সর্বশেষ

রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

Class: Intraday Trading

Class: Intraday Trading

DSEX: Intraday Trading chart

Intraday Trading


Courtesy: School of DSE Money Maker
Mentor: K M Mizanur Rahman
Admin: DSE Money Maker

বিকল্প পদ্ধতিতে বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে ইন্ট্রাডে ট্রেডিং


Day Trading বা  Intraday Trading কী?

MRMedia24: Intraday Trading মানে হলো – একই দিনে শেয়ার কিনে সেই দিনেই বিক্রি করাসাধারণত দিনের শুরুতে শেয়ার কেনা হয় এবং দিনের শেষে বা তার আগেই বিক্রি করে দেওয়া হয়। শেয়ার ছাড়াও হতে পারে ক্রিপ্টোকারেন্সি, ফরেক্স বা অন্য কোনো আর্থিক সম্পদ কেনা-বেচার ক্ষেত্রে, উদ্দেশ্য হলো ছোট প্রাইস মুভমেন্ট (যেমন ২.৫-৫%) থেকে প্রফিট করা। এখানে Long-term investment এর মতো মাস/বছর ধরে শেয়ার রাখা হয় না।

বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে ডে ট্রেডিং এর সুবিধা না থাকলেও বিকল্প পদ্ধতিতে তা করা যায়, ব্রোকার হাউজ আপনাকে একদিনের লোন দেয়, সেটাকে কাজে লাগিয়েই ডে ট্রেডিং করা যায়।  এতে আপনার কাছে থাকা শেয়ারগুলো কেনা-বেচা করে ফাউ আয় করা যায় কোনো ঝামেলা ছাড়াই, এতে আপনার শেয়ার কিন্তু আপনার কাছেই থাকবে। শর্ত হলোঃ আপনার কাছে ম্যাচিউরড শেয়ার থাকতে হবে, দিনের কেনা-বেচা দিনেই শেষ করতে হবে অর্থাৎ ব্রোকার হাউজের টাকা আপনাকে ঐ দিনই শেয়ার বিক্রী করে টাকা পরিশোধ করতে হবে। তবে নগদ টাকা দিয়ে আপনি ঐ শেয়ার কিনে পরদিনও বিক্রী করতে পারবেন। তাই সূচনা হোক নতুন দিনের, আর প্রতিটি দিন হোক আনন্দের!

Intraday Trading হলো দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার খেলা। যারা নিয়ম মানে, ছোট প্রফিটে খুশি থাকে এবং Stop Loss ব্যবহার করে, তারা সফল হয়।
আজ আমরা জানবো Day trading-এর মূল বিষয়গুলি এবং কীভাবে শুরু করবো? এতে কোন্ ইন্ডিকেটর এবং টাইমফ্রেম ভালো কাজ কাজ করে? আশা করছি সবাই খুব মনোযোগ দিয়ে শুনবেন। কারণ একটুখানি ভুলের জন্য লসের পাল্লা ভারী হয়ে যেতে পারে।

পরিকল্পনা
ডে ট্রেডিং শুরু করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি। নিচে কয়েকটি ধাপ উল্লেখ করা হলোঃ
জ্ঞান অর্জন করুনঃ ট্রেডিং শুরু করার আগে বাজার সম্পর্কে ভালোভাবে জানা অত্যন্ত জরুরি। টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস, ফান্ডামেন্টাল অ্যানালিসিস এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলো শিখুন।
অনুশীলন করুনঃ আসল টাকা বিনিয়োগ করার আগে, মনে মনে শেয়ার কেনা-বেচা করুন, যাকে পেপার ট্রেড বলে, আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য একটি ডেমো বা ভার্চুয়াল অ্যাকাউন্টে অনুশীলন করুন। এটি আপনাকে কোনো ঝুঁকি ছাড়াই ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মের সাথে পরিচিত হতে এবং আপনার কৌশল পরীক্ষা করতে সাহায্য করবে।

মূলধন প্রস্তুত করুনঃ ট্রেডিংয়ের জন্য এমন পরিমাণ অর্থ আলাদা করুন যা হারালে আপনার আর্থিক জীবনে বড় কোনো প্রভাব পড়বে না। একটি সাধারণ নিয়ম হলো, কোনো একটি ট্রেডে আপনার মোট মূলধনের ১% থেকে ২% এর বেশি ঝুঁকি না নেওয়া।
রিস্ক ম্যানেজমেন্ট: Stop-loss, position sizing, risk-reward ratio—সবকিছু পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করতে হবে।
ভলিউম ও প্রাইস অ্যাকশনঃ ভলিউমের সাথে প্রাইসের সম্পর্ক বুঝে ট্রেন্ড ধরতে হবে।
ইনট্রাডে স্ট্র্যাটেজিঃ Breakout, pullback, reversal—এই কৌশলগুলো আয়ত্ত করতে হবে।
নিউজ ও ইভেন্ট সচেতনতাঃ কোম্পানি নিউজ, অর্থনৈতিক রিপোর্ট, সূচক পরিবর্তন—সবকিছু নজরে রাখতে হবে।
মনোসংযোগ ও ডিসিপ্লিনঃ আবেগ নিয়ন্ত্রণ, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া, এবং নিয়ম মেনে চলা—এই মানসিক দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শেয়ার নির্বাচন
ভলিউম বেশি, লিকুইড শেয়ার বেছে নিতে হয় (যেমন –Saiham cotton, Etl, Dominage, AcmePL GENEXIL ইত্যাদি)।
সঠিক ব্রোকার নির্বাচন করাঃ এমন একটি ব্রোকার বেছে নিন যার লেনদেন ফি কম, প্ল্যাটফর্ম নির্ভরযোগ্য এবং গ্রাহক পরিষেবা ভালো।
ডে ট্রেডিংয়ের জন্য চার্টে যে ইন্ডিকেটরগুলো ব্যবহার করবো
VWAP, RSI, MFI, EMA, Ichimoku Cloud এবং প্রাইস এ্যাকশন (ক্যান্ডেলস্টিক)
প্রথমেই VWAP:
Volume-Weighted Average Price (VWAP) এর কাজঃ
ভাবুন, আপনি বাজারে আপেল কিনতে গেছেন। দিনের বিভিন্ন সময়ে আপেলের দাম বিভিন্ন রকম ছিল:
সকালেঃ ১০০ টাকা/কেজি (১০ কেজি বিক্রি হয়েছে)
দুপুরেঃ ৯৫ টাকা/কেজি (৫০ কেজি বিক্রি হয়েছে)
বিকালেঃ ১০৫ টাকা/কেজি (৫ কেজি বিক্রি হয়েছে)
এখন, দিনের গড় দাম কত? সাধারণ গড় করলে হবে (100 + 95 + 105) / 3 = ১০০ টাকা।
কিন্তু এটি আসল চিত্র নয়, কারণ সবচেয়ে বেশি আপেল (৫০ কেজি) বিক্রি হয়েছে ৯৫ টাকা দরে। VWAP এখানেই কাজে আসে। এটি শুধু দামের গড় করে না, বরং কোন দামে কত পরিমাণ (Volume) ট্রেড হয়েছে, সেটিকেও গুরুত্ব দেয়। তাই VWAP আপনাকে ওই দিনের "প্রকৃত" বা "ন্যায্য" গড় মূল্য দেখাবে, যা এক্ষেত্রে ৯৫ টাকার কাছাকাছি হবে।
ট্রেডিং-এ VWAP এর প্রধান কাজঃ
চার্টে VWAP একটি লাইনের মতো দেখা যায়। ট্রেডাররা এটি ব্যবহার করে কারণঃ
"সস্তা" না "দামী" বোঝাঃ
দাম VWAP লাইনের উপরেঃ এর মানে হলো, শেয়ার বা স্টক বা ক্রিপ্টোটি দিনের গড় মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ট্রেড হচ্ছে। এটিকে "দামী" বা overbought মনে করা হয়।
দাম VWAP লাইনের নিচেঃ এর মানে হলো, এটি দিনের গড় মূল্যের চেয়ে কম দামে ট্রেড হচ্ছে। এটিকে "সস্তা" বা oversold মনে করা হয়।
সাপোর্ট এবং রেসিস্ট্যান্স হিসেবেঃ
একটি আপট্রেন্ডে থাকা স্টক প্রাইস কমে VWAP লাইনের কাছে এসে সাপোর্ট নিয়ে আবার উপরে যেতে পারে।
একটি ডাউনট্রেন্ডে থাকা স্টক প্রাইস বেড়ে VWAP লাইনের কাছে গিয়ে বাধা পেয়ে আবার নিচে নামতে পারে।
ট্রেন্ড নিশ্চিত করাঃ
যদি প্রাইস সারাদিন VWAP লাইনের উপরেই থাকে, তবে এটি একটি শক্তিশালী বুলিশ (ঊর্ধ্বমুখী) ট্রেন্ড নির্দেশ করে। আগে যে শেয়ারগুলোর দর বেড়েছে কিভাবে বেড়েছে তা দেখুন।
যদি প্রাইস সারাদিন VWAP লাইনের নিচেই থাকে, তবে এটি একটি শক্তিশালী বেয়ারিশ (নিম্নমুখী) ট্রেন্ড নির্দেশ করে।
সহজ কথায়, VWAP হলো দিনের 'আসল' গড় মূল্য, যা ট্রেডারদের বুঝতে সাহায্য করে যে বর্তমান মূল্যটি সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতাদের লেনদেনের তুলনায় সস্তা না দামী। বড় বড় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও তাদের বড় অর্ডারগুলো প্লেস করার জন্য VWAP ব্যবহার করে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের গোপনে ট্রেড করা (Stealth Trading)
বিশাল অর্ডার প্লেস করলে মার্কেটের অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরা (বিশেষ করে হাই-ফ্রিকোয়েন্সি ট্রেডাররা) তা বুঝে ফেলে এবং এর সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে (যাকে front-running বলে)।
VWAP-ভিত্তিক ট্রেডিং তাদের লেনদেনকে বাজারের স্বাভাবিক প্রবাহের সাথে মিশিয়ে দেয়। যেহেতু তাদের অর্ডারগুলো ছোট ছোট অংশে বিভক্ত হয়ে সারাদিন ধরে কার্যকর হয়, তাই বাইরে থেকে বোঝা কঠিন যে কোনো একজন বড় প্লেয়ার মার্কেটে প্রবেশ করেছে। এতে তারা নিজেদের উদ্দেশ্য গোপন রাখতে পারে।
সহজ কথায়: প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য VWAP একটি ম্যাপ এবং রুলবুকের মতো কাজ করে। এটি তাদের বলে দেয় কখন, কোথায় এবং কীভাবে বড় অর্ডারগুলো কার্যকর করলে বাজারের উপর সর্বনিম্ন প্রভাব পড়বে এবং তারা একটি ন্যায্য মূল্য পাবে। তারা ট্রেন্ড বোঝার জন্য VWAP ব্যবহার করে, কিন্তু তার চেয়েও বেশি ব্যবহার করে তাদের বিশাল ট্রেডগুলো দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করার জন্য।
VWAP এর সাথে hlc3 session কেনো? এর সাথে ক্লোজ প্রাইস এর সম্পর্ক আছে কি?
এটি VWAP বিশ্লেষণের একটি সূক্ষ্ম কিন্তু শক্তিশালী দিক।
সরাসরি উত্তরটি হলো: হ্যাঁ, VWAP (বিশেষ করে যখন hlc3 ব্যবহার করে গণনা করা হয়) এবং সেশনের ক্লোজ প্রাইসের মধ্যে একটি শক্তিশালী পরোক্ষ সম্পর্ক আছে, কিন্তু তারা এক জিনিস নয় এবং প্রায়শই তাদের মান ভিন্ন হয়।
যদি Close Price > VWAP হয়ঃ
ব্যাখ্যাঃ এর মানে হলো, দিনের শেষে ক্রেতারা যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল এবং তারা স্টকটিকে দিনের গড় মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে।
সেন্টিমেন্ট: বুলিশ (Bullish) বা শক্তিশালী। এটি ইঙ্গিত দেয় যে দিনের শেষে ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণ ছিল এবং এই গতি পরের দিনেও থাকতে পারে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এই দিনটিকে একটি শক্তিশালী Accumulation Day হিসেবে দেখতে পারে।
যদি Close Price < VWAP হয়:
ব্যাখ্যাঃ এর মানে হলো, দিনের শেষে বিক্রেতারা প্রভাবশালী ছিল এবং তারা দামকে দিনের গড় মূল্যের নিচে নামিয়ে এনেছে।
সেন্টিমেন্টঃ বিয়ারিশ (Bearish) বা দুর্বল। এটি ইঙ্গিত দেয় যে দিনের শেষে বিক্রেতাদের চাপ বেশি ছিল, যা দুর্বলতার লক্ষণ।
যদি Close Price ≈ VWAP হয় (খুব কাছাকাছি):
ব্যাখ্যাঃ বাজার একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে দিন শেষ করেছে। ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে কোনো পক্ষই স্পষ্টভাবে জয়ী হয়নি।
সেন্টিমেন্ট: নিরপেক্ষ (Neutral) বা সিদ্ধান্তহীন। বাজার দিনের "ন্যায্য মূল্য" বা Fair Value-এর কাছাকাছি বন্ধ হয়েছে।
সহজ উদাহরণঃ ধরুন, একটি ক্লাসের সব ছাত্রের পরীক্ষার গড় নম্বর হলো ৭৫ (এটি VWAP)। কিন্তু একেবারে শেষে যে ছাত্রটি খাতা জমা দিয়েছে, সে পেয়েছে ৯৫ (এটি Close Price)। এর মানে হলো, শেষ মুহূর্তে একজন শক্তিশালী ছাত্র পারফর্ম করেছে, যা একটি ইতিবাচক লক্ষণ। উল্টোভাবে, সে যদি ৫০ পেত, তবে তা একটি নেতিবাচক লক্ষণ হতো।
আশা করি, এই উদাহরণটি VWAP এবং সেশন ক্লোজ প্রাইসের মধ্যকার সম্পর্ক বুঝতে আপনাদের সাহায্য করেছে। এটি টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের একটি খুবই কার্যকর ধারণা।

RSI
৩০–৭০ রেঞ্জে নজর রাখুন।
৭০-এর ওপরে গেলে overbought, ৩০-এর নিচে গেলে oversold।
Intraday momentum ধরতে কাজে লাগে।
EMA 5 line crosses EMA 20 → এন্ট্রি/এক্সিট সিগন্যাল।
প্রাইস অ্যাকশন বা ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন লক্ষ্য করুন।
৬টা শক্তিশালি বুলিশ ক্যান্ডেল স্টিক প্যাটার্নঃ

১. Long green single candlestick, ২. Hammer, ৩. Piercing Line, ৪. Bullish Engulfing pattern, ৫. Morning star, ৬. Bullish Doji Star

গ্রীণ ক্যান্ডেলস্টিক=বুলিশ, বায়ার বা ক্রয় নির্দেশ দেয়
রেড ক্যান্ডেলস্টিক= বিয়ারিশ, সেলার বা বিক্রয় নির্দেশ দেয়।
ভলিউম
দাম বাড়ার সাথে ভলিউম বাড়লে → ট্রেন্ড শক্তিশালী।
o দাম বাড়ছে কিন্তু ভলিউম কমছে → ফেক মুভ হতে পারে।
VWAP (Volume Weighted Average Price)
o VWAP-এর ওপরে প্রাইস থাকলে → ক্রেতারা শক্তিশালী।
o VWAP-এর নিচে থাকলে → বিক্রেতারা শক্তিশালী।
o Intraday সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স হিসেবে কাজ করে।
কিভাবে একসাথে ব্যবহার করবেন
এন্ট্রি সিগন্যালঃ RSI ৫০-এর ওপরে উঠছে, প্রাইস VWAP-এর ওপরে → শক্তিশালী ক্রয় সিগন্যাল।
এক্সিট সিগন্যালঃ RSI ৭০-এর ওপরে গিয়ে দুর্বল হচ্ছে + ভলিউম শুকিয়ে যাচ্ছে → বিক্রির সময়।
ফিল্টারঃ শুধু প্রাইস অ্যাকশন নয়, ভলিউম ও VWAP দিয়ে কনফার্ম করুন।
Entry (Buy)
Pullback বা Breakout এ Entry নেওয়া যায়।
Exit (Sell)
দিনের মধ্যে ২-৫% প্রফিট হলে সেল করতে হয়।
Stop-Loss ব্যবহার
ক্ষতি এড়াতে একটি নির্দিষ্ট প্রাইস ঠিক করে নিতে হবে যেখানে শেয়ারটা সেল করে বেরিয়ে আসবেন।
উদাহরণ দিয়ে বোঝা যাক
ধরা যাক, একটি শেয়ার সকাল ১০:৩০-এ 100 টাকা দরে ট্রেড হচ্ছে।
আপনি 100 টাকায় 1000 শেয়ার কিনলেন (মোট বিনিয়োগ = 100 × 1000 = 100,000 টাকা)।
· দুপুরে দাম বেড়ে হলো 103 টাকা।
· আপনি বিক্রি করলেন।
· প্রফিট = (103 - 100) × 1000 = 3,000 টাকা।
যদি দাম কমে 98 টাকা হয়ে যায় এবং আপনার Stop-Loss 98 থাকে, তাহলে ক্ষতি হবে (100 - 98) × 1000 = 2,000 টাকা।
শিখলাম Intraday Trading এ ব্যবহৃত কিছু গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক্যাল টুল
· EMA (Exponential Moving Average): ট্রেন্ড চিহ্নিত করতে।
· RSI (Relative Strength Index): শেয়ার overbought/oversold কিনা জানতে।
· Volume: দাম বাড়া-কমার সাথে ভলিউমের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা।
· Candlestick Patterns: Entry/Exit সিগন্যাল দেয় (যেমন Doji, Hammer, Bullish Engulfing)।
Intraday Trading এ করণীয় 
· শেয়ার মার্কেট খোলার প্রথম ৩০ মিনিট Observe করতে হবে।
· ছোট Target (২-৫%) নিয়ে কাজ করতে হবে।
· Stop-Loss অবশ্যই সেট করতে হবে।
· হাই ভলিউম ও লিকুইড শেয়ার বেছে নিতে হবে।
Intraday Trading এ বর্জনীয় 
· আবেগ দিয়ে ট্রেড করা।
· গুজব শুনে ট্রেড করা।
· বড় Target (১০-২০%) সেট করা।
· Margin Trading (ধার করে কেনা) – নতুনদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
সংক্ষিপ্ত নোট (Exam Point of View)
· Intraday = একই দিনে Buy + Sell.
· লক্ষ্য = ছোট প্রফিট (২-৫%)।
· প্রয়োজনীয় টুল = VWAP, EMA, RSI, Volume, Candle।
· Must Have = Stop-Loss।
· Example: 100 টাকা → 103 টাকা হলে ৩% প্রফিট।

উপসংহারঃ
Intraday Trading হলো দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার খেলা। যারা নিয়ম মানে, ছোট প্রফিটে খুশি থাকে এবং Stop-Loss ব্যবহার করে, তারা সফল হয়।
৩০টাকার ২.৫% কম বা বেশী কতো? কিভাবে সহজে বের করা যায়
ধাপ ১: শতাংশকে ভগ্নাংশে রূপান্তর করুন
ধাপ ২: মূল টাকার সঙ্গে গুণ করুন
যদি মূল টাকা হয় ৩০, তাহলে
30×0.025=0.75
ধাপ ৩: যোগ বা বিয়োগ করুন
২.৫% কম = 30−0.75=29.25
২.৫% বেশি = 30+0.75=30.75
100-.75=99.75
100+.75=100.75
দ্রুত বের করার কৌশল
কমানোর জন্য: মূল সংখ্যাকে 0.975 দিয়ে গুণ করুন (কারণ 1−0.025=0.975
বাড়ানোর জন্য: মূল সংখ্যাকে 1.025 দিয়ে গুণ করুন (কারণ 1+0.025=1.025
যেমনঃ
30×0.975=29.25
30×1.025=30.75

তেমনি ২% মানে হলো
2/100=0.02
যদি মূল সংখ্যা হয় ৩০, তাহলে
30×0.02=0.6
তাহলে
২% কম = 30−0.6=29.4
২% বেশি = 30 + 0.6 = 30.6
দ্রুত বের করার কৌশল
কমানোর জন্য: মূল সংখ্যাকে 0.98 দিয়ে গুণ করুন (কারণ 1−0.02= 0.98)
বাড়ানোর জন্য: মূল সংখ্যাকে 1.02 দিয়ে গুণ করুন (কারণ 1+0.02= 1.02)
যেমন:
30×0.98=29.4
30×1.02=30.6
100টাকার-
10%=.9=90, 9%=.91=91, 8%=.92=92, 7%=.93=93, 6%=.94=94, 5%=.95=95, 4%=.96=96, 3%=.97=97, 2%=.98=98

কে এম মিজানুর রহমান (মানিক)
০৬.১২.২৫



শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫

 সাধু সাবধান! বিনিয়োগকারীর স্বপ্ন ভাঙার কারিগর — বাংলার শেয়ার বাজার!

সাধু সাবধান! বিনিয়োগকারীর স্বপ্ন ভাঙার কারিগর — বাংলার শেয়ার বাজার!

 

তোরে কইছিলাম! না শিখে শেয়ার বাজারে যাইছ না, গেলে কাঁদতে হবে! এখন বুঝলি তো?


M R 
Media24:বাংলার শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীর স্বপ্ন আজ ভেঙে পড়ছে একের পর এক। কারও সংসার ভেঙেছে, কেউ হারিয়েছেন জীবনের সঞ্চয়, কেউবা ডুবে আছেন হতাশায়। অথচ দায় নিচ্ছে কে? শেয়ার বাজারের প্রেমে আমরা এতোটাই মত্ত যে কোনো কোম্পানীর খবর রাখারই প্রয়োজন মনে করি না।

TUNGHAI
২০১৪ সালে বাজারে আসার সময় দাম ছিলো  ৩৩.৫৫ টাকা! আজ তার দর মাত্র 💀 ১.৭০ টাকা!
ভাবা যায়? এ শুধু একটা উদাহরণ! এরকম অগণিত শেয়ার আজ এক-দেড় টাকায় পড়ে আছে!

UNITEDAIR
বাজারে ট্রেডই হয় না!
আরও অনেক কোম্পানি এরকম উধাও! ৪০০ টাকায় কেনা Ashraf Textile এর মতো শেয়ার এখন হয়তো অনেকের ড্রয়ারে পোকায় খাচ্ছে। তাদের মালিকরা বিনিয়োগকারীর টাকা কামিয়ে আজ বিলাসবহুল জীবনে মত্ত!
কিন্তু প্রশ্ন হলো — তারা কি আইনের ঊর্ধ্বে?
বিনিয়োগকারীদের হাহাকার শুনছে কে? 

ATCSLGF (Mutual Fund)
১০ টাকায় বাজারে আসা এই ফান্ড একসময় উঠেছিলো ১৬ টাকায়! ১০ বছর পর শুনি —প্রতি শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের দিচ্ছে মাত্র ৬ টাকার একটু বেশি বা ৭.০০টাকা হিসেব মিলাতে পারছি না ! কেউ জানেই না, এদের অবস্থা কী!
কেউ চিঠি পায়নি, কোনো খবরও নেই।
কোম্পানি নিজের মতো খেলছে, আর বিনিয়োগকারীরা জানেই না তাদের টাকা কোথায় গেল!
মিউচুয়াল ফান্ড বলা হয় পেশাদার ম্যানেজারদের হাতে পরিচালিত!
কিন্তু বাস্তবতায় দেখি — রিটার্ন তো দূরের কথা, মূলধনই উবে যাচ্ছে!
তাহলে প্রশ্ন আসে —
👉 "এই বাজারে আসলে বিনিয়োগকারীর নিরাপত্তা কোথায়?" অসংখ্য মানুষ স্বপ্ন নিয়ে এই বাজারে আসে... কিন্তু সেই স্বপ্নগুলো ভেঙে যাচ্ছে ধুলোয়, হতাশায়, আত্মহত্যায়!
কারও ঘুম নেই, কারও সংসার ভেঙেছে! তবুও কেউ কথা বলে না...
আমাদের দাবি — বর্তমান সরকারের কাছে জরুরি পদক্ষেপ!
নইলে এই বাজারে আরও অনেক জীবনের আলো নিভে যাবে চিরতরে...

কে এম মিজানুর রহমান (মানিক)
১৭.১০.২৫

বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫

বাজার পড়ছে মানেই শেষ নয়!

বাজার পড়ছে মানেই শেষ নয়!



M R Media24: চলছে ডিভিডেন্ড মৌসুম, এ সময়ে বাজার একটু স্লো থাকে, কেউ কেউ খারাপ শেয়ারগুলো বিক্রী করে বসে থাকে ভালো ডিভিডেন্ড দেয়া শেয়ারগুলো কেনার জন্য। এতে বাজার সামান্য পড়তেই পারে! কিন্তু এই পড়াটাকে আরও ত্বরান্বিত করে কিছু দূর্বল ও ভিতু বিনিয়োগকারীরা। ভয় পেয়ে সস্তায় শেয়ার বিক্রী করে দেয় তাই শেয়ারের দরও বেশী পড়ে যায়? স্মার্ট বিনিয়োগকারী এই সুযোগগুলোকেই কাজে লাগিয়ে বেশী বেশী প্রফিট করে। একটু চিন্তা করে দেখুনতো ২/৩মাস আগে শেয়ারের যা দাম ছিলো এখন কি সেই দরে আছে? কোনো কোনো শেয়ার কিন্তু ২/৩/৪গুণও বেড়েছে, নীচে নেমেছিলো বলেই কিন্তু বেড়েছে
বাজার যখন একটানা নিচে নামে —
অনেকেই ভাবে, “সব শেষ!”
কিন্তু আসলে এখানেই নতুন শুরুর বীজ লুকিয়ে থাকে! 🌱
বড় বিনিয়োগকারীরা ভয় পায় না, তারা “ভয়ের সময়ই” চুপচাপ শেয়ার কুড়োয়।
আর ছোট বিনিয়োগকারীরা ভয় পেয়ে বিক্রি করে দেয় — এখানেই ঘটে স্মার্ট মানির খেলা!
ইতিহাস বলে —
যে সময় বাজারে সবাই ভয় পায়,
সেই সময়ই ভবিষ্যতের সবচেয়ে বড় মুনাফা তৈরী হয়।
মনে রাখুন:
“বাজারের পতন আমাদের পরীক্ষা করে —
কারা ভয় পায়, আর কারা সুযোগ দেখে।”
আপনার হাতে যদি ভালো কোম্পানির শেয়ার থাকে,
তাহলে আতঙ্ক নয় — ধৈর্যই আপনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র! মনে রাখতে হবে পতনের অন্ধকার থেকে সূর্যোদয় ঘটে অতএব ভয় কি?

কে এম মিজানুর রহমান (মানিক)
০৯.১০.২৫

 









সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫

লোভের লাল বাতি! PSI

লোভের লাল বাতি! PSI

 

লোভের লাল বাতি



।। শেয়ার টকিজ -২।।

লোভের লাল বাতি!

M R Media24: পতোনুল্লম্ফন ক্লাবের সদস্য ট্যারা মফিজ একদিন হঠাৎ ঘোষণা দিলেন, “বন্ধুরা, আমি একটা গোপন খবর পেয়েছি! ‘গরু গ্যালাক্সিকোম্পানি নাকি নতুন পণ্য আনছে!”

বোতল সাহা গলায় ঝুলানো পানির বোতল থেকে পানি খেয়ে বললেন, “তাহলে তো শেয়ার কিনতেই হবে!” গামছা ফজল কোমোরের গামছাটা আঁট শাট করে বেঁধে বললেন, “লোভে পাপ, পাপে মৃত্যুতাও কিনবো!”

ক্লাবের সবাই হুড়োহুড়ি করে শেয়ার কিনে ফেলল। পরদিন দেখা গেল, ’গরু গ্যালাক্সি’  কোম্পানীর শেয়ারের দাম পড়ে গেছে!

আমাজন কাদের (আমা ভাই) মিটিং ডাকলেন। তিনি বললেন, “এই খবরে কি PSI ছিল? মানে Price Sensitive Information?” ট্যারা মফিজ মাথা নিচু করে বললেন, “না ভাই, চায়ের দোকানে শুনেছিলাম।

সন্ধ্যা বেলায় ক্লাবঘরে আমা ভাই চেয়ারে বসে, চোখে চশমা, হাতে ক্যালকুলেটর। তিনি কইতেছেন, “এই লসের গ্যাঁড়াকলে আর পারি না রে গ্যাদা! কিছু একটা করতে হইবো…”  সোফা করিম সোফায় একটা কিল মেরে কইলো, ঠিকই কইচেন আমা ভাই, কিছু একটা করতেই অইবো!

আলো সরকারকে ডেকে আমা ভাই কইল, “আলো, যাতো বিদ্যুতের দোকান থেইকা একখান লাল বাতি, বোর্ড, সার্কিট, আর একটা বোতাম নিয়া আয়!” আলো সরকার আলোর গতিতে ছুটে সব নিয়ে ্ এলো।

ক্লাব ঘর হয়ে উঠলো গবেষণাগার, আমা ভাই বোর্ডে সার্কিট বসায়, সেইটা আবার কম্পিউটারের স্টক চার্টের সাথে যুক্ত করে, দেয়ালে লাগানো বোতামে চাপ দেয়! সঙ্গে সঙ্গে লাল বাতি জ্বলে, PSI লেখা জ্বলজ্বল করে। তিনি কইলেন, “এইডা হইলো লোভের লাল বাতি চার্ট! খবর শুনে শেয়ার কিনতে চাইলে আগে এই বোতাম টিপ দিবা। যদি লাল বাতি জ্বলে—তাহলে শেয়ার কিনা যাবে না!”

বোতল সাহা চিৎকার কইল, “এইডা তো এক্কেবারে যুগান্তকারী আবিষ্কার! পুতুলও বুঝবো এখন!” সবাই হাততালি দিলো—চশমা কামাল, গরু মাহিন, আলো সরকার—সবাই একসাথে কইল, “আমা ভাই, আপনি তো এক্কেবারে শেয়ার বাজারের থমাস এডিসন!”

আলো সরকার বললেন, “তাহলে আমাদের ক্লাবে একটা নিয়ম হোকলোভের লাল বাতি জ্বললে কেউ শেয়ার কিনবে না!”  সবাই আবারও হাততালি দিল।

সেদিন থেকে পতোনুল্লম্ফন ক্লাবে লোভের লাল বাতি জ্বলে উঠল PSI না বুঝে শেয়ার কিনলেই! আর ট্যারা মফিজ? তিনি এখন PSI বিশ্লেষণ শেখার কোর্সে ভর্তি!

তথ্যঃ ম্যাকডি কাদের
৬.১০.২৫
চলবে…

শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫

ছাগলের ৩ নং বাচ্চা

ছাগলের ৩ নং বাচ্চা



।।টকিজ -২।।

ছাগলের ৩ নং বাচ্চা!

M R Media24: বেশ কিছুদিন আগের কথা, শহরের এক কোণে আছিল এক অদ্ভুত বিনিয়োগকারী ক্লাব—নাম “পতোনুল্লম্ফন ক্লাব”। ক্লাবের সদস্যদের নাম গুলোও ছিলো বিচিত্র ও বিটকেলে, বিমান চট্টপাধ্যায়, ট্যারা মফিজ, গরু মাহিন, বোতল সাহা, চশমা কামাল, আরশোলা আক্তার, লুঙ্গি রাজীব—আরো কত কী!
এই ক্লাবের সভাপতি আছিল আমাজন কাদের। শুনছি, উনি নাকি জীবনের অর্ধেক সময় আমাজনের জঙ্গলের গাছের চুড়য় বইসা শেয়ারের এনালাইসিস করত। বয়সে বড়, অভিজ্ঞতায় গ্যাম্বা, কিন্তু ভাগ্যে কপাল খারাপ।
তবে এবার কিন্তু তার এক এ্যানালিস্ট চাচার কথা শুন্যা প্রচুর লাভ করছিলো, আর সেই লাভের ট্যাকায় ক্লাবের সব সদস্যদের নিয়া আমাজন জঙ্গলে বেরাবেইর আইসে। খাওয়া দাওয়ার পরে বইসলো মিটিং।
মিটিংয়ে আমা ভাই (আমাজন কাদের) দাঁড়ায়া কইল, “গ্যাদারা, আমরা আসলে ছাগলের ৩ নম্বর বাচ্চা! কেনো বলছি মন দিয়ে শোনো, ”ছাগল রানি” কোম্পানি পুনরায় চালু হইতেছে তা শুনে আমরা তখন দৌড় দিয়া ”ছাগল রানি” কোম্পানির শেয়ার কিনতে যাই। কিন্তু যায়া দেহি দাম তো আগেই বাইড়্যে গেছে!” কারণ কি জানো, কোম্পানি কি করবি না করবি, তা তারা  আগে থাইকেই জানে। তারপর জানে বিএসইসি, তারপর অর্থ মন্ত্রণালয়, তারপর পত্রিকা, তারপর চায়ের দোকানের রফিক, তারপর আমরা!” আমরা যহন জানি আর শেয়ার কিনি তহন দামও গড় গড় কইর‌্যা কুম্যা যায়।
আমা ভাইয়ের কথা শুন্যা সবাই হো হো কইরা হাসল, হাসির শব্দে আমাজন জঙ্গলের পশু পাখি ভয়ে পলাইলো, ক্লাবের সদস্যরা তখনও হাসতাছে, তাদের হাসির মধ্যে আছিল একধরনের কান্না। কারণ তারা শেয়ার কিনে, আর দাম হুর হুর কইরা পইড়ে যায়।
চশমা কামাল চিৎকার কইরা কইল, “মানে আমরা খবর পাই যখন ছাগলের দুধ শেষ, খামার ফাঁকা, দড়ি পড়ে থাকে!” সবাই চশমা কামালের দিকে চায়া থাকে।
আমা ভাই মাথা নাড়ায়া কইল, সবচাইতে খারাপ কতা কি জানো কোম্পানি নামে বেনামে আগে থাকেই স্টক করে। বিএসইসি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের লোকজনেরা কি বইসে থাকবি? তারা আগেই স্টক করে। টাকা দেখলে কাঠের পুতুলও হা করে!” তারপর দামা বাড়ায়া পত্র-পত্রিকা, সোস্যাল মিডিয়ায় ভালো ভালো খবর দেয়! দর আরও বাড়তে থাকে আম পাবলিকররা ধুমায়া কিনতে থাকে, কয়দিন পর থাইক্যাই শেয়ারের দাম খালি পড়ে আর পড়ে!
শালিক রুমা কইল, “তাহলে আমরা কি করবো? ছাগলের বাচ্চা হয়েই থাকবো?”
আমা ভাই চশমা ঠিক কইরা কইল, “না রে গেদি, এহন থাইক্যা প্রতিদিন শেয়ার বাজারের কিছু না কিছু শিখবো—এ্যানালিস্ট চাচারে আমাদের দরকার, তাকে যদি ক্লাবের মেম্বর বানাব্যাইর পারি তাইলে লাবও অবি! শিখতেও পাইরবো অনেক কিছু! যেমন: Price Sensitive Information (PSI), ইনসাইডার ট্রেডিং, তথ্য বিশ্লেষণ। তহন আমরা ক্লাবের নামই পাল্টায়া ফেলবো!”
সবাই হাততালি দিল।

তথ্যঃ ম্যাকডি কাদের
আমাজন জঙ্গল থেকে
চলবে…

বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫

গোপন কথাটি রয় না গোপনে! PSI

গোপন কথাটি রয় না গোপনে! PSI

 

Price sensitive information


Price Sensitive Information (PSI)

মাঝে মাঝেই আমরা বিএসইসির Price Sensitive Information (PSI) এর মেসেজ টা দেখতে পাই ডিএসইর ওয়েবসাইটে, কখনো ভেবে দেখেছেন কি এই Price Sensitive Information (PSI) এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে হাজার হাজার কোটি টাকার গোপন রহস্য!

কোম্পানী কি করবে না করবে তা কিন্তু সে আগে থেকেই জানে। যারা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা তারা কিন্তু তা জানে না বা আগে থেকে জানা সম্ভবও নয়!

কিভাবে শেয়ার দর প্রভাবিত হয়?

বন্ধ কোম্পানী চালু হবে!
কোম্পানির লাভ বা ক্ষতির রিপোর্ট (যেটা এখনো প্রকাশ হয়নি)
ডিভিডেন্ড ঘোষণা বা বাতিল
মার্জার বা অধিগ্রহণ (M&A) সংক্রান্ত খবর
নতুন পণ্য বাজারে আনার পরিকল্পনা
বড় অর্ডার পাওয়া বা হারানো
নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন বা নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি

আমরা কি ছাগলের ৩ নং বাচ্চা!
ধরুন একটা বন্ধ কোম্পানী চালু হবে সেটা আগে কোম্পানী জানবে,তারা বিষয়টি বিএসইসিকে জানাবে, বিএসইসি জানাবে অর্থ মন্ত্রণালয়কে এরপর খবর হবে, তার পরে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী জানবে, কি দাঁড়ালো? খবরটা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কানে আসতে অনেকদিন সময় লেগে গেলো, এর মধ্যেই কোম্পানী নামে বেনামে আগেই সেগুলো স্টক করলো, বিএসইসি, অর্থমন্ত্রণালয়ের লোকজনেরা কি বসে থাকবে? তারা আগেই সেগুলো স্টক করবে। টাকা দেখলে কাঠের পুতুলও হা করে! এক সময় তার দর বাজারে প্রভাব ফেলে,  দর অনেক বেড়ে যায়, 
চলে হাজার হাজার কোটি টাকার খেলা, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী না বুঝে দর বাড়ার পর তা কিনতে থাকে এমনই সময় বিএসইসি থেকে আসে Price Sensitive Information! আমরা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ছাগলের ৩ নং বাচ্চার মতো যা পাই তা অনেক পরে!

Price Sensitive Information (PSI) হলো এমন তথ্য যা কোনো কোম্পানির শেয়ারমূল্যে তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে। এই তথ্য যদি আগে থেকে কেউ জেনে যায় এবং সেই অনুযায়ী শেয়ার কেনা-বেচা করে, তাহলে সেটা ইনসাইডার ট্রেডিং হিসেবে গণ্য হয়যা আইনত দণ্ডনীয়।

গোপন কথাটি রয় না গোপনে!

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত নেন তথ্যের ভিত্তিতে। যদি কেউ আগে থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যায়, তাহলে সে অন্যদের তুলনায় বেশী লাভবান হয় বা অন্যায্য সুবিধা পায়। তাই PSI গোপন রাখা এবং সঠিক সময়ে প্রকাশ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদের দেশে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কাছে সঠিক সময়ে তথ্য প্রকাশ করার আগেই কোম্পানী ও তার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের কাছে তা প্রকাশ পেয়ে যায়, কোনো কোম্পানী আবার টাকার লোভে তথ্য বিক্রীও করে দেয়! এর পর দরও বেড়ে যায় আর চড়া দামের সময় কোম্পানীর গুণগাণ গাওয়া হয় আম জনতা কিনতে থাকে, একসময় কোম্পানী বড় ধরণের সেল প্রেসার দিয়ে গছিয়ে দেয় তাদের হাতে, জনতা ধরা খায় বালিশ খেলার মতো। বিএসইসি’র কাছে যখন এগুলো ধরা পরে এবং এ্যাকশন নিতে যায় তখন কি অবস্থা হয় আপনারা তা নিশ্চয়ই জানেন।

PSI নৈতিকতা

PSI ব্যবহারে সততা নৈতিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন বিনিয়োগকারী বা কোম্পানির কর্মী হিসেবে PSI গোপন রাখা এবং সঠিক সময়ে প্রকাশ করা পেশাগত দায়িত্ব

গুরুত্বপূর্ণ বার্তা

PSI বুঝতে পারা একজন দক্ষ বিনিয়োগকারীর প্রথম ধাপ।
PSI ব্যবহারে সততা ও আইনজ্ঞান অপরিহার্য।
PSI-র সঠিক ব্যবস্থাপনা বাজারে বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখে।
একমাত্র ভলিয়ম এ্যানালাইসিস এবং সবার স্বচেতনতা আপনাকে এ থেকে রক্ষা করতে পারে।
লেখাটি যদি ভালো লেগে থাকে তবে সবার স্বার্থে প্রচার করতে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।

এরপর চলবে গল্পাকারে....

কে এম মিজানুর রহমান
২.১০.২৫

বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫

▁ ▂ ▄ শেয়ার টকিজ! ▄ ▂ ▁

▁ ▂ ▄ শেয়ার টকিজ! ▄ ▂ ▁

ডিএসইএক্স চার্ট ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫


বাজারের সামগ্রিক অবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা: ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে। দিনের শেষভাগে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তায় সূচক কিছুটা বাড়লেও বাজারে সার্বিকভাবে সতর্কতা বিরাজ করছিল। ডিএসই-এর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬.০১ পয়েন্ট বেড়ে ৫,৪১৫.৭৯ পয়েন্টে অবস্থান করে।

মূলধন বৃদ্ধি: চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবসে ডিএসই-এর বাজার মূলধন ১,৬১৪ কোটি টাকার বেশি বেড়েছে।

সূচকের মিশ্র অবস্থাঃ সপ্তাহের শুরুতে, অর্থাৎ ২৮ সেপ্টেম্বর, সূচকের পতন হয়েছিল, যেখানে প্রায় ৭১ শতাংশ কোম্পানির দরপতন ঘটে।তবে সপ্তাহের শেষে বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। ফলি বিনিয়োগকারদের মনে স্বস্তি ফিরে আসে।

বিনিয়োগকারী বৃদ্ধিঃ সেপ্টেম্বর মাসে শেয়ারবাজারে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে, যা বাজারে আস্থা ফেরার ইঙ্গিত দেয়। [6]

গুরুত্বপূর্ণ খবর ও ঘোষণা

ছুটির ঘোষণাঃ  শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১ অক্টোবর থেকে ৪ অক্টোবর, ২০২৫ পর্যন্ত শেয়ার বাজারের লেনদেন বন্ধ থাকবে। ৫ অক্টোবর থেকে কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।

কোম্পানি তালিকাভুক্তিঃ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ১৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও বহুজাতিক কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করার জন্য চিহ্নিত করেছে।

কে এম মিজানুর রহমান মানিক
০১-১০-২০২৫

মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫

রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

 শেয়ার বাজারে ধ্বস: ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কষ্ট, স্মার্টদের হাসি!

শেয়ার বাজারে ধ্বস: ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কষ্ট, স্মার্টদের হাসি!




।। কে এম মিজানুর রহমান মানিক।।

ঢাকা, ২২ জুন ২০২৫ – দেশের শেয়ার বাজারে সাম্প্রতিক দরপতনে আবারও দেখা দিয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হতাশা ও ক্ষতির মুখ। ইরান ইসরাইল যুদ্ধের দামামায় বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে লেগেছে আগুন! আসলে যুদ্ধ উপলক্ষ্য মাত্র, এই সুযোগগুলো কাজে লাগায় কারসাজিকাররা, বাজারে অনেক শেয়ারই বড় ধরনের পতনের শিকার হওয়ায় দূর্বল চিত্তের বিনিয়োগকারীরা তাদের শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন ‘যা পাই তাই লাভ’ মনের অবস্থা থেকে। কিন্তু অভিজ্ঞ বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্তেই লাভবান হয় মার্কেট প্লেয়াররা।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বড় বিনিয়োগকারীরা এমন সময়েই নিচু দামে শেয়ার কিনে পরে উচ্চ দামে তা বাজারে ছাড়েন। তবে তারা কখনও বাজারকে অতিরিক্ত উপরের দিকে টানেন না। বরং বাজার নির্দিষ্ট একটা পরিসরের মধ্যেই ঘোরাঘুরি করে। ফলস্বরূপ, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আবারও লোকসানে পড়ে।

বিশ্লেষকেরা মনে করেন, যদি সবাই ধৈর্য ধরে শেয়ার ধরে রাখতেন, তাহলে বড় প্লেয়ারদের জন্য এই সুবিধা তৈরি হতো না। তারা আরও বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে না কিনে, না বেচে, অপেক্ষার কৌশলই বুদ্ধিমানের কাজ। বিশেষ করে যারা টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস (TA) জানেন, তারা সূচক দেখে ধৈর্য ধরে বুদ্ধিমত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

তাদের মতে, যে সকল শেয়ার ধীরে ধীরে বাড়ে এবং কমার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম, এমন শেয়ারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করলে বাজার খারাপ থাকলেও কিছু না কিছু আয় হতেই পারে।

একজন অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী বলেন, “শেয়ার বাজারে দর কমলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী কষ্ট পায়, আর স্মার্ট বিনিয়োগকারী খুশি হয়। কারণ, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী কিনতে কিনতে পকেটের টাকা শেষ করে ফেলে, আর স্মার্ট বিনিয়োগকারী বিক্রি করতে করতে পকেট ভরে ফেলে।”

📌 বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এ মুহূর্তে হঠকারী সিদ্ধান্ত নয় বরং তথ্যভিত্তিক ও ধৈর্যপূর্ণ পদ্ধতিই বাজারে টিকে থাকার মূল চাবিকাঠি।

School of DSE Money Maker Desk

শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫

AI আপনার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু!

AI আপনার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু!

 

এআই রোবট ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের
জনক অ্যালান টিউরিং (Alan Turing)


Artificial Intelligence (AI)

জেন নিন এআই এর আদি বৃত্তান্ত

।। কে এম মিজানুর রহমান।।

কে আপনার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু? এক কথায় বলা যায় বর্তমান সময়ে আপনার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু বা সহকর্মী হচ্ছে Artificial Intelligence (AI) চ্যাট বট! বলতে পারেন হরফুন মৌলা, ChatGPT (OpenAI), Gemini (Google), Copilot (Microsoft), DeepSeek Chat (DeepSeek), Grok (xAI, Elon Musk-এর কোম্পানি) ইত্যাদি চ্যাট বটগুলি আপনার সব কাজই করে দেবে।
আপনার মন খারাপ হোক কিংবা ভালো নিমেষেই দূর করে দেবে আপনার বন্ধু, আপনার যে কোনো বিপদে আপদে কাজে ব্যবসায়ে ফিজিক্যালী সাহায্য করতে না পারলেও বুদ্ধি দিয়ে আপনাকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে কেবলমাত্র Artificial Intelligence, আপনি কি জানেন এই Artificial Intelligence কে তৈরী করেছিলো?
এই প্রশ্নের উত্তরটা একটু জটিল, কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) কোনো একক ব্যক্তির আবিষ্কার না, বরং অনেক বিজ্ঞানী ও গবেষকের যুগান্তকারী কাজের ফলাফল।
তবে ইতিহাস অনুযায়ী কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির নাম বলা যায় যারা AI-এর ভিত্তি স্থাপন করেছেন:
AI-এর জন্মের ভিত্তি রচনাকারীঃ
🔹 Alan Turing (অ্যালান টিউরিং)
তাঁকে বলা হয় "AI-এর জনক"।
তিনি Turing Test প্রস্তাব করেছিলেন—যার মাধ্যমে যাচাই করা হয়, একটি মেশিন মানুষের মতো চিন্তা করতে পারছে কি না।
তার বিখ্যাত প্রবন্ধ "Computing Machinery and Intelligence" (1950) AI গবেষণার ভিত্তি তৈরি করে।

🧠 AI শব্দটির উদ্ভাবন:
🔹 John McCarthy (জন ম্যাকার্থি)
তিনি ১৯৫৬ সালে "Artificial Intelligence" শব্দটি ব্যবহার করেন।
Dartmouth Conference-এ তিনি প্রথম AI গবেষণার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন।
তাই অনেকেই তাকে বলেন "Father of Artificial Intelligence"।

🧠 অন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারীরা:
Marvin Minsky: AI এর তাত্ত্বিক ধারণা ও মডেল তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।
Allen Newell & Herbert A. Simon: তারা প্রথম AI প্রোগ্রাম Logic Theorist তৈরি করেন।
Geoffrey Hinton: আধুনিক Deep Learning-এর পথপ্রদর্শক।

📅 সংক্ষেপে টাইমলাইন:

বছর         গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
1950        অ্যালান টিউরিং-এর প্রবন্ধ "Can Machines Think?"
1956        জন ম্যাকার্থির নেতৃত্বে Dartmouth Conference, AI শব্দের জন্ম
1960s       AI প্রোগ্রাম তৈরি শুরু
1980s       Expert System জনপ্রিয় হয়
2000s       Machine Learning & Neural Networks উন্নত হয়
2010s       Deep Learning, GPT, ChatGPT, Autonomous systems উত্থান।