শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১

পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে ছাড়ালো ভিয়েতনাম

পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে ছাড়ালো ভিয়েতনাম

 

বিশ্বে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে পিছনো ফেলে এগিয়ে গেলো ভিয়েতনাম। শীর্ষের দ্বিতীয় অবস্থানে ভিয়েতনাম আর বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে। আগের মতোই চীন প্রথম স্থান দখলে রেখেছে। ‍ভিয়েতনামের সাথে বাংলাদেশের ব্যবধান মাত্র ১০০কোটি ডলার।

আমার প্রত্যাশা, চলতি বছরেই আবার বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে চলে যেতে পারবে

        ফজলুল হক, সাবেক সভাপতি, বিকেএমইএ

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিকস রিভিউ ২০২১ প্রতিবেদনে গতকাল শুক্রবার দেখা যায়, ২০২০ সালে ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে ভিয়েতনাম। আর বাংলাদেশ ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার পোশাক রপ্তানি করেছে। অথচ তার আগের বছর বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। তখন ভিয়েতনামের রপ্তানি ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার ছিল। আর ২০২০ সালে চীন সবচেয়ে বেশি ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে।

অবশ্য বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকেরা বলছেন, করোনা মহামারির কারণে গত বছর মাসখানিক পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। সে সময় পণ্য রপ্তানি হয়নি। অনেক ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে। ফলে বন্ধের পর কারখানা খুললেও ক্রয়াদেশ কম ছিল। সে কারণে সহজেই ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে পেছনে ফেলতে পারে।

ডব্লিউটিওর হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশসহ শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারক দেশ ৩৭ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। সামগ্রিকভাবে তাদের রপ্তানি কমেছে ১২ শতাংশ। ২০১৯ সালে শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারক দেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪১ হাজার ১০০ কোটি ডলারের। আবার গত বছর সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে ইইউভুক্ত দেশগুলো। দ্বিতীয় শীর্ষ যুক্তরাষ্ট্র আমদানি করেছে ৯ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের পোশাক। তা ছাড়া জাপান ৩ হাজার ও যুক্তরাজ্য ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে।

সূত্রঃ আরটিভিনিউজ

জেনে নিন কে এই হেলেনা জাহাঙ্গীর?

জেনে নিন কে এই হেলেনা জাহাঙ্গীর?

 

বিভিন্ন সময় নানা ভাবে আলোচনা-সমালোচনায় আসা হেলেনা জাহাঙ্গীরকে র‍্যাব গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাতে গুলশানের নিজ বাসা থেকে আটক করে। কখনও ব্যবসায়িক আবার কখনও রাজনীতিবিদ হিসেবে আলোচনায় আসেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। তার আসল নাম হেলেনা আক্তার। ১৯৯০ সালে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করলে নামের সঙ্গে যুক্ত হয় জাহাঙ্গীর। তিনি তিন সন্তানের জননী।

হেলেনা ১৯৭৪ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকার তেজগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মরহুম আবদুল হক শরীফ ছিলেন জাহাজের ক্যাপ্টেন। জন্ম কুমিল্লায় হলেও বাবার চাকরির সুবাধে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামের হালিশহরের মাদারবাড়ী, সদরঘাট এলাকায়। পড়াশোনা স্থানীয় কৃষ্ণচূড়া স্কুলে। চাকুরি সূত্রে তার বাবা প্রমোশনাল প্রস্তাব পেয়ে রাশিয়ায় চলে গেলে মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়ি ফিরে যান হেলেনা।

অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে তার বিয়ে হয় হেলেনার। স্বামীর সংসারে হেলেনা জাহাঙ্গীর পড়াশোনা অব্যাহত রাখেন; শেষ করেন স্নাতকোত্তর। এরপর শুরু করেন তার উদ্যোক্তা জীবন।

বেশকিছু দিন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সমাজ সেবক সিস্টার হেলেনা জাহাঙ্গীর নামে পরিচিতি পান। সমাজ সেবক ও নারী উদ্যোক্তা হিসেবে বিভিন্ন সময় মিডিয়ায় টকশোতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এছাড়াও প্রায় এক ডজন সামাজিক সংগঠনের নেতৃস্থানীয় দায়িত্বে রয়েছেন হেলেনা। রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছে তার দাপুটে উত্থান ও পদচারণ।

মিডিয়ায় হেলেনা জাহাঙ্গীর আলোচনায় আসেন সফল নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী হিসেবে। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নিজেও একটি জয়যাত্রা আইপি টিভি চালু করেন। জয়যাত্রা গ্রুপের কর্ণধার হেলেনা জাহাঙ্গীর নিজেকে আইপি টিভি ও নার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবেও পরিচয় দেন।

হেলেনা জাহাঙ্গীর ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সদস্য ও নির্বাচিত পরিচালক। পোশাক শিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএরও সক্রিয় সদস্য তিনি। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুরস্কৃতও হয়েছেন রোটারি ক্লাবের একজন ডোনার হিসেবে। প্রিন্টিং, অ্যামব্রয়ডারি, প্যাকেজিং, স্টিকার এবং ওভেন গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে। জয়যাত্রা গ্রুপের আওতায় এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। সব মিলিয়ে ১২ হাজার কর্মী কাজ করছেন তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে।

হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন। সাম্প্রতিক ঘটনার পর তাকে ওই কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়। কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কয়েকটি বিদেশযাত্রার সফরসঙ্গীও হয়েছিলেন তিনি।

মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচিত লাভ করা হেলেনা জাহাঙ্গীর বিভিন্ন সময়ে দেশজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত হন তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে। সর্বশেষ আওয়ামী লীগে সহযোগী সংগঠন হিসেবে ‘চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের সম্পৃক্ততায় কারণে আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে।

রাজনীতিতে বর্তমানে আওয়ামী সম্পৃক্ত হলেও এর আগে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির রাজনীতিতে সংশ্লিষ্টতার খবর পাওয়া যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দুটি দলের প্রধান খালেদা জিয়া ও হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের সঙ্গে হেলেনা জাহাঙ্গীরের ছবি প্রকাশ পেয়েছে।

২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে হেলেনা জাহাঙ্গীর প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্বাচন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তখন তিনি দাবি করতেন, তার কোনো রাজনৈতিক দল নেই। তিনি স্বতন্ত্র রাজনীতি করতে চান। যদিও পরে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

হেলেনা জাহাঙ্গীরের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে গুলশান ক্লাব, গুলশান নর্থ ক্লাব, বারিধারা ক্লাব, কুমিল্লা ক্লাব, গলফ ক্লাব, গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাব, বিজিএমইএ অ্যাপারেল ক্লাব, বোট ক্লাব, গুলশান লেডিস ক্লাব, উত্তরা লেডিস ক্লাব, গুলশান ক্যাপিটাল ক্লাব, গুলশান সোসাইটি, বনানী সোসাইটি, গুলশান জগার্স সোসাইটি ও গুলশান হেলথ ক্লাবের সঙ্গে।

সূত্রঃ latestbdnews.com

শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১

১০০ কেজির লেহেঙ্গা পরে বিয়ের পিঁড়িতে পাকিস্তানের কনে! (ভিডিও)

১০০ কেজির লেহেঙ্গা পরে বিয়ের পিঁড়িতে পাকিস্তানের কনে! (ভিডিও)

 



কে বলেছে মহামারি করোনাভাইরাসের আবহে শুধুমাত্র পরিবারের কয়েকজন সদস্যদের নিয়েই বিয়ের পর্ব সম্পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে? করোণাকালে বিয়েবাড়িতে কোনও জাঁকজমক নেই?

সম্প্রতি পাকিস্তানের এক বিয়ের ভিডিও দেখলে অবাকই হতে হবে। কারণ সেখানে দেখা যাচ্ছে ১০০ কেজি ওজনের লেহেঙ্গা পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসে আছেন কনে। যার ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে খুব বিশেষ সময় লাগেনি।

ভিডিওটি দেখে সবারই প্রশ্ন একটাই, এত ভারি এবং বড় লেহেঙ্গা কী করে সামলালেন ওই কনে? কারণ ১০০ কেজি ওজনের লেহেঙ্গা পরা কোনোভাবেই সাধারণ বিষয় নয়। বিয়ের বাসরে আসা অতিথিরাও অবাক হয়ে গেছেন কনের এমন কাণ্ড দেখে।

বিয়েতে আসা অতিথিরা প্রত্যেকেই জানিয়েছে, এমন বিশাল লেহেঙ্গা তারা আগে কখনই দেখেননি। আর শুধু ওজনে বেশি বা বিশাল আকৃতির জন্য নয়, লেহেঙ্গাটি দেখতেও অত্যন্ত সুন্দর। হাতের সেলাইয়ের কাজে ঝলমল করছিল লেহেঙ্গাটি ৷ 

বলাই বাহুল্য, ওই বিয়েতে সবাই কনের চেয়ে তার লেহেঙ্গা দেখতেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন।

৬৬ প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে  জাতীয় রপ্তানী ট্রফি এর মধ্যে পুঁজি বাজারের ৯টি

৬৬ প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে জাতীয় রপ্তানী ট্রফি এর মধ্যে পুঁজি বাজারের ৯টি

 

ঢাকা, ৩০ জুলাইঃ পণ্য রপ্তানিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য জাতীয় রপ্তানি ট্রফি (পদক) পাচ্ছে ৬৬টি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে রয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় প্রতিষ্ঠান।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রপ্তানি ট্রফি পাওয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-এনভয় টেক্সটাইল-স্বর্ণ, এপেক্স ট্যানারি-স্বর্ণ, প্রাণ ডেইরি-স্বর্ণ, শাইনপুকুর সিরামিকস-স্বর্ণ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস-স্বর্ণ, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস-রৌপ্য, এনার্জিপ্যাক-স্বর্ণ, স্কয়ার টেক্সটাইল-রৌপ্য এবং বিএসআরএম স্টিলস-স্বর্ণ।

গতকাল (২৯ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খন্দকার সাদিয়া আরাফিন স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের ভিত্তিতে এ বছর সেরা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পাচ্ছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড। পুরস্কারটির নাম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি’।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কার এবারই প্রথম চালু করা হয় এবং এখন থেকে প্রতিবছরই এটি দেওয়া হবে। জাবের অ্যান্ড জোবায়ের আগেও টানা পঞ্চমবার সেরা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পেয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য সেরা রপ্তানিকারকদের নির্বাচিত করার কাজ গত বছরই শেষ করা হয়েছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ এসে পড়ার কারণে তা ঘোষণা করা হয়নি। কোভিড-এর কার পুরুষ্কার  ১৭-১৮ অর্থ বছরের মধ্যেই ঠেকে আছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, তৈরি পোশাক (ওভেন) খাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছে রিফাত গার্মেন্টস লিমিটেড। এ ছাড়া রৌপ্যপদক পাচ্ছে এ কে এম নিটওয়্যার লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছে তারাশিমা অ্যাপারেলস।

তৈরি পোশাক (নিটওয়্যার) খাতে স্বর্ণপদক স্কয়ার ফ্যাশনস লিমিটেড। রৌপ্য পাচ্ছে ফোর এইচ ফ্যাশনস এবং ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছে জি এম এস কম্পোজিট নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ।

সব ধরনের সুতা খাতে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পাচ্ছে যথাক্রমে বাদশা টেক্সটাইল লিমিটেড কামাল ইয়ার্ন লিমিটেড এবং নাইস কটন লিমিটেড।

টেক্সটাইল ফেব্রিকস খাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছে এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেড। এ ছাড়া রৌপ্যপদক পাচ্ছে নোমান উইভিং মিলস এবং ফোর এইচ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং।

হোম ও বিশেষায়িত টেক্সটাইল পণ্য খাতে স্বর্ণ ও রৌপ্যপদক পাচ্ছে যথাক্রমে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড ও এসিএস টেক্সটাইল (বাংলাদেশ) লিমিটেড। টেরিটাওয়েল খাতে একমাত্র স্বর্ণপদক পাচ্ছে নোমান টেরিটাওয়েল মিলস লিমিটেড।

হিমায়িত খাদ্যপণ্য খাতে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদকের জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো যথাক্রমে বিডি সি ফুড, এম ইউ সি ফুড এবং জালালাবাদ ফ্রোজেন ফুডস লিমিটেড।

কাঁচা পাটপণ্য খাতে একমাত্র স্বর্ণপদক পাচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল জুট ট্রেডার্স। পাটজাত পণ্যে স্বর্ণপদক পাচ্ছে আকিজ জুট মিলস লিমিটেড এবং রৌপ্যপদক পাচ্ছে দ্য গোল্ডেন ফাইবার ট্রেড সেন্টার লিমিটেড।

ক্রাস্ট বা ফিনিশড চামড়া পণ্য খাতে একমাত্র স্বর্ণপদক পাচ্ছে অ্যাপেক্স ট্যানারি। চামড়াজাত পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছে পিকার্ড বাংলাদেশ লিমিটেড, রৌপ্যপদক পাচ্ছে এবিসি ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছে বিবি জে লেদার গুডস লিমিটেড।

ফুটওয়্যার (সব) খাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছে বে-ফুটওয়্যার লিমিটেড, রৌপ্যপদক পাচ্ছে এফবি ফুটওয়্যার লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছে অ্যালায়েন্স লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার লিমিটেড।

কৃষিজ পণ্য (তামাক ব্যতীত) খাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছে মনসুর জেনারেল ট্রেডিং লিমিটেড, রৌপ্যপদক পাচ্ছে হেরিটেজ এন্টারপ্রাইজ এবং ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছে আবদুল্লাহ ট্রেডিং।

কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য (তামাক ব্যতীত) খাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছে প্রাণ ডেইরি লিমিটেড, রৌপ্যপদক পাচ্ছে প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছে হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো লিমিটেড।

হস্তশিল্পজাত পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছে কারুপণ্য রংপুর লিমিটেড, রৌপ্যপদক পাচ্ছে ক্ল্যাসিক্যাল হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট বিডি এবং ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছে বিডি ক্রিয়েশন।

প্লাস্টিক পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছে বেঙ্গল প্লাস্টিকস লিমিটেড ইউনিট-৩, রৌপ্যপদক পাচ্ছে অল প্লাস্ট বাংলাদেশ লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছে তানভীর পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

তৈরি পোশাক (ওভেন) খাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছে রিফাত গার্মেন্টস লিমিটেড। এ ছাড়া রৌপ্যপদক পাচ্ছে এ কে এম নিটওয়্যার লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছে তারাশিমা অ্যাপারেলস।

সিরামিক শিল্প খাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পাচ্ছে আর্টিসান সিরামিকস লিমিটেড।

হালকা প্রকৌশল খাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছে ইউনিগ্লোরি সাইকেল কম্পোনেন্ট লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পাচ্ছে রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ইউনিট-২।

ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছে এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পাচ্ছে বি আর বি কেব্‌ল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

অন্যান্য শিল্পজাত পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছে বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড, রৌপ্যপদক পাচ্ছে মেরিন সেফটি সিস্টেম এবং ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছে এশিয়া মেটাল মেরিন সার্ভিস।

ওষুধ পণ্যে স্বর্ণপদক পাচ্ছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পাচ্ছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন (‘সি’ ক্যাটাগরি) তৈরি পোশাকশিল্পে (নিট ও ওভেন) স্বর্ণপদক পাচ্ছে ইউনিভার্সেল জিনস লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পাচ্ছে প্যাসিফিক জিনস লিমিটেড।

ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন (‘সি’ ক্যাটাগরি) অন্যান্য পণ্য ও সেবা খাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছে ফারদিন এক্সেসরিজ লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পাচ্ছে আর এম ইন্টারলাইনিংস লিমিটেড।

প্যাকেজিং ও এক্সেসরিজ পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছে মনট্রিমস লিমিটেড, রৌপ্যপদক পাচ্ছে এম অ্যান্ড ইউ প্যাকেজিং লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছে ইউনিগ্লোরি প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

অন্যান্য প্রাথমিক পণ্যে স্বর্ণপদক পাচ্ছে অর্কিড ট্রেডিং করপোরেশন, রৌপ্যপদক পাচ্ছে ইকো ফ্রেশ ইন্টারন্যাশনাল এবং ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছে বাং চুং ট্রেড অ্যান্ড ট্যুরিজম। অন্যান্য সেবা খাতে একমাত্র স্বর্ণপদক পাচ্ছে মীর টেলিকম লিমিটেড।

নারী উদ্যোক্তা বা রপ্তানিকারকদের জন্য সংরক্ষিত খাতে (পণ্য ও সেবা) স্বর্ণপদক পাচ্ছে স্কয়ার টেক্সটাইলস লিমিটেড, রৌপ্যপদক পাচ্ছে আল-সালাম ফেব্রিকস প্রাইভেট লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছে ইব্রাহিম নিট গার্মেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড।

সূত্রঃ ‍শেয়ারনিউজ২৪.কম ও Bangi News

সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১

ন্যাভ-এর অর্ধেকের নীচে দর যে সব শেয়ারের

ন্যাভ-এর অর্ধেকের নীচে দর যে সব শেয়ারের

 



আমাদের পুঁজিবাজারে মোট ২২টি সেক্টর আছে যার মোট কোম্পানীর সংখ্যা ৩৮৯টি, এর মধ্যে বেশ কিছু ভালো শেয়ার আছে যার দর ন্যাভ বা সম্পদ মূল্যের অর্ধেকেরও নীচে অবস্থান করছে। দেখে নিতে পারেন সেগুলো বাড়ার সম্ভাবনা আছে কি নেই, কোম্পানিগুলো হলো-

এবি ব্যাংকঃ ৩১ মার্চ ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৩৬ পয়সা। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ টাকা ৯০ পয়সায়।

আফতাব অটোমোবাইলঃ ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৯ টাকা ৩২ পয়সা। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩২ টাকা ৪০ পয়সায়।

হামিদ ফেব্রিকসঃ সর্বশেষ প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের (জনুয়ারি’২১-মার্চ‘২১) অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৩৮ টাকা ২৪ পয়সা। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৯ টাকা ৮০ পয়সা।

লিবরা ইনফিউশনঃ ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের নিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য এক হাজার ২৬৯ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫৭৭ কেটা ৫০ পয়সা।

ন্যাশনাল ব্যাংকঃ সর্বশেষ প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ‘২১) অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১৭ টাকা ৮ পয়সা। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭ টাকা ৮০ পয়সা।

পাওয়ারগ্রীডঃ সর্বশেষ প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের (জনুয়ারি’২১-মার্চ‘২১) অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১২২ টাকা ১৬ পয়সা। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫১ টাকা।

প্রাইম টেক্সটাইলঃ সর্বশেষ প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের (জনুয়ারি’২১-মার্চ‘২১) অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৬৫ টাকা ১৬ পয়সা। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ২১ টাকা ৯০ পয়সা।

রিজেন্ট টেক্সটাইলঃ সর্বশেষ প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের (জনুয়ারি’২১-মার্চ‘২১) অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ২৭ টাকা ২৩ পয়সা। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১ টাকা।

সায়হাম কটনঃ সর্বশেষ প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের (জনুয়ারি’২১-মার্চ‘২১) অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৩৬ টাকা ৬৫ পয়সা। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৮ টাকা ১০ পয়সা।

তিতাস গ্যাসঃ সর্বশেষ প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের (জনুয়ারি’২১-মার্চ‘২১) অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৭১ টাকা ৩৯ পয়সা। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩৭ টাকা ৭০ পয়সা।

ইউনিট হোটেল এন্ড রিসোর্টঃ সর্বশেষ প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের (জনুয়ারি’২১-মার্চ‘২১) অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৭৯ টাকা ৯ পয়সা। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪৩ টাকা ৮০ পয়সা।

সূত্রঃ ডিএসই



রবিবার, ১৮ জুলাই, ২০২১

পড়ে দেখো, হাসি পায় কি না!!!

পড়ে দেখো, হাসি পায় কি না!!!

 

।। নাম বিভ্রাট ।। 
               রেজাউল করিম।

পূব গাঁয়ে ছিলরে ভাই
জোতদার এক হরলাল
গন্ড মুর্খ হলেও তাঁর
সম্পদ ছিল বেসামাল। 

দক্ষিণে ছিল মৌজাদার এক
নামটি তাঁহার হরধন,
লোকটি যেমন লম্বা চওড়া
ভিতরটা ছিল উদার মন।

দুজনের মধ্যে মিল মহব্বত
ছিলরে ভাই ঢের,
জমি ছিল কানি কানি
আরো মাছের ঘের।

জমিজমা রেকর্ডের সময়
হলো বিপত্তি মহা,
রেকর্ডে হলো নামের বিভ্রাট
যা যায়না সহা।

একের জমি রেকর্ড হলো
অন্য জনের নামে,
এই চিন্তায় দুজনের ভাই
শরীর ভিজে ঘামে।

দুজনকে ডেকে কাজী সাহেব
পরামর্শ দেন এক,
ভুমি অফিসে আবেদন করে
ফল হয় কিনা দেখ।

বাবু হরলাল এইনা শুনে 
জলদি এসে দাওয়ায় বসে,
শক্ত হাতে কলম ধরে
আরজি লিখে মনের রোষে।

বিনীত নিবেদন এইযে জনাব
আমি বাবু হরলাল হই,
হরধনের নামে রেকর্ড হয়েছে
আমার ভুঁই বিঘা তিন, দুই।

অতএব মহাশয় করছি আরজ
নামের ভুলের বিঘা দুই, তিন, 
বাবু হরধনের ধন কাটিয়া
লাল লাগাইয়া দিন। 

অনুরুপ ভেবে হরধন বাবু 
হইবে ফল এইনা আশে,
কলম চেপে আরজি লিখে 
মনোযোগ দিয়ে চেয়ারে বসে।

আপনার অধীনের দক্ষিণ গাঁয়ের
আমি বাবু হরধন হই,
হরলালের নামে রেকর্ড হয়েছে 
আমার ভুমি বিঘা তিন, দুই। 

অতএব মহাশয় করি আরজ
নামের ভুলের বিঘা দুই, তিন 
হরলাল বাবুর লাল কাটিয়া
আমার ধন লাগাইয়া দিন।

ভুমি মহাশয় পাইয়া আরজ
কপালে ওঠে চোখ,
আবেদন পড়িয়া ভুমি অফিসের
হাসেন শতেক লোক।

বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১

আগামীকাল ১৫ই জুলাই থেকে পুঁজিবাজার খোলা ১০টা থেকে ২:৩০ পর্যন্ত

আগামীকাল ১৫ই জুলাই থেকে পুঁজিবাজার খোলা ১০টা থেকে ২:৩০ পর্যন্ত

 


প্রতিবেদক : ১৪ জুলাই ২০২১: আগামীকাল ১৫ই জুলাই থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত  আবারও স্বাভাবিক নিয়মে চলবে পুঁজিবাজার অর্থাৎ ১০:০০ থেকে ২:৩০টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে,  খোলা থাকবে রোববারও। ব্যাংকের লেনদেনের সাথে সমন্বয় করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

লকডাউনের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত যে বিধিনিষেধ দিয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং কার্যক্রমের সময়সীমা বাড়ালেও রোববার সাপ্তাহিক ছুটির তালিকায় রেখেছিল। ফলে রোববার বন্ধ ছিল পুঁজিবাজারের লেনদেন।

পবিত্র ঈদের আগে বিধিনিষেধ শিথিল করায় মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। নতুন নির্দেশনায় রোববারও ব্যাংক খোলা থাকবে। ফলে ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই রোববার, ১৯ জুলাই সোমবার ব্যাংকের লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত।

বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে সমন্বয় করে পুঁজিবাজারের লেনদেনের সময় নির্ধারণ হয়ে আসছে। এবারও সেভাবেই হবে।

সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শাটডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করে। চলমান দ্বিতীয় দফার শাটডাউন শেষ হচ্ছে বুধবার। ঈদুল আজহা সামনে রেখে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিলতা থাকছে সব ধরনের বিধিনিষেধে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন নিয়ে ব্যাংকের সিদ্ধান্তের পরপরই ব্যাংক লেনদেনের সঙ্গে সমন্বয় করে পুঁজিবাজারের লেনদেনের নতুন সময়সূচি জানিয়ে আসছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম লকডাউন বা শাটডাউনে পুঁজিবাজার বন্ধ রাখার পক্ষে নন; বরং ব্যাংকের লেনদেন সময়সূচির সঙ্গে সমন্বয় রেখে পুঁজিবাজার খোলা রাখার কথা তিনি জানিয়ে আসছেন শুরু থেকেই।

মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১

লেনদেনের সময় বাড়লো পুঁজিবাজারে

লেনদেনের সময় বাড়লো পুঁজিবাজারে

 

ব্যাংকের সাথে সমন্বয় রেখে পুঁজিবাজারের লেন দেন বাড়লো। আগামী ৮ জুলাই, বৃহস্পতিবার থেকে পুঁজিবাজারে ১ ঘণ্টা লেনদেন বেশি হবে। আর এই সময়সূচি বহাল থাকবে ১৪ জুলাই, বুধবার পর্যন্ত।

আজ মঙ্গলবার (৬ জুলাই) এই বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ আ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

নতুন সময়সূচি অনুসারে, সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হবে। আর তা বেলা ২টা পর্যন্ত চলবে। বর্তমানে সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হয়ে বেলা ১ পর্যন্ত চলছে। আর ব্যাংকের লেনদেন ১০টায় শুরু হয়ে চলবে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত।

বর্ধিত লকডাউনে লেনদেনের সময় বাড়লেও বর্তমান সপ্তাহের মতো আগামী সপ্তাহেও রোববার লেনদেন বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজারে। কারণ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা কমিয়ে আনতে ব্যাংক লেনদেন রোববার বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার উর্ধমুখী হয়ে উঠায় সরকার গত ১ জুলাই থেকে পরবর্তী ৭ দিনের জন্য সর্বাত্মক লকাউন (সরকারের ভাষায় কঠোর বিধিনিষেধ) জারি করে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় লকডাউনের মেয়াদ ৭ দিন বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। এর প্রেক্ষিতে ব্যাংক লেনদেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এর সাথে মিল রেখে পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময়ও বাড়ানো হয়েছে।

সূত্রঃ অর্থসূচক

বাংলাদেশ পাঁচটি উদীয়মান দেশকে পুজিবাজারে বিনিয়োগ করার  সুযোগ দেবে

বাংলাদেশ পাঁচটি উদীয়মান দেশকে পুজিবাজারে বিনিয়োগ করার সুযোগ দেবে


নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেও এশিয়ার পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ মুনাফা দিয়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এখন অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা মণিমুক্তার মতো। এইচএসবিসি ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।

তবে ব্যাংকটি বলেছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে টাকার অভাব না থাকলেও বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় সুযোগ কম। এজন্য লাল ফিতার দৌরাত্ম্যকে দায়ি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ব্যাংকটি বলেছে, এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছে লন্ডনভিত্তিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ডন গ্লোবাল। গত মাসে তারা এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম প্রভৃতি উদীয়মান দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার সুযোগ করে দেবে, যদিও ঐতিহাসিকভাবে এই বাজারে বিনিয়োগ করা কঠিন।

ডন গ্লোবালের এই বিনিয়োগ উইন্ডোর নাম এশিয়ান গ্রোথ কাবস ইটিএফ। এর মাধ্যমে মার্কিন বিনিয়োগকারীরা এই প্রথম বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন।

বাংলাদেশ নিয়ে এই আগ্রহের কারণ হলো, ২০২০ সালে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এশিয়ার সমপর্যায়ের বাজারগুলোর মধ্যে সর্বাধিক মুনাফা দিয়েছে—২১ দশমিক ৩ শতাংশ।

লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের তথ্যানুসারে, এশিয়ার বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজার থেকে প্রাপ্ত ডিভিডেন্ডের হার নিম্নরূপ-পাকিস্তান ৫ দশমিক ২ শতাংশ, ভারত ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ৯ দশমিক ৫ শতাংশ, থাইল্যান্ড মাইনাস ৭ দশমিক ১ শতাংশ, ভিয়েতনাম ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ৫ দশমিক ২ শতাংশ, মালয়েশিয়া ৩ দশমিক ৫ শতাংশ, ফিলিপাইন মাইনাস ৮ দশমিক ৬ শতাংশ।

কাবস ইটিএফের ১৭ শতাংশই বাংলাদেশের বাজারের জন্য নির্দিষ্ট। বর্তমানে বাংলাদেশের আটটি কোম্পানিতে কাবস ইটিএফের বিনিয়োগ আছে। সেগুলো হলো ব্র্যাক ব্যাংক, গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, রেনাটা ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, সামিট পাওয়ার, ম্যারিকো ও বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই আটটি স্টকের মধ্যে গত বছর এক গ্রামীণফোন ছাড়া বাকি সব কোম্পানির শেয়ারের দাম অন্তত ২৫ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে বেক্সিমকো ও বিকনের শেয়ারের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।

লাল ফিতার দৌরাত্ম্য বলতে যা বুঝিয়েছে এইচএসবিসি

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিদেশিদের বিনিয়োগ করতে কী কী করতে হয়, তা একবার দেখে নেওয়া যাক। প্রথমে তাঁদের এক কাস্টডিয়ান ব্যাংকের বিশেষ নগদ হিসাব ও বিদেশি মুদ্রার হিসাব খুলতে হয়।

দেশে রেমিট্যান্স আনতে বা দেশ থেকে রেমিট্যান্স বাইরে নিয়ে যেতেও তা করতে হয়। এরপর তো বিও হিসাব আছেই। ব্যাপারটা হলো, দেশের বাইরে থেকে একজন মানুষের পক্ষে এত কিছু করা ঠিক সহজ কম্ম নয়।

এইচএসবিসি বলছে, অথচ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের অনেকেই সময়-সময় বলছেন, এখন ব্যাংকনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে। বাজার চাঙা করতে বিদেশি বিনিয়োগের চেয়ে ভালো কিছু হয় না।

বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে, স্টক মার্কেটে তারল্য বাড়লে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথ সুগম হয়। তবে দেশ যত উন্নতির দিকে যায়, সেই বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্তির হার ধাপে ধাপে কমতে থাকে। সে জন্য বলা যায়, বাংলাদেশ এখন পুঁজিবাজার থেকে লাভবান হওয়ার মতো আদর্শ অবস্থানে।

কিন্তু দেশের পুঁজিবাজারে তারল্যের পরিমাণ সমপর্যায়ের দেশগুলোর তুলনায় অনেকটাই কম। দেশে যেখানে গড়ে দিনে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সমমূল্যের শেয়ার হাতবদল হয়, ভিয়েতনামে তার পরিমাণ ৭১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

শনিবার, ৩ জুলাই, ২০২১

মার্কেট ভাল হবেই: শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম

মার্কেট ভাল হবেই: শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম

 

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: লোকসানে শেয়ার বিক্রি না করার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ‌্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

শনিবার (৩ জুলাই) ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ পরামর্শ দেন।

তিনি লেখেন, আমরা মার্কটকে ফ্রি ফ্লো দিতে চাই। মার্কেট ই মার্কেটকে নিয়ন্ত্রণ করবে। সম্মানিত বিনিয়োগকারীদের এখানে বুঝতে হবে যে আমি যখন পেনিকড হয়ে শেয়ার বিক্রী করি তার ক্রেতাটা কে?

তিনি বলেন, ক্রেতা যেহেতু আছে তাহলে আমি কেন বিক্রি করছি লস করে। আমাকে তো লস করে এক্ষনি বিক্রি করার দরকার নাই। অমিত একটু অপেক্ষা করতে পারি।অপেক্ষা করে আমি সময়মতো বিক্রি করবো লাভে। এইটুক ধৈর্য্য ধরতে হবে।

এবং এই মার্কেটটা লং টার্ম ইনভেস্টমেন্ট এর জায়গা এবং এখানে কিনে লসে বিক্রি করার কথা না। কিনে একটু অপেক্ষা করবেন যেইদিন প্রাইস বাড়বে সেইদিন বিক্রি করবেন। আপনি কেন অন্যের কথায় বা একটা সিচুয়েশনে আজকেই বিক্রি করতে হবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, এই আজকেই বিক্রি করতে হবে শেয়ার প্রাইস কমলে এই বিষয়টা হয়ে গেছে ইনডেক্স মাঝে মাঝে পড়ে যাওয়ার একটি কারণ। সম্মানিত বিনিয়োগকারীরা যদি একটু ধৈর্য্য ধরেন তাহলে কিন্তু সমস্যা হয়না। তাহলে একটা সুস্থ পরিবেশ পাই। আমার খুব কষ্ট লাগে অনেক বিনিয়োগকারী ভয় পেয়ে লস করছে। এখানে কিন্তু ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই।

ইনশাল্লাহ সময়ের সাথে সাথে মার্কেট অনেক সুস্থ হবে। ও অনেক ভাল হবে। তাই একটু ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে।

আর যাদের মার্জিন লোনের কারণে ফোর্স সেল হচ্ছিল তাদের জন্য আমরা মার্জিনটা বাড়িয়ে দিয়েছি। সুতরাং ফোর্স সেল এর কোন ভয় নেই। তাই পেনিক সেল না হলেই হলো এখন। মার্কেট ভাল হবেই ইনশাল্লাহ ।