব্যাবস্থা করা হোক। আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত চালুর পদক্ষেপ নেবেন।
সুন্দর উপস্থাপনা
উত্তরমুছুনসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ যে কোন উপায়ে কোম্পানি টি চালুর ব্যবস্থা করা হোক
উত্তরমুছুন