এম আর মিডিয়া২৪ ডেস্কঃInvestment Corporation of Bangladesh, ICB বাংলায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ সংস্থা, তবে বিনিয়োগে কিন্তু সফল নয়! সবক্ষেত্রেই লুজার, এ কারণে আইসিবির সাথে বিনিয়াগকারীগণও লুজার, এই লুজার থেকে আজ অবদি লাভে যেতে পারছে না, পারছে না প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে। ফলে আইসিবিকে টেক্কা দিয়ে অনেকেই লুটে নিয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা? একটা কথা সবসময়ই মনে রাখতে হবে নৌকার মাঝি যদি অভিজ্ঞ না হয় তবে লক্ষ্যস্থলে পৌছানো সম্ভব তো নয়ই বরং ঝড়ের কবলে নৌকা ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ, বিনিয়োগকারীদের অবস্থা সেটাই হয়েছে, নৌকা ডুবেছে, এখন সবাই হাবুডুবু খাচ্ছে, যার ফল বিনিয়োগারীদের মাঝে মাঝেই রাস্তায় নামতে হয়! নিঃসন্দেহে সমস্যা আছে আইসিবিতে! তাই একে ঢেলে সাজাতে হবে।
আইসিবি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান, এর ৬টা ইউনিট ফান্ড ও এই নামে একটা ব্যাংকও আছে সে শেয়ারের বর্তমান দাম মাত্র ২.৮ টাকা, ইউনিট ফান্ডগুলোর সবগুলোই ফেসভেলুর নীচে কোনোটির দর আবার অর্ধেকেরও কম, আইসিবি নামে যে শেয়ারটি আছে তার ইপিএস নেগেটিভ, Q2 ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টেও নেগেটিভ ইপিএস এসেছে (0.49) যা আগের বছরে ছিলো Tk. 0.29, তারপরও মাত্র ২শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়ে শেয়ারটির দর ৬৪টাকা থেকে বেড়ে ৭৬টাকায় উঠেছিলো, এটা কি শেয়ারের শক্তিতে বেড়েছিলো অবশ্যই নয়! কারসাজি! আজ সে শেয়ারটির দর মাত্র ৫১টাকা! তো সরকারী প্রতিষ্ঠান আইসিবি নিজেই যদি কারসাজি করে বা কারসাজি করার সুযোগ তৈরী করে দেয় তবে অন্যে করলে দোষ কি? বললাম একারণে যে কারসাজি করে দর বাড়ানোয় বেশ কিছু স্মার্ট বিনিয়োগকারীদের জরিমানা করে বাজারের বারোটা বাজানো হয়েছে, এ কারণে এখন অনেকেই বলেন এরা (আইসিবি) ব্যবসা বোঝে না, জুয়াড় প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে, তবে সেখানেও হেরে গিয়ে ঋণগ্রস্থ হয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটি।
আইসিবির বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে সরকার সরকারের গ্যারান্টিতে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১২ ডিসেম্বরে সেই ঋণের অর্থ আইসিবি’র ব্যাংক হিসাবে জমা হয়েছে যা আইসিবির পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ০৩ ডিসেম্বর ঋণের সুদের হার পরিবর্তন করে ব্যাংক রেট নির্ধারণ করা হয় এবং ১২ ডিসেম্বর আইসিবি’র ব্যাংক হিসাবে ঋণের অর্থ জমা দেওয়া হয়।
মোট ৪টি ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক এই অর্থ আইসিবিকে সরবরাহ করবে। এসব ব্যাংকের মধ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংক ৭০০ কোটি টাকা, প্রাইম ব্যাংক ১ হাজার কোটি টাকা, ঢাকা ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকা এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক ৮০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে।
আইসিবি জানিয়েছে যে, ৪ শতাংশ সুদে নেওয়া এই ঋণের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করা হবে এবং ঋণ পরিশোধের জন্য দেড় বছর বা ১৮ মাসের সময় পাবে। এই ঋণের গ্যারান্টি সরকারের তরফ থেকে প্রদান করা হয়েছে।
১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার টাকা জমা হওয়ার ১ মাস ২০ দিন পার হলো কিন্তু শেয়ার বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েছে কি?
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 coment rios: