শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫

 সাধু সাবধান! বিনিয়োগকারীর স্বপ্ন ভাঙার কারিগর — বাংলার শেয়ার বাজার!

সাধু সাবধান! বিনিয়োগকারীর স্বপ্ন ভাঙার কারিগর — বাংলার শেয়ার বাজার!

 

তোরে কইছিলাম! না শিখে শেয়ার বাজারে যাইছ না, গেলে কাঁদতে হবে! এখন বুঝলি তো?


M R 
Media24:বাংলার শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীর স্বপ্ন আজ ভেঙে পড়ছে একের পর এক। কারও সংসার ভেঙেছে, কেউ হারিয়েছেন জীবনের সঞ্চয়, কেউবা ডুবে আছেন হতাশায়। অথচ দায় নিচ্ছে কে? শেয়ার বাজারের প্রেমে আমরা এতোটাই মত্ত যে কোনো কোম্পানীর খবর রাখারই প্রয়োজন মনে করি না।

TUNGHAI
২০১৪ সালে বাজারে আসার সময় দাম ছিলো  ৩৩.৫৫ টাকা! আজ তার দর মাত্র 💀 ১.৭০ টাকা!
ভাবা যায়? এ শুধু একটা উদাহরণ! এরকম অগণিত শেয়ার আজ এক-দেড় টাকায় পড়ে আছে!

UNITEDAIR
বাজারে ট্রেডই হয় না!
আরও অনেক কোম্পানি এরকম উধাও! ৪০০ টাকায় কেনা Ashraf Textile এর মতো শেয়ার এখন হয়তো অনেকের ড্রয়ারে পোকায় খাচ্ছে। তাদের মালিকরা বিনিয়োগকারীর টাকা কামিয়ে আজ বিলাসবহুল জীবনে মত্ত!
কিন্তু প্রশ্ন হলো — তারা কি আইনের ঊর্ধ্বে?
বিনিয়োগকারীদের হাহাকার শুনছে কে? 

ATCSLGF (Mutual Fund)
১০ টাকায় বাজারে আসা এই ফান্ড একসময় উঠেছিলো ১৬ টাকায়! ১০ বছর পর শুনি —প্রতি শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের দিচ্ছে মাত্র ৬ টাকার একটু বেশি বা ৭.০০টাকা হিসেব মিলাতে পারছি না ! কেউ জানেই না, এদের অবস্থা কী!
কেউ চিঠি পায়নি, কোনো খবরও নেই।
কোম্পানি নিজের মতো খেলছে, আর বিনিয়োগকারীরা জানেই না তাদের টাকা কোথায় গেল!
মিউচুয়াল ফান্ড বলা হয় পেশাদার ম্যানেজারদের হাতে পরিচালিত!
কিন্তু বাস্তবতায় দেখি — রিটার্ন তো দূরের কথা, মূলধনই উবে যাচ্ছে!
তাহলে প্রশ্ন আসে —
👉 "এই বাজারে আসলে বিনিয়োগকারীর নিরাপত্তা কোথায়?" অসংখ্য মানুষ স্বপ্ন নিয়ে এই বাজারে আসে... কিন্তু সেই স্বপ্নগুলো ভেঙে যাচ্ছে ধুলোয়, হতাশায়, আত্মহত্যায়!
কারও ঘুম নেই, কারও সংসার ভেঙেছে! তবুও কেউ কথা বলে না...
আমাদের দাবি — বর্তমান সরকারের কাছে জরুরি পদক্ষেপ!
নইলে এই বাজারে আরও অনেক জীবনের আলো নিভে যাবে চিরতরে...

কে এম মিজানুর রহমান (মানিক)
১৭.১০.২৫

বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫

বাজার পড়ছে মানেই শেষ নয়!

বাজার পড়ছে মানেই শেষ নয়!



M R Media24: চলছে ডিভিডেন্ড মৌসুম, এ সময়ে বাজার একটু স্লো থাকে, কেউ কেউ খারাপ শেয়ারগুলো বিক্রী করে বসে থাকে ভালো ডিভিডেন্ড দেয়া শেয়ারগুলো কেনার জন্য। এতে বাজার সামান্য পড়তেই পারে! কিন্তু এই পড়াটাকে আরও ত্বরান্বিত করে কিছু দূর্বল ও ভিতু বিনিয়োগকারীরা। ভয় পেয়ে সস্তায় শেয়ার বিক্রী করে দেয় তাই শেয়ারের দরও বেশী পড়ে যায়? স্মার্ট বিনিয়োগকারী এই সুযোগগুলোকেই কাজে লাগিয়ে বেশী বেশী প্রফিট করে। একটু চিন্তা করে দেখুনতো ২/৩মাস আগে শেয়ারের যা দাম ছিলো এখন কি সেই দরে আছে? কোনো কোনো শেয়ার কিন্তু ২/৩/৪গুণও বেড়েছে, নীচে নেমেছিলো বলেই কিন্তু বেড়েছে
বাজার যখন একটানা নিচে নামে —
অনেকেই ভাবে, “সব শেষ!”
কিন্তু আসলে এখানেই নতুন শুরুর বীজ লুকিয়ে থাকে! 🌱
বড় বিনিয়োগকারীরা ভয় পায় না, তারা “ভয়ের সময়ই” চুপচাপ শেয়ার কুড়োয়।
আর ছোট বিনিয়োগকারীরা ভয় পেয়ে বিক্রি করে দেয় — এখানেই ঘটে স্মার্ট মানির খেলা!
ইতিহাস বলে —
যে সময় বাজারে সবাই ভয় পায়,
সেই সময়ই ভবিষ্যতের সবচেয়ে বড় মুনাফা তৈরী হয়।
মনে রাখুন:
“বাজারের পতন আমাদের পরীক্ষা করে —
কারা ভয় পায়, আর কারা সুযোগ দেখে।”
আপনার হাতে যদি ভালো কোম্পানির শেয়ার থাকে,
তাহলে আতঙ্ক নয় — ধৈর্যই আপনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র! মনে রাখতে হবে পতনের অন্ধকার থেকে সূর্যোদয় ঘটে অতএব ভয় কি?

কে এম মিজানুর রহমান (মানিক)
০৯.১০.২৫

 









সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫

লোভের লাল বাতি! PSI

লোভের লাল বাতি! PSI

 

লোভের লাল বাতি



।। শেয়ার টকিজ -২।।

লোভের লাল বাতি!

M R Media24: পতোনুল্লম্ফন ক্লাবের সদস্য ট্যারা মফিজ একদিন হঠাৎ ঘোষণা দিলেন, “বন্ধুরা, আমি একটা গোপন খবর পেয়েছি! ‘গরু গ্যালাক্সিকোম্পানি নাকি নতুন পণ্য আনছে!”

বোতল সাহা গলায় ঝুলানো পানির বোতল থেকে পানি খেয়ে বললেন, “তাহলে তো শেয়ার কিনতেই হবে!” গামছা ফজল কোমোরের গামছাটা আঁট শাট করে বেঁধে বললেন, “লোভে পাপ, পাপে মৃত্যুতাও কিনবো!”

ক্লাবের সবাই হুড়োহুড়ি করে শেয়ার কিনে ফেলল। পরদিন দেখা গেল, ’গরু গ্যালাক্সি’  কোম্পানীর শেয়ারের দাম পড়ে গেছে!

আমাজন কাদের (আমা ভাই) মিটিং ডাকলেন। তিনি বললেন, “এই খবরে কি PSI ছিল? মানে Price Sensitive Information?” ট্যারা মফিজ মাথা নিচু করে বললেন, “না ভাই, চায়ের দোকানে শুনেছিলাম।

সন্ধ্যা বেলায় ক্লাবঘরে আমা ভাই চেয়ারে বসে, চোখে চশমা, হাতে ক্যালকুলেটর। তিনি কইতেছেন, “এই লসের গ্যাঁড়াকলে আর পারি না রে গ্যাদা! কিছু একটা করতে হইবো…”  সোফা করিম সোফায় একটা কিল মেরে কইলো, ঠিকই কইচেন আমা ভাই, কিছু একটা করতেই অইবো!

আলো সরকারকে ডেকে আমা ভাই কইল, “আলো, যাতো বিদ্যুতের দোকান থেইকা একখান লাল বাতি, বোর্ড, সার্কিট, আর একটা বোতাম নিয়া আয়!” আলো সরকার আলোর গতিতে ছুটে সব নিয়ে ্ এলো।

ক্লাব ঘর হয়ে উঠলো গবেষণাগার, আমা ভাই বোর্ডে সার্কিট বসায়, সেইটা আবার কম্পিউটারের স্টক চার্টের সাথে যুক্ত করে, দেয়ালে লাগানো বোতামে চাপ দেয়! সঙ্গে সঙ্গে লাল বাতি জ্বলে, PSI লেখা জ্বলজ্বল করে। তিনি কইলেন, “এইডা হইলো লোভের লাল বাতি চার্ট! খবর শুনে শেয়ার কিনতে চাইলে আগে এই বোতাম টিপ দিবা। যদি লাল বাতি জ্বলে—তাহলে শেয়ার কিনা যাবে না!”

বোতল সাহা চিৎকার কইল, “এইডা তো এক্কেবারে যুগান্তকারী আবিষ্কার! পুতুলও বুঝবো এখন!” সবাই হাততালি দিলো—চশমা কামাল, গরু মাহিন, আলো সরকার—সবাই একসাথে কইল, “আমা ভাই, আপনি তো এক্কেবারে শেয়ার বাজারের থমাস এডিসন!”

আলো সরকার বললেন, “তাহলে আমাদের ক্লাবে একটা নিয়ম হোকলোভের লাল বাতি জ্বললে কেউ শেয়ার কিনবে না!”  সবাই আবারও হাততালি দিল।

সেদিন থেকে পতোনুল্লম্ফন ক্লাবে লোভের লাল বাতি জ্বলে উঠল PSI না বুঝে শেয়ার কিনলেই! আর ট্যারা মফিজ? তিনি এখন PSI বিশ্লেষণ শেখার কোর্সে ভর্তি!

তথ্যঃ ম্যাকডি কাদের
৬.১০.২৫
চলবে…

শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫

ছাগলের ৩ নং বাচ্চা

ছাগলের ৩ নং বাচ্চা



।।টকিজ -২।।

ছাগলের ৩ নং বাচ্চা!

M R Media24: বেশ কিছুদিন আগের কথা, শহরের এক কোণে আছিল এক অদ্ভুত বিনিয়োগকারী ক্লাব—নাম “পতোনুল্লম্ফন ক্লাব”। ক্লাবের সদস্যদের নাম গুলোও ছিলো বিচিত্র ও বিটকেলে, বিমান চট্টপাধ্যায়, ট্যারা মফিজ, গরু মাহিন, বোতল সাহা, চশমা কামাল, আরশোলা আক্তার, লুঙ্গি রাজীব—আরো কত কী!
এই ক্লাবের সভাপতি আছিল আমাজন কাদের। শুনছি, উনি নাকি জীবনের অর্ধেক সময় আমাজনের জঙ্গলের গাছের চুড়য় বইসা শেয়ারের এনালাইসিস করত। বয়সে বড়, অভিজ্ঞতায় গ্যাম্বা, কিন্তু ভাগ্যে কপাল খারাপ।
তবে এবার কিন্তু তার এক এ্যানালিস্ট চাচার কথা শুন্যা প্রচুর লাভ করছিলো, আর সেই লাভের ট্যাকায় ক্লাবের সব সদস্যদের নিয়া আমাজন জঙ্গলে বেরাবেইর আইসে। খাওয়া দাওয়ার পরে বইসলো মিটিং।
মিটিংয়ে আমা ভাই (আমাজন কাদের) দাঁড়ায়া কইল, “গ্যাদারা, আমরা আসলে ছাগলের ৩ নম্বর বাচ্চা! কেনো বলছি মন দিয়ে শোনো, ”ছাগল রানি” কোম্পানি পুনরায় চালু হইতেছে তা শুনে আমরা তখন দৌড় দিয়া ”ছাগল রানি” কোম্পানির শেয়ার কিনতে যাই। কিন্তু যায়া দেহি দাম তো আগেই বাইড়্যে গেছে!” কারণ কি জানো, কোম্পানি কি করবি না করবি, তা তারা  আগে থাইকেই জানে। তারপর জানে বিএসইসি, তারপর অর্থ মন্ত্রণালয়, তারপর পত্রিকা, তারপর চায়ের দোকানের রফিক, তারপর আমরা!” আমরা যহন জানি আর শেয়ার কিনি তহন দামও গড় গড় কইর‌্যা কুম্যা যায়।
আমা ভাইয়ের কথা শুন্যা সবাই হো হো কইরা হাসল, হাসির শব্দে আমাজন জঙ্গলের পশু পাখি ভয়ে পলাইলো, ক্লাবের সদস্যরা তখনও হাসতাছে, তাদের হাসির মধ্যে আছিল একধরনের কান্না। কারণ তারা শেয়ার কিনে, আর দাম হুর হুর কইরা পইড়ে যায়।
চশমা কামাল চিৎকার কইরা কইল, “মানে আমরা খবর পাই যখন ছাগলের দুধ শেষ, খামার ফাঁকা, দড়ি পড়ে থাকে!” সবাই চশমা কামালের দিকে চায়া থাকে।
আমা ভাই মাথা নাড়ায়া কইল, সবচাইতে খারাপ কতা কি জানো কোম্পানি নামে বেনামে আগে থাকেই স্টক করে। বিএসইসি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের লোকজনেরা কি বইসে থাকবি? তারা আগেই স্টক করে। টাকা দেখলে কাঠের পুতুলও হা করে!” তারপর দামা বাড়ায়া পত্র-পত্রিকা, সোস্যাল মিডিয়ায় ভালো ভালো খবর দেয়! দর আরও বাড়তে থাকে আম পাবলিকররা ধুমায়া কিনতে থাকে, কয়দিন পর থাইক্যাই শেয়ারের দাম খালি পড়ে আর পড়ে!
শালিক রুমা কইল, “তাহলে আমরা কি করবো? ছাগলের বাচ্চা হয়েই থাকবো?”
আমা ভাই চশমা ঠিক কইরা কইল, “না রে গেদি, এহন থাইক্যা প্রতিদিন শেয়ার বাজারের কিছু না কিছু শিখবো—এ্যানালিস্ট চাচারে আমাদের দরকার, তাকে যদি ক্লাবের মেম্বর বানাব্যাইর পারি তাইলে লাবও অবি! শিখতেও পাইরবো অনেক কিছু! যেমন: Price Sensitive Information (PSI), ইনসাইডার ট্রেডিং, তথ্য বিশ্লেষণ। তহন আমরা ক্লাবের নামই পাল্টায়া ফেলবো!”
সবাই হাততালি দিল।

তথ্যঃ ম্যাকডি কাদের
আমাজন জঙ্গল থেকে
চলবে…

বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫

গোপন কথাটি রয় না গোপনে! PSI

গোপন কথাটি রয় না গোপনে! PSI

 

Price sensitive information


Price Sensitive Information (PSI)

মাঝে মাঝেই আমরা বিএসইসির Price Sensitive Information (PSI) এর মেসেজ টা দেখতে পাই ডিএসইর ওয়েবসাইটে, কখনো ভেবে দেখেছেন কি এই Price Sensitive Information (PSI) এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে হাজার হাজার কোটি টাকার গোপন রহস্য!

কোম্পানী কি করবে না করবে তা কিন্তু সে আগে থেকেই জানে। যারা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা তারা কিন্তু তা জানে না বা আগে থেকে জানা সম্ভবও নয়!

কিভাবে শেয়ার দর প্রভাবিত হয়?

বন্ধ কোম্পানী চালু হবে!
কোম্পানির লাভ বা ক্ষতির রিপোর্ট (যেটা এখনো প্রকাশ হয়নি)
ডিভিডেন্ড ঘোষণা বা বাতিল
মার্জার বা অধিগ্রহণ (M&A) সংক্রান্ত খবর
নতুন পণ্য বাজারে আনার পরিকল্পনা
বড় অর্ডার পাওয়া বা হারানো
নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন বা নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি

আমরা কি ছাগলের ৩ নং বাচ্চা!
ধরুন একটা বন্ধ কোম্পানী চালু হবে সেটা আগে কোম্পানী জানবে,তারা বিষয়টি বিএসইসিকে জানাবে, বিএসইসি জানাবে অর্থ মন্ত্রণালয়কে এরপর খবর হবে, তার পরে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী জানবে, কি দাঁড়ালো? খবরটা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কানে আসতে অনেকদিন সময় লেগে গেলো, এর মধ্যেই কোম্পানী নামে বেনামে আগেই সেগুলো স্টক করলো, বিএসইসি, অর্থমন্ত্রণালয়ের লোকজনেরা কি বসে থাকবে? তারা আগেই সেগুলো স্টক করবে। টাকা দেখলে কাঠের পুতুলও হা করে! এক সময় তার দর বাজারে প্রভাব ফেলে,  দর অনেক বেড়ে যায়, 
চলে হাজার হাজার কোটি টাকার খেলা, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী না বুঝে দর বাড়ার পর তা কিনতে থাকে এমনই সময় বিএসইসি থেকে আসে Price Sensitive Information! আমরা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ছাগলের ৩ নং বাচ্চার মতো যা পাই তা অনেক পরে!

Price Sensitive Information (PSI) হলো এমন তথ্য যা কোনো কোম্পানির শেয়ারমূল্যে তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে। এই তথ্য যদি আগে থেকে কেউ জেনে যায় এবং সেই অনুযায়ী শেয়ার কেনা-বেচা করে, তাহলে সেটা ইনসাইডার ট্রেডিং হিসেবে গণ্য হয়যা আইনত দণ্ডনীয়।

গোপন কথাটি রয় না গোপনে!

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত নেন তথ্যের ভিত্তিতে। যদি কেউ আগে থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যায়, তাহলে সে অন্যদের তুলনায় বেশী লাভবান হয় বা অন্যায্য সুবিধা পায়। তাই PSI গোপন রাখা এবং সঠিক সময়ে প্রকাশ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদের দেশে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কাছে সঠিক সময়ে তথ্য প্রকাশ করার আগেই কোম্পানী ও তার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের কাছে তা প্রকাশ পেয়ে যায়, কোনো কোম্পানী আবার টাকার লোভে তথ্য বিক্রীও করে দেয়! এর পর দরও বেড়ে যায় আর চড়া দামের সময় কোম্পানীর গুণগাণ গাওয়া হয় আম জনতা কিনতে থাকে, একসময় কোম্পানী বড় ধরণের সেল প্রেসার দিয়ে গছিয়ে দেয় তাদের হাতে, জনতা ধরা খায় বালিশ খেলার মতো। বিএসইসি’র কাছে যখন এগুলো ধরা পরে এবং এ্যাকশন নিতে যায় তখন কি অবস্থা হয় আপনারা তা নিশ্চয়ই জানেন।

PSI নৈতিকতা

PSI ব্যবহারে সততা নৈতিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন বিনিয়োগকারী বা কোম্পানির কর্মী হিসেবে PSI গোপন রাখা এবং সঠিক সময়ে প্রকাশ করা পেশাগত দায়িত্ব

গুরুত্বপূর্ণ বার্তা

PSI বুঝতে পারা একজন দক্ষ বিনিয়োগকারীর প্রথম ধাপ।
PSI ব্যবহারে সততা ও আইনজ্ঞান অপরিহার্য।
PSI-র সঠিক ব্যবস্থাপনা বাজারে বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখে।
একমাত্র ভলিয়ম এ্যানালাইসিস এবং সবার স্বচেতনতা আপনাকে এ থেকে রক্ষা করতে পারে।
লেখাটি যদি ভালো লেগে থাকে তবে সবার স্বার্থে প্রচার করতে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।

এরপর চলবে গল্পাকারে....

কে এম মিজানুর রহমান
২.১০.২৫

বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫

▁ ▂ ▄ শেয়ার টকিজ! ▄ ▂ ▁

▁ ▂ ▄ শেয়ার টকিজ! ▄ ▂ ▁

ডিএসইএক্স চার্ট ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫


বাজারের সামগ্রিক অবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা: ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে। দিনের শেষভাগে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তায় সূচক কিছুটা বাড়লেও বাজারে সার্বিকভাবে সতর্কতা বিরাজ করছিল। ডিএসই-এর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬.০১ পয়েন্ট বেড়ে ৫,৪১৫.৭৯ পয়েন্টে অবস্থান করে।

মূলধন বৃদ্ধি: চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবসে ডিএসই-এর বাজার মূলধন ১,৬১৪ কোটি টাকার বেশি বেড়েছে।

সূচকের মিশ্র অবস্থাঃ সপ্তাহের শুরুতে, অর্থাৎ ২৮ সেপ্টেম্বর, সূচকের পতন হয়েছিল, যেখানে প্রায় ৭১ শতাংশ কোম্পানির দরপতন ঘটে।তবে সপ্তাহের শেষে বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। ফলি বিনিয়োগকারদের মনে স্বস্তি ফিরে আসে।

বিনিয়োগকারী বৃদ্ধিঃ সেপ্টেম্বর মাসে শেয়ারবাজারে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে, যা বাজারে আস্থা ফেরার ইঙ্গিত দেয়। [6]

গুরুত্বপূর্ণ খবর ও ঘোষণা

ছুটির ঘোষণাঃ  শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১ অক্টোবর থেকে ৪ অক্টোবর, ২০২৫ পর্যন্ত শেয়ার বাজারের লেনদেন বন্ধ থাকবে। ৫ অক্টোবর থেকে কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।

কোম্পানি তালিকাভুক্তিঃ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ১৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও বহুজাতিক কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করার জন্য চিহ্নিত করেছে।

কে এম মিজানুর রহমান মানিক
০১-১০-২০২৫