সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১

জাতীয় কমিটি আরও ‘কঠোর লকডাউন’ চায়: দেশে একদিনে রেকর্ড ১০২ মৃত্যু

 


খুব দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস, কঠোর লকডাউনের মধ্যেও পেটের তাগিদে মানুষ রাস্তায় চলছে, যারা দিন আনে দিন খায়, কাজের প্রয়োজনেই তাদের রাস্তায় বের হতে হচ্ছে, সরকারের কাছে তাদের প্রশ্ন কাজ করতে না পারলে খবো কি? এ কারণে জাতীয় কমিটি কভিড ঠেকাতে আরও এক সপ্তাহ লক ডাউন চাচ্ছে, এদিকে জনমনে প্রশ্ন হেফাজত ঠেকাতেই সরকার কঠোর লকডাউন দিয়েছে, কিন্তু বাস্তব চিত্র পুরোটাই ভিন্ন, নিজের আত্মীয়স্বজন পরিচিত জনদের দিকে তাকালেই করোনার ভয়াবহতার প্রমাণ মেলে, এরই মধ্যে  করোন পজিটিভ হওয়া মুগ্ধা হাসাপাতালে পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তির আত্মহত্যা, মানুষের মনে নানা ধরণের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তার আত্মহ্ত্যার প্রধান কারণ ছিল একাকিত্ব, করোনা হলে কেউ কাছে আসে না, খবর নেয় না তাইে এজীবন রেখে লাভ কি? কার জন্য এ জীবন 

ওই এক সপ্তাহের লকডাউন শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়ারও পরামর্শ কমিটির।

রোববার রাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩১তম সভায় লকডাউন বাড়ানোর প্রস্তাব গৃহীত হয়।

ধীরে ধীরে লকডাউন শেষ করার পূর্ব পরিকল্পনা তৈরির রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।

সোমবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আসছে ‘কঠোর লকডাউন’  

করোনাভাইরাস: দেশে একদিনে রেকর্ড ১০২ মৃত্যু

এ বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে থেকে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে। মার্চের শুরু থেকে সংক্রমণ তীব্র হয়েছে।

সংক্রমণ ঠেকাতে ৫ এপ্রিল থেকে প্রথম দফায় সাত দিনের ‘লকডাউন’ শুরু হয়। তবে তার ধারাবাহিকতা চলে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত।

এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় দফয় কঠোর লকডাউন দেয় সরকার, যা চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত।

রোববার রাতের ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।

সারাদেশে কোভিড-১৯ এর উচ্চ সংক্রমণ ও ক্রমবর্ধমান মৃত্যুতে উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি।


সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন সুপারিশ করেছিল। সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লক ডাউন ঘোষণা করায় কমিটি সন্তোষ প্রকাশ করে।

সংবাদ বিজ্ঞপিতে বলা হয়, “বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না।

“দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্প-কলকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি কমিটি উপলব্ধি করে। তবে, বেসরকারী দপ্তর, ব্যাংক খোলা রাখা, ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যক্তিগত গাড়ী চলাচল, ইফতার বাজারে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ভিড় লকডাউনের সাফল্যকে অনিশ্চিত করে।”

লকডাউনের সময় স্বাস্থ্যসেবা, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য জরুরী সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। খোলা রাখা যাবে এমন জরুরি সেবার তালিকা প্রকাশ করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে।

“অন্যথায় বিরূপ পরিস্থিতির আশংকা রয়েছে। চলমান লকডাউনে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের চলাচলে বাধা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটনা ঘটেছে।”

কাঁচা বাজার আবারও উন্মুক্ত স্থানে বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় কমিটি।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: