![]() |
।।টকিজ -২।।
ছাগলের ৩ নং বাচ্চা!
M R Media24: বেশ কিছুদিন আগের কথা, শহরের
এক কোণে আছিল এক অদ্ভুত বিনিয়োগকারী ক্লাব—নাম “পতোনুল্লম্ফন ক্লাব”। ক্লাবের
সদস্যদের নাম গুলোও ছিলো বিচিত্র ও বিটকেলে, বিমান চট্টপাধ্যায়, ট্যারা মফিজ, গরু মাহিন,
বোতল সাহা, চশমা কামাল, আরশোলা আক্তার, লুঙ্গি রাজীব—আরো কত কী!
এই ক্লাবের সভাপতি আছিল আমাজন কাদের। শুনছি, উনি নাকি জীবনের অর্ধেক সময় আমাজনের জঙ্গলের গাছের চুড়য় বইসা শেয়ারের এনালাইসিস করত। বয়সে বড়, অভিজ্ঞতায় গ্যাম্বা, কিন্তু ভাগ্যে কপাল খারাপ।
তবে এবার কিন্তু তার এক এ্যানালিস্ট চাচার কথা শুন্যা প্রচুর লাভ করছিলো, আর সেই লাভের ট্যাকায় ক্লাবের সব সদস্যদের নিয়া আমাজন জঙ্গলে বেরাবেইর আইসে। খাওয়া দাওয়ার পরে বইসলো মিটিং।
মিটিংয়ে আমা ভাই (আমাজন কাদের) দাঁড়ায়া কইল, “গ্যাদারা, আমরা আসলে ছাগলের ৩ নম্বর বাচ্চা! কেনো বলছি মন দিয়ে শোনো, ”ছাগল রানি” কোম্পানি পুনরায় চালু হইতেছে তা শুনে আমরা তখন দৌড় দিয়া ”ছাগল রানি” কোম্পানির শেয়ার কিনতে যাই। কিন্তু যায়া দেহি দাম তো আগেই বাইড়্যে গেছে!” কারণ কি জানো, কোম্পানি কি করবি না করবি, তা তারা আগে থাইকেই জানে। তারপর জানে বিএসইসি, তারপর অর্থ মন্ত্রণালয়, তারপর পত্রিকা, তারপর চায়ের দোকানের রফিক, তারপর আমরা!” আমরা যহন জানি আর শেয়ার কিনি তহন দামও গড় গড় কইর্যা কুম্যা যায়।
আমা ভাইয়ের কথা শুন্যা সবাই হো হো কইরা হাসল, হাসির শব্দে আমাজন জঙ্গলের পশু পাখি ভয়ে পলাইলো, ক্লাবের সদস্যরা তখনও হাসতাছে, তাদের হাসির মধ্যে আছিল একধরনের কান্না। কারণ তারা শেয়ার কিনে, আর দাম হুর হুর কইরা পইড়ে যায়।
চশমা কামাল চিৎকার কইরা কইল, “মানে আমরা খবর পাই যখন ছাগলের দুধ শেষ, খামার ফাঁকা, দড়ি পড়ে থাকে!” সবাই চশমা কামালের দিকে চায়া থাকে।
আমা ভাই মাথা নাড়ায়া কইল, সবচাইতে খারাপ কতা কি জানো কোম্পানি নামে বেনামে আগে থাকেই স্টক করে। বিএসইসি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের লোকজনেরা কি বইসে থাকবি? তারা আগেই স্টক করে। টাকা দেখলে কাঠের পুতুলও হা করে!” তারপর দামা বাড়ায়া পত্র-পত্রিকা, সোস্যাল মিডিয়ায় ভালো ভালো খবর দেয়! দর আরও বাড়তে থাকে আম পাবলিকররা ধুমায়া কিনতে থাকে, কয়দিন পর থাইক্যাই শেয়ারের দাম খালি পড়ে আর পড়ে!
শালিক রুমা কইল, “তাহলে আমরা কি করবো? ছাগলের বাচ্চা হয়েই থাকবো?”
আমা ভাই চশমা ঠিক কইরা কইল, “না রে গেদি, এহন থাইক্যা প্রতিদিন শেয়ার বাজারের কিছু না কিছু শিখবো—এ্যানালিস্ট চাচারে আমাদের দরকার, তাকে যদি ক্লাবের মেম্বর বানাব্যাইর পারি তাইলে লাবও অবি! শিখতেও পাইরবো অনেক কিছু! যেমন: Price Sensitive Information (PSI), ইনসাইডার ট্রেডিং, তথ্য বিশ্লেষণ। তহন আমরা ক্লাবের নামই পাল্টায়া ফেলবো!”
সবাই হাততালি দিল।
এই ক্লাবের সভাপতি আছিল আমাজন কাদের। শুনছি, উনি নাকি জীবনের অর্ধেক সময় আমাজনের জঙ্গলের গাছের চুড়য় বইসা শেয়ারের এনালাইসিস করত। বয়সে বড়, অভিজ্ঞতায় গ্যাম্বা, কিন্তু ভাগ্যে কপাল খারাপ।
তবে এবার কিন্তু তার এক এ্যানালিস্ট চাচার কথা শুন্যা প্রচুর লাভ করছিলো, আর সেই লাভের ট্যাকায় ক্লাবের সব সদস্যদের নিয়া আমাজন জঙ্গলে বেরাবেইর আইসে। খাওয়া দাওয়ার পরে বইসলো মিটিং।
মিটিংয়ে আমা ভাই (আমাজন কাদের) দাঁড়ায়া কইল, “গ্যাদারা, আমরা আসলে ছাগলের ৩ নম্বর বাচ্চা! কেনো বলছি মন দিয়ে শোনো, ”ছাগল রানি” কোম্পানি পুনরায় চালু হইতেছে তা শুনে আমরা তখন দৌড় দিয়া ”ছাগল রানি” কোম্পানির শেয়ার কিনতে যাই। কিন্তু যায়া দেহি দাম তো আগেই বাইড়্যে গেছে!” কারণ কি জানো, কোম্পানি কি করবি না করবি, তা তারা আগে থাইকেই জানে। তারপর জানে বিএসইসি, তারপর অর্থ মন্ত্রণালয়, তারপর পত্রিকা, তারপর চায়ের দোকানের রফিক, তারপর আমরা!” আমরা যহন জানি আর শেয়ার কিনি তহন দামও গড় গড় কইর্যা কুম্যা যায়।
আমা ভাইয়ের কথা শুন্যা সবাই হো হো কইরা হাসল, হাসির শব্দে আমাজন জঙ্গলের পশু পাখি ভয়ে পলাইলো, ক্লাবের সদস্যরা তখনও হাসতাছে, তাদের হাসির মধ্যে আছিল একধরনের কান্না। কারণ তারা শেয়ার কিনে, আর দাম হুর হুর কইরা পইড়ে যায়।
চশমা কামাল চিৎকার কইরা কইল, “মানে আমরা খবর পাই যখন ছাগলের দুধ শেষ, খামার ফাঁকা, দড়ি পড়ে থাকে!” সবাই চশমা কামালের দিকে চায়া থাকে।
আমা ভাই মাথা নাড়ায়া কইল, সবচাইতে খারাপ কতা কি জানো কোম্পানি নামে বেনামে আগে থাকেই স্টক করে। বিএসইসি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের লোকজনেরা কি বইসে থাকবি? তারা আগেই স্টক করে। টাকা দেখলে কাঠের পুতুলও হা করে!” তারপর দামা বাড়ায়া পত্র-পত্রিকা, সোস্যাল মিডিয়ায় ভালো ভালো খবর দেয়! দর আরও বাড়তে থাকে আম পাবলিকররা ধুমায়া কিনতে থাকে, কয়দিন পর থাইক্যাই শেয়ারের দাম খালি পড়ে আর পড়ে!
শালিক রুমা কইল, “তাহলে আমরা কি করবো? ছাগলের বাচ্চা হয়েই থাকবো?”
আমা ভাই চশমা ঠিক কইরা কইল, “না রে গেদি, এহন থাইক্যা প্রতিদিন শেয়ার বাজারের কিছু না কিছু শিখবো—এ্যানালিস্ট চাচারে আমাদের দরকার, তাকে যদি ক্লাবের মেম্বর বানাব্যাইর পারি তাইলে লাবও অবি! শিখতেও পাইরবো অনেক কিছু! যেমন: Price Sensitive Information (PSI), ইনসাইডার ট্রেডিং, তথ্য বিশ্লেষণ। তহন আমরা ক্লাবের নামই পাল্টায়া ফেলবো!”
সবাই হাততালি দিল।
তথ্যঃ ম্যাকডি কাদের
আমাজন জঙ্গল থেকে
চলবে…
"Respected Mizan Sir, আপনার লেখাটি শুধু রসাত্মক নয়, বরং শেয়ারবাজারের বাস্তব চিত্রকে অসাধারণভাবে তুলে ধরেছে। ‘ছাগলের ৩ নং বাচ্চা’ গল্পের মাধ্যমে আপনি PSI, ইনসাইডার ট্রেডিং এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের চ্যালেঞ্জগুলোকে খুব সহজভাবে বোঝাতে পেরেছেন। আপনার প্রতিটি লেখা আমাদের জন্য একেকটি শিক্ষণীয় পাঠ—যা শুধু বাজার বোঝার জন্য নয়, বরং ধৈর্য, সততা ও শৃঙ্খলার গুরুত্বও মনে করিয়ে দেয়। আপনার দিকনির্দেশনা আমাদের জন্য সবসময় অনুপ্রেরণার উৎস। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা।"
উত্তরমুছুন