আপনি কি ধুমপান করেন? ধুমপান ছাড়তে চান? ধুমপান ছাড়তে হলে মনের প্রবল জোর থাকতে হবে, এই প্রবল জোর কিভাবে পাবেন? লেখাটি পড়েই দেখুন!!!!
|
|
|
সিগারেট খাওয়া যায় না, পান করা হয় কিন্তু আমাদের সমাজে ‘খাওয়া’ কথাটাই চালু হয়ে গেছে, তাই খাওয়া কথাটাই রেখে দিলাম, ত্রুটি মার্জনীয়
আমি নিজেও সিগারেট খেতাম, আহা কি যে মজা খাওয়া-দাওয়ার পরে রিলাক্সমুডে জানালা বা বারান্দার ধারে বসে অথবা কলিগ বা বন্ধুদের আড্ডায় আয়েস করে সিগারেট খাওয়ার মজাই আলাদা। খুব বেশী ভাল লাগার আবেশ তৈরী হয়। কথায় বলে বেশী ভাল ভাল না, বানর নাকি তার সন্তানকে বেশী ভাল বাসতে যেয়ে বুকে চেপে মেরেই ফেলে, অতি প্রিয়জনকে (স্বামী, স্ত্রী, প্রেমিক প্রেমিকা) বেশী ভাল বাসবেন? আপনাকে পেয়ে বসবে জীবনটা ত্যানা ত্যানা বানিয়ে ফেলবে-আর সিগারেট!! আপনার বয়স দ্রুত বাড়িয়ে দেবে। শুধু কি তাই?
|
|
|
সিগারেট খেলে মুখে প্রচন্ড দূর্গন্ধ হয়, সিগারেটের ধোঁয়ায় আছে নিকোটিন, আলকাতরা, কার্বনডাই অক্সাইড, আর্সেনিক, সায়ানাইড, ডিডিটি, কার্বন মনোক্সাইড, সিসা, ক্যাডমিয়াম, নিকেল, টিন এ রকম হাজার হাজার ক্ষতিকারক বিষাক্ত সব কেমিক্যাল বা-এর মিশ্রন, একটা সাদা কাপড়ে বা তুলায় সিগারেটের ধোঁয়ার ব্লো করলে সেটা বিবর্ণ, তিক্ত, নোংরা ও বাজে গন্ধে ভরে যায়- আমার মনে হয় না তা চেটে খাওয়া যাবে।
একটা পরিষ্কার সাদা বোতলে দুই তিনটা সিগারেটের ধোঁয়া ভরে মুখে ছিপি আটকে কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে দেখুন সেই বোতলের ভিতরের অবস্থা, কালচে বাদামী রং ধারণ করেছে, আর গন্ধ শুকে দেখুন কি বাজে, ফুসফুসের মধ্যেও প্রতিনিয়ত এই নোংরা গন্ধ ঢুকাচ্ছি ফুসফুসের মধ্যেকার এই গন্ধ যদি শুকতে বা দেখতে পারতাম তবে কিছুতেই সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছে জাগতো না। আমরা আসলে নেশার দাস হয়ে গেছি- ছবিটা দেখুন ফুসফুসের কি অবস্থা হয়েছে শুধুই সিগারেট খাওয়ার ফলে।
|
|
এই নেশার কারণেই পরিষ্কার ফুসফুসটাকে নষ্ট করে ফেলছি আমরাকি তা কখনও ভাবি? সিগারেটের ধোঁয়ায় অক্সিজেনের পরিবর্তে বিভিন্ন ক্ষতিকারক কেমিক্যাল-প্রবেশ করাচিছ, সিগারেটের ধোঁয়ায় পেটে গ্যাস হয়, গ্যাস হলে ক্ষুধা নষ্ট হয়, শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। নেশা বা একটা ঘোরের মধ্যে থাকায় শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়, ফুসফুসে সিগারেটের ধোঁয়ায় তৈরী হওয়া আবরণ শ্বাস-প্রশ্বাস ক্রিয়ার ব্যঘাত ঘটায়, ফলে, কাশি, হাঁপানি, নিউমোনিয়া, ফুসফুসের ক্যান্সার বা এম্পিসেমার মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে।
করোনার মধ্যে আপনি যখন সিগারেট খাচ্ছেন বা দোকানের যে লাইটার দ্বারা সিগারেট জ্বালাচ্ছেন সেখানেও থাকতে পারে করোনার মতো ছোঁয়াচে সব মরণঘাতি রোগ, অতএব দরকার কি সিগারেট খাওয়ার!!!
ধুমপানে যে তামাকপাতা ব্যবহৃত হয় তা মাসের পর মাস গোডাউনে পড়ে থাকে সেখানে ইদুর, তেলাপোকা, টিকটিকি, সাপ পোকা-মাকড় বাসা বাধতে বা ঘুরে বেড়াতে পারে, এদের মল-মূত্র ঐ তামাকপাতার সাথে মিশে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। জেনে শেুনেও আমরা এসব মূলমূত্র পান করছি। আমি সিগারেট কয়েকবার বাদ দিয়েছি নেশাখোর বন্ধু-বান্ধবদের পাল্লায় এসব ভুলে আবার সিগারেট ধরেছি কিন্তু যখনই ঐ মল-মূত্র-ও ফুসফুসের মধ্যেকার গন্ধ ও শারীরিক উপস্বর্গের কথা চিন্তা করেছি তখনই আবার সিগারেট বাদ দিয়েছি , এ কারণে সিগারেট ছাড়ার উপকার আমার জানা আছে। এটা একটা বাজে নেশা যা সারাক্ষণ মস্তিস্ককে উজ্জিবিত করে আরেকটা নেশা পান করানোর জন্যে, এতে সময়ও বাধাগ্রস্থ হয়। যদিও আমরা মনে করি সিগারেট চিন্তা শক্তি বাড়ায় এটা সম্পর্ণ ভূল। সিগারেট ছাড়লে আপনি বুঝতে পারবেন কি ভুলের মধ্যে ছিলেন।
|
|
|
|
|
|
আমি সিগারেট ছেড়েছি এখন জীবনটা পুরোই বদলে গেছে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বেড়েছে, ক্ষুধা বেড়েছে, জীভের স্বাদ বেড়েছে, মন ফুর ফুরে হয়েছে, ফ্রেস নিশ্বাসে গলার খুশখুশে ভাব আর নেই, ভাল ঘুম হয়, কোন টেনশন নাই, সিগারেট খাওয়ায় একটা দাঁত নষ্ট হয়েছে, বাঁকী দাঁত গুলো ভাল আছে। শরীরে আগের থেকে বেশী শক্তি পাই, বিশ্বাস না হলে ৪৫-৫৫ বছর বয়সী সিগারেট খোরের সাথে জীবনে সিগারেট খান নাই এমন একজনের তুলনা করে দেখুন একজন বুড়িয়ে গেছেন অন্যজন অনেক ভাল ও জোয়ান আছেন।
এর পর দেখুন কিভাবে সিগারেট ছাড়বেন?
ভাল লাগলে শেয়ার করুন প্লিজ!
ভিডিওটি ভাল লাগলে লাইক, কমেন্ট, সাবস্ক্রাইব ও বেল বাটন টিপে আমাদের সাথেই থাকুন।
পরবর্তী ভিডিওতে জেনে নিন সহজে কিভাবে সিগারেট ছাড়তে হয়। আমি ছেড়েছি আপনিও পারবেন
0 coment rios: