।। কে এম মিজানুর রহমান মানিক।।
ঢাকা, ২২ জুন ২০২৫ – দেশের শেয়ার বাজারে সাম্প্রতিক দরপতনে আবারও দেখা দিয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হতাশা ও ক্ষতির মুখ। ইরান ইসরাইল যুদ্ধের দামামায় বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে লেগেছে আগুন! আসলে যুদ্ধ উপলক্ষ্য মাত্র, এই সুযোগগুলো কাজে লাগায় কারসাজিকাররা, বাজারে অনেক শেয়ারই বড় ধরনের পতনের শিকার হওয়ায় দূর্বল চিত্তের বিনিয়োগকারীরা তাদের শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন ‘যা পাই তাই লাভ’ মনের অবস্থা থেকে। কিন্তু অভিজ্ঞ বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্তেই লাভবান হয় মার্কেট প্লেয়াররা।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বড় বিনিয়োগকারীরা এমন সময়েই নিচু দামে শেয়ার কিনে পরে উচ্চ দামে তা বাজারে ছাড়েন। তবে তারা কখনও বাজারকে অতিরিক্ত উপরের দিকে টানেন না। বরং বাজার নির্দিষ্ট একটা পরিসরের মধ্যেই ঘোরাঘুরি করে। ফলস্বরূপ, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আবারও লোকসানে পড়ে।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, যদি সবাই ধৈর্য ধরে শেয়ার ধরে রাখতেন, তাহলে বড় প্লেয়ারদের জন্য এই সুবিধা তৈরি হতো না। তারা আরও বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে না কিনে, না বেচে, অপেক্ষার কৌশলই বুদ্ধিমানের কাজ। বিশেষ করে যারা টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস (TA) জানেন, তারা সূচক দেখে ধৈর্য ধরে বুদ্ধিমত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
তাদের মতে, যে সকল শেয়ার ধীরে ধীরে বাড়ে এবং কমার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম, এমন শেয়ারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করলে বাজার খারাপ থাকলেও কিছু না কিছু আয় হতেই পারে।
একজন অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী বলেন, “শেয়ার বাজারে দর কমলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী কষ্ট পায়, আর স্মার্ট বিনিয়োগকারী খুশি হয়। কারণ, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী কিনতে কিনতে পকেটের টাকা শেষ করে ফেলে, আর স্মার্ট বিনিয়োগকারী বিক্রি করতে করতে পকেট ভরে ফেলে।”
📌 বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এ মুহূর্তে হঠকারী সিদ্ধান্ত নয় বরং তথ্যভিত্তিক ও ধৈর্যপূর্ণ পদ্ধতিই বাজারে টিকে থাকার মূল চাবিকাঠি।
School of DSE Money Maker Desk
0 coment rios: