সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১

নিরোগ থাকার সহজ উপায়? পরীক্ষিত

 


তুলসীপাতা, মধু ও কালোজিরা হাতের কাছে থাকা এই তিনটি খাবার নিয়মিত সেবনে শরীরকে সবধরণের রোগমুক্ত রাখবে-খেয়েই দেখুন, বিষাক্ত ঔষধ খেতে হবে না, মনে রাখবেন ঔষধ এক রোগ সারায় আরেক রোগ ধরায়।  তুলসীপাতা, মধু ও কালোজিরা খেলে মনের মধ্যে সব সময় তাজা একটা ভাব থাকবে এটা এমন একটা খাবার যা ত্বকে পুষ্টি ফিরিয়ে আনে ও চামড়ার কোষকে পুনরুজ্জিবিত করে বার্ধক্য ধরে রাখে।, মস্তিষ্কে অক্সিজেন লেবেল বাড়িয়ে স্ট্রেস কমিয়ে দেয়, পেট পরিষ্কার করে। শরীর সুস্থ্য থাকাটাই আল্লাহর বড় নেয়ামত, শরীর সুস্থ্য রাখতে আমার এ টোটকা ভিষণ কাজে দেবে। এই টোটকার গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না।

নাক, মুখ ও ত্বকের মাধ্যমেই শরীরে রোগ প্রবেশ করে তাই এ তিন ইন্দ্রিয়ের মধ্য দিয়ে যাতে রোগ প্রবেশ করতে না পারে তার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে,  খাওয়ার আগে ভাল করে হাত-মুখ-নাক ধুয়ে নিন, রাস্তায় চলতে মাস্ক ব্যবহার করুন। আর আমার এ টোটকা খেলে মুখ থেকে শুরু করে পেটের ভিতরের সমস্ত রোগজীবাণু ধ্বংস করে শরীরটাকে তরতাজা করে তুলবে। 

আপনি সারাদিন পরিশ্রম করছেন অথচ ক্লান্তি থাকবে না, এটা কি সত্যি? এই তিন মিশালী খেয়েই দেখুন

খুবই সামান্য একটা বিষয়, অথচ এই সামান্য বিষয়টা মেনে চললে আপনি পাবেন সুস্থ ও নিরোগ জীবন।


তুলসীপাতাঃ

সবুজ (সাদা) তুলসী 
কালো (কৃষ্ণ) তুলসী

তুলসীগাছ বাড়ীতে থাকলেই সে বাড়ীতে সহজে রোগ ঢুকতে পারে না, এ গাছের বাতাস বাড়ীর আবহাওয়াকে পরিষ্কার রাখে, পেট পরিষ্কার করে, মাথা ঠান্ডা রাখে। আমাদের দেশে ৪ ধরণের তুলসী গাছ থাকলেও  দু’ধরণের তুলসী গাছ বেশী দেখা যায়, একটা সবুজ (সাদা তুলসী), আরেকটা কালো (কৃষ্ণ তুলসী), কালোটায় নাকি উপকার বেশী তবে আমি সবুজটাই খাই,  তুলসীগাছ সকল ঔষধি গাছের মধ্যে সেরা, প্রতিটি হিন্দু বাড়ীতেই তুলসীগাছ লাগানো হয়, নিশ্চয়ই বিশেষ উপকার আছে। তুলসী কিডনীর পাথর ভাঙ্গা সহ ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে, মধুর সাথে তুলসীপাতা ঠান্ডার জম, মস্তিষ্কে অক্সিজেন লেবেল বাড়িয়ে দেয়। গত ‘১২ বছর ধরে আমি  নিয়মিত সেবন করছি, আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।

মধু

মধু

মধু সমন্ধে প্রাচীন গ্রন্থ ও আমাদের পবিত্র কোরান শরীফ-এ একটা সুরা নাযিল হয়েছে, হাদীছে বলা হয়েছে সপ্তাহে একদিনও যদি কেউ মধু সেবন করে তার বড় ধরণের কোন রোগ হবে না- বড় ধরণের রোগ হওয়া মানেই মৃত্যু খুব কাছে এসে যায়। ডায়াবেটিস থাকলে মধুর সাথে সমপরিমাণ লেবু মিশিয়ে নিন


কালোজিরা

কালোজিরা


কালোজিরাঃ হাদীছ মোতাবেক,‘মৃত্যু ছাড়া সকল রোগ সারিয়ে তোলে কালোজিরা’, শুধু কি তাই! প্রাচীনকালে রোম সভ্যতায় রোগ সারাতে কালোজিরার ব্যাপক প্রচলন ছিল, কালোজিরাকে বলা হতো ‘প্যানাসিয়া’ (Panacea) যার অর্থ ‘সব আরোগ্য’ (All cure), রোগ সারানোয় কি এমন ম্যাজিক আছে কালোজিরায় যার এমন তেজ?

পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, আয়রন, জিংক, সোডিয়াম এরকম প্রায়  ১০০টি রাসায়নিক যৌগ আছে, আছে কেরোটিন যা ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে, আছে প্রোটিন, আমিষ, শর্করা, ভেষজ তেল,  ভিটামিন বি১, বি২, বি৩ ইত্যাদি।

খাওয়ার নিয়মঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে ৮/১০টা তুলসীপাতা তুলে ধুয়ে নিন, কালোজিরা সংগ্রহ করে ধুয়ে একটা পরিষ্কার পাত্রে (ঢাকনাযুক্ত) রেখে দিন। এবার তুলসীপাতা ও কালোজিরা একসাথে মিশিয়ে মুখে নিয়ে চিবুতে থাকুন, হাতের তালুতে মধু নিয়ে চেটে মধু কালোজিরার সাথে চিবুতে চিবুতে খেয়ে ফেলুন। ১৫-২০ মিনিট হালকা ব্যায়াম করুন, এর পর এক লিটার বা যতটুকু পারেন কুসুম গরম পানি পান করুন, পানি পানে আপনার শরীরের সমস্ত দূষিত পদার্থ প্রোস্রাবের সাথে বেরিয়ে যাবে।

পরিশ্রম সাফল্যের প্রসূতি

শারীরিক পরিশ্রম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। সম্ভবত এ কারণেই করোনায় আমাদের দেশে শ্রমজীবী মানুষের মৃত্যুর হার খুব কম।

লকডাউনে অনেকেই মুটিয়ে যাচ্ছেন, বাইরে যাওয়া বন্ধ, যাদের খাওয়া-পরার চিন্তা নাই, ঘরে থেকে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে অফিস করছেন, ভূড়ি ও  ওজন বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাচ্ছেন তারা যদি ঘরেই খালি হাতে ১৫-২০মিঃ ব্যায়াম করেন তাহলে শরীর ও মন হবে আরও সতেজ, বেড়ে যাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

ডিপ ব্রিদিংঃ রাতে শোবার আগে বারান্দায় খোলা বাতাসে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। এতে রক্তে অক্সিজেন-এর পরিমাণ বেড়ে যায়, ভাল ঘুম হয়, শরীর নতুন উদ্যেমে কাজ করে,  এব্যায়াম করতে খোলা বারান্দায় রিল্যাক্স হয়ে বসুন। পেট ভরে খুব জোরে নাক দিয়ে নিশ্বাস নিন, নিশ্বাস নিতে নিতে মনে মনে বলুন প্রকৃতি থেকে অফুরন্ত প্রাণ শক্তি আমার শরীরে প্রবেশ করছে ২/৩ সেকেন্ড দমটা আটকে রেখে আস্তে আস্তে দম ছাড়ুন, শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে বলুন শরীরের সমস্ত রোগ জীবাণূ ও দূষিত পদার্থ বাতাসের সাথে বেরিয়ে যাচ্ছে। শ্বাস নিতে যতটুকু সময় লেগেছিল ছাড়তে তার দ্বিগুণ সময় নিন। নিশ্বাস নিতে যদি ৫সেঃ সময় লাগে তবে ছাড়তে ১০ সেঃ সময় নিন। দেখবেন রাতে ভাল ঘুম হচ্ছে। 

বিঃদ্রঃ যারা খালি হাতে ১৫/২০ মিনিটের ব্যায়ম করতে চান তারা আমার  ইউটিউব চ্যানেলটা ঘুরে আসতে পারেন। লিংক 


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: