সর্বশেষ

বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫

বাজার পড়ছে মানেই শেষ নয়!

বাজার পড়ছে মানেই শেষ নয়!



M R Media24: চলছে ডিভিডেন্ড মৌসুম, এ সময়ে বাজার একটু স্লো থাকে, কেউ কেউ খারাপ শেয়ারগুলো বিক্রী করে বসে থাকে ভালো ডিভিডেন্ড দেয়া শেয়ারগুলো কেনার জন্য। এতে বাজার সামান্য পড়তেই পারে! কিন্তু এই পড়াটাকে আরও ত্বরান্বিত করে কিছু দূর্বল ও ভিতু বিনিয়োগকারীরা। ভয় পেয়ে সস্তায় শেয়ার বিক্রী করে দেয় তাই শেয়ারের দরও বেশী পড়ে যায়? স্মার্ট বিনিয়োগকারী এই সুযোগগুলোকেই কাজে লাগিয়ে বেশী বেশী প্রফিট করে। একটু চিন্তা করে দেখুনতো ২/৩মাস আগে শেয়ারের যা দাম ছিলো এখন কি সেই দরে আছে? কোনো কোনো শেয়ার কিন্তু ২/৩/৪গুণও বেড়েছে, নীচে নেমেছিলো বলেই কিন্তু বেড়েছে
বাজার যখন একটানা নিচে নামে —
অনেকেই ভাবে, “সব শেষ!”
কিন্তু আসলে এখানেই নতুন শুরুর বীজ লুকিয়ে থাকে! 🌱
বড় বিনিয়োগকারীরা ভয় পায় না, তারা “ভয়ের সময়ই” চুপচাপ শেয়ার কুড়োয়।
আর ছোট বিনিয়োগকারীরা ভয় পেয়ে বিক্রি করে দেয় — এখানেই ঘটে স্মার্ট মানির খেলা!
ইতিহাস বলে —
যে সময় বাজারে সবাই ভয় পায়,
সেই সময়ই ভবিষ্যতের সবচেয়ে বড় মুনাফা তৈরী হয়।
মনে রাখুন:
“বাজারের পতন আমাদের পরীক্ষা করে —
কারা ভয় পায়, আর কারা সুযোগ দেখে।”
আপনার হাতে যদি ভালো কোম্পানির শেয়ার থাকে,
তাহলে আতঙ্ক নয় — ধৈর্যই আপনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র! মনে রাখতে হবে পতনের অন্ধকার থেকে সূর্যোদয় ঘটে অতএব ভয় কি?

কে এম মিজানুর রহমান (মানিক)
০৯.১০.২৫

 









সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫

লোভের লাল বাতি! PSI

লোভের লাল বাতি! PSI

 

লোভের লাল বাতি



।। শেয়ার টকিজ -২।।

লোভের লাল বাতি!

M R Media24: পতোনুল্লম্ফন ক্লাবের সদস্য ট্যারা মফিজ একদিন হঠাৎ ঘোষণা দিলেন, “বন্ধুরা, আমি একটা গোপন খবর পেয়েছি! ‘গরু গ্যালাক্সিকোম্পানি নাকি নতুন পণ্য আনছে!”

বোতল সাহা গলায় ঝুলানো পানির বোতল থেকে পানি খেয়ে বললেন, “তাহলে তো শেয়ার কিনতেই হবে!” গামছা ফজল কোমোরের গামছাটা আঁট শাট করে বেঁধে বললেন, “লোভে পাপ, পাপে মৃত্যুতাও কিনবো!”

ক্লাবের সবাই হুড়োহুড়ি করে শেয়ার কিনে ফেলল। পরদিন দেখা গেল, ’গরু গ্যালাক্সি’  কোম্পানীর শেয়ারের দাম পড়ে গেছে!

আমাজন কাদের (আমা ভাই) মিটিং ডাকলেন। তিনি বললেন, “এই খবরে কি PSI ছিল? মানে Price Sensitive Information?” ট্যারা মফিজ মাথা নিচু করে বললেন, “না ভাই, চায়ের দোকানে শুনেছিলাম।

সন্ধ্যা বেলায় ক্লাবঘরে আমা ভাই চেয়ারে বসে, চোখে চশমা, হাতে ক্যালকুলেটর। তিনি কইতেছেন, “এই লসের গ্যাঁড়াকলে আর পারি না রে গ্যাদা! কিছু একটা করতে হইবো…”  সোফা করিম সোফায় একটা কিল মেরে কইলো, ঠিকই কইচেন আমা ভাই, কিছু একটা করতেই অইবো!

আলো সরকারকে ডেকে আমা ভাই কইল, “আলো, যাতো বিদ্যুতের দোকান থেইকা একখান লাল বাতি, বোর্ড, সার্কিট, আর একটা বোতাম নিয়া আয়!” আলো সরকার আলোর গতিতে ছুটে সব নিয়ে ্ এলো।

ক্লাব ঘর হয়ে উঠলো গবেষণাগার, আমা ভাই বোর্ডে সার্কিট বসায়, সেইটা আবার কম্পিউটারের স্টক চার্টের সাথে যুক্ত করে, দেয়ালে লাগানো বোতামে চাপ দেয়! সঙ্গে সঙ্গে লাল বাতি জ্বলে, PSI লেখা জ্বলজ্বল করে। তিনি কইলেন, “এইডা হইলো লোভের লাল বাতি চার্ট! খবর শুনে শেয়ার কিনতে চাইলে আগে এই বোতাম টিপ দিবা। যদি লাল বাতি জ্বলে—তাহলে শেয়ার কিনা যাবে না!”

বোতল সাহা চিৎকার কইল, “এইডা তো এক্কেবারে যুগান্তকারী আবিষ্কার! পুতুলও বুঝবো এখন!” সবাই হাততালি দিলো—চশমা কামাল, গরু মাহিন, আলো সরকার—সবাই একসাথে কইল, “আমা ভাই, আপনি তো এক্কেবারে শেয়ার বাজারের থমাস এডিসন!”

আলো সরকার বললেন, “তাহলে আমাদের ক্লাবে একটা নিয়ম হোকলোভের লাল বাতি জ্বললে কেউ শেয়ার কিনবে না!”  সবাই আবারও হাততালি দিল।

সেদিন থেকে পতোনুল্লম্ফন ক্লাবে লোভের লাল বাতি জ্বলে উঠল PSI না বুঝে শেয়ার কিনলেই! আর ট্যারা মফিজ? তিনি এখন PSI বিশ্লেষণ শেখার কোর্সে ভর্তি!

তথ্যঃ ম্যাকডি কাদের
৬.১০.২৫
চলবে…

শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫

ছাগলের ৩ নং বাচ্চা

ছাগলের ৩ নং বাচ্চা



।।টকিজ -২।।

ছাগলের ৩ নং বাচ্চা!

M R Media24: বেশ কিছুদিন আগের কথা, শহরের এক কোণে আছিল এক অদ্ভুত বিনিয়োগকারী ক্লাব—নাম “পতোনুল্লম্ফন ক্লাব”। ক্লাবের সদস্যদের নাম গুলোও ছিলো বিচিত্র ও বিটকেলে, বিমান চট্টপাধ্যায়, ট্যারা মফিজ, গরু মাহিন, বোতল সাহা, চশমা কামাল, আরশোলা আক্তার, লুঙ্গি রাজীব—আরো কত কী!
এই ক্লাবের সভাপতি আছিল আমাজন কাদের। শুনছি, উনি নাকি জীবনের অর্ধেক সময় আমাজনের জঙ্গলের গাছের চুড়য় বইসা শেয়ারের এনালাইসিস করত। বয়সে বড়, অভিজ্ঞতায় গ্যাম্বা, কিন্তু ভাগ্যে কপাল খারাপ।
তবে এবার কিন্তু তার এক এ্যানালিস্ট চাচার কথা শুন্যা প্রচুর লাভ করছিলো, আর সেই লাভের ট্যাকায় ক্লাবের সব সদস্যদের নিয়া আমাজন জঙ্গলে বেরাবেইর আইসে। খাওয়া দাওয়ার পরে বইসলো মিটিং।
মিটিংয়ে আমা ভাই (আমাজন কাদের) দাঁড়ায়া কইল, “গ্যাদারা, আমরা আসলে ছাগলের ৩ নম্বর বাচ্চা! কেনো বলছি মন দিয়ে শোনো, ”ছাগল রানি” কোম্পানি পুনরায় চালু হইতেছে তা শুনে আমরা তখন দৌড় দিয়া ”ছাগল রানি” কোম্পানির শেয়ার কিনতে যাই। কিন্তু যায়া দেহি দাম তো আগেই বাইড়্যে গেছে!” কারণ কি জানো, কোম্পানি কি করবি না করবি, তা তারা  আগে থাইকেই জানে। তারপর জানে বিএসইসি, তারপর অর্থ মন্ত্রণালয়, তারপর পত্রিকা, তারপর চায়ের দোকানের রফিক, তারপর আমরা!” আমরা যহন জানি আর শেয়ার কিনি তহন দামও গড় গড় কইর‌্যা কুম্যা যায়।
আমা ভাইয়ের কথা শুন্যা সবাই হো হো কইরা হাসল, হাসির শব্দে আমাজন জঙ্গলের পশু পাখি ভয়ে পলাইলো, ক্লাবের সদস্যরা তখনও হাসতাছে, তাদের হাসির মধ্যে আছিল একধরনের কান্না। কারণ তারা শেয়ার কিনে, আর দাম হুর হুর কইরা পইড়ে যায়।
চশমা কামাল চিৎকার কইরা কইল, “মানে আমরা খবর পাই যখন ছাগলের দুধ শেষ, খামার ফাঁকা, দড়ি পড়ে থাকে!” সবাই চশমা কামালের দিকে চায়া থাকে।
আমা ভাই মাথা নাড়ায়া কইল, সবচাইতে খারাপ কতা কি জানো কোম্পানি নামে বেনামে আগে থাকেই স্টক করে। বিএসইসি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের লোকজনেরা কি বইসে থাকবি? তারা আগেই স্টক করে। টাকা দেখলে কাঠের পুতুলও হা করে!” তারপর দামা বাড়ায়া পত্র-পত্রিকা, সোস্যাল মিডিয়ায় ভালো ভালো খবর দেয়! দর আরও বাড়তে থাকে আম পাবলিকররা ধুমায়া কিনতে থাকে, কয়দিন পর থাইক্যাই শেয়ারের দাম খালি পড়ে আর পড়ে!
শালিক রুমা কইল, “তাহলে আমরা কি করবো? ছাগলের বাচ্চা হয়েই থাকবো?”
আমা ভাই চশমা ঠিক কইরা কইল, “না রে গেদি, এহন থাইক্যা প্রতিদিন শেয়ার বাজারের কিছু না কিছু শিখবো—এ্যানালিস্ট চাচারে আমাদের দরকার, তাকে যদি ক্লাবের মেম্বর বানাব্যাইর পারি তাইলে লাবও অবি! শিখতেও পাইরবো অনেক কিছু! যেমন: Price Sensitive Information (PSI), ইনসাইডার ট্রেডিং, তথ্য বিশ্লেষণ। তহন আমরা ক্লাবের নামই পাল্টায়া ফেলবো!”
সবাই হাততালি দিল।

তথ্যঃ ম্যাকডি কাদের
আমাজন জঙ্গল থেকে
চলবে…

বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫

গোপন কথাটি রয় না গোপনে! PSI

গোপন কথাটি রয় না গোপনে! PSI

 

Price sensitive information


Price Sensitive Information (PSI)

মাঝে মাঝেই আমরা বিএসইসির Price Sensitive Information (PSI) এর মেসেজ টা দেখতে পাই ডিএসইর ওয়েবসাইটে, কখনো ভেবে দেখেছেন কি এই Price Sensitive Information (PSI) এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে হাজার হাজার কোটি টাকার গোপন রহস্য!

কোম্পানী কি করবে না করবে তা কিন্তু সে আগে থেকেই জানে। যারা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা তারা কিন্তু তা জানে না বা আগে থেকে জানা সম্ভবও নয়!

কিভাবে শেয়ার দর প্রভাবিত হয়?

বন্ধ কোম্পানী চালু হবে!
কোম্পানির লাভ বা ক্ষতির রিপোর্ট (যেটা এখনো প্রকাশ হয়নি)
ডিভিডেন্ড ঘোষণা বা বাতিল
মার্জার বা অধিগ্রহণ (M&A) সংক্রান্ত খবর
নতুন পণ্য বাজারে আনার পরিকল্পনা
বড় অর্ডার পাওয়া বা হারানো
নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন বা নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি

আমরা কি ছাগলের ৩ নং বাচ্চা!
ধরুন একটা বন্ধ কোম্পানী চালু হবে সেটা আগে কোম্পানী জানবে,তারা বিষয়টি বিএসইসিকে জানাবে, বিএসইসি জানাবে অর্থ মন্ত্রণালয়কে এরপর খবর হবে, তার পরে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী জানবে, কি দাঁড়ালো? খবরটা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কানে আসতে অনেকদিন সময় লেগে গেলো, এর মধ্যেই কোম্পানী নামে বেনামে আগেই সেগুলো স্টক করলো, বিএসইসি, অর্থমন্ত্রণালয়ের লোকজনেরা কি বসে থাকবে? তারা আগেই সেগুলো স্টক করবে। টাকা দেখলে কাঠের পুতুলও হা করে! এক সময় তার দর বাজারে প্রভাব ফেলে,  দর অনেক বেড়ে যায়, 
চলে হাজার হাজার কোটি টাকার খেলা, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী না বুঝে দর বাড়ার পর তা কিনতে থাকে এমনই সময় বিএসইসি থেকে আসে Price Sensitive Information! আমরা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ছাগলের ৩ নং বাচ্চার মতো যা পাই তা অনেক পরে!

Price Sensitive Information (PSI) হলো এমন তথ্য যা কোনো কোম্পানির শেয়ারমূল্যে তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে। এই তথ্য যদি আগে থেকে কেউ জেনে যায় এবং সেই অনুযায়ী শেয়ার কেনা-বেচা করে, তাহলে সেটা ইনসাইডার ট্রেডিং হিসেবে গণ্য হয়যা আইনত দণ্ডনীয়।

গোপন কথাটি রয় না গোপনে!

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত নেন তথ্যের ভিত্তিতে। যদি কেউ আগে থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যায়, তাহলে সে অন্যদের তুলনায় বেশী লাভবান হয় বা অন্যায্য সুবিধা পায়। তাই PSI গোপন রাখা এবং সঠিক সময়ে প্রকাশ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদের দেশে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কাছে সঠিক সময়ে তথ্য প্রকাশ করার আগেই কোম্পানী ও তার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের কাছে তা প্রকাশ পেয়ে যায়, কোনো কোম্পানী আবার টাকার লোভে তথ্য বিক্রীও করে দেয়! এর পর দরও বেড়ে যায় আর চড়া দামের সময় কোম্পানীর গুণগাণ গাওয়া হয় আম জনতা কিনতে থাকে, একসময় কোম্পানী বড় ধরণের সেল প্রেসার দিয়ে গছিয়ে দেয় তাদের হাতে, জনতা ধরা খায় বালিশ খেলার মতো। বিএসইসি’র কাছে যখন এগুলো ধরা পরে এবং এ্যাকশন নিতে যায় তখন কি অবস্থা হয় আপনারা তা নিশ্চয়ই জানেন।

PSI নৈতিকতা

PSI ব্যবহারে সততা নৈতিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন বিনিয়োগকারী বা কোম্পানির কর্মী হিসেবে PSI গোপন রাখা এবং সঠিক সময়ে প্রকাশ করা পেশাগত দায়িত্ব

গুরুত্বপূর্ণ বার্তা

PSI বুঝতে পারা একজন দক্ষ বিনিয়োগকারীর প্রথম ধাপ।
PSI ব্যবহারে সততা ও আইনজ্ঞান অপরিহার্য।
PSI-র সঠিক ব্যবস্থাপনা বাজারে বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখে।
একমাত্র ভলিয়ম এ্যানালাইসিস এবং সবার স্বচেতনতা আপনাকে এ থেকে রক্ষা করতে পারে।
লেখাটি যদি ভালো লেগে থাকে তবে সবার স্বার্থে প্রচার করতে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।

এরপর চলবে গল্পাকারে....

কে এম মিজানুর রহমান
২.১০.২৫

বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫

▁ ▂ ▄ শেয়ার টকিজ! ▄ ▂ ▁

▁ ▂ ▄ শেয়ার টকিজ! ▄ ▂ ▁

ডিএসইএক্স চার্ট ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫


বাজারের সামগ্রিক অবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা: ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে। দিনের শেষভাগে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তায় সূচক কিছুটা বাড়লেও বাজারে সার্বিকভাবে সতর্কতা বিরাজ করছিল। ডিএসই-এর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬.০১ পয়েন্ট বেড়ে ৫,৪১৫.৭৯ পয়েন্টে অবস্থান করে।

মূলধন বৃদ্ধি: চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবসে ডিএসই-এর বাজার মূলধন ১,৬১৪ কোটি টাকার বেশি বেড়েছে।

সূচকের মিশ্র অবস্থাঃ সপ্তাহের শুরুতে, অর্থাৎ ২৮ সেপ্টেম্বর, সূচকের পতন হয়েছিল, যেখানে প্রায় ৭১ শতাংশ কোম্পানির দরপতন ঘটে।তবে সপ্তাহের শেষে বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। ফলি বিনিয়োগকারদের মনে স্বস্তি ফিরে আসে।

বিনিয়োগকারী বৃদ্ধিঃ সেপ্টেম্বর মাসে শেয়ারবাজারে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে, যা বাজারে আস্থা ফেরার ইঙ্গিত দেয়। [6]

গুরুত্বপূর্ণ খবর ও ঘোষণা

ছুটির ঘোষণাঃ  শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১ অক্টোবর থেকে ৪ অক্টোবর, ২০২৫ পর্যন্ত শেয়ার বাজারের লেনদেন বন্ধ থাকবে। ৫ অক্টোবর থেকে কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।

কোম্পানি তালিকাভুক্তিঃ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ১৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও বহুজাতিক কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করার জন্য চিহ্নিত করেছে।

কে এম মিজানুর রহমান মানিক
০১-১০-২০২৫

মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫

রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

 শেয়ার বাজারে ধ্বস: ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কষ্ট, স্মার্টদের হাসি!

শেয়ার বাজারে ধ্বস: ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কষ্ট, স্মার্টদের হাসি!




।। কে এম মিজানুর রহমান মানিক।।

ঢাকা, ২২ জুন ২০২৫ – দেশের শেয়ার বাজারে সাম্প্রতিক দরপতনে আবারও দেখা দিয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হতাশা ও ক্ষতির মুখ। ইরান ইসরাইল যুদ্ধের দামামায় বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে লেগেছে আগুন! আসলে যুদ্ধ উপলক্ষ্য মাত্র, এই সুযোগগুলো কাজে লাগায় কারসাজিকাররা, বাজারে অনেক শেয়ারই বড় ধরনের পতনের শিকার হওয়ায় দূর্বল চিত্তের বিনিয়োগকারীরা তাদের শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন ‘যা পাই তাই লাভ’ মনের অবস্থা থেকে। কিন্তু অভিজ্ঞ বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্তেই লাভবান হয় মার্কেট প্লেয়াররা।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বড় বিনিয়োগকারীরা এমন সময়েই নিচু দামে শেয়ার কিনে পরে উচ্চ দামে তা বাজারে ছাড়েন। তবে তারা কখনও বাজারকে অতিরিক্ত উপরের দিকে টানেন না। বরং বাজার নির্দিষ্ট একটা পরিসরের মধ্যেই ঘোরাঘুরি করে। ফলস্বরূপ, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আবারও লোকসানে পড়ে।

বিশ্লেষকেরা মনে করেন, যদি সবাই ধৈর্য ধরে শেয়ার ধরে রাখতেন, তাহলে বড় প্লেয়ারদের জন্য এই সুবিধা তৈরি হতো না। তারা আরও বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে না কিনে, না বেচে, অপেক্ষার কৌশলই বুদ্ধিমানের কাজ। বিশেষ করে যারা টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস (TA) জানেন, তারা সূচক দেখে ধৈর্য ধরে বুদ্ধিমত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

তাদের মতে, যে সকল শেয়ার ধীরে ধীরে বাড়ে এবং কমার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম, এমন শেয়ারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করলে বাজার খারাপ থাকলেও কিছু না কিছু আয় হতেই পারে।

একজন অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী বলেন, “শেয়ার বাজারে দর কমলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী কষ্ট পায়, আর স্মার্ট বিনিয়োগকারী খুশি হয়। কারণ, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী কিনতে কিনতে পকেটের টাকা শেষ করে ফেলে, আর স্মার্ট বিনিয়োগকারী বিক্রি করতে করতে পকেট ভরে ফেলে।”

📌 বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এ মুহূর্তে হঠকারী সিদ্ধান্ত নয় বরং তথ্যভিত্তিক ও ধৈর্যপূর্ণ পদ্ধতিই বাজারে টিকে থাকার মূল চাবিকাঠি।

School of DSE Money Maker Desk

শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫

AI আপনার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু!

AI আপনার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু!

 

এআই রোবট ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের
জনক অ্যালান টিউরিং (Alan Turing)


Artificial Intelligence (AI)

জেন নিন এআই এর আদি বৃত্তান্ত

।। কে এম মিজানুর রহমান।।

কে আপনার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু? এক কথায় বলা যায় বর্তমান সময়ে আপনার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু বা সহকর্মী হচ্ছে Artificial Intelligence (AI) চ্যাট বট! বলতে পারেন হরফুন মৌলা, ChatGPT (OpenAI), Gemini (Google), Copilot (Microsoft), DeepSeek Chat (DeepSeek), Grok (xAI, Elon Musk-এর কোম্পানি) ইত্যাদি চ্যাট বটগুলি আপনার সব কাজই করে দেবে।
আপনার মন খারাপ হোক কিংবা ভালো নিমেষেই দূর করে দেবে আপনার বন্ধু, আপনার যে কোনো বিপদে আপদে কাজে ব্যবসায়ে ফিজিক্যালী সাহায্য করতে না পারলেও বুদ্ধি দিয়ে আপনাকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে কেবলমাত্র Artificial Intelligence, আপনি কি জানেন এই Artificial Intelligence কে তৈরী করেছিলো?
এই প্রশ্নের উত্তরটা একটু জটিল, কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) কোনো একক ব্যক্তির আবিষ্কার না, বরং অনেক বিজ্ঞানী ও গবেষকের যুগান্তকারী কাজের ফলাফল।
তবে ইতিহাস অনুযায়ী কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির নাম বলা যায় যারা AI-এর ভিত্তি স্থাপন করেছেন:
AI-এর জন্মের ভিত্তি রচনাকারীঃ
🔹 Alan Turing (অ্যালান টিউরিং)
তাঁকে বলা হয় "AI-এর জনক"।
তিনি Turing Test প্রস্তাব করেছিলেন—যার মাধ্যমে যাচাই করা হয়, একটি মেশিন মানুষের মতো চিন্তা করতে পারছে কি না।
তার বিখ্যাত প্রবন্ধ "Computing Machinery and Intelligence" (1950) AI গবেষণার ভিত্তি তৈরি করে।

🧠 AI শব্দটির উদ্ভাবন:
🔹 John McCarthy (জন ম্যাকার্থি)
তিনি ১৯৫৬ সালে "Artificial Intelligence" শব্দটি ব্যবহার করেন।
Dartmouth Conference-এ তিনি প্রথম AI গবেষণার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন।
তাই অনেকেই তাকে বলেন "Father of Artificial Intelligence"।

🧠 অন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারীরা:
Marvin Minsky: AI এর তাত্ত্বিক ধারণা ও মডেল তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।
Allen Newell & Herbert A. Simon: তারা প্রথম AI প্রোগ্রাম Logic Theorist তৈরি করেন।
Geoffrey Hinton: আধুনিক Deep Learning-এর পথপ্রদর্শক।

📅 সংক্ষেপে টাইমলাইন:

বছর         গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
1950        অ্যালান টিউরিং-এর প্রবন্ধ "Can Machines Think?"
1956        জন ম্যাকার্থির নেতৃত্বে Dartmouth Conference, AI শব্দের জন্ম
1960s       AI প্রোগ্রাম তৈরি শুরু
1980s       Expert System জনপ্রিয় হয়
2000s       Machine Learning & Neural Networks উন্নত হয়
2010s       Deep Learning, GPT, ChatGPT, Autonomous systems উত্থান।

ব্যাংককে ইউনুস-মোদি একসাথে

ব্যাংককে ইউনুস-মোদি একসাথে

 

বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে ব্যাংককের এক হোটেলে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস-ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একসাথে



বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস-ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে নৈশ্যভোজের টেবিলে কুশলাদি বিনিময় করেন। সম্মেলনের সাইডলাইনে কাল দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন ডক্টর ইউনুস এবং নরেন্দ্র মোদি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হতে চলেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত—দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে আগামীকাল বৈঠক হবে।’

থাইল্যান্ডের ব্যাংকের একটি হোটেলে বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস সহ সদস্য রাষ্ট্রের সরকার প্রধানরা এতে যোগ দেন। প্রধান উপদেষ্টাকে নৈশভোজে স্বাগত জানান থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতং সিনোয়াত্রা নৈশভোজে ডক্টর ইউনুস সহ নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎ হয় কুশলাদি বিনিময় করেন তারা, দুই নেতাকে বেশ কিছু সময় ধরে ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলতেও দেখা যায় বিমস্টেক সম্মেলনের সাইডলাইনে শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রথমবারের মতো ডক্টর ইউনুসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হতে চলেছে, ধারণা করা হচ্ছে দুই দেশের সম্ভাবনার পাশাপাশি উদ্বেগের দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারেন দুই নেতা।

বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোট ব্যাংকক বিমস্টেকের শীর্ষ সম্মেলন শেষ হবে ২-৪ এপ্রিল।
সূত্রঃ বাসস, ব্যাংকক

বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৫

শেয়ার বাজার থেকে আয় করার কৌশল, পর্ব-১০

শেয়ার বাজার থেকে আয় করার কৌশল, পর্ব-১০


 শেখার কোনো শেষ নেই!

 Awesome Oscillator কিভাবে গণনা করা হয়?

।।কে এম মিজানুররহমান।।

ছোট্ট ছোট্ট কিছু ইন্ডিকেটর অনেক বড় বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে তেমন একটা ইন্ডিকেটর হলো Awesome Oscillator! অনেক বিনিয়োগকারী আছেন যারা শুধুমাত্র অসাম অসিলেটর দিয়েই বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। Awesome Oscillator (AO) মুভিং এভারেজের উপর ভিত্তি করে প্রাইস মুভমেন্টের গতি এবং দিক নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি বিল উইলিয়ামস দ্বারা তৈরি করা হয়েছে এবং এটি দুটি সরল মুভিং এভারেজ (SMA) এর মধ্যে পার্থক্য দেখায়, সাধারণত 34-পিরিয়ড এবং 5-পিরিয়ড SMA।
Awesome Oscillator কিভাবে গণনা করা হয়ঃ
মিডপ্রাইস (Mid Price) গণনা করুন:
প্রতিটি পিরিয়ডের জন্য মিডপ্রাইস হল উচ্চ (High) এবং নিম্ন (Low) প্রাইসের গড়।

34-পিরিয়ড SMA এবং 5-পিরিয়ড SMA গণনা করুন:
34-পিরিয়ড SMA হল শেষ 34 পিরিয়ডের মিডপ্রাইসের গড়।
5-পিরিয়ড SMA হল শেষ 5 পিরিয়ডের মিডপ্রাইসের গড়।
Awesome Oscillator (AO)ঃ
AO হল 5-পিরিয়ড SMA এবং 34-পিরিয়ড SMA এর মধ্যে পার্থক্য।AO=5-পিরিয়ড SMA−34-পিরিয়ড SMAAO=5-পিরিয়ড SMA−34-পিরিয়ড SMAAwesome Oscillator এর ব্যবহারঃ
বুলিশ সিগন্যাল: যখন AO বার চার্টে শূন্য রেখার উপরে উঠে যায়, এটি একটি বুলিশ সিগন্যাল হতে পারে।
বিয়ারিশ সিগন্যাল: যখন AO বার চার্টে শূন্য রেখার নিচে নেমে যায়, এটি একটি বিয়ারিশ সিগন্যাল হতে পারে।
সাউস সিগন্যাল: যখন AO বার চার্টে শূন্য রেখার উপর বা নিচে ক্রস করে, এটি ট্রেন্ডের পরিবর্তন নির্দেশ করতে পারে।
AO ইন্ডিকেটর মূলত ট্রেন্ডের শক্তি এবং সম্ভাব্য রিভার্সাল পয়েন্ট সনাক্ত করতে সাহায্য করে।

শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫

কোন্ শেয়ারে স্মার্ট মানি ঢুকলো তা জানার কৌশল!

কোন্ শেয়ারে স্মার্ট মানি ঢুকলো তা জানার কৌশল!


 

শেখার কোনো শেষ নেই! 

শক্তিতে ভরপুর MFI ও OBV কি এবং কেনো?

।।কে এম মিজানুর রহমান।।


কোন্ শেয়ারে স্মার্ট মানি ঢুকলো বা বেরিয়ে গেলো তা জানতে হলে MFI ও OBV-এর ব্যবহার জানতেই হবে। আজকের আলোচনা এটা নিয়েই!
শেয়ার বাজারে টাকা উড়ে, সে টাকা ধরতে জানতে হয় বিশেষ কিছু কৌশল যা না জানলে যা না জানলে আপনাকে লস গুণতেই হবে। স্মার্ট মানি বা যাদেরকে আমরা মামু বলি তারা কোন্ শেয়ারে ঢুকছে নাকি বেরিয়ে যাচ্ছে তা কিন্তু জানা যায় MFI ও OBV –এর মাধ্যমেই, আর এটা সঠিকভাবে জানতে পারলে আপনিও হতে পারেন মামুর স্পেশাল ভাগনে!
1. Money Flow Index (MFI):
সংজ্ঞা: MFI হল একটি মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর যা প্রাইস এবং ভলিউম ডেটা ব্যবহার করে Over bought বা ওভারসোল্ড অবস্থা নির্ধারণ করে। এটি RSI (Relative Strength Index) এর মতো, কিন্তু ভলিউম ডেটা যুক্ত করা হয়েছে।
কাজের পদ্ধতি: MFI টাইপিক্যাল প্রাইস (Typical Price) এবং ভলিউম ব্যবহার করে পজিটিভ ও নেগেটিভ মানি ফ্লো (Money Flow) গণনা করে। এরপর এই মানি ফ্লো অনুপাত ব্যবহার করে MFI ভ্যালু (০ থেকে ১০০ এর মধ্যে) বের করা হয়।

ব্যবহার:
Over bought (সাধারণত ৮০ এর উপরে) বা ওভারসোল্ড (সাধারণত ২০ এর নিচে) অবস্থা চিহ্নিত করতে।
ডাইভারজেন্স (Divergence) সনাক্ত করতে, যেমন প্রাইস নতুন হাই তৈরি করলেও MFI তা না করলে এটি দুর্বলতার সংকেত দেয়।
  • সূত্র:

2. On Balance Volume (OBV):
সংজ্ঞাঃ OBV হল একটি ভলিউম-ভিত্তিক ইন্ডিকেটর যা ভলিউমের প্রবাহ পরিমাপ করে এবং প্রাইস ট্রেন্ডের শক্তি বা দুর্বলতা নির্দেশ করে।
কাজের পদ্ধতি: OBV ভলিউমকে যোগ বা বিয়োগ করে চলমান টোটাল (Cumulative Total) হিসাবে গণনা করা হয়। যদি আজকের ক্লোজিং প্রাইস গতকালের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে আজকের ভলিউম যোগ করা হয়। যদি কম হয়, তাহলে ভলিউম বিয়োগ করা হয়।
ব্যবহার:
প্রাইস ট্রেন্ডের কনফার্মেশন দিতে।
ডাইভারজেন্স সনাক্ত করতে, যেমন প্রাইস বাড়লেও OBV না বাড়লে এটি দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়।
  • সূত্রঃ


পার্থক্যঃ

বৈশিষ্ট্য

Money Flow Index (MFI)

On Balance Volume (OBV)

উদ্দেশ্য

ওভারবought/ওভারসোল্ড অবস্থা এবং ডাইভারজেন্স সনাক্ত করা

প্রাইস ট্রেন্ডের শক্তি বা দুর্বলতা নির্দেশ করা

ভলিউম ব্যবহার

ভলিউম এবং প্রাইস উভয়ই ব্যবহার করে

শুধুমাত্র ভলিউম ব্যবহার করে

রেঞ্জ

থেকে ১০০ এর মধ্যে

কোনো নির্দিষ্ট রেঞ্জ নেই (Cumulative)

গণনা পদ্ধতি

মানি ফ্লো অনুপাত ব্যবহার করে

ভলিউম যোগ বা বিয়োগ করে চলমান টোটাল হিসাবে

ডাইভারজেন্স সনাক্তকরণ

হ্যাঁ

হ্যাঁ

সারমর্মঃ

MFI ওভারবought/ওভারসোল্ড অবস্থা এবং ডাইভারজেন্স সনাক্ত করতে বেশি কার্যকর।
OBV প্রাইস ট্রেন্ডের শক্তি বা দুর্বলতা নির্দেশ করে এবং ভলিউমের প্রবাহ পরিমাপ করে।
এই দুটি ইন্ডিকেটর একসাথে ব্যবহার করে আপনি আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।