মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০২১

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে নতুন করে চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে নতুন করে চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি

 

বন্ধ থাকা, দুর্বল ও অকার্যকর কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠনে মনোযোগ দিয়েছে বিএসইসি। এরই মধ্যে অন্তত ৬ টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা অতিশয় ভদ্র, আর ভদ্রতার সুযোগ নিয়েই কিছু বে-ঈমান কোম্পানী তাদের কষ্টে অর্জিত টাকা মেরে দিয়ে খুব সহজেই হজম করতে পারে, যেমন করেছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কোম্পানী,  তবে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্যার অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিনিয়োগকারীদের টাকা কিভাবে ফেরত দেয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায়, গতকাল, সোমবার, পিপলস লিজিং পুনর্গঠন করল হাইকোর্ট।

এ ছাড়া, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ নতুন করে ডিএসইতে লেন-দেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এর অংশ হিসেবে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের বাদ দিয়ে পুনর্গঠন করা হয়েছে পরিচালনা পর্ষদ।

২০১০ সালে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের প্রধান হিসেবে আর থাকছেন না তাসবিরুল আলম চৌধুরী। তাকে সরিয়ে দিয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কাজী ওয়াহিদুল আলমকে।

ওয়াহিদুলের এভিয়েশন ব্যবসায় বিস্তর অভিজ্ঞতা আছে। তিনি বাংলাদেশ বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি তিনি পর্যটন ও এভিয়েশন বিষয়ক একটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক।

নতুন পর্ষদের এম সাদিকুল ইসলাম, মাসকুদুর রহমান সরকার, এটিএম নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. বদরুজ্জামান ভূইয়া, মুহাম্মদ ইউনুস ও মুহাম্মদ শাহ নেওয়াজ।

এই সিদ্ধান্তে পাঁচ বছর ধরে কার্যক্রম বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগ করে বিপাকে পড়া হাজার হাজার মানুষ তাদের নাই হয়ে যাওয়া অর্থ ফিরে পাওয়ার আশা ফিরে পেল।

সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। একই নির্দেশনায় বস্ত্র খাতের দুই বন্ধ প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলও ফ্যামিলি টেক্সের পরিচালনা পর্ষদও পুনর্গঠন করা হয়েছে।

বিএসইসি দ্বিতীয়বারের মতো বন্ধ ও লোকসানি কোনো প্রতিষ্ঠানের বোর্ড পুনর্গঠন করে সেটিকে বাঁচানোর উদ্যোগ নিল। এর আগে বস্ত্র খাতের রিং সাইন টেক্সটাইলের বোর্ড পুনর্গঠন করে সেটিকে চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছেন, পুনর্গঠন করা বোর্ড কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোম্পানির সম্পদ বিক্রি, হস্তান্তর, এফডিআরসহ কোনো কিছুর পরিবর্তন করতে পারবেন না।

কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘এটা একটি গুরুদায়িত্ব। ভেঙে পড়া একটি এয়ারলাইনসকে টেনে তোলা খুবই কঠিন কাজ। আমরা চেষ্টা করব বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আগের জায়গায় নিয়ে আসা। প্রথম কাজই হবে বিনিয়োগকারীদের যে অর্থ লগ্নি করা আছে তার নিরাপত্তা দেয়া।’

প্রতিষ্ঠানটির অনেক দেনা ও লোকসানে আছে, সেখানে থেকে কীভাবে উত্তরণ হবে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এখনও কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পাইনি। আমরা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে কীভাবে প্রতিষ্ঠানটিকে আগের জায়গায় নিয়ে আসা যায় তা নিয়ে আলোচনা করব।’

তবে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের সহকারী পরিচালক জহিরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, তারা এখনও বিষয়টি জানেন না। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনও কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। এমনকি কোনো চিঠিও আসেনি। নির্দেশনার চিঠি পাওয়া গেলেই বিস্তারিত বলা যাবে।’

বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম  বলেন, ‘পুঁজিবাজারে উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। …আগে ভালো ছিল, কিন্তু নানা কারণে এখন কার্যক্রম নেই এমন কোম্পানিগুলোকেও পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ইউনাইটেড এয়ার পরিচালনা পর্ষদের বাদ পড়া চেয়ারম্যান তাসবিরুল আলম চৌধুরীর অবস্থান কোথায়, সেটি এখন নিশ্চিত নয়। তিনি বারবার কোম্পানিটিকে আবার চালুর করার উদ্যোগের কথা বলেছেন নানা সময়। আর এতে পুঁজিবাজারে মাঝে মধ্যে শেয়ার দরে উল্লম্ফনও হয়েছে। কিন্তু শেষ অবধি আর উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

শেয়ার বেচে বিনিয়োগ তুলে নিয়েছেন উদ্যোক্তারা

বেসরকারি বিমান সংস্থা হিসেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রথম প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড এয়ার। ২০১০ সালে পুঁজিবাজার যখন চাঙা, তখন সেটি তালিকাভুক্ত হয়। শুরুর দিকে বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ ছিল প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে।

সে সময় ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকাতেও বিক্রি হয়েছে। তবে ২০১৫ সালের পর থেকে কোম্পানিটির অবস্থা খারাপ হতে থাকে। একপর্যায়ে উদ্যোক্তা পরিচালকরা তাদের হাতে থাকা প্রায় সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে কোম্পানিটিই বন্ধ করে দেন।

৮২০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির ৮২ কোটি শেয়ারের মধ্যে বাদ পড়া উদ্যোক্তা পরিচালকদের কেবল আড়াই শতাংশ শেয়ার ছিল। অথচ বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী কমপক্ষে ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকতে হতো তাদের হাতে।

পাঁচ বছর ধরে আর্থিক বিবরণী প্রস্তুত না করা, বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়া, নিয়মিত এজিএম না করার কারণে সম্প্রতি পুঁজিবাজারের মূল মার্কেট থেকে ইউনাইটেড এয়ারকে সরিয়ে দেয়া হয়। গত ১৪ জানুয়ারি থেকে কোম্পানিটি লেনদেন হচ্ছে ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি মার্কেটে।

সেখানে বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রির আদেশ দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা, কিন্তু কেউ কিনতে রাজি হচ্ছেন না।

কোম্পানিটি ওটিসি মার্কেটে পাঠিয়ে দেয়ার পর ৭২ কোটি শেয়ারের মালিকদের টাকা কার্যত নাই হয়ে গেছে। এই অবস্থায় কোম্পানিটিকে নতুন করে চালু করতে পারলেই কেবল এই শেয়ার আবার তার মূল্য ফিরে পাবে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কিন্তু ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকা কোম্পানিগুলো চালুর উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এরই মধ্যে অন্তত ৬টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করেছে সংস্থাটি। চেয়ারম্যান বলেছেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কোম্পানিগুলো চালু করে মূল বাজারে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। জনসাধারণের টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শাস্তির আওতায় আনার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

গেলো বছর মে মাসে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বর্তমান নেতৃত্ব।

এই ধারাবাহিকতায় এবার বন্ধ থাকা, দুর্বল ও অকার্যকর কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠনে মনোযোগ দিয়েছে বিএসইসি। এরই মধ্যে অন্তত ৬ টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এরমধ্যে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, ফ্যামেলি টেক্স, এমারেল ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ। নতুন পর্ষদ দায়িত্ব নেয়ার পর কয়েক মাস বন্ধ থাকা রিং শাইন টেক্সটাইলস চালু করেছে। অন্য কোম্পানিগুলো চালুর চেষ্টা চলছে।

কোম্পানিগুলো হচ্ছে:

১. ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ লিমিটেড,

২. ফ্যামেলি টেক্স লিমিটেড

৩. সিএন্ডএ টেক্সটাইল লিমিটেড

৪. রিং শাইন টেক্সটাইলস লিমিটেড

৫. এমারেল ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড

৬. আলহাজ টেক্সটাইলস মিলস লিমিটেড

বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলছেন, পর্ষদ পুনর্গঠনের ফলে ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে কোম্পানিগুলো। তাই ইউনাইটেড এয়ার ওয়েজসহ ওটিসি থাকা কয়েকটি কোম্পানিকে মূল মার্কেটে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।

কমিশনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে, তালিকাভুক্ত কোম্পানির অর্থ নয়-ছয় করা উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শাস্তির আওতায় আনার পরামর্শ এই বিশ্লেষকের।


আরও পড়ুনঃ

বন্ধ নয়, পিপলস লিজিং পুনর্গঠন করল হাইকোর্ট

সূত্রঃ ‍নিউজ বাংলা


বন্ধ নয়,  পিপলস লিজিং পুনর্গঠন করল হাইকোর্ট

বন্ধ নয়, পিপলস লিজিং পুনর্গঠন করল হাইকোর্ট

 

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডকে(PLFS)  পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট, প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য একটি বোর্ডও গঠন করে দিয়েছেন আদালত।

সোমবার বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

তবে কোম্পানিটির বোর্ডে কারা থাকবেন আদালত আদেশে তা বলা হয়নি। আদালত বলেছে, এই বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন অবসর নেয়া কোনো বিচারপতি বা সিনিয়র আইনজীবী।

আর বোর্ডের সদস্য থাকবেন একজন আইনজীবী, আমানতকারীদের মধ্যে একজন, সরকারি উচ্চ পদস্থ কোনো কর্মকর্তা এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেড। এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখিত রায়ে থাকবে বলে জানিয়েছে আদালত।

পিকে হালদার কাণ্ডে আলোচনায় আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আহসানুল করিম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব-উল-আলম।

আর পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুইডেটর) মো. আসাদুজ্জামানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান।

এর আগে গত সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশনা চেয়ে ২০১ জন আমানতকারী হাইকোর্টে আবেদন করেন।

পিপলস লিজিংয়ের আইনজীবী মেজবাহুর রহমান বলেন, ২০১ জন আমানতকারী পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড পুনর্গঠন চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত পিপলস লিজিং পুনর্গঠন করতে বোর্ড গঠন করে দেয়।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ঋণ গ্রহীতাদের তলব করে গত ২১ জানুয়ারি আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এরপর কয়েক দফায় ঋণখেলাপিরা আদালতে হাজির হয়ে হলফনামা দাখিল করেন এবং ঋণপরিশোধের কথা জানান।

এরপর প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে গত ৯ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য শুনে হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে হাজির না হওয়ায় ওই দিনই ১২২ জনের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ দেয় হাইকোর্ট।

সোমবার, ২৮ জুন, ২০২১

প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আগের নিয়েমেই চলবে পুঁজিবাজারের লেনদেন

প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আগের নিয়েমেই চলবে পুঁজিবাজারের লেনদেন

 


নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত সীমিত লকডাউনের মধ্যে বুধবার (৩০ জুন) পর্যন্ত চলতি নিয়মে পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে লেনদেন চলবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।

এরপর সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক যদি নতুন করে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করে, সেই নিয়ম অনুসারে লেনদেনের সময় নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, করোনার প্রকোপ রেধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে পুঁজিবাজারে লেনদেন আগামী বুধবার পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলবে। এরপর সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক যদি নতুন করে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করে, তখন সেই নিয়ম অনুসারে লেনদেনের সময় নির্ধারণ করা হবে।

উল্লেখ্য, রোববার (২৭ জুন) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সোমবার (২৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে আগামী ৩ দিনের জন্য বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে। আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় কিছু শর্তাবলী সংযুক্ত করে নতুন এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

নতুন শর্তাবলীগুলো হলোঃ

১. সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

২. সব শপিংমল, মার্কেট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

৩. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (শুধুমাত্র অনলাইন/টেক ওয়ে) করতে পারবে।

৪. সরকারি-বেসরকারি অফিস প্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেওয়া করতে হবে।

৫. জনসাধারণকে মাস্ক পরার জন্য আরো প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মূলত এরই পদক্ষেপ হিসেবে সোমবার থেকে আগামী তিন দিন সীমিত পরিসরে লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে।

মগবাজারে বিস্ফোরণে মৃত্যু ৭ আহত ৪০: ডিএমপি কমিশনার

মগবাজারে বিস্ফোরণে মৃত্যু ৭ আহত ৪০: ডিএমপি কমিশনার

 

ঢাকার মগবাজারের ওয়ারলেস গেট এলাকার শরমা হাউসে ভয়াবহ গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত শিশুসহ সাত জনের মৃত্যু ও চল্লিশ জনের অধিক আহতের খবর পাওয়া গেছে। আজ (২৭ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ৪০মিনিটে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে দোতলা ভবন উড়ে গেছে।ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট কাজ করছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের ( ডিএমপির) কমিশনার শফিকুল ইসলাম এ কথা জানিয়েছেন।

 ডিএমপি কমিশনার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত তারা জানতে পেরেছেন, মগবাজারের শরমা হাউসে গ্যাস বিস্ফোরণ আশপাশের সাতটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মারা গেছেন মোট সাতজন।

তবে রাত ১১ টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিস্ফোরণে তিনজন মারা গেছেন। মগবাজারের একটি ভবনে সন্ধ্যা ৭ টা ৩৪ মিনিটে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কীভাবে এই বিস্ফোরণ তা জানার জন্য কমিটি গঠন করেছেন। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, গ্যাস বিস্ফোরণ থেকে এই বিস্ফোরণ। ভবনের নিচতলায় ফাস্ট ফুডের দোকান ছিল। দ্বিতীয় তলায় একটা শো রুম ছিল। সেখানে ফ্রিজ ছিল। তিন তলায় ছিল একটা স্টুডিও। ভবনের সামনের সড়কে কাজ চলছে। সেখানেও গ্যাস ও ইলেকট্রনিক তার রয়েছে। কীভাবে এই বিস্ফোরণ তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, মগবাজারের শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়কের তিনতলা একটি বাড়ির নিচতলা বিস্ফোরণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবুল বাশার প্রথম আলোকে বলেন, শরমা হাউসে (৭৯/১) সারকুলার রোডে তিন তলা পুরাতন ভবনের নিচ তলায় গ্যাস বিস্ফোরণ হয়। অনেকে হতাহত হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই বিস্ফোরণে দুটি বাসের যাত্রীরা হতাহত হয়েছেন। অন্তত ৪৮ জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। এর মধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয় ১২ জনকে।

শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পাথর শংকর পাল জানান, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই ব্যক্তি মারা গেছেন। ভর্তি হওয়া আরও ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের শরীর পোড়া ছাড়াও জখমের চিহ্ন রয়েছে।

এর আগে বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. সাজ্জাদুর রহমান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ৩৬ জনকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী পথচারী জান্নাত আরা বলেন, ঘটনাস্থলের অদূরে একটি ভবনে নিচে তিন দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় বিকট তিনি শব্দ শুনতে পান। তিনি যে ভবনের নিচে ছিলেন, সেটির কিছু পলেস্তারা ধসে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের ওপর পড়ে। এরপর ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। সেই আগুন উড়ালসড়কের ওপরে ও নিচে যাত্রীবাহী বাসে ছড়িয়ে পড়ে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বাসযাত্রী সৈয়দ ইকবাল হোসেন (৫০) বলেন, বাসটি মগবাজার ফ্লাইওভারের নিচে পৌঁছালে ফ্লাইওভারের ওপরে একটি বাসে আগুন জ্বলতে দেখেন। সেই বাস থেকে চূর্ণবিচূর্ণ কাচ ও আগুনের ফুলকি নিচে পড়তে থাকে। এরপর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। চেতনা ফিরলে দেখেন তিনি হাসপাতালের বিছানায়।

মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১

১০ শতাংশ স্টক দিয়েছে রুপালী ব্যাংক

১০ শতাংশ স্টক দিয়েছে রুপালী ব্যাংক

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস)হয়েছে ৪৯ পয়সা। আর ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৭০ পয়সা।

কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ১৮ আগষ্ট অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ জুলাই।

সোমবার, ২১ জুন, ২০২১

পিপলস লিজিং এর ভবিষ্যত কি জানা যাবে ২৮ জুনঃ হাইকোর্ট

পিপলস লিজিং এর ভবিষ্যত কি জানা যাবে ২৮ জুনঃ হাইকোর্ট

 



বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডকে পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করা হবে কিনা- সে বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৮ জুন দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। ওই দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবস্থান বা মতামত শুনবেন আদালত।

আজ পিপলস লিজিং সংশ্লিষ্ট ২০১ জন আমানতকারীর বক্তব্যের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের ভার্চুয়াল একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আমানতকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। অবসায়কের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম।

ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম বলেন, বর্তমানে পিপলস লিজিংয়ের কোনো পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কমিটি নেই। সেখানে অবসায়ক হিসেবে একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এখন ওনাকে বাদ দিয়ে একটা বোর্ড (পরিচালনা পর্ষদ) গঠন করতে চান আদালত। সেই বোর্ড গঠনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক মতামত বা অবস্থান জানতে এই আদেশ দেন। সাথে সাথে আগামী সোমবার এ বিষয়ে শুনানির জন্য রাখেন হাইকোর্ট।

ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান বলেন, বর্তমানে পিপলস লিজিংয়ের কোনো পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কমিটি নেই। আদালতের নির্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান অবসায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অবসায়ক চেষ্টা করছেন, আদালতের মাধ্যমে ঋণের টাকা ফেরত আনার। এখন পর্যন্ত মাত্র ৪০ কোটি আদায় হয়েছে। যদিও আমানতকারীরা এখনই কোনো টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেক আমানতকারী। এ অবস্থায় পিপলস লিজিং পুনর্গঠনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছেন আমানতকারীরা। আজ শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিপলস লিজিংকে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর ২০১৯ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পিপলস লিজিংকে অবসায়নের পক্ষে সম্মতি দেয় সরকার। এরপর আদালতের আদেশে নিযুক্ত হন অবসায়ক।
পিপলস লিজিং থেকে টাকা নিয়ে ফেরত না দেয়া ১২৯ জনের মধ্যে বিদেশে পলাতক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার একজন। তালিকায় তার নাম উঠে এসেছে পাঁচবার। তিনি একাই পৃথক চারটি কোম্পানি ও নিজের নামে মোট পাঁচটিতে ২৫৩ কোটি ৯৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭৬৩ টাকা ঋণ নিয়েছেন।
সূত্রঃ জাগো নিউজ
ঢাকা বিচ্ছিন্ন ২২ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত

ঢাকা বিচ্ছিন্ন ২২ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত

 


ঢাকা, ২১ জুন, ২০২১: করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে দেশের ৭ জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুন বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত  মোট ৯ দিন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ ব্যাপকহারে বেড়ে যাওয়ার এবং ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার এই সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জের  এবং গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের সার্বিক কার্যাবলি/চলাচল (জনসাধারণের চলাচলসহ) আগামীকাল ২২ জুন সকাল ৬ টা থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত  ঘোষণা করা হলো। 
এ সময় শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা যেমন-কৃষি উপকরণ, খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাকগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।
সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সবকিছু বন্ধ থাকবে। মানুষও যাতায়াত করতে পারবে না। মালবাহী ট্রাক এবং অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কিছু চলবে না। 
অপরএক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জেলাগুলো ব্লকড থাকবে, কেউ ঢুকতে পারবে না।’
সুত্রঃ বাসস

রবিবার, ২০ জুন, ২০২১

২১ জুন পৃথিবী সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে, রাত পোহালেই সবচেয়ে বড় দিন

২১ জুন পৃথিবী সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে, রাত পোহালেই সবচেয়ে বড় দিন


রাত পোহালেই দেখা পাবো বছরের সবচেয়ে বড় দিনের, এ দিন পৃথিবী সূর্য থেকে সবচেয়ে বেশী দূরে অবস্থান করবে। মজার ব্যাপার হলো উত্তর গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় এবং গ্রীস্মকাল আর দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে ছোট ও শীতকাল।

কালের নিয়মে গ্রীষ্ম শেষে ইতিমধ্যেই দেশের মাটিতে পা রেখেছে বর্ষা। দেশে চলছে প্রবল বর্ষণ। এদিকে ক্যালেন্ডারের হিসেবে আগামীকাল সোমবার ২১ জুনই হচ্ছে 'সামার সলসটাইস'। সহজ কথায় উত্তর গোলার্ধের সবচেয়ে বড় দিন। বছরের এই একটি দিনেই সূর্যের দিকে সবচেয়ে বেশি হেলে থাকে উত্তর মেরু।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভৌগলিক নিয়ম অনুসারে পৃথিবী সাধারণত দুটি ভাগে বিভক্ত। উত্তর গোলার্ধ ও দক্ষিণ গোলার্ধ। যখন যে গোলার্ধে যে অবস্থা বিরাজ করে প্রকৃতির নিয়ম অনুসারেই তখন অন্য গোলার্ধে বিপরীত অবস্থা বিরাজ করে। আর এই কারণেই পৃথিবীর বার্ষিক গতি চলতে থাকে। যার কারণে পৃথিবীর ঋতু পরিবর্তিত হয়। এই বার্ষিক গতির কারণে, পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে বড় দিন ২১ জুন। একইসাথে উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে ছোট রাতও ২১ জুন।

সূর্য এই সময় কর্কটক্রান্তি বৃত্তে অবস্থান করে। ক্রান্তি বৃত্তে সূর্যের এই প্রান্তিক অবস্থান বিন্দুকে বলা হয় উত্তর অয়নায়ন। দক্ষিণ গোলার্ধে এখন থাকে ঠিক এর বিপরীত অবস্থা। আর এর পর থেকেই ক্রমশ দিন ছোট হতে থাকে, আর বড় হতে থাকে রাত। পরবর্তীতে ২৩ সেপ্টেম্বর সূর্য আবার অবস্থান নেয় বিষুব বৃত্তের বিন্দুতে একে বলা হয় জলবিষুব বিন্দু। এই দিন পুনরায় পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত সমান হয়ে যায়। ল্যাটিন শব্দ solctice-এর অর্থ: sol মানে সূর্য এবং sisterer মানে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা। আগামীকালই যা দেখবে উত্তর গোলার্ধের মানুষ। দক্ষিণ গোলার্ধে এদিনই দিন সবচেয়ে ছোট এবং রাত সবচেয়ে বড়। অন্যদিকে আবার ২১ ডিসেম্বর সূর্য মকরক্রান্তি রেখার ওপর অবস্থান করায় এবং উত্তর মেরু সূর্য থেকে কিছুটা দূরে হেলে থাকায় উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম রাত্রি ও ক্ষুদ্রতম দিন হয়ে থাকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে এর বিপরীত অবস্থা দেখা যায়।

সূত্রঃ ওয়ান ইন্ডিয়া

আরও খুন করবোঃ কদমতলীতে নিজ পরিবারের তিন জনকে খুনের পর থানায় ফোন করে এক নারী বললেন

আরও খুন করবোঃ কদমতলীতে নিজ পরিবারের তিন জনকে খুনের পর থানায় ফোন করে এক নারী বললেন

 

ঢাকার কদমতলীতে একটি বাড়িতে এক পরিবারের তিনজনকে হত্যার অভিযোগে ওই পরিবারেরই এক নারী সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

ওই নারী তার বাবা-মা ও বোনকে হত্যার পর নিজেই পুলিশকে খবর দেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী জোনের ডিসি শাহ ইফতেখার আহমেদ।

যারা ভিকটিম হয়েছেন তারা হলেন ওই আত্মস্বীকৃত হত্যাকারীর বাবা, মা ও বোন। আর চিকিৎসাধীন আছেন তার স্বামী ও মেয়ে। ওই নারী নিজেই পুলিশকে ফোন করে জানান যে তিনি খুন করেছেন এবং পুলিশ সেখানে পৌঁছাতে দেরি করলে আরও দুজনকে খুন করবেন তিনি, বিবিসিকে বলছিলেন মি. আহমেদ।

মি. আহমেদ বলেন, সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা দেখতে পান যে দুই তলার ওপর তিন কক্ষের বাসা এবং এর একটি কক্ষে বাবা মা ও বোনের মৃতদেহ বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে আছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, মৃতদেহগুলো একটি কক্ষের মধ্যে হাত বাঁধা অবস্থায় ছিলো।

পুলিশ কর্মকর্তা শাহ ইফতেখার আহমেদ বলছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ক্ষোভ থেকেই হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। ঠিক কী পরিস্থিতিতে কেন এ ঘটনা ঘটানো হলো সেটা আরও তদন্ত সাপেক্ষ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

"উনি বলেছেন যে ওনার ব্যক্তিগত ক্ষোভ ছিলো তার পরিবারের প্রতি। বাবা মা বোনের প্রতি। বাবা প্রবাসে ছিলো ও সেখানে বিয়ে করেছেন। তিন মাস হলো দেশে এসেছেন। তার মা দুই বোনকে অসামাজিক কার্যকলাপে বাধ্য করতেন। কিছু ক্ষোভ ছিলো। স্বামী ও পরিবারের অন্যদের সাথে অস্বাভাবিক সম্পর্ক"।

"কাল মায়ের বাসায় এসে ঘুমের ট্যাবলেট গুড়ো করে চায়ের সাথে মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন।"

প্রতিবেশীরা অবশ্য বলছেন, তারা এই পরিবারের মধ্যে কোন ক্ষোভ কখনও টের পাননি। যে ভাড়া বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানকার অন্য অধিবাসীদের সঙ্গেও তাদের কারও কখনো কোন সমস্যা হয়নি বলে তারা জানাচ্ছেন।

অন্য ভাড়াটিয়াদের সাথে পরিবারটির যেমন কোন ঝামেলা ছিলোনা তেমনি তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগও ছিলো না বলে বলছেন একজন প্রতিবেশী লিয়াকত মৃধা।

মি. মৃধা বিবিসিকে বলেন, "ওরা সাড়ে তিন বছর এখানে থাকে। কারও সাথে ওদের মিল নেই। ওরাও কথা বলে না, ওদের সাথেও কেউ বলে না। কোন গণ্ডগোল ছিল না বা অভিযোগও নেই কারও। ওরা নিজেদের মতো নিজেরা থাকতো। যার যার ফ্লাটে সে থাকতো।"

অথচ এমন একটি নির্বিবাদী পরিবারের অভ্যন্তরে কেমন করে এমন ভয়াবহ অসন্তোষ বা বিরোধের জন্ম হলো যে একজন নারী তার বাবা-মা-বোনকে খুন করলো-সেটিই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পুলিশ যে ঘুমের ঔষধ গুঁড়ো করে চায়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানোর তথ্য দিয়েছে সেই একই চা ওই নারীর স্বামী ও সন্তানও পান করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

তবে পরিবারটির ঘনিষ্ঠ একজন আত্মীয় বলছেন মৃতদেহগুলো যে অবস্থায় পড়ে ছিলো, একজন নারীর পক্ষে একা বাবা-মা-বোনকে হত্যা করে এক কক্ষে রেখে দেয়া অসম্ভব বলেই মনে করেন তারা।

তিনি বলেন মেহজাবিনকে নিয়ে আগেও নানা ঘটনা ঘটেছে পরিবারটির অভ্যন্তরে। সেগুলো তদন্ত করলেই এ হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ উদঘাটিত হবে বলে মনে করেন তারা।

"তিনটা মানুষকে এভাবে মারা... এর সাথে আরও কেউ জড়িত আছে- আমার মনে হয়, তবে বাকীটা পুলিশ বের করতে পারবে। ও আমাদের বলেছে, আমরা শুনেছি।"

তবে পরিবারটির কয়েকজন আত্মীয় বিবিসিকে বলেছেন, আটক হওয়া মেহজাবিনের বোনের স্বামী ও বোনের মধ্যে অস্বাভাবিক সম্পর্কের কথা তারা শুনছেন। এ নিয়ে অনেকদিন ধরেই পরিবারের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছিলো।

অন্যদিকে পুলিশ বলছে পরিবারের মধ্যে অস্বাভাবিক সম্পর্কের কথা মেহজাবিনের প্রাথমিক বক্তব্যেও এসেছে। আবার এর আগে মেহজাবিনের মায়ের শরীরে আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটেছিলো বলে বলছেন তাদের আত্মীয়রা।

সুত্রঃ বিবিসি বাংলা

শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১

ক্রিকেটাররা কে কত বেতন পান

ক্রিকেটাররা কে কত বেতন পান


করোনার এ সময়েও ক্রিকেটারদের বেতন বাড়াতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেটি হতে পারে বর্তমান মূল বেতনের ১০-১২ শতাংশ পর্যন্ত। সাকিব–তামিম–মুশফিকরা এতে নিশ্চয়ই খুশি। ২০১৭ সালের পর যে এই প্রথম বেতন বাড়ছে তাঁদের!

২০১৭ সালে হওয়া সর্বশেষ নতুন বেতনকাঠামো অনুযায়ী কেন্দ্রীয় চুক্তির ‘এ+’ শ্রেণির ক্রিকেটাররা প্রতি মাসে বিসিবি থেকে বেতন পেয়ে আসছেন চার লাখ টাকা করে। 

‘এ’ শ্রেণির ক্রিকেটাররা পান ৩ লাখ টাকা, ‘বি’ শ্রেণির ক্রিকেটাররা ২ লাখ টাকা, ‘সি’ শ্রেণির ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ‘ডি’ শ্রেণির ক্রিকেটাররা পান মাসে ১ লাখ টাকা করে।

লাল ও সাদা বল—দুই শ্রেণিতেই আছেন ৭ জন: মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিঠুন ও নাজমুল হোসেন।

২০২০ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে লাল ও সাদা বলের খেলার জন্য আলাদা চুক্তি হলেও বেতনের অঙ্ক একই ছিল।

মাঝে বেতন আর না বাড়লেও টেস্ট ও সীমিত পরিসরের ক্রিকেটে আলাদা চুক্তি হওয়ায় গত বছর আয় বাড়ে বেশির ভাগ খেলোয়াড়েরই। বর্তমানে দুই ধরনের চুক্তিতেই আছেন ৭ ক্রিকেটার, যাঁরা দুই সংস্করণেই খেলেন এবং বেতনও পান দুটি চুক্তি থেকেই।

তবে কোনো ক্রিকেটারের লাল ও সাদা দুই বলের ক্রিকেটেই খেলা মানে কিন্তু এই নয় যে তিনি দুই চুক্তিরই পুরো টাকা পাচ্ছেন। 

এ ক্ষেত্রে ওই ক্রিকেটার দুই চুক্তির যেটিতে অপেক্ষাকৃত ওপরের শ্রেণিতে আছেন, সেটির পুরো বেতন এবং নিচের শ্রেণির অর্ধেক বেতন পাচ্ছেন।

দুই চুক্তিতে একই শ্রেণিতে থাকলেও বেতন হবে একটি চুক্তির পুরো অঙ্ক এবং অন্য চুক্তির অর্ধেক পরিমাণ টাকার।

‘এ+’ শ্রেণির ক্রিকেটার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের যেমন আগে বেতন ছিল মাসে চার লাখ টাকা। দুই চুক্তির নিয়ম করায় গত বছর সেটি বেড়ে হয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। মাসে চার লাখ টাকা পেতেন মুশফিকুর রহিমও। গতবারের চুক্তির পর তিনি পাচ্ছেন মাসে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা।


ক্রিকেটারলাল বলে গ্রেড    সাদা বলে গ্রেড
মুশফিকুর রহিম        এ+            এ+
তামিম ইকবাল        এ+                এ+
লিটন দাস        বি            বি
মেহেদী হাসান মিরাজ        বি            বি
তাইজুল ইসলাম        বি            ডি
মোহাম্মদ মিঠুন        ডি            সি
নাজমুল হাসান        ডি            ডি
মুুমিনুল হক                    -
নাঈম হাসান        ডি                -
আবু জায়েদ        ডি            -
ইবাদত হোসেন        ডি            -
মাহমুদউল্লাহ        -            এ+
সৌম্য সরকার        -            এ+
মোস্তাফিজুর রহমান        -            বি
সাইফউদ্দিন            -            সি
আফিফ হোসেন        -            ডি
নাঈম শেখ        -            ডি

তামিম ও মুশফিক লাল ও সাদা বলের দুই চুক্তিতেই আছেন ‘এ+’ শ্রেণিতে। বিসিবির বেতন কাঠামো অনুযায়ী তাঁদের বেতন দাঁড়াচ্ছে এক চুক্তির পুরো ৪ লাখ টাকা ও অন্য চুক্তির অর্ধেক ২ লাখ, মোট ৬ লাখ টাকা।

সঙ্গে অধিনায়ক ভাতা হিসেবে তামিম বাড়তি ৩০ হাজার টাকা পাচ্ছেন। বেশি ম্যাচ খেলায় মুশফিক বাড়তি পাচ্ছেন ২০ হাজার টাকা।

সূত্রঃ প্রথম আলো

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কি?  এ থেকে থেকে সুরক্ষার উপায়

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কি? এ থেকে থেকে সুরক্ষার উপায়

 


ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কী?

এটি একটি ছত্রাক-জনিত রোগ। মিউকোরমাইকোসিস খুবই বিরল একটা সংক্রমণ। মিউকোর নামে একটি ছত্রাকের সংস্পর্শে এলে এই সংক্রমণ হয়। সাধারণত এই ছত্রাক পাওয়া যায় মাটি, গাছপালা, সার এবং পচন ধরা ফল ও শাকসবজিতে।

চিকিৎসকরা বলছেন, এই ছত্রাক মাটি এবং বাতাসে এমনিতেই বিদ্যমান থাকে। এমনকি নাক ও সুস্থ মানুষের শ্লেষ্মার মধ্যেও এটা স্বাভাবিক সময়ে থাকতে পারে। এই ছত্রাক সাইনাস, মস্তিষ্ক এবং ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের ফুসফুস যেহেতু দুর্বল থাকে, সেজন্য তাদের ক্ষেত্রে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসা করছেন ঢাকার বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন।

কী ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়?

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত রোগীদের সাধারণত যেসব উপসর্গ দেখা দেয় তার মধ্যে রয়েছে:

•নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং নাক থেকে রক্ত পড়া

•চোখে ব্যথা এবং চোখ ফুলে যাওয়া

•চোখের পাতা ঝুলে পড়া

•চোখে ঝাপসা দেখা, যার থেকে পরে দৃষ্টিশক্তি চলে যায়

•নাকের চামড়ার চারপাশে কালো ছোপ ছোপ দাগ দেখা দেয়া

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস থেকে সুরক্ষার উপায়

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বলছে, যেসব জায়গায় ছত্রাকের উপস্থিতি আছে সেসব জায়গা এড়িয়ে যাওয়া খুবই কঠিন।

চিকিৎসকরা বলছেন, যেসব ছত্রাকের কারণে মিউকোরমাইকোসিস হয় সেটা পরিবেশে থাকা খুবই সাধারণ ঘটনা।

তবে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তারা কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে যাতে করে মিউকোরমাইকোসিস সংক্রমণের সম্ভাবনা কমিয়ে আনা যেতে পারে। এগুলো তুলে ধরা হলো।

১. যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বা সিডিসি বলছে, যেসব জায়গায় অনেক বেশি ধুলোবালি রয়েছে সেসব জায়গা এড়িয়ে চলা। যদি সেসব জায়গা এড়িয়ে চলা সম্ভব না হয়, তাহলে এন৯৫ মাস্ক ব্যবহার করা।

২. প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেসব স্থাপনা পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলোর সরাসরি সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। সিডিসি বলছে এসব জায়গা থেকে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে।

৩. শরীরের চামড়ায় যাতে কোন ইনফেকশন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা। কোথাও কেটে গেলে কিংবা চামড়া উঠে গেলে সেটি যাতে ধুলো-ময়লার সংস্পর্শে না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৪. কোভিড-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা

৫. রোগীর স্টেরয়েড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানী হতে হবে। বারডেম হাসপাতালে রেসপিরেটরি মেডিসিনের অধ্যাপক স্টেরয়েডের ব্যবহার ডায়াবেটিসকে অনিয়ন্ত্রিত করে তুলতে পারে। ফলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমতি হবার ঝুঁকি বেশি ধাকে।

৬. রোগীকে অক্সিজেন দেবার সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।

৭. মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বলছে, এসব সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নিলেই যে মিউকোরমাইকোসিস সংক্রমণ এড়ানো যাবে সেটি এখনো পুরোপুরি প্রমাণিত নয়।

সূত্রঃ  বিবিসি

পাগলা মসজিদ: দানবাক্সে মিললো দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকা, চার কেজি সোনা-রূপা

পাগলা মসজিদ: দানবাক্সে মিললো দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকা, চার কেজি সোনা-রূপা

 

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরা বলছেন, সকাল নয়টার দিকে দুই শতাধিক মানুষ বারোটি বস্তায় পূর্ণ এসব মুদ্রা গুনতে শুরু করেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন তত্ত্বাবধানে বিকেল নাগাদ গণনা শেষে দেখা যায়, সেখানে ছিল, ২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮৯ টাকা। আরো ছিল প্রায় চার কেজির মত সোনা ও রূপার গহনা। বিদেশি মুদ্রার মধ্যে ছিল ভারতীয় রুপি সবচাইতে বেশি। আরো পাওয়া গেছে ডলার, ইউরো, সৌদি রিয়েল, ইয়েন, দিনার ইত্যাদি বিদেশি মুদ্রা। তবে বিদেশি মুদ্রার সঠিক পরিমাণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

এর আগে গত ২৩শে জানুয়ারি এই মসজিদের সিন্দুক থেকে দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, তিনমাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলার কথা থাকলেও এবার খোলা হলো প্রায় পাঁচ মাস পর। শেষবার গত জানুয়ারি মাসেও চার মাস পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল।

মিস ইয়াসমিন বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এই বিলম্ব।

শনিবারের অর্থ গণনায় অংশ নিয়েছেন ১২৭ জন ছাত্র, ৫২ জন ব্যাংক কর্মকর্তা ও মসজিদ কমিটির ৩৩ জন সদস্য।


পাগলা মসজিদ সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে

কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে পাগলা মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদ কেন্দ্র করে রয়েছে একটি ধর্মীয় কমপ্লেক্স।

এই মসজিদের গোড়াপত্তনের সময়সীমা সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায় না।

তবে কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মজিবুর রহমান বলছেন, ''যতদূর জানতে পাওয়া যায়, অনেকদিন আগে একজন পাগলা সাধক এখানে অবস্থান করতেন। পরে তিনি সেখানেই মারা যান। পরবর্তীতে ওইখানে মসজিদ হয় আর সেটার নামকরণ হয় পাগলা মসজিদ।''

মি. রহমান বলছিলেন, মসজিদটিতে মুসলমানদের পাশাপাশি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও দান করেন।

"জনশ্রুতি আছে, এখানে মানত করলে তাদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। এই কারণে দেখবেন দুই তিনমাস পরপর এখানকার সিন্দুক ভরে যাচ্ছে,'' বিবিসিকে বলছিলেন প্রফেসর রহমান।

বাংলাদেশ সরকারের জেলা তথ্য বাতায়ন বলে পরিচিত ওয়েবসাইটে মসজিদটি সম্পর্কে বলা আছে, "আধুনিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত পাগলা মসজিদটি নানা ধরণের ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থাপনা হিসেবে খ্যাত। জনশ্রুতি আছে যে, পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদের কাছে স্থিত হন এবং তাঁকে ঘিরে আশেপাশে অনেক ভক্তকূল সমবেত হন। উক্ত পাগলের মৃত্যুর পর তাঁর সমাধির পাশে পরবর্তীতে এই মসজিদটি গড়ে উঠে তাই কালক্রমে এটি পাগলা মসজিদ নামে পরিচিত হয়। মসজিদটি শুধু ইসলাম ধর্মাবলম্বীর কাছেই নয়, সকল র্ধমাবলমবীর কাছে অত্যন্ত পবিত্র ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবে পরিগণিত"।

মসজিদ থেকে পাওয়া অর্থ যে কাজে লাগানো হয়

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফরিদা ইয়াসমিন বলছেন, ১৯৯৭ সাল থেকে এই মসজিদটি ওয়াকফ'র আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। তখন থেকে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মসজিদের সিন্দুক খুলে টাকা গণনা শুরু হয়েছে।

''এখানে একটি এতিমখানা রয়েছে, সেই এতিমখানার খরচ এই টাকা থেকে চালানো হয়। এছাড়া মসজিদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এই অর্থে চলে। ক্যান্সার, কিডনি রোগে আক্রান্ত দরিদ্র ব্যক্তিদেরও এই তহবিল থেকে সাহায্য দেয়া হয়। এই বছর এই তহবিল থেকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক, যারা করোনা রোগীদের সেবায় কাজ করেছেন, তাদের অনুদান দেয়া হয়েছে'', বিবিসিকে বলেন ফরিদা ইয়াসমিন।

মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দান বাক্সের টাকা ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা হয়। সেখান থেকে অনুদান ও সহায়তায় খরচ করা হয়।

সূত্রঃ বিবিসি বাংলা


সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১

‘প্রজেক্ট অফিসার’ পদে চাকরি, বেতন শুরু ২৫৮৪২৪.০০ টাকা

‘প্রজেক্ট অফিসার’ পদে চাকরি, বেতন শুরু ২৫৮৪২৪.০০ টাকা

 

স্বপ্ন নয় সত্যি! আপনিও চেষ্টা করুন। বাংলাদেশে অবস্থিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন লোকবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন ‘প্রজেক্ট অফিসার’ পদে জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীকে আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে ই-মেইলে আবেদন করতে হবে।

‘প্রজেক্ট অফিসার’ পদে আবেদনের জন্য কয়েকটি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। মাস্টার্স বা পিএইডি ডিগ্রি থাকলে সেটা প্রার্থীর বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। আর মাঠপর্যায়ের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে তিন বছর।

বাংলা ও ইংরেজিতে সাবলীলভাবে কথা বলতে পারতে হবে। সপ্তাহে ৩৭.৫ ঘণ্টা কাজ করতে হবে।

মূল বেতনঃ

২,৫৮,৪২৪-৫,৪২,০৫১ টাকা।

আবেদনপত্র পাঠানোর ই-মেইল: DELEGATION-BANGLADESH-APPLICATIONS@eeas.europa.eu

বিজ্ঞপ্তি ও বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন


জাপানীরা সবচেয়ে বেশি দিন বাঁচে!  তাদের এই দীর্ঘায়ুর রহস্য কি?

জাপানীরা সবচেয়ে বেশি দিন বাঁচে! তাদের এই দীর্ঘায়ুর রহস্য কি?

 

অনেককেই গর্ব করে বলতে দেখা যায় আমার দাদা বা দাদি ১০০ বছরের উপরে বেঁচে ছিল। আবার অনেকের দেখলে এও প্রশ্ন জাগে, এই বয়সেও দাদু বেশ ফিট। কী করে সম্ভব? হয়ত এমন প্রশ্ন নিয়ে দাদুর কাছে গেলেন। দেখবেন হয়ত বলে বসবে, ‘আমাদের সময় সবকিছু খাঁটি ছিল, এখনতো সব ভেজাল’। কথা সত্যি বটে। তখনই মনে হয় আমাদের বোধহয় আর ১০০ বছর বাঁচা হবে না। তাই তো ৬০-৭০ বছর পেরোলেই এখন মৃত্যু আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসে মানুষের মনে। কিন্তু জানেন কি, এখনও শতাধিক বছর বেঁচে থাকেন জাপানিরা। তাদের এই দীর্ঘায়ুর রহস্য কী?

তাহলে এবার বের করা যাক আসল রহস্য। জানা যায়, জাপানিদের দীর্ঘায়ুর নেপথ্যে রয়েছে তাদের ডায়েট চার্ট (Diet chart)। তাদের খাবার-দাবার অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। সেসব খাবার মৃত্যুকে কাছেই আসতে দেয় না।

তাহলে তাদের খাদ্য তালিকায় কী কী খাবার থাকে? সামুদ্রিক মাছ, মাংস থেকে ফল, সব্জি সবকিছুই খান তাঁরা। তাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকে শস্যদানাও। আর প্রতিটি খাদ্য একেবারে মেপে মেপে খান জাপানিরা। অর্থাৎ নির্দিষ্ট করা থাকে খাদ্যের পরিমাণ।

তাই প্রোটিন থেকে ভিটামিন, তাদের শরীরে সেভাবে কিছুর অভাব ঘটে না। এই খাদ্যাভ্যাসই তাদের দীর্ঘায়ুর প্রধান কারণ। তাইতো মৃত্যুও তাদের থেকে অনেকটাই দূরে থাকে।

এই দীর্ঘায়ুর জন্য জাপান কিন্তু বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল। প্রায় ১১৩ বছর বেঁচে রেকর্ড গড়েছিলেন জাপানেরই চিতেতসু ওয়াতানাবে। তিনিই বিশ্বের বয়স্কতম পুরুষ। দীর্ঘায়ুর রহস্য ফাঁস করে তিনি বলেছিলেন, খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি হাসিখুশি থাকাও খুব জরুরি। তাই বেশিদিন বাঁচার জন্য হাসিখুশি থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।

কানে তানাকার কথা শুনেছেন নিশ্চয়। বিশ্বের বয়স্কতম মানুষ হলেন ইনি। বেঁচে ১১৮ বছরেরও বেশি। এই মহিলাও কিন্তু জাপানের বাসিন্দা।

এমন ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে জাপানে। তাদের দীর্ঘায়ুর গল্প বলতে গেলে হয়ত শেষই হবে। তবে এটুকু বলা যেতেই পারে যে, এই দীর্ঘায়ুর পেছনে কিন্তু খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্রঃ এমটিনিউজ

শনিবার, ১২ জুন, ২০২১

চীনে বাংলাদেশের রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনাঃ তৈরি পোশাকের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি

চীনে বাংলাদেশের রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনাঃ তৈরি পোশাকের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি

 



ঢাকা, ১২ জুন,২০২১: বিপুল জনসংখ্যার কারণে রফতানির পাশাপাশি পণ্য আমদানিরও শীর্ষ দেশ চীন। গত বছর চীন ২ দশমিক ৪৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করেছে। অথচ এই বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব মাত্র ০.০৫ শতাংশ।

সম্প্রতি বাংলাদেশকে দেওয়া শুল্কমুক্ত সুবিধা এবং দেশটি থেকে অগ্রাধিকামূলক বাণিজ্য সুবিধা (এফটিএ) নিতে পারলে বাংলাদেশের জন্য চীনের বাজারে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চীনের আমদানি বাজারের কেবল ১ শতাংশ দখল করতে পারলেই বাংলাদেশ বছরে ২৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করতে পারবে। দেশটিতে বর্তমানে ১ বিলিয়ন ডলারের কম মূল্যের পণ্য ও সেবা রফতানি করে বাংলাদেশ।

বুধবার ‘বাংলাদেশ-চায়না ইকোনমিক এন্ড ট্রেড রিলেশনস ইন দি আফটারমাথ অফ দি কোভিড-১৯ গ্লোবাল পেন্ডামিক’ বিষয়ক ভার্চুয়াল আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (বিসিসিসিআই) যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনসী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম ও চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান।

আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বিসিসিসিআই সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা, ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী, বিসিসিসিআই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা ও সিনিয়র সহসভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) শাহ মো. সুলতান উদ্দীন ইকবাল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

মূল প্রবন্ধে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতা বলছে ২০২৮ সালে চীন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ হবে। অন্যদিকে চীন এখনই বিশ্বের সবচেয়ে বড় রফতানিকারক দেশ। দেশটি বর্তমান বৈশ্বিক রফতানি বাণিজ্যের এক তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। রফতানির পাশাপাশি চীনের আমদানি বাজারও বেশ বড়। সর্বশেষ বছরে দেশটি ২ দশমিক ৬৯ ট্রিলিয়ন ডলার রফতানির বিপরীতে ২ দশমিক ৪৮ ট্রিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। বিপুল ভোক্তা বাজারে বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, চীন বৈশ্বিক বাজার থেকে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করছে বাংলাদেশ এখন তার মাত্র ০.০৫ শতাংশ সরবরাহ করছে। এটি যদি ১ শতাংশে উন্নীত করা যায় তবে চীনের বাজারে অতিরিক্ত ২৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি সম্ভব।

এ ক্ষেত্রে তৈরি পোশাকের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে ড. রাজ্জাক বলেন, তৈরি পোশাকের বাজারের জন্য চীন একটি বড় আমদানি কেন্দ্র হিসাবে রুপান্তরিত হচ্ছে। চীনের পোশাক বাজারের ৭ শতাংশ বতর্মানে বাংলাদেশের দখলে। যেখানে ভিয়েতনামের দখলে ১৯ শতাংশের বেশি। এখানে একটু নজর দিলেই বড় বাজার খুজে পাবে বাংলাদেশ।”

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশটিতে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিপুল সুযোগ রয়েছে। চীন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বড় অংশীদার। গত বছর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে মোট বাণিজ্য ছিল ১২ দশমিক শুণ্য ৯ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে চীন থেকে বাংলাদেশের আমদানি ছিল ১১ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন এবং চীন থেকে বাংলাদেশের রফতানি ৬০ মিলিয়ন। উভয় দেশের বর্তমান বাণিজ্য সম্পর্ক চীনের পক্ষে। ২০২০ সালে চীন আমাদের জন্য ৯৭ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশও বাণিজ্যে সুবিধা নিতে পারবে বলে তিনি মনে করেন।

টিপু মুনশি বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় উ আমরা এফটিএ নিয়ে কথা বলেছি। এর কিছু অগ্রগতিও রয়েছে। তবে এটি দ্রুত বাস্তবায়নে আমাদের আরও জোরালো প্রচেস্টা চালাতে হবে। স্বল্পোন্নত দেশের উত্তোরণের আগেই এটি হবে এবং বাংলাদেশ এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, বাংলাদেশে চীনের বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে। অপরদিকে বার্ংলাদেশের জন্যও চীনের বাজারে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীর সম্পর্ক বহুদিনের। গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশকে ৯৭ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করেছে চীন। তাই সেখানকার বাজারে বাংলাদেশের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

তিনি জানান, গত বছর বাংলাদেশ থেকে চীনের পণ্য আমদানি ২৮ শতাংশ বেড়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি আরও বাড়বে। তখন দুই দেশের বানিজ্যে সমতা তৈরি হবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়াতে বিদ্যমান শুল্কমুক্ত সুবিধা ছাড়াও এফটিএর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে এর জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আরও বেশি কাজ করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

লি জিমিং আরও বলেন, এই মুহুর্তে চীনের অভ্যন্তরে করোনা টিকার বিপুল চাহিদা। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সরবরাহও খুব সীমিত। এর মধ্যেও বন্ধুত্বের কারণে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। তিনি জানান, ইতোমধ্যে সিনোফার্মের ৫ লাখ টিকা উপহার দেওয়া হয়েছে। সিনোভ্যাকের উপহারের আরো ৬ লাখ টিকা আসার অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন চীনের টিকা ক্রয়ের বিষয়টি নিয়ে অপেক্ষা করছি। বাংলাদেশ-চীন যৌথ উৎপাদনের আলোচনার অগ্রগতিও আশাব্যঞ্জক’।

অনুষ্ঠানে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, চীন-বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক প্রাচীণকাল থেকেই। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের অবকাঠামো, টেলি যোগাযোগ, বিদ্যুৎ-জ্বালানীসহ প্রায় সব খাতেই চীনের বিনিয়োগ এসেছে বলে তিনি জানান।

ব্যথা তাড়াতে আকুপ্রেশার

ব্যথা তাড়াতে আকুপ্রেশার


লেখা:আলমগীর আলম

আমাদের সমাজে এখন প্রধান একটি ব্যাধি হলো শরীরজুড়ে ব্যথা। কারও কোমরে ব্যথা তো কারও হাঁটু কিংবা ঘাড়ে; কারও গোঁড়ালিতে তো কারও পিঠে। ব্যথা নানা পেশিতে, হাড়ে বা জয়েন্টে। তার সঙ্গে কমন একটি ব্যথা হচ্ছে মাথাব্যথা। ব্যথা কমানোর জন্য ভূরি ভূরি ব্যথানিরোধক ওষুধ বা পেইনকিলার আমরা খেয়ে থাকি। এর সঙ্গে আছে নানা ধরনের প্রলেপ দেওয়ার নামে মলম–জাতীয় ওষুধ। যতক্ষণ ওষুধের ক্রিয়া আছে, ততক্ষণ ভালো আর ক্রিয়া শেষ হলেই ব্যথা আবার ফিরে আসে। মানুষ অধৈর্য হয়ে পড়ে আর ব্যথা বাড়তে থাকে, নানা ধরনের এক্সাসাইজেও চেষ্টার কমতি থাকে না। কিন্তু ব্যথা থেকেই যায়।

ব্যথার জন্য প্রচলিত চিকিৎসা ছাড়াও বিকল্প চিকিৎসা আকুপ্রেশার দিয়ে ব্যথা কমানো যায়। এর ভালো দিক হচ্ছে, নিজে নিজেই ব্যথা কমানোর জন্য আকুপ্রেশার করা যায়। শুধু হাত দিয়ে নিজেই আকুপ্রেশার করে অনেক জটিল সমস্যা সমাধান করা সম্ভব!

কোমরে ব্যথার নানা কারণ

আমরা সাধারণত দেখে থাকি, মেরুদণ্ডের মাংসপেশি, লিগামেন্ট মচকানো বা আংশিক ছিঁড়ে যাওয়া, মেরুদণ্ডের মধ্যবর্তী ডিস্ক সমস্যা, ডিস্কের অবস্থান পরিবর্তনের কারণে কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে। চলাফেরা, খুব বেশি ভারী ওজন তোলা, মেরুদণ্ডের অতিরিক্ত নড়াচড়া, টানা বসে বা দাঁড়িয়ে কোনো কাজ করা, কম্পিউটার ও মোবাইল অধিক হারে ব্যবহার, মেরুদণ্ডে আঘাত পাওয়া, সর্বোপরি কোমরের অবস্থানগত ভুলের জন্য ব্যথা হয়।

অন্যান্য কারণের মধ্যে বয়সজনিত মেরুদণ্ডের ক্ষয় বা বৃদ্ধি, অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা গেঁটেবাত, অস্টিওপোরেসিস বা হাড়ক্ষয়, এনকাইলজিং স্পনডাইলাইটিস, মেরুদণ্ডের স্নায়ুর সমস্যা, টিউমার, ক্যানসার, বোন টিবি, কোমরের মাংসে সমস্যা, বিভিন্ন ভিসেরার রোগ বা ইনফেকশন, বিভিন্ন স্ত্রীরোগজনিত সমস্যা, মেরুদণ্ডের রক্তবাহী নালির সমস্যা, অপুষ্টিজনিত সমস্যা, অতিরিক্ত ওজন ইত্যাদি।

মুক্তিদিতে পারে আকুপ্রেসার

আকুপ্রেশার হচ্ছে শরীরে অভ্যন্তরে প্রবাহমান জৈববিদ্যুৎ দ্বারা চালিত একটি চিকিৎসাপদ্ধতি, যা নিজেই নিজের চিকিৎসা করতে পারবেন। শুধু নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্টে চাপ দিলেই ঠিক নির্দিষ্ট স্থানের ব্যথা কমে আসে। এখনো এটা নিয়ে বিস্তর নিরীক্ষা হয়নি, তবে নানা উপায়ে স্বীকার করা হচ্ছে, আকুপ্রেশার কার্যকর একটি চিকিৎসাপদ্ধতি। বিশেষ করে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত পেইন ম্যানেজমেন্ট থেরাপি। উন্নত বিশ্বে এখন বিভিন্ন থেরাপি সেন্টারে আকুপ্রেশার স্থান করে নিয়েছে।


যেভাবে আকুপ্রেশার শুরু করবেন

আপনার শরীরে যে ব্যথাই থাকুক, দুই হাতের তালুতে দুই মিনিট ঘষতে হবে, যাতে হাতের তালু দুটি গরম হয়ে যায়, তারপর গরম হাত দুটি এক হাত অন্য হাতে চাপ দিতে হবে, এতে সময় নেবেন তিন মিনিট। এবার কোমরের ব্যথার জন্য ইনডেক্স ফিঙ্গার বা তর্জনির উপরিভাগে কবজি থেকে নখ পর্যন্ত আস্তে আস্তে করে চাপ দিতে হবে। বিশেষ করে বৃদ্ধাঙ্গুল ও তর্জনি যেখানটায় মিলেছে, সেখানে চাপ দিলে ব্যথা অনুভব হবে। ঠিক যেখানে ব্যথা অনুভূত হবে, সেখানে নিয়মিত এক শ চাপ দিতে হবে। একটি চাপের সঙ্গে আরেকটি চাপের মধ্যে দুই সেকেন্ড বিরতি দিয়ে চাপ দিতে হবে। ঠিক ছবিতে দেওয়া চিহ্নে চাপ দিতে হবে। দুই হাতে একই নিয়মে আকুপ্রেশার করতে হবে। সারা দিনে দুইবার খালি পেটে নিয়মিত আকুপ্রেশার করলে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।

যাঁদের হাঁটুতে ব্যথা আছে, তাঁরা কোমরের পয়েন্ট ছাড়াও কড়ে আঙুলের নখের সাইড থেকে কবজির হাড় পর্যন্ত সাইড দিয়ে বৃদ্ধ আঙুল দিয়ে চাপ দিলে ব্যথা পাওয়া যাবে, যা হাঁটুর পয়েন্ট হিসেবে ধরা হয়। বিশেষ করে কবজির উপরিভাগে এবং ঠিক কড়ে আঙুলের শুরু হয়েছে, এমন স্থানে চাপ দিলে কাঁধে ব্যথা আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। ঠিক এই সাইডে ওপর থেকে নিচে প্রতিটি স্থানে চাপ দিয়ে নামতে হবে, এভাবে এক শ বার করে দুই হাতে চাপ দিলে হাঁটু, হাতের কনুই ও কাঁধে ব্যথা কমে আসবে। এটাও দুই হাতে সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে শোয়ার আগে নিয়মিত আকুপ্রেশার করতে হবে।

মনে রাখা প্রয়োজনযেহেতু আক্রান্ত হাতও আপনার, মুক্তির হাতও আপনার। তাই বলে সারা দিন হাত চাপা যাবে না। নিয়মিত ডোজের মতো করে সকালে খালি পেটে ও রাতে শোয়ার আগে উত্তম সময়। অফিসে যাওয়া ও আসার সময় গাড়িতে বসে আকুপ্রেশার করতে পারবেন। দিনে দুই বেলার বেশি নয় এবং সপ্তাহে ছয় দিন আকুপ্রেশার করুন। এক দিন বিরতি দিন। তাতে উপকার বেশি পাবেন। নিয়মিত আকুপ্রেশার করলে হাত ঝিনঝিন করা, অবশ হয়ে যাওয়া ও নিউরোজনিত সমস্যায় আকুপ্রেশার অনেক উপকারে আসে।

আদা-জল উত্তম পথ্য

ব্যথা কমাতে আদা-জল খেয়ে লাগার প্রয়োজন নেই। তবে প্রাকৃতিক নিয়মে ব্যথা কমানোর জন্য আদা-জল হতে পারে উত্তম পথ্য। প্রতিদিন দুই বেলা খাওয়ার আধা ঘণ্টা পর এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ আদার রস দিয়ে জ্বাল দিয়ে সেটা চায়ের মতো করে খেলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে হজমজনিত সমস্যারও উপশম হয়।

আধুনিক এই যুগেও কোমরব্যথা একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বাস্থ্যসমস্যা। এ সমস্যার সমাধানে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।

লেখক: খাদ্য, পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ। 

বাংলাদেশের পুঁজিবাজার আবার বিশ্বের শীর্ষ তালিকায়

বাংলাদেশের পুঁজিবাজার আবার বিশ্বের শীর্ষ তালিকায়

 


নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বের অন্যান্য পুঁজিবাজারগুলোকে পেছনে ফেলে ফের সেরা তালিকায় স্থান করে নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। রিটার্নের দিক দিয়ে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বিশ্বের শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে।

সম্প্রতি ফ্রন্টিয়ার জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারি করোনার সময়ে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের পুঁজিবাজার থেকে রিটার্ন পেয়েছে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়া পাকিস্তান ৮ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ভিয়েতনাম ৭ দশমিক ২ শতাংশ, চায়না ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, ফিলিপাইনস ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, কাজাকিস্তান ৪ দশমিক ৭ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ২ দশমিক ৫ শতাংশ, থাইল্যান্ড শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।

জার্নালটির প্রতিবেদন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম জানান, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোর মাধ্যমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রড ইনডেক্স মে মাসে বড় ধরনের উত্থান হয়েছে। ফলে বিশ্ব সেরা পারফর্মেন্স সূচকগুলোতে শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে ব্যাংক সুদের হার কম, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ইতিবাচক ধারার কারণে রিটার্নের দিক দিয়ে সেরা তালিকায় পৌঁছেছে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এর নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাজার ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হচ্ছেন। ফলে বাজারে সূচক ৬ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করে রেকর্ড গড়েছে। এমন বাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা ভালো রিটার্ন পেয়েছেন। এছাড়া বর্তমান কমিশন বাজারের উন্নয়নে নানা ধরনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বহুজাতিক, সরকারি ও দেশি-বিদেশি ভালো মৌলভিত্তিক কোম্পানি তালিকাভুক্তির চেষ্টা করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে কমিশন। এসব কাজের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে পারলে ভবিষ্যতেও সেরা তালিকায় স্থান ধরে রাখতে পারবে বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারির গত বছর সেপ্টেম্বরে ও অক্টোবরে মাসে বিশ্বের সেরা স্থান দখল করেছিল বাংলাদেশের পুঁজিবাজার।