সোমবার, ৩১ মে, ২০২১

বিনিয়োগে ভুল সিদ্ধান্তের জন্য বিএসইসি দায়ী নয়: বিএসইসি চেয়ারম্যান

বিনিয়োগে ভুল সিদ্ধান্তের জন্য বিএসইসি দায়ী নয়: বিএসইসি চেয়ারম্যান

 


ঢাকা, ৩১/৫/২০২১: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, ক্যাপিটাল মার্কেটে আমরা খেয়াল করেছি, বিভিন্ন সময় না জেনে, না বুঝে ও ভুল সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করে। কিন্তু পরবর্তীতে এই ভুলের কারণে তারা নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ স্টক এক্সচেঞ্জকে দায়ী করে। কিন্তু বিএসইসি বা স্টক এক্সচেঞ্জ কারো পোর্টফোলিও ম্যানেজ করে না। কে কোনটা কিনবে বা বিক্রি করবে, এটা আমরা নির্ধারণ করি না।

সোমবার (৩১ মে) দুপুরে রাজধানীর জীবন বীমা টাওয়ারে বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস (বিএএসএম) এর নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ, ড. মিজানুর রহমান ও আব্দুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, এক বছর আগে ক্যাপিটাল মার্কেটের যে লক্ষ্য নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম, তা গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলেছে। তবে মূল লক্ষ্যের কোনোটাই অর্জন করতে পারি নাই। আমরা করার চেষ্টা করছি। সামনের দিনগুলোতে আমাদের লক্ষ্য প্রস্তুত করা আছে, আমরা সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছি।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারে নিয়ন্ত্রক সংস্থার মনিটরিং বা সুপারভিশনে কিছু ভুল থাকতে পারে। কোন ধরনের ম্যানপুলেশন বা অপরাধ সংঘটিত হলে, তার দায়িত্ব আমাদের। কিন্তু কারো ব্যক্তিগত পোর্টফোলিও ম্যানেজ করার দায়িত্ব আমাদের না।


অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত বলেন, আমরা চাই একজন বিনিয়োগকারী তার সঠিক জ্ঞানের মাধ্যমে বিনিয়োগ করবে। যার মাধ্যমে সে তার কষ্টের অর্থের ভালো রিটার্ন অর্জন করবে। আর বিনিয়োগকারীদের এই জ্ঞান অর্জনের জন্য আমরা পুঁজিরবাজার নিয়ে ট্রেনিং প্রোগ্রাম করি। এছাড়া যারা বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেইসব ডিলারদেরও শিক্ষার দরকার আছে।

একটা বেকার ছেলেকে এনে ডিলার হিসেবে চাকরী দিয়ে দিলেই হবে না উল্লেখ করে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ডিলারদেরকে ট্রেনিং দিতে হবে। তা না হলে সেতো ঠিকমতো কাজ করতে পারবে না। এছাড়া তারা ভুলের কারণে পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। সে না বুঝে বিনিয়োগকারীদেরকে এমন একটা জিনিস বলল, যা মুহূর্তেই বাজারে প্যানিক তৈরী করতে পারে। তাই ডিলারদেরকেও শিক্ষা অর্জন করতে হবে।

এখানে স্থায়ী নিয়োগের পাশাপাশি অভিজ্ঞদের এনে ট্রেনিং দেওয়া হবে জানিয়ে শিবলী রুবাইয়াত বলেন, প্রথম দফায় আমরা অথোরাইজড ডিলারদেরকে ট্রেনিং দেওয়ার প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি।

তিনি বলেন, ডেভেলপ ওয়ার্ল্ড বলতে যা বুঝি, সেখানে দেখবেন উন্নতির একটা নিজস্ব বাহন হচ্ছে শিক্ষার হার এবং সেটা ৮০-৯০ শতাংশের নিচে হলে এগিয়ে যাওয়া যায় না। কারণ কিছু মানুষ বুঝলে আর কিছু মানুষ না বুঝলে এই জনগোষ্ঠী নিয়ে আগানো যায় না।

একটি শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছাড়া কোন দেশ উন্নতি করতে পারে না জানিয়ে শিবলী রুবাইয়াত বলেন, যার একটা প্রকৃত উদাহরণ হচ্ছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কাকে যখন উপনিবেশিকরা শাসন করেছে, তখন থেকেই তাদের লিটারেসি ৯০ শতাংশের উপরে। শুরু থেকেই তারা উন্নত জীবনযাপন করে আসছিল। মাঝখানে তারা কিছুটা পিছন দিকে চলে যায়। তা না হলে তারা অনেক উপরের দিকে থাকত। 

বৃহস্পতিবার, ৬ মে, ২০২১

২২ দিন পর আবার সড়কে গণপরিবহন

২২ দিন পর আবার সড়কে গণপরিবহন

 


ঢাকা, ৬ মে ২০২১: ২২ দিন পর আজ থেকে আবার সড়কে চলতে শুরু করেছে গণপরিবহণ। অর্ধেক যাত্রী আর বর্ধিত ভাড়া নিয়ে বৃহস্পতিবার (০৬ মে) ভোর থেকে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে।
গত ১৪ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত লকডাউনের আদলে কঠোর নিষেধাজ্ঞার শুরু দিন থেকেই গণপরিবহন বন্ধ ছিল।

টানা তিন দফার নিষেধাজ্ঞাতেই বন্ধ ছিল গণপরিবহন। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া চতুর্থ দফার কঠোর নিষেধাজ্ঞায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালু হয়েছে।

সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, শুধুমাত্র জেলার গাড়ি জেলাতে চলাচল করতে পারবে। করোনার সংক্রমণ এড়াতে আন্তঃজেলা গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে যাত্রবাহী ট্রেন ও নৌযান চলাচল।

এসব নিষেধাজ্ঞা আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে, সড়কে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

বিআরটিএর নির্দেশনাগুলো হলো:

# আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে

# কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লিখিত মোট আসন সংখ্যার অর্ধেকের (৫০%) বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না

# কোনোভাবেই সমন্বয়কৃত ভাড়ার (বিদ্যমান ভাড়ার ৬০% বৃদ্ধি) অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না

# ট্রিপের শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে এবং

# পরিবহন সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালক, অন্যান্য শ্রমিক কর্মচারী ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

এদিকে, বুধবার (৫ মে) ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে পরিবহনের মালিক, শ্রমিক ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রী গাড়িতে ওঠাতে পারবে না এবং গাড়ির স্টাফদের মালিক মাস্ক সরবরাহ করবেন। গাড়িতে সিটের অর্ধেক যাত্রী বহন করতে হবে। লকডাউনে মালিক-শ্রমিকেরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এক্ষেত্রে রুট মালিক সমিতি/পরিবহন কোম্পানির জিপির নামে কোনো ধরনের অর্থ গাড়ি থেকে আদায় করতে পারবে না।

এর আগে বুধবার সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ‘লকডাউন’ তথা মানুষের চলাচলে বিধি-নিষেধ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার অভ্যন্তরে বাস চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বন্ধ থাকবে দূরপাল্লার বাস এবং লঞ্চ-ট্রেন চলাচল।

দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ২১ মার্চ থেকে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় সরকার। দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গেল বছরের ১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্ত সাপেক্ষে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। তখন ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়।

দীর্ঘদিন চলার পর করোনা সংক্রমণ একটু কমে এলে গত সেপ্টেম্বর মাসে শতভাগ আসনে যাত্রী নিয়ে চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। তখন থেকে মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) পর্যন্ত শতভাগ আসনেই যাত্রী নিয়ে চলছিল গণপরিবহন।

পরে গত ৩১ মার্চ থেকে ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়ায় অর্ধেক যাত্রী নিয়ে শুরু হয় গণপরিবহনের চলাচল৷ তবে এর নিষেধাজ্ঞার কারণে ৫ ও ৬ এপ্রিল বন্ধ থাকে গণপরিবহনের চলাচল৷ অফিস খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ রাখার তীব্র সমালোচনার মুখে ৭ এপ্রিল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবার গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়৷

১৪ এপ্রিল থেকে জারি করা কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ছিল গণপরিবহন চলাচল৷

সূত্রঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

‘ই-স্কিন’: দূরে থেকেই জানা যাবে শরীরের সব খবর

‘ই-স্কিন’: দূরে থেকেই জানা যাবে শরীরের সব খবর


ইলেকট্রনিক স্কিন (ই-স্কিন) এর মাধ্যমে এখন থেকে সহজেই শরীরের গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য জানা যাবে। এতে দূরে বসেই হৃৎস্পন্দন, ডায়াবেটিসসহ নানা তথ্য পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন চিকিৎসকরা। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানা গেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক টাকাও সমেয়া এই প্রযুক্তির উদ্ভাবক। তিনি জানিয়েছেন, ই-স্কিন খুব সহজেই শরীরে লাগিয়ে রাখা যাবে। ই-স্কিন তৈরির ক্ষেত্রে তিনি সহযোগীদের সঙ্গে কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

জাপানের গবেষকরা সম্প্রতি অত্যন্ত পাতলা ই-স্কিন তৈরি করেছেন, যা ওয়াটার স্প্রে ব্যবহার করে বুকের কাছে লাগিয়ে রাখা যাবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এ প্রযুক্তি সহজলভ্য হতে পারে। সাম্প্রতিক ই-স্কিন নকশা করা হয়েছে মূলত জাপানের দ্রুত বেড়ে যাওয়া বয়স্ক জনগণের কথা মাথায় রেখে। 

সিএনএন বলছে, ই-স্কিন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ নমনীয় উপাদান পলিভিনাইল অ্যালকোহল, যাতে স্বর্ণের একটি স্তর থাকে। ই-স্কিন মূলত পরিধানযোগ্য সেন্সর, যা হৃৎস্পন্দন ও মাংসপেশি নড়াচড়ার বৈদ্যুতিক সংকেত ধরতে পারে। ছোট্ট একটি তারহীন ট্রান্সমিটার বুকের কাছে বাঁধা থাকে, যা হৃৎস্পন্দনের তথ্য নিকটস্থ স্মার্টফোন বা ল্যাপটপে বা ক্লাউডে পাঠায়। এতে অনেক দূরে বসেও চিকিৎসক সে তথ্য পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

ই-স্কিনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের বিভিন্ন ধরনের তথ্য পর্যবেক্ষণ করা। তা যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাঘাত ছাড়াই করা যেতে পারে।

সূত্র- ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস

ওরে বুজি, শুনিছিস কি আচানক ঘটনা! শ্যাস ম্যাস বিলগেটস-মেলিন্ডার ছাড়াছাড়ি!

ওরে বুজি, শুনিছিস কি আচানক ঘটনা! শ্যাস ম্যাস বিলগেটস-মেলিন্ডার ছাড়াছাড়ি!


                                                              বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস

লিখেছেন সারফুদ্দিন আহমেদ

‘ওরে বুজি, শুনিছিস কি আচানক ঘটনা! এই বুড়ো বয়েসে জেনিফারের বাপ-মার নাকি ছাড়াছাড়ি অইয়ে গেইছে!’

বিল গেটস আর মেলিন্ডা গেটসের বাড়ি যদি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী বা টুঙ্গিপাড়ায় হতো, তাহলে নির্ঘাত সেখানকার কোনো না কোনো মুরব্বি স্থানীয় ‘লোকাল বিবিসি’ ওপরের কোটেশনে আটকানো ভাষায় খবরটা ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সারা গ্রামে রাষ্ট্র করে দিতেন।

তারপর বিল কোন বংশের লোক এবং মেলিন্ডা কোন বাড়ির মেয়ে, তাই নিয়ে হাবিলের বাপের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে কাবিলের মায়ের বরইতলায় ব্যাপক ‘গুজুর গুজুর-ফুসুর ফুসুর’ চলত।

এর কারণ, ২৭ বছর সংসার করে তিন ছেলেমেয়ের বাবা-মা হওয়ার পর কোনো সচ্ছল, শিক্ষিত ও পরিণত বয়সের দম্পতির ডিভোর্সকে বাঙালি মানস কোনোকালেই সহজভাবে নিতে পারেনি। আজও পারে না। আর তা পারে না বলেই এ ধরনের ছাড়াছাড়ির মতো একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়েও বাঙালির কৌতূহল বিরাট।

এই ছাড়াছাড়ির সঙ্গে ১৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের সম্পত্তি ভাগাভাগি এবং তার জেরে বিশ্বব্যাপী বহু মানুষের স্বার্থের ইস্যু জড়িয়ে আছে। এটিই এই বিচ্ছেদবিষয়ক চর্চার বড় কারণ। গেটস পরিবারের এই ছাড়াছাড়ি কিছুদিন আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাওয়া ‘বেলা শেষে’ ছবির পটভূমিকে আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে। শিবপ্রসাদ মুখার্জি ও নন্দিতা রায় পরিচালিত ছবিতে মিস্টার মজুমদার (সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়) বিয়ের ৪৯ বছর পার করে এসে সিদ্ধান্ত নেন, তিনি আর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে (স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত) সংসার করবেন না। তিনি ডিভোর্স চান। এ নিয়ে দুজন আদালত পর্যন্ত যান। এত বছর সংসার করার পর তিনি কেন ডিভোর্স চাইছেন, সেই কৌতূহলই দর্শককে গল্পের পরিণতি দেখার আশায় টেনে রেখেছে। এই ছবিতে অবশ্য শেষ পর্যন্ত মজুমদার দম্পতির বিচ্ছেদ হয় না। হয়তো এ কারণেই এই ছবির আনন্দসূচক পরিণতি হিসেবে মজুমদার দম্পতিকে পৃথক করা হয়নি। কিন্তু বিচ্ছেদ কি সব সময়ই বেদনার? পশ্চিমা সমাজে হয়তো সর্বাংশে তা নয়। কারণ প্রৌঢ়ত্ব বা বার্ধক্যে এসে অনেক দম্পতি সেখানে বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। দুই-তিন দশক পরস্পরের সান্নিধ্যে কাটিয়েও সম্পর্ককে তাঁরা আর বহন করতে পারছেন না। বিচ্ছেদ তাঁদের কাছে নিষ্কৃতি। ফলে বিয়ে এবং বিচ্ছেদ সম্পর্কিত প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। এ কারণেই হয়তো ‘বেলা শেষে’র মিস্টার মজুমদার ছেলেমেয়েদের সামনে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত জানালে তাঁর স্ত্রীর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘এত দিনে মুক্তি।’ এটি হয়তো এ দেশেরও বহু পুরুষের পাশাপাশি বহু নারীরও মনের কথা। অনেক পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের আড়ালে রয়েছে একাকিত্বের আবরণ। কখনো বা নিহিত সত্য আরও করুণ। অবমাননা, উদাসীনতা অগণিত দাম্পত্যকে অসহনীয় করেছে। তাই হয়তো আরোপিত সম্পর্ক নিষ্প্রাণ কর্তব্যের ভার বহন করে প্রৌঢ়ত্বে এসে সার্থকতার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। জীবন মহার্ঘ-দিন ফুরানোর সঙ্গে সঙ্গে এই বোধ তীব্র হতে থাকে।

সূত্রঃ প্রথম আলো

তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কি ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?

তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কি ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?


বুধবার সকালে কলকাতার রাজভবনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মমতা ব্যানার্জী। এই নিয়ে টানা তৃতীয়বার।

কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই তিনি রাজনীতির ইনিংস শেষ করবেন, নাকি দিল্লিতেও তাকে একদিন প্রধানমন্ত্রীত্বের সিরিয়াস দাবিদার হিসেবে দেখা যাবে - এই প্রশ্নটা আবার নতুন করে উঠতে শুরু করেছে।

পশ্চিমবঙ্গ দখলে মরিয়া বিজেপিকে যেভাবে তিনি পর্যুদস্ত করে হারিয়েছেন, তাতে অনেকেই মনে করছেন আগামী সাধারণ নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনিই হতে পারেন যোগ্যতম মুখ।

তৃণমূল কংগ্রেসের সিনিয়র এমপি কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, তার দল মিস ব্যানার্জীকে একদিন অবশ্যই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আসনে দেখতে চায়।

বিবিসিকে তিনি বলছিলেন, "মমতা একেবারে শূন্য থেকে উঠে এসেছেন শুধু নিজের দৃঢ়তা, দক্ষতা আর প্রশাসনিক সামর্থ্যের জোরে। মোদীর চ্যালেঞ্জার হয়ে ওঠার মতো সব যোগ্যতাই তার আছে - তবে বিষয়টা নিয়ে দলে এখনও আলোচনা হয়নি।"


"কিন্তু তৃণমূলের নেত্রী একদিন যে অবশ্যই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, সেটা আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি।''

দিল্লিতে সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার সোমা চৌধুরী আবার বলছিলেন, মমতা প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড়ে নামতে পারবেন কি না সেটার পূর্বাভাস করা কঠিন - তবে এই মুহূর্তে ভারতে রাজনৈতিকভাবে যে 'ফ্লুয়িড' পরিস্থিতি চলছে তাতে সেটা হয়তো একেবারে অসম্ভবও নয়।

মিস চৌধুরীর কথায়, "উদ্ধব ঠাকরে থেকে শুরু করে অখিলেশ যাদব - বহু বিরোধী নেতার সঙ্গেই তার সুসম্পর্ক আছে। ফলে ২০২৪ নির্বাচনের আগে যদি কোনও বিজেপি-বিরোধী জোট সত্যিই গড়ে ওঠে, তাহলে সেই জোটের মুখ হিসেবে মমতা ব্যানার্জীকে দেখা যেতেই পারে।"

"তবে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক নেই, এটাও সুবিদিত। কাজেই কংগ্রেস তার কাছে কতটা নতি স্বীকার করতে রাজি হয়, সেটাও দেখার বিষয়।"

তবে এই মুহূর্তে কোভিড মহামারি সামলাতে কেন্দ্রীয় সরকারের সার্বিক ব্যর্থতা মমতা ব্যানার্জীর জন্য দিল্লির পথ সুগম করে তুলতে পারে বলেও সোমা চৌধুরীর ধারণা। 

মঙ্গলবার, ৪ মে, ২০২১

কোভিডে মোদীর আসন বারাণসী বিপর্যস্ত, ক্ষোভে ফুটছে মানুষ

কোভিডে মোদীর আসন বারাণসী বিপর্যস্ত, ক্ষোভে ফুটছে মানুষ

বারাণসীর শ্মশানঘাটে এখন রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা শবদাহ চলছে


ভারতে এখন কোভিডের যে তাণ্ডব চলছে, তার অন্যতম প্রধান শিকার হিন্দু তীর্থস্থান বারাণসী এবং তার আশপাশের অঞ্চল।

শুধু বারণসী শহরে নয়, ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের প্রত্যন্ত গ্রামেও। চিকিৎসা ছাড়াই ঘরে বসে ঐ সব গ্রামের বাসিন্দারা মারা যাচ্ছেন।

উত্তর প্রদেশ রাজ্যের এই অঞ্চলের ক্রুদ্ধ বাসিন্দাদের অনেকে এখন খোলাখুলি প্রশ্ন করছেন এই চরম দু:সময়ে তাদের এমপি নরেন্দ্র মোদী- ভারতের প্রধানমন্ত্রী - লাপাত্তা কেন।

কোভিডের ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতে সংক্রমণের সংখ্যা দুই কোটি ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যুর সংখ্যা কমপক্ষে ২,২০,০০০।কোভিডে সবচেয়ে বিপর্যস্ত এলাকাগুলোর অন্যতম বারাণসীতে হাসপাতাল অবকাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে, রোগীরা হাসপাতালে গিয়ে বেড পাচ্ছেন না, অক্সিজেন নেই, অ্যাম্বুলেন্স নেই। এমনকি কোভিড টেস্টের ফলাফল পেতে এক সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে।

গত দশদিনে, বারাণসী এবং আশপাশের অঞ্চলের ওষুধের দোকানগুলোতে ভিটামিন, জিংক বা প্যারাসিটামলের মত মামুলি ওষুধ পর্যন্ত মিলছে না।

''হাসপাতালে একটা জায়গা এবং অক্সিজেনের জন্য সাহায্য চেয়ে মিনিটে মিনিটে টেলিফোন আসছে,'' নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে বলেন স্থানীয় একজন ডাক্তার। ''খুব সাধারণ ওষুধও দোকানে পাওয়া যাচ্ছেনা। ফলে অনেক রোগী মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও খাচ্ছেন।''

ক্ষুব্ধ মানুষজন বলছেন যে মানুষটিকে ভোট দিয়ে তারা এলাকার এমপি নির্বাচিত করেছিলেন সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিকে পা পর্যন্ত মাড়াচ্ছেন না। 

সুত্রঃ বিবিসি বাংলা

বিল গেটস ও মেলিন্ডার বিবাহ বিচ্ছেদ

বিল গেটস ও মেলিন্ডার বিবাহ বিচ্ছেদ

 

দীর্ঘ ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবনে এমন কি ঘটনা ঘটলো যে বিবাহ বিচ্ছেদের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হলো বিল গেটস ও মেলিন্ডাকে, তা অবশ্য এখনো জানা যায় নি, তবে বেশ কিছুদিন যাবৎ তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। টুইটার বার্তায় তাঁরা এ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বিশ্বের অন্যতম ধনী। 

ধনী হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে

বিল ও মেলিন্ডা মিলে দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ গড়ে তোলেন। এ ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে। বিশ্বজুড়ে সংক্রামক রোগব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই ও শিশুদের টিকাদানে উৎসাহিত করতে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছে এ ফাউন্ডেশন।

বিল ও মেলিন্ডার বিচ্ছেদের ঘোষণার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, তাঁরা বলেছেন, ‘ আমরা একসঙ্গে দম্পতি হিসেব থাকতে পারব, এমনটা আর বিশ্বাস করি না।’

আশির দশকের শেষ দিকে মেলিন্ডা যখন বিল গেটসের প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটে যোগ দেন, তখন থেকে তাঁদের পরিচয়। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে।

ফোর্বস সাময়িকীর তথ্যমতে, বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় বিল গেটস চতুর্থ অবস্থানে আছেন। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বিশ্বের অন্যতম ধনী ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে ‘দ্য গিভিং প্লেজ’ উদ্যোগে জড়িত। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের ধনীদের সম্পদের একটি বড় অংশ দাতব্যকাজে লাগানো।

বিবিসি জানায়, সত্তরের দশকে সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন বিল গেটস। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ সম্পদের মালিক হন তিনি।

টু্ইটার বার্তায় বিল ও মেলিন্ডা বলেন, ‘গত ২৭ বছরে আমরা অসাধারণ তিনটি সন্তান পেয়েছি। এমন একটা ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছি, যে ফাউন্ডেশন বিশ্বজুড়ে মানুষকে স্বাস্থ্যকর ও সক্ষম করে গড়ে তুলতে কাজ করছে। আমরা যে বিশ্বাস থেকে ওই ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু করেছি, সেটা থাকবে। এই ফাউন্ডেশনের কাজ একসঙ্গে চালিয়ে যাব। কিন্তু আমরা আর এটা বিশ্বাস করতে পারছি না যে, আমাদের জীবনের পরের ধাপে দম্পতি হিসেবে আমরা একসঙ্গে থাকতে পারব।

সূত্রঃ বিবিসি

সোমবার, ৩ মে, ২০২১

দুই নৌযান সংঘর্ষে পদ্মায় নিহত ২৬

দুই নৌযান সংঘর্ষে পদ্মায় নিহত ২৬


মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় বাংলাবাজার ফেরিঘাটে বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২৬ হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ আছেন বেশ কয়েকজন। আজ সোমবার সকাল সাতটার দিকে বাংলাবাজার ফেরিঘাটের পুরোনো কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। হতাহত ব্যক্তিদের নাম–পরিচয় এখনো জানা যায়নি। গুরুতর আহত একজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আশিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট বাংলাবাজার ফেরিঘাটের দিকে যাচ্ছিল। স্পিডবোটটি বাংলাবাজার ফেরিঘাটের পুরোনো কাঁঠালবাড়ি ঘাটের কাছাকাছি আসার পর বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটটি উল্টে যায়। এ ঘটনায় ২৬ জনের লাশ এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে।

লেনদেন চাঙ্গা তিন খাতের দর বেড়েছে একটু স্বস্তি

লেনদেন চাঙ্গা তিন খাতের দর বেড়েছে একটু স্বস্তি



সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস (রোববার) পুঁজিবাজারে উত্থান অব্যাহত রয়েছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ সব সূচক বেড়েছে। আগের দিনের তুলনায় লেনদেনও বেড়েছে বড় ব্যবধানে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন ১৪’শ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। যা গত ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ ডিএসইতে এক হাজার ৪০৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি ডিএসইতে এক হাজার ৫৮৫ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

আজ ডিএসইতে তিন খাতে লেনদেন বেড়েছে। খাত ৩টির উপর ভর করে ডিএসইতে লেনদেনে চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে। খাত ৩টি হলো-বিবিধ, বস্ত্র এবং বিমা খাত।

(এক) বিবিধ খাত : বিবিধ খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ২৪২ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।

(দুই) বস্ত্র খাত : বস্ত্র খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৬৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

(তিন) বিমা খাত : বিমা খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৩৭৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৩৬১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। 

নাবাসাতি।। ।।পর্ব তিন।। Nabasati Part III

নাবাসাতি।। ।।পর্ব তিন।। Nabasati Part III

 




তুমি এভাবে আমার সাথে লুকোচুরি খেলছো? ফাজিল মেয়ে কোথাকার!

ফাজলামোর দেখছো কি? এতোক্ষণ তোমার সাথে আছি অথচ তুমি আমাকে চিনতে পারলে না! নাবাসাতি অভিমানের সুরে কথাটা বললো।

আমি খুবই দুঃখিত নাবাসাতি। তুমি কথা বলছো না, মনিটরে লিখছো, আমি কি করে চিনবো যে এই অদৃশ্য মেয়েটা নাবাসাতি। 

এখনওকি তোমার কথা বলায় আপত্তি আছে?

মনিটরে লেখা উঠা বন্ধ হয়ে গেল। কানের কাছে ফিস ফিস করে বলল-না না না।

অদৃশ্য হয়েছো কিভাবে?

সে অনেক কথা। সেটা বলার জন্যইতো প্রায় দু‘শ মাইল উড়ে এসেছি তোমার কাছে।

-তুমি উড়তেও পারো।

হ্যাঁ ইচ্ছে করলে তোমাকেও উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারি। তাই নাকি?

-বাঃ বেশ মজা তো।

এ মজা করার জন্যই বহু কষ্ট করে অদৃশ্য হওয়া শিখছি।

-তোমার ভাগনে সাগর, গতকাল ছাদ থেকে পরে যাচ্ছিল, আমিই তাকে উঠিয়ে এ যাত্রা বাঁচিয়ে দিয়েছি।

-এটা তাহলে তোমার কাজ?

-হ্যাঁ, ভাগ্যিস ওই সময় আমি কাছাকাছি ছিলাম।

-তাহলে তো আমরা তোমার কাছে ঋণী হয়ে রইলাম।

-তাহবে কেন, আমি জাস্ট আমার কর্তব্য পালন করেছি।

-এটা তোমার কর্তব্যের মধ্যে পরে না।

-কি বলছো তুমি, একটা মানুষ চার তলার ছাদ থেকে পড়ে মরে যাবে বা হাত পা ভেঙে ফেলবে, আর আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবো? তা ছাড়া সে তোমার ভাগনে।

-তুমি গতকালও এসেছিলে?

-হ্যাঁ

-ডাকোনি কেন?

দেখলাম তুমি জানালা দরজা বন্ধ করে ঘুমাচ্ছ। তাই আর না জাগিয়ে ফিরে গিয়েছিলাম।

-রিয়েলি সরি!

সরি বলার কিছু নেই। তুমি তো জানতে না যে আমি আসবো। যাহোক অনেক রাত হয়েছে, ঘুমে তোমার চোখ ঢুলু ঢুলু করছে। তোমার ঘুমানো দরকার নইলে শরীর খারাপ করবে।

আমি ঘুমাবো আর তুমি বসে বসে দেখবে? অশরীরী হলেও কতদিন পর তোমাকে কাছে পেয়েছি। সারারাত, সারাদিন না ঘুমালেও আমার শরীর খারাপতো করবেই না বরং চাঙ্গা হবে। প্লিজ স্বরূপ ধরো। আর মজা করো না। অনেক মজা করেছো। যা মজা করতে পারো তুমি। তোমাকে ছুঁতে না পারা পর্যন্ত মন ভরছে না।

সত্যিই বলছি। স্বরূপ ধরার ক্ষমতাটা এখনও অর্জন করিনি। গতকালই অদৃশ্য হয়েছি। অদৃশ্য হয়ে প্রথমেই তোমার কাছে ছুটে এসেছিলাম। ঘুমিয়ে ছিলে তাই ডাকিনি। তোমাকে প্রাণ ভরে দেখে আবার চলে গিয়েছি। খুব ভয়ে ভয়ে আছি। আপ্রাণ চেষ্টা করছি দৃশ্যমান হওয়ার।  আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমার চেষ্টা সফল হবে। আমি দৃশ্যমান হতে পারবো।

নাবাসাতি আমার মাথার পাশে বসে তার অশরীরী হাত দিয়ে মাথার চুল বিলি করে দিচ্ছিলো-কথা বলতে বলতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি টেরও পাইনি। ঘুম যখন ভাঙ্গল তখন সকাল ৮.০০টা। আমার এমন ঘুম কখনো হয় না। চার পাঁচ দিন একটানা না ঘুমিয়ে গবেষণা করেছি, কখনও ঘুমাই নি। আজ এমন হলো কেন? ওকি ইচ্ছে করেই আমাকে ঘুম পারিয়ে রেখে গেছে? ডাক্তার মানুষ, হতেও পারে! নাবাসাতির কোন সারা শব্দ পাচ্ছি না। দরজাটা হা করে খোলা, আমি নিজ হাতেই দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। স্বপ্ন দেখলাম না তো? তাই বা হয় কি করে। আমার ঘর পরিপাটি করে সাজানো। ঘরে মৃদু মন কাড়া পারফিউমের সেন্ট। হাত মুখ ধুতে আয়নার সামনে দঁড়াতেই দেখি কপালে সুন্দর করে লেখা ‘আই লাভ ইউ’ লাভ চিত্রটির মধ্যে সদ্য লিপস্টিক মাখানো ঠোঁটের চিত্র। নাবাসাতি যে এসেছিলো নিশ্চিত হলাম।

কে এই নাবাসাতি? (কন্যা বদল)

বাবা ইমদাদুল হক এবং মা মমতাজ বেগমের একমাত্র মেয়ে নাবাসাতি। তবে আসল মেয়ে নয়। এম-৮ গ্রহের বাসিন্দা ‘নোরামি হল’ তার নিজের পোয়াতি বৌকে সাথে নিয়ে পৃথিবীতে বেড়াতে এসেছিলেন।  তাঁর বউয়ের বার্থ পেইন শুরু হলে তিনি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। ঐ হাসপাতালে একই সময় বার্থ পেইন নিয়ে ভর্তি হন মমতাজ বেগম। দুজনের দু’কন্যার জন্মমুহুর্তে হঠাৎ অন্ধকার হয়ে যায় গোটা হাসপাতাল। নোরামি হলের কৌশলে বদল হয়ে যায় দু’কন্যা। একজন নাবাসাতি আরেকজন তিসাবানা। নোরামি হলের কৌতুহল  দুই গ্রহের দুই বাসিন্দা কিভাবে বড় হয়, তাদের আচার-আচরণ, মেধা-মনন কেমন হয় এটাই তার কৌতুহলের বিষয়। একমাত্র নোরামি হল ছাড়া কেউ তা জানে না। নাবাসাতির শরীরে চিপ্স সেট করা আছে। চিপ্স এমনভাবে শরীরের সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে যে কোন বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করেও তা নিরুপণ করা সম্ভব নয়। চীপস সেট করার কারণে  এম-৮ গ্রহ থেকেই নাবাসাতির সব খবরা খবর জেনে নেন নোরামি হল। এ ছাড়া নাবাসাতির দেখাশুনার জন্য দু’জন এলিয়েনকে নিযুক্ত করা হয়েছে। এরা অদৃশ্য থেকে নাবাসাতির দেখাশুন করে। নাবাসাতি কখন কোথায় কি করছে, কি খাচ্ছে সব কিছু। নাবাসাতি নিজেও কোন দিন বুঝতে পারেনি তা। তবে পৃথিবীর পরিবেশে তার বুদ্ধি অনেক কমে গেছে এলিয়েনদের তুলনায়।

নাবাসাতির সাথে আমার পরিচয়

আমরা একই স্কুলে পড়তাম। নাবাসাতি ছিল একদম গবেট ছাত্রী। আমি যখন ক্লাস নাইনে ও তখন ক্লাস সেভেনে ভর্তি হলো। গ্রামের স্কুল। কোন ইন্টারভিউ লাগলো না। হেড স্যার শুধু জিজ্ঞেস করেছিলেন ‘আমি তাকে চিনি’ এর ইংরেজী বলো। নাবাসাতি কিছুক্ষণ হাবার মতো হেড স্যারের দিকে তকিয়ে রইলো। মনে হয় জীবনে সে এ ধরনের বাক্য শোনে নাই। তবুও ভর্ত্তি করানো হলো। স্কুলে টিচার প্রশ্ন করলে কোনদিন একটা প্রশ্নেরও উত্তর দিতে পারেনি। অনেক দিন কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে সবার সামনে। পড়া মাথায়ই ঢোকে না। তবে আচার আচরণে খুবই ভদ্র্, স্কুলে কারও সাথে মারামারি করাতো দূরের কথা, একটা গালিও কোনদিন ওর মুখ থেকে কেউ শোনেনি। সহপাঠিরা ওর নাম দিয়েছিল GG,  মানে Goat Girl, নাবাসাতি জানে GG-এর অর্থ good girl

নামটা তার বেশ ভালো লেগেছিলো। সহপাঠিরা ওকে কত ভালো বাসে। পাড়া-পড়শিরাও জানতো নাবাসাতি বোকা মেয়ে। ওর ইয়াকুব দাদু রসিকতা করে বলতো, তোর মায়ের যখন কোন সন্তান ছিল না তখন একটা ছাগল পুষতো। সে ছাগলকে প্লাস্টিক সার্জারি করে মানুষ বানানো হয়েছে। সেই মানুষটিই হলি তুই। এ কারণে তোর মাথায় বুদ্ধি কম। ও যে ভীষণ বোকা একথা এখন সবাই জানে, জানতাম না শুধু আমি। কে কি করলো বা বললো এগুলো নিয়ে কখনও মাথা ঘামাইনা আমি। একদিন স্কুলের মাঠে ওর এক বান্ধবী খুব জোরে জোরে ডাকছিল এই জিজি কোথায় যাচ্ছিস্? আমি ওদের পাশ দিয়েই যাচ্ছিলাম। জিজি নামটা শুনে কৌতুহল হল। ওর বান্ধবীকে জিজ্ঞেস করলাম, ওই মেয়েটার নাম জিজি! এটা আবার কোন নাম হলো নাকি? বান্ধবীটি আমার কাছে এসে আস্তে করে বললো, জিজি মানে বুঝ না, ‘গোট গার্ল’ ওর বুদ্ধি ছাগলের মতো কি না তাই আমরা ওর এ নাম দিয়েছি, বলেই চলে গেল। আমি অবাক হয়ে জিজির দিকে তাকালাম, অদ্ভুত সুন্দর চেহারা, বড় বড় সবুজাভ চোখ, গায়ের রংটাও ভিন্ন, রঙিন হালকা লাল স্বচ্ছ কাঁচের মতো, মাথার চুলের রং কালচে রেডিয়ামের মতো, আদুরে মুখ, যাদের দেখলে আদর করতে ইচ্ছে করে, অতি সুন্দর, অত সুন্দর চেহারা যার সে আবার গোট গার্ল হয় কি করে। নিশ্চয়ই কোন ঘাপলা আছে। 

কিছু কিছু মানুষ আছে যাদেরকে দেখলে অস্বাভাবিক আনন্দে মনটা ভরে যায়, ভালো লাগার একটা শিহরণ জাগে মনে। নাবাসাতি সে রকমই একজন মেয়ে। ওকে দেখতে পরীর মতো লাগছে। আমি কখনও পরী দেখিনি। তবে শুনেছি পরী দেখতে খুব সুন্দর হয়। ছবিতেও পরী দেখেছি। মেয়েটাকে ছবির পরীর মতো লাগছে। 

জিজি এগিয়ে এলো, এই প্রথম ওকে খুব কাছে থেকে দেখছি, আমি জিজ্ঞেস করলাম তোমার নাম জিজি? ও মিস্টি করে হাসলো। আমার নাম নাবাসাতি। তোমার বান্ধবী যে তোমাকে জিজি বলে ডাকলো। নাবাসাতি নিষ্পাপ হাসে, হেসে বললো আরে! তুমি তো খুব বোকা দেখিছি। জিজি’র  অর্থ বোঝ না। জিজি মানে গুড গার্ল। ওরা আমার বান্ধবী, আমাকে সবাই খুব ভালো বাসে, তাই আমার ওই নাম দিয়েছে ওরা। খুব সহজ সরল মেয়ে। যা ধারণা করেছিলাম তার বিপরীত। মনে মনে বললাম সত্যিই তুমি গুড গার্ল। ইউ আর দ্য বেস্ট গার্ল ইন দিস স্কুল, নট গোট গার্ল। অতি ভালো মেয়ে। 

চলবে


রবিবার, ২ মে, ২০২১

আইসক্রীমটা গরম করে দাওতো!

আইসক্রীমটা গরম করে দাওতো!


আইসক্রিম গরম করে দিতে বলেছিলেন সত্যজিৎ রায়

আজ বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক ও চিত্রশিল্পী সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন। জন্মশতবর্ষে তাঁকে আমরা স্মরণ করছি শ্রদ্ধার সঙ্গে। এখানে পড়তে পারেন তাঁর ছেলেবেলার কিছু মজার ঘটনা, যা তিনি লিখেছিলেন যখন ছোট ছিলাম বইয়ে..

গরম আইসক্রিম

বুলাকাকার সঙ্গেই আমরা একবার গিয়েছিলাম উটরাম রেস্তোরাঁয়া। উটরাম ঘাটে এই বাহারের রেস্তোরাঁটা জলের ওপর ভাসত। দেখতে ঠিক জাহাজের ডেকের মতো। এখন উটরাম ঘাটে গেলে আগের সেই চেহারাটা আর দেখা যাবে না। তখন ঘাটের উল্টোদিকে ইডেন গার্ডেনের চারদিকে বাহারের গ্যাসের বাতি জ্বলত, আর বাগানের মাঝখানে ব্যান্ডস্ট্যান্ডে সন্ধ্যাবেলা বাজত গোরাদের ব্যান্ড। উটরাম রেস্তোরাঁয় আমি জীবনে প্রথম আইসক্রিম খাই। অবশ্য এ নিয়ে পরে অনেকদিন ঠাট্টা শুনতে হয়েছিল; কারণ, প্রথম চামচ মুখে দিয়ে দাঁত ভীষণ সিরসির করায় আমি বলেছিলাম আইসক্রিমটা একটু গরম করে দিতে।

কালুমামার কাণ্ড

আঙ্কল টমস কেবিন ছবি দেখতে গিয়ে এক মজা হলো। বাড়ির সবাই মিলে গিয়েছি গ্লোব সিনেমায়। আংকল টম তার নৃশংস মনিব সাইমন লেগ্রির চাবুক খেয়ে দোতলার সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে পড়ে মরে গেছে। আমাদের সকলের রাগ পড়ে আছে লেগ্রির ওপর। ছবির শেষ দিকে টম ভূত হয়ে ফিরে আসে মনিবের কাছে। মনিব সেই ভূতের দিকেই চাবুক চালায়, টম হাসতে হাসতে এগিয়ে আসে তার দিকে। কালুমামা আমার পাশে বসে হাঁ করে ছবি দেখতে দেখেত হঠাৎ আর থাকতে না পেরে হলভর্তি লোকের মধ্যে সিট ছেড়ে দাঁড়িয়ে উঠে চিৎকার শুরু করে দিলেন, ‘হালায় এহনো চাবুক মারে? এহনো চাবুক মারে? শয়তান! এইবার বুঝবি তর পাপের ফল!’

ছোটকাকার স্বপ্ন

মজার মানুষের স্বপ্নগুলোও মজার হয় কি না জানি না। ছোটকাকার স্বপ্নের কথা শুনে তাই মনে হতো। একবার স্বপ্ন দেখলেন, এক জায়গায় খুব জাঁকিয়ে কীর্তন হচ্ছে। কিছুক্ষণ শুনে বুঝলেন গানের কথা শুধু একটিমাত্র লাইন, ‘সত্য বেগুন জ্বলে।’ কীভাবে এই লাইনটা গাওয়া হচ্ছিল সেটাও ছোটকাকা নিজে গেয়ে শুনিয়ে দিয়েছিলেন। আরেকটা স্বপ্নে দেখেলেন, কলকাতার রাস্তায় প্রোসেশান বেরিয়েছে। মানুষের নয়, বাঁদরের। তাদের হাতে ঝাণ্ডা, আর তারা স্লোগান দিতে দিতে চলেছে, ‘তেজ চাই! তেজ চাই! আফিঙে আরও তেজ চাই!’

সিলেটে সড়ক দূর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনসহ ৫জন নিহত

সিলেটে সড়ক দূর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনসহ ৫জন নিহত

 

সিলেটে অটোরিকশা-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে সড়ক দূর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজনসহ ৫জন প্রাণ হারিয়েছে। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর ফেরিঘাট এলাকায় দূর্ঘটনা ঘটে।

অটোরিকশাটি মহাসড়কে উঠলে বিপরীত দিকে থেকে আসা ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে একই পরিবারের জনসহ মোট পাঁচ জন নিহত হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।


বেক্সিমকো ফার্মা প্রতি টিকায় লাভ করছে ৭৭ টাকা

বেক্সিমকো ফার্মা প্রতি টিকায় লাভ করছে ৭৭ টাকা

 

ভারত থেকে করোনার টিকা এনে প্রতি টিকায় প্রায় ৭৭ টাকা মুনাফা করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। সব খরচ বাদ দেওয়ার পর টিকাপ্রতি এ মুনাফা করেছে কোম্পানিটি। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা বাংলাদেশে আমদানির জন্য চুক্তিবদ্ধ একমাত্র প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মা। বাংলাদেশ সরকার, সেরাম ইনস্টিটিউট ও কোম্পানিটির মধ্যে সম্পাদিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় এ টিকা আমদানি করা হচ্ছে।

ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, বেক্সিমকো ফার্মা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে তিন কোটি ডোজ করোনার টিকা আনবে। এ তিন কোটি ডোজ টিকার মধ্যে কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ টিকা এনেছে। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এ টিকা বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশ সরকারকে সরবরাহ করেছে। ছয় মাসের মধ্যে তিন কোটি ডোজ টিকা আনার কথা থাকলেও বর্তমানে ভারত থেকে করোনার টিকা আসা বন্ধ রয়েছে। ভারত সরকার টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় আপাতত দেশে সেরামের কোনো টিকা আসছে না। 

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মা তাদের চলতি বছরে প্রথম তিন মাস, তথা জানুয়ারি-মার্চ মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। 

মুনিয়ার ভাই হুইপপুত্র শারুনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন

মুনিয়ার ভাই হুইপপুত্র শারুনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন

 

সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজ শিক্ষার্থী মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হুইপপুত্র শারুনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেছেন মুনিয়ার ভাই। রোববার (২ মে) এ মামলা দায়ের করেন তিনি।

এর আগে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সরকার দলীয় হুইপ ও চট্টগ্রামের সাংসদ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুন চৌধুরীর সঙ্গে মুনিয়ার কিছু কথোপকথনের স্ক্রিনশটের সূত্র ধরে গত ২৭ এপ্রিল বিকেলে একটি সূত্র তার কাছে কিছু তথ্য জানতে চেয়েছে বলে জানায়।

এ বিষয়ে শারুন গণমাধ্যমকে ওই সূত্রের ব্যাপারে কিছু না বললেও এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, তার কাছে গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে একটি সূত্র মুনিয়ার সঙ্গে কথোপকথনের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে জানতে চেয়েছে, তিনি মোসারাতকে চেনেন কি না? শারুন জানিয়েছেন, মুনিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। গত বছর সে ফেসবুকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে।

তবে ফেসবুকে তার সঙ্গে কথোপকথনের যে স্ক্রিনশট ছড়ানো হচ্ছে সেগুলো মিথ্যা দাবি করে শারুন বলেন, সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ে এই কথোপকথনগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার।

গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ চন্দ্র চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে জানান, ওই ফ্ল্যাটে এক শিল্পপতির যাতায়াত ছিল। কোন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মুনিয়া আত্মহত্যা করেছেন, তদন্ত করে দেখবে পুলিশ।

সুত্রঃ সময় টিভি

শনিবার, ১ মে, ২০২১

মুনিয়ার ডায়রিতে কি লেখ ছিল

মুনিয়ার ডায়রিতে কি লেখ ছিল

 


রাজধানী গুলশানের অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে কলেজ শিক্ষার্থী মুসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের পরই আলোচনায় আসে বাসায় সিসি টিভির ফুটেজ আর মুনিয়ার হাতে লেখা ডায়েরিসহ বেশকিছু ডিভাইসের কথা

ঘটনার পরে তার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়াও জানান, নিত্যদিনের ঘটনা লিখে রাখা মুনিয়ার অভ্যাস ছিল। 

পুলিশও জানিয়েছে, মুনিয়ার লেখা ডায়েরিতেও আসামির সঙ্গে তার সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং সম্পর্কের স্বীকৃতি আদায়ের বিষয়ে নানা বর্ণনার উল্লেখ রয়েছে। 

এ অবস্থায় নিহত মুনিয়ার লেখা ছয়টি ডায়েরির কিছু অংশ এসেছে সময় সংবাদের হাতে। ডায়েরি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর আর মুনিয়ার গভীর প্রেমের সম্পর্কের কথা রয়েছে ডায়েরির প্রতিটি পাতায় পাতায়। 

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখে মুনিয়া লেখেন, ‘আজকে আনভীরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি। জানি না, তবে সারাদিন তাকে নিয়ে ভাবি হয়তো তাই।’

একই বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে লেখেন, ‘আজকে তার (আনভীর) কিছু পিচ্ছিাকালের ছবি পাঠালো দেখেই মায়া লাগছিল।’ এভাবেই ডায়েরির প্রতিটি পরতে পরতে আনভীরের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ ঘটান মুনিয়া। 

তবে সময় গড়ালে ভালোবাসার মধ্যে অভিমান আর কষ্টের কথা যোগ করেন মুনিয়া। ২০২০ এর নভেম্বর মাসের ২৯ তারিখে আনভীরকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, ‘তাকে দেয়ার মতো সত্যিকারের ভালোবাসা ছাড়া কিছুই নাই। যা তিনি কোনোদিন বোঝে না আর বুঝলেই কী এইগুলোর কোনো মূল্য নেই।’

আনভীরের ফেসবুকের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও বর্ণনা করেন ‍মুনিয়া। আনভীরের একটি ছবি প্রাইভেট করতে বললে আনভীর তাকে বলে, ‘তুমি আমার সব খেয়াল রাখ।’

বসুন্ধরার এমডি আনভীরের পরিবারের প্রতি সন্মানের কথা জানিয়ে নিজের পরিবারের কষ্টের কথাও লেখেন মুনিয়া। নিজ পরিবারে কোনোদিন শান্তি না পাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন মুনিয়া। 

এদিকে, মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া ডায়েরি ছাড়াও অন্য ডিভাইসগুলোকে আমলে নেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। 

তিনি বলেন, ‘ওর ডিভাইসের মধ্যে অনেক এভিডেন্স আছে। এগুলো এখনও হয়তো মিডিয়ার কাছে আসেনি। হয়তো ওইটা নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। এই মেয়েটার হত্যার বিচার হলে কালকে আপনার মেয়ে সুরক্ষিত থাকবে।’ 

পুলিশ বলছে, মুনিয়ার ডায়েরিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত করছেন তারা। 

ঢাকা মেট্রোপলিট্রন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘এটা আমরা মনে করছি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং চরম মানষিক হতাশার জন্য সে এই পর্যায়ে এসে আত্মহত্যাকে বেছে নিয়েছিল এই বিষয়টাকে সংজ্ঞায়িত করা, এই বিষয়গুলোকে প্রতিষ্ঠা করা এবং এই বিষয়গুলোকে সাক্ষ্য গ্রহণের নিরিখে এইগুলোকে প্রমাণ করার জন্য আরও যে যে সাক্ষ্য প্রমাণ দরকার সেগুলো সংগ্রহের জন্য আমরা চেষ্টায় আছি।’ 

নিজের পরিবারের সমস্যার কথা আনভীরকে জানালে কোনও গুরুত্ব না দেয়ার কথা ডায়েরিতে বিভিন্ন সময়ে উল্লেখ করেন মুনিয়া। এ বিষয়ে মুনিয়া লিখেন, ‘পরিশেষে আমার সমস্যাটা বললাম কিন্তু তার তেমন কোনো  গুরুত্ব দেখলাম না।’


বছরে ১৫-১৬ হাজার কোটি টাকা প্রিমিয়াম আয়ের সম্ভাবনা বীমা খাতে

বছরে ১৫-১৬ হাজার কোটি টাকা প্রিমিয়াম আয়ের সম্ভাবনা বীমা খাতে


নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে বীমার আওতায় রয়েছে মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এখাতে প্রিমিয়াম সংগ্রহ হয় চার থেকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। সরকার বীমা খাতে বিশেষ নজর দিলে বীমা কোম্পানিগুলো বছরে ১৫ থেকে ১৬ হাজার কোটি টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করতে পারবে। এতে সরকারও বড় রাজস্ব পাবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) মেঘনা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি আয়োজিত বীমা খাতের সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত কর্মশালায় (ভার্চুয়াল) প্রধান আলোচক হিসেবে কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক এসব কথা জানান

আজ মহান মে দিবস  কোভিডে শ্রমিকদের আহাজারি

আজ মহান মে দিবস কোভিডে শ্রমিকদের আহাজারি

 

প্রায় এক মাস ধরে ‘লকডাউন’ চলছে দেশে। এর বড় শিকার গাড়িচালক, দিনমজুর, কৃষিশ্রমিক, দোকানদার, ফুটপাতের ছোট ব্যবসায়ী, রিকশাচালক। খেটে খাওয়া কর্মজীবী এই মানুষেরা এখন ঘরবন্দী। সুদিন ফেরার আশায় দিন গুনছেন তাঁরা।
সীমিত পরিসরে পোশাক ও শিল্পকারখানা খুললেও সেখানকার শ্রমিকেরাও আছেন চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে। সীমিত পরিসরে দোকানপাট খোলা থাকলেও কর্মীদের চাকরির নিশ্চয়তা নেই। প্রায় একই অবস্থা সারা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষেরই। এমনই এক কঠিন পরিস্থিতিতে আজ শনিবার বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস, যা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন হিসেবে পরিচিত। ১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকেরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ওই দিন তাঁদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে শ্রমিকশ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনকে তখন থেকেই সারা বিশ্বে ‘মে দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘মালিক-শ্রমিক নির্বিশেষ মুজিব বর্ষে গড়ব দেশ’।
গুজরাটের প্যাটেল ওয়েলফেয়ার হাসপাতালে আগুন মৃত্যু ১৮

গুজরাটের প্যাটেল ওয়েলফেয়ার হাসপাতালে আগুন মৃত্যু ১৮

 



ভারতের গুজরাটের বারুচের একটি হাসপাতালে আগুন লাগার পর অন্তত ১৮ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

বিবিসি হিন্দি সার্ভিসের খবরে বলা হচ্ছে, প্যাটেল ওয়েলফেয়ার হাসপাতালের চার তলা ভবনটিতে যখন আগুন লাগে, সেখানে অন্তত ৫০ জন রোগী ছিল।

বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের সংবাদ অনুযায়ী, শুক্রবার হাসপাতালে আগুন লাগার এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় মানুষজন এবং দমকল কর্মীদের সহায়তায় অন্য রোগীদের বের করে নেয়া সম্ভব হয়।

দেশের কোভিড হাসপাতালে ৮৩৩৫ জেনারেল বেড ও ৪৫৯ আইসিইউ বেড খালি

দেশের কোভিড হাসপাতালে ৮৩৩৫ জেনারেল বেড ও ৪৫৯ আইসিইউ বেড খালি


ঢাকা, ১ মে, ২০২১ (মিডিয়া নিউজ) : করোনাকালীন সময়ে দেশের ৮ বিভাগের হাসপাতালগুলির মধ্য থেকে এই মুহুর্তে মোট ৮৩৩৫ টি কোভিড জেনারেল বেড এবং ৪৫৯ টি কোভিড আইসিইউ বেড খালি হয়েছে।

হাসপাতালগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৮ বিভাগে এই মুহুর্তে মোট কোভিড ডেডিকেটেড শয্যাসংখ্যা ১২ হাজার ৩৬৫ টি এবং মোট আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ১০৮৪ টি।এগুলির মধ্য থেকে বহু সংখ্যক রোগী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ায় এখন উল্লিখিত বেডগুলি খালি হয়েছে।
উল্লেখ্য,আট বিভাগের মধ্যে ঢাকা মহানগর হাসপাতালগুলিতে মোট জেনারেল বেড সংখ্যা ৫৬৪৪টির মধ্যে খালি রয়েছে ৩৪১৩ টি, মোট আইসিইউ ৭৬৯ টির মধ্যে খালি রয়েছে ৩২৮ টি। এই হাসপাতালগুলির মধ্যে সরকারি ১৩টি এবং বেসরকারি ১৩ টি হাসপাতাল রয়েছে।
ঢাকা মহানগরের ১৩ টি কভিড ডেডিকেটেড সরকারি হাসপাতালের শয্যা সংখ্যাগত পরিসংখ্যান লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭০৫ টি বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ২৪৫ টি,মোট আইসিইউ ২০ টির মধ্যে কোন বেড এখন খালি নেই।বিএসএমএমইউ’র মোট ২৩০ টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১১৫টি,মোট আইসিইউ ২০ টি বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৪ টি,কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের মোট ৩০০ টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৪৬ টি,মোট আইসিইউ বেড ১০ টির মধ্যে কোন বেড খালি নেই,মুগদা জেনারেল হাসপাতালের মোট ৩৬০ টি জেনারেল বেডের মধ্যে বর্তমানে খালি রয়েছে ২৩০ টি,মোট আইসিইউ বেড ১৯ টির মধ্যে খালি আছে মাত্র ১ টি,কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালের মোট ১৬৯ টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি আছে ১০৭টি এবং মোট ২৬ টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৪ টি,শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের মোট ১৭৪ টি সাধারণ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৯৫ টি এবং মোট ১৬ টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৫ টি,শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মোট ২৮৮ টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১৮৩ টি এবং মোট ১০ টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১ টি,সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের মোট ৯৪ টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৭৪টি এবং ৬ টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১ টি,রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের মোট ৪৮৫ টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৩৬৪টি এবং মোট ১৫ টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১০ টি। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের মোট ১০ টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৮ টি,এন.আই.সি.ভি.ডি হাসপাতালের মোট ১৩৭ টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১২১ টি,টিবি হাসপাতালের মোট ২০০টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১৮৭টি এবং মোট ৫ টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৪ টি,ডিএনসিসি হাসপাতালের মোট ২০০টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৭৬ টি এবং মোট ১০০টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১৮টি।