বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২

অন্য কেউ পারলে আমি কেনো পারবো না?

অন্য কেউ পারলে আমি কেনো পারবো না?

 


লেখা-DSE Money Maker-এর ফেসবুক থেকে নেয়া
কে এম মিজানুর রহমান


অন্য কেউ পারলে আমি কেনো পারবো না?
।।  কে এম মিজানুর রহমান ।।

ধরুন, আমার একটা দোকান আছে। আমি একটা প্র্রোডাক্ট কিনবো, পাইকারী দাম ১০০.০০টাকা, দোকানী চাইলো ৩০০.০০টাকা আমি যদি না জেনে বুঝে ঐ প্রোডাক্টটি ৩০০.০০টাকায় কিনি তবে কি সেই দামে কিনে তার চেয়ে বেশী দামে বিক্রী করতে পারবো?
অবশ্য বাটপারদের কাছে অসম্ভব বলে কিছু নাই, তারা পিতলকেও সোনা বানিয়ে বিক্রী করতে পারে। কাদের কাছে? এক কথায় বোকাদের কাছে, কারণ দেশে/শেয়ারবাজারে বোকা লোকের অভাব নেই। এই শেয়ার বাজারেও বাটপার, চালাক, বোকা, বুদ্ধিমান, ছিনাতাইকারী, ডাকাত সব ধরণের মানুষই আছে। তাই বোকা থেকে বুদ্ধিমান হওয়ার চেষ্টা করুন লস হওয়ার আগেই। শেয়ার বাজারে ১০০টাকার জিনিষ ৩০০টাকা নয়, হাজার হাজার টাকায়ও বিক্রী করা হয়। আবার উল্টোটাও হয়। শেয়ার বাজারে এরকম ঘটনাই বেশী ঘটে।
বুদ্ধিমানরা ঠিকই যাচাই করবে যে, ঐ প্রোডক্টটির দাম সত্যিই ৩০০.০০টাকা কি না,যাচাই করার বিভিন্নরকম উপকরণ তার জানা, তাই তিনি যে জিনিষের যা দাম তিনি সেই দরেই কিনবেন পারলে আরও কম দামে কিনবেন এবং সঠিক দরেই বিক্রী করে লাভবান হবেন। ওয়ারেন্ট বাফেট ঐ ১০০টাকার প্রোডাক্ট কিন্তু আরও কম দামে কিনতেন। উনি ঐ সময়ের জন্য অপেক্ষা করতেন যখন ভাল জিনিষেরও কদর কমে যায়, সস্তায় পাওয়া যায়, উনি দিন, সপ্তাহ বা মাস নয় বছরের পর বছর অপেক্ষা করতেন, আমরা কি তা পারি? আজ কিনে কালকেই ১০% লাভ চাই, নইলে মন খারাপ হয়।
শেয়ার বাজার খেলার বাজার সব সময়ই এখানে দুইটা দল থাকে, একদল হারে, আরেক দল জেতে, যেদল হারে সে দল কাঁদে, শুধু কাঁদে না অন্যকে বা বাজারকে বকা দেয়, এমন বকা যে গুষ্ঠি উদ্ধার করে বকা দেয়, কারণ উনি শতভাগ নিশ্চিত হয়ে শেয়ার কেনেন নাই, খোঁজ নিলে জানা যাবে বাজার সম্বন্ধে ওনার কোন ধারণাই নাই। যে দল জেতে তার মুখে হাসি থাকে, সে দল প্রজাপতির মতো ফুরফুরে মেজাজে থাকে, ঠিক অন্যান্য খেলায় জেতার মতোই। তাহলে জেতার উপায় কি? উপায় কি নাই? এ বাজার প্রতিদিন জেতার বাজার না, বাজারটার নাম ‘স্টক মার্কেট’ বাজার বাজারের মতোই চলবে, অনেকে আমাকেও মনে মনে হয়তো গালি দিচ্ছেন, উনি বুঝি হারেন না, আমি জোর দিয়ে বলছি আমিও হারি, লস হয় তবে বিক্রি করি না, আমি জানি আমি বিক্রী করলে হারবো, এখন আপনারাই বলেন আমি হারছি নাকি জিতছি।
No one is greater than the market. (মার্কেটের থেকে বড় কেউ না), বাজার বাজারের গতিতে চলবে সেই গতিটা আপনাকে ধরতে হবে, বাজারে প্রচলিত কথা ‘Trend is your friend’ ট্রেন্ড মেনে ১০০% নিশ্চয়তা নিয়ে কিনুন ঠকবেন না। এ বাজারে কেউই জোর দিয়ে বলতে পারবে না যে আমি হারি না, হারেন, তবে সাময়িক উনি কনফিডেন্টলি শেয়ার কিনেছেন ১০০% কনফিডেন্ট নিয়ে শেয়ার কিনেছেন, ওনার মনে কোন ভয় নাই, আজ না হোক কাল বাড়বেই হয়তো সময় লস হবে কিন্তু সে শেয়ার এমন বাড়া বাড়বে যে ঐ সমটুকুতে যে লস হতো তাও পুষিয়ে দেবে। আজ আমি একটা শেয়ারের নাম বলছি Aramit Ltd এই শেয়ারটা আমরা কয়েকজন মিলে বাছাই করেছিলাম যখন দর ছিল ৩১৬.০০-থেকে ৩২২.০০টাকার মধ্যে কেন কিনেছেলাম? ২০টা প্রশ্ন দাঁড় করিয়েছিলাম সবগুলো প্রশ্নের উত্তর ছিল হ্যাঁ, এভাবে কনফিডেন্ট গ্রো করেছিলাম, এর কিছুদিনের মধ্যেই, সে শেয়ার ৩৮০.০০টাকায় উঠলো, কেউ বেচলো কেউ আবার এই দরে কিনলো, আচ্ছা যারা ৩৮০.০০যারা কিনলো তারা কি লাভ করবে না? অবশ্যই করবে, সেটা সময়ই বলে দেবে, ধৈর্য এবং জ্ঞানই তাকে তার কাংক্ষিত লক্ষ্যে পৌছে দেবে। অপেক্ষা করুন।
না জেনে ব্যবসা করতে আসা আর বুনো সিংহের সাথে ছবি তুলতে যাওয়া একই কথা

না জেনে ব্যবসা করতে আসা আর বুনো সিংহের সাথে ছবি তুলতে যাওয়া একই কথা

 


লেখা-ফেসবুক থেকে নেয়া

’৯৬ এর কোন বন্ধু থাকলে আওয়াজ দেন!!
।। কে এম মিজানুর রহমান।।

বেশীর ভাগ মানুষ কোন কিছু না শিখেই শেয়ার ব্যবসায় আসে, আমিও এসেছিলাম, ১৯৯৫ সালের জুন বা জুলাই থেকে শুরু, সে সময় মতিঝিল শাপলা চত্বর টু ইত্তেফাক লোকে গিজ গিজ করতো, এই মাথায় শেয়ার কিনে ঐ মাথায় বিক্রী করলেই ডাবল লাভ, তখন ছিল কাগুজে শেয়ার, মনে আছে নিশ্চয়! তখন আমি তরুন, নিজের জমানো টাকা ছাড়াও এর ওর কাছে ধার করে টাকা আনি আর লাভ করি, মনের ফুর্তিই আলাদা, মনে আছে ১০,০০০.০০ টাকায় কেনা সিঙ্গার, ২৬,০০০.০০ টাকা বিক্রী করার পরও সম্ভবত সে শেয়ার দর আরও বেড়ে ৫০,০০০.০০ হাজার টাকায় উঠেছিল, ১৫০.০০টাকার বেক্সিমকো ৮০০.০০শত টাকা, এই রকম আরও কত শেয়ার কিনি আর বেচি এদিকে পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ার দরও প্রতিদিনই ডাবল হয় বছরের শেষের দিকে শুধু টাকা আর টাকা, তখন মনে করতাম শেয়ার দর শুধু বাড়েই, তাই সেই যে লোভের পাল্লায় পড়লাম, সামলাতে পারিনি, শেয়ার বিক্রী বন্ধ করে দিলাম কারণ বেচলেই লস, অনেক টাকার মালিক হয়েছিলাম কিন্তু কাগজে কলমেই শেষ, শুরু হয়েছিল সম্ভবত ১৯৯৫ সালের মাঝামাঝি সময় শেষ হয় ১৯৯৬ এর জানুয়ারী বা ফেব্রুয়ারীর দিকে, মাসটা ভাল করে মনে পড়ছে না। সূচক ৯০০ পয়েন্ট থেকে বাড়তে শুরু করে, ১৯৯৬ সালের শুরুতে ৩৬৫০ পয়েন্টে পৌঁছে। এর পর থেকে পতন শুরু হয়ে ইনডেক্স মে ১৯৯৯ নেমে আসে ৪৬২ পয়েন্টে। তখন রাস্তাও ফাঁকা হতে শুরু করে, সেই সাথে আমার পকেটও ফাঁকা, পোর্টফোলিওতে শেয়ার আছে কিন্তু আর বিক্রী করতে পারিনি, হাতে থাকা শেয়ার কিছু বিক্রী করতে পেরেছিলাম। সে সময়ে অনেক দরে কেনা কিছু শেয়ার এখনও আমার ট্রাংকে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কিঅবস্থা হয়েছিল আমার? সেসময় অনেকেরই আমার মতো অবস্থা হয়েছিল, তবে ভাল শিক্ষা হয়েছিল এ কারণে ২০১০ সালের ধ্বসে টিকে গিয়েছিলাম।
তাই বলছি যারা না বুঝে, না শিখে এ ব্যবসা করতে আসে, লস খাওয়ার পরিমাণ তাদেরই সবচেয়ে বেশী। আর তাদের কথা মাথায় রেখেই আমি সম্পূর্ণ বিনে পয়সায় কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি, এমন কিছু অভিজ্ঞতাও শেয়ার করছি যা আমার একান্তই ব্যক্তিগত, কোন বই বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাবেন না। তারপরেও দেখি অনেকেরই আগ্রহ নেই জানা বা শেখার প্রতি, কোন্ শেয়ার কখন কিনতে হয়, কখন বেচতে হয়, কখন টাকা নিয়ে বসে থাকতে হয়, অনেকেই তা জানেন না, তাহলে লাভ ঘরে তুলবেন কি করে? বলেছিলাম নিজে ভাল লাভ করার পর শেয়ার বিক্রী করুন, আর নিজেকে সান্তনা দেন এই ভাবে যে বাকী লাভ অন্য ভাই করুক। এই ব্যবসা করে কেউ গাড়ী বাড়ী করছে, আবার কেউ পথে বসে গেছে, এমনকি আত্মহত্যার মতো পথও বেছে নিয়েছে, অনেকেই আমাকে লিখেছেন, বস আমি শেষ হয়ে গেলাম, তাদের অবস্থা ঐ বুনো সিংহের সাথে ছবি তোলার মতো নয় কি?
সবার কাছে সব শেয়ার ভাল লাগে না, আবার সবার কপালে সব শেয়ার সয় না, আবার কোন কোন শেয়ারের প্রতি প্রবল আগ্রহ তৈরী হয়, পতঙ্গের মতো কেনার জন্য ঝূঁকে পড়ে ঝুঁকির পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে ফেলি। খুব সহজ কিছু হিসেব কষলেই সেই ঝুঁকির পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনা বা লাভ করা যায়। সব চেয়ে বেশী লস হয় মন গড়া শেয়ার কিনে। এই কাজ কখনও করবেন না। যখন পুরো মার্কেট আপট্রেন্ডে থাকে তখন হয়তো লাভ হয় কিন্তু অন্য সময়ে লস হয় বেশী। চার্ট বা টেকনিক্যাল এ্যানালাইসিস আপনাকে মন গড়া শেয়ার কেনা যাবে কি না সে বিষয়ে সাহায্য করবে, কারণ বাজারের ভলিয়ম বা দরের রিডিং ঐ সব চার্টেই লুকিয়ে থাকে।
কে কোন শেয়ার কিনবেন?
আমি আপনাদের বলেছিলাম আপট্রেন্ডে কোনো শেয়ারে বটমে ডোজী তৈরীর পর বড় ভলিয়মে দর বৃদ্ধি সে শেয়ার অনেক বাড়ার ইঙ্গিত দেয় কিন্তু কোন কারণে যদি সেই মুহূর্তে সেটা বাড়তে না পারে তবে পরবর্তীতে সেই শেয়ার দর আরও বাড়ার সুযোগ থাকে, সহজ কথায় বলতে পারি যে শেয়ারগুলোয় বড় বড় পার্টি আটকে গেছে অর্থাৎ বড় ভলিয়মে দর বৃদ্ধি পাওয়ার পরও দর অনেক কমে গেছে এমন শেয়ারের লিস্ট তৈরী করুন। সেই লিস্ট আমার কাছে পাঠান। তখন আমি বলে দিতে পারবো, কোনটা কিনবেন বা বেচবেন। দেখি কে কে সরবরাহ করতে পারে? হোক সে শেয়ার ভাল অথবা খারাপ? কোনো শেয়ার কেনার আগ্রহ তৈরী হলে সেই শেয়ার কেনার জন্য কমপক্ষে ১০ দিন পর্যবেক্ষণ করুন, এবং তার ধরণ পরীক্ষা করে তার পর কিনুন। ধন্যবাদ সবাইকে আমার সাথে থাকার জন্য।

বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০২২

বস্ত্র খাতের ২৩ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে

বস্ত্র খাতের ২৩ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে






mrmedia24 report: আসছে এপ্রিল মাস। শেয়ার বাজারে গত বছর এপ্রিল মাস থেকেই বস্ত্রখাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল বেশী। এবার কি হবে? সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না, কারণ বস্ত্রখাতে তালিকাভুক্ত ৫৮টি স্টকের ২৩টিতেই বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ। চলুন এক নজরে দেখে নেই কোন্ স্টকগুলো কিনছে?
আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আলহাজ টেক্সটাইল, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, আরগন ডেনিমস, ডেল্টা স্পিনার্স, ড্রাগন সোয়েটার, ইভিন্স টেক্সটাইল, জেনারেশন নেক্সট, হা-ওয়েল টেক্সটাইলস, কাট্টালি টেক্সটাইল, এমএল ডাইং, নিউ লাইন ক্লোথিংস, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, রহিম টেক্সটাইল, রিজেন্ট টেক্সটাইল, আরএন স্পিনিং, শাশা ডেনিমস, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, স্কয়ার টেক্সটাইল, তাল্লু স্পিনিং, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, তুং হাই নিটিং ও জাহিন স্পিনিং। একই সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ২৯টি কোম্পানির। একই সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ অপরিবর্তিত রয়েছে নূরানী ডাইং, সোনারগাঁও টেক্সটাইল এবং স্টাইলক্রাফট লিমিটেডের। এছাড়া বিনিয়োগ তথ্য হালনাগাদ করেনি সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল, ফ্যামিলিটেক্স ও রিং সাইন টেক্সটাইল। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ডেল্টা স্পিনার্স ও ড্রাগন সোয়েটারে। কোম্পানি দুটির মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে ডেল্টা স্পিনার্সে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ৬.৮০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৩২ শতাংশে এবং ড্রাগন সোয়েটারে ৫.৪৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯.২৪ শতাংশে।
ডেল্টা স্পিনার্স: জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৬.৫২ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ৬.৮০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৩২ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৭২.৯৭ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ৬.৮০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৬.১৭ শতাংশে।
ড্রাগন সোয়েটার: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৩.৮০ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ৫.৪৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯.২৪ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৫৪.০৩ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ৫.৪৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮.৫৯ শতাংশে।
অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে:
আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ : গত জানুয়ারি মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১০.৫০ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ০.৯৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১.৪৮ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৫৬.১৫ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ০.৯৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৫.১৭ শতাংশে।
আলহাজ টেক্সটাইল: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৫.৩১ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ০.৯৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬.২৫ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৫৯.০৩ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ০.৯৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৮.০৯ শতাংশে।
আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৬.২৭ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ১.৩৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৬০ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৬৩.২৭ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ১.৩৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬১.৯৪ শতাংশে।
আরগন ডেনিমস: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৩২.৬৬ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ০.৩৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩.০২ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৩১.২৬ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ০.৩৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩০.৯০ শতাংশে।
ইভিন্স টেক্সটাইল: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২০.৫৩ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ২.৭৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.২৭ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৪২.৮০ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ২.৭৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪০.০৬ শতাংশে।
জেনারেশন নেক্সট: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৩.৬৮ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ০.৯৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪.৬৪ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৬২.৫০ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ০.৯৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬১.৫৪ শতাংশে।
হা-ওয়েল টেক্সটাইলস: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১০.১৯ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ০.০২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.২২ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৩৮.৯২ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ০.০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৮.৮৯ শতাংশে।
কাট্টালি টেক্সটাইল: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৫.১৭ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ০.১৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.৩৫ শতাংশে। একই সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ ০.৩০ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ০.২৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.০৭ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৪৪.২১ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ০.০৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪.২৬ শতাংশে।
এমএল ডাইং: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৬.৭৯ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ০.৩৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.১৫ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৫২.৬৪ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ০.৩৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫২.২৮ শতাংশে।
নিউ লাইন ক্লোথিংস: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৭.৯৪ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে
১.০২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮.৯৬ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৫১.৪৫ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ১.০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫০.৪৩ শতাংশে।
প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৮.৭২ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ০.১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৮৪ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ২৬.২৩ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ০.১২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৬.১১ শতাংশে।
রহিম টেক্সটাইল: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৭.৪১ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ০.১৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৫৯ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ২১.৬৫ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ০.১৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২১.৪৭ শতাংশে।

রিজেন্ট টেক্সটাইল: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৫.৩৬ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ০.১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৪৭ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৪০.০৯ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ০.১১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯.৯৮ শতাংশে।
আরএন স্পিনিং: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১১.৪৫ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ০.০৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১.৫১ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৫৮.৫২ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ০.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৮.৪৬ শতাংশে।
শাশা ডেনিমস: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২০.৬২ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ০.২৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০.৯০ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৩৯.৯৭ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ০.২৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯.৬৯ শতাংশে।
সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকের বিনিয়োগ ছিল ৩১.৯৪ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ১.৯৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৯.৩৯ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ০.৬৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০.০৪ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৪৮.৬৭ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ১.২৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯.৯৬ শতাংশে।
স্কয়ার টেক্সটাইল: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২২.৮২ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ০.৭১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.৫৩ শতাংশে। একই সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ ৩.১৫ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ০.০৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩.১০ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ১২.২০ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে
০.৬৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১.৫৪ শতাংশে।
তাল্লু স্পিনিং: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২০.২২ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ০.১৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০.৩৭ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৪৯.৬২ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ০.১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯.৪৭ শতাংশে।
তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ০.২৯ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ০.৫২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৮১ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৩৮.৪৮ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ০.৫২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৭.৯৬ শতাংশে।
তুং হাই নিটিং: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৭.৭১ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ০.৪২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.১৩ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৬২.২৫ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ০.৪২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬১.৮৩ শতাংশে।
জাহিন স্পিনিং: গত জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৩০.৭৬ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ০.৯৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১.৬৯ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৩৮.১৪ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ০.৯৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৭.২১ শতাংশে।

রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০২২

শেয়ার বাজার থেকে Money Make করার কৌশল!! ২য় পর্ব

শেয়ার বাজার থেকে Money Make করার কৌশল!! ২য় পর্ব






শেয়ার বাজার থেকে Money Make করার কৌশল!! ২য় পর্ব
।।কে এম মিজানুর রহমান।।

...রিপোস্ট... ফেসবুক থেকে নেয়া
আল্লাহর কাছে হাজার শোকরিয়া DSE Money Maker যেভাবে বলছে বাজার সেভাবেই চলছে,যারা আমার পোস্টগুলো পড়েছেন এবং সে অনুযায়ী শেয়ার কিনেছেন আশা করছি তারা এই খারাপ বাজারেও বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন। ফিন্যান্স,টেক্সটাইল আরও বাড়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, সেই সাথে স্বল্পমূলধনী ও ইন্সুরেন্স গ্রুপ বাড়ার লক্ষণ দেখা গেল আজ। যে স্বল্পমুলধনী ও ইন্সুগুলো গুলোর কারেন্ট ইপিএস বেড়েছে, বটমে ডোজি তৈরী হয়েছে, ভলিয়ুম বাড়ছে শুধু সেইগুলোই কিনতে পারেন।
আপনার পছন্দের ব্যাংক, মিউ গুলোতে নজর রাখুন এখন কেনার দরকার নেই, কখন বাড়বে? আমার পরবর্তী পোস্টগুলোতে আলোচনা করা হবে। লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকুন।
আজ দুপুরের পোস্টে একটা চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম, যারা বলেন আমি শেয়ার কিনলেই দর কমে যায় নীচের নির্দেশনায় আজি কিনে দেখুন!!! লস হয় কি না? এবং কিনে জানাতে বলেছিলাম, কেউ জানাননি, বোঝা গেল শেয়ার বাজার সম্বন্ধে সবাই উদাসীন, তাহলে লাভ করবেন কিভাবে?
ভবিষ্যতে কোন শেয়ার বাড়বে বা কমবে সেই কৌশলটা কি? কখন কিনতে বা বেচতে হয়? জেনে নিন একদম ফ্রিতে যা কেউ আপনাকে শেখাবে না, খুবই সহজ! লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকুন।
এবার দেখুন Money Make করার কৌশলটা কি?
শেয়ার ব্যাবসাতে সফল হওয়ার সেই কৌশল হলো কম দামে ভালো শেয়ার কিনে বেশী দরে বিক্রী করা। নিজেকে প্রশ্ন করুন, আমি যে দরে শেয়ারটি কিনছি এর থেকে বেশী দরে আমার কাছে থেকে কে কিনবে? কেনো কিনবে? আরেকটি প্রশ্ন হলো কম দাম বুঝবো কি করে? কমার কি কোন শেষ আছে? অবশ্যই আছে এটা পরিষ্কার করে জানার জন্য Support ও Resistance লেভেল জানতে হয়, কারণ শেয়ার এর দর কখনো একটানা বাড়ে না, দর বাড়ে আবার কমে যায়, কমে যখন Support লেভেলে ডোজি তৈরী হয় (১ম পর্বটা পড়ুন) তখনই ক্রয়, আর যখন ওপরে Resistance লেভেলে ডোজি তৈরী হয় বা লাল ক্যান্ডেল স্টিক তৈরী হয়, তখন বিক্রির পজিশনে থাকতে হয়, কোন শেয়ারে যদি ক্রয় চাপ বেশী থাকে তখন Resistance লেভেল ব্রেক করে দর আরও ওপরে ওঠতে থাকে এবং বাড়তেই থাকে তখন সেই শেয়ারে প্রচুর লাভ হয়। নিচের গ্রাফটা দেখলেই বুঝতে পারবেন দর Resistance লেভেলে আছে এবং লাল ক্যান্ডেল স্টিক তৈরী হয়েছে তার অর্থ আবার নিচের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা তবে যেহেতু, এই শেয়ারটি প্রচুর কেনা বেচা হচ্ছে তাই যে কোন দিন একটা বড় ক্রয় চাপ আসতে পারে। অথবা কমতে থাকা অবস্থায় যেদিন ১ম বাড়বে সেদিনই কেনা যেতে পারে।
একই সাথে শেয়ারের গতি বা ডিরেকশন জানতে হয়। ডিরেকশন জানলে আপনি বলতে পারবেন এ শেয়ারটি ভবিষ্যতে বাড়বে নাকি কমবে? নিচের চার্টটি দেখুন চোখ বুজেই বলে দেয়া যায় ভবিষ্যতে এ শেয়ারটির দর বাড়বে যদি বাজার স্বাভাবিক থাকে। কেউ কি এর কারণ বলতে পারবেন? ভাল করে দেখুন দর উঠছে আবার নামছে কিন্তু তার গতি (ডিরেকশন) উর্ধ্বমূখী মানে ভূমি থেকে মাথা উপরের দিকে। যদি উল্টো চিত্র হতো তবে নিশ্চিত বলা যেতো ঐ শেয়ারের দর ভবিষ্যতে কমবে? ক্লিয়ার?? আর গতি যতি ভূমি বরাবর হয় তখন কি হবে?? এ প্রশ্নের উত্তরটা আপনারা দেবেন।
DSE Money Maker ছাড়া এইভাবে কেউ আপনাকে শেখাবে না!!! শুধু আপনাদের নেক দোওয়া চাই।
যারা সাইডওয়ে, রেজিস্ট্যান্স ও সাপোর্ট লেভেল বোঝেন, তারা বলতে পারবেন, বাজারের গতি বা ডিরেকশন কোন দিকে। যারা বোঝেন না তারা এখনই ইউটিউব থেকে টেকনিক্যাল এ্যানালাইসিসটা শিখে নিন।
যে শেয়ারে নিচের চার্টেরে মতো মুভমেন্ট আছে সেটা হঠাৎ করে বেশী বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, কারণ এই শেয়ারটার পেছনে ইপিএস এর শক্তি আছে মামুরা না থাকলেও নিজস্ব গতিতেই এটা বাড়বে। আল্লাহ হাফেজ। কয়েকদিন আগেই এ শেয়ারটির চার্ট দেয়া হয়েছিল। অনেকেই সঠিক উত্তর দিয়েছিলেন।







বিঃদ্রঃ বিস্তারিত ‘শেয়ার বাজার থেকে Money Make করার কৌশল!! ৫ম পর্বে’




শেয়ার বাজার থেকে Money Make করার কৌশল? ১ম পর্ব

শেয়ার বাজার থেকে Money Make করার কৌশল? ১ম পর্ব

 


শেয়ার বাজার থেকে Money Make করার কৌশল!! ১ম পর্ব
।।কে এম মিজানুর রহমান।।
শেয়ার বাজারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হলো সঠিক সময়ে শেয়ার ক্রয় ও বিক্রি করা, কোন বিনিয়োগকারী লস করবেন নাকি লাভ করবেন তা নির্ভর করে এই ক্রয় বিক্রয়ের ওপরে, এজন্য আছে হাজার হাজার কৌশল। আজকে এ বিষয়ে প্রাথমিক একটা ধারণা দেবো।
এ বাজারে আমি নিজে এক সময় প্রচুর লস করেছি, জানি টাকার শোক কত কষ্টের! এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে সামান্য প্রচেষ্টা করছি,, ইচ্ছা সবাই জেনে বুঝে শেয়ার কিনুক, চেষ্টা করছি চোখ খুলে দেয়ার, ঝুঁকির বাজারে ঝুঁকিমুক্ত থেকে কিভাবে লাভ করা যায় বা ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, জানি না সফল হবো কি না? গ্রুপের বেশীর ভাগ বিনিয়োগকারীদের কোন এক্টিভিটিজ দেখছি না, একটু কষ্ট করে লাইক, কমেন্ট বা প্রশ্ন করলে বোঝা যায় কারা পোস্টগুলো পড়ছেন বা জানার আগ্রহ আছে, প্রয়োজনে ডিজলাইক দেবেন তবুও লাইক, কমেন্ট বা প্রশ্ন করতে আলসেমি করবেন না, যিনি অনেক কষ্ট করে একটা ভাল পোস্ট লেখেন বা মতামত জানান বা ব্রেকিং নিউজগুলো সংগ্রহ করে পোস্ট দেন তার কষ্টের ফলই কিন্তু সবাই ভোগ করেন, তাই তাকে লাইক কমেন্ট করে উৎসাহ দেবেন, বিনা কষ্টে কেউ কোনদিন ভাল ফল লাভ করতে পারে না। মনে রাখবেন পরিশ্রমীরাই সফল হয়। আর পরিশ্রমী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা খুবই কম, আর এনারাই বেশী লস করে থাকেন। ৯৫%
কখন ক্রয়? কখন বিক্রয়? বিষয়টি পরিষ্কার বুঝতে পারলেই Money Make করার কিছু কৌশল খুঁজে পাবেন আশা করি
কোন শেয়ার কেনার আগে কমপক্ষে ১০টি প্রশ্ন করতে হয়- যেমনঃ কারেন্ট কোয়ার্টার ইপিএস পজিটিভ কি না? কোম্পানীর মালিক ভাল কিনা? শেয়ারের দর ও ভলিয়্যুম বাড়ছে কি না? কোনো শেয়ারের ক্যান্ডেল স্টিক চার্টের বটম লেভেলে ডোজি তৈরী হয়েছে কি না? গত বছর থেকে এবছারের ইপিএস বেশী কি না? MACD-Signal Lineকে ক্রস করে ওপেরে উঠেছে কি না, শেয়ার সংখ্যা কম কি না? ইত্যাদি ইত্যাদি, এরকম আরও ৬/৭টি প্রশ্ন যোগ করুন। যদিও এগুলো খুবই প্রাথমিক পর্যায়ের তবুও ভাল ফল দেয়। বলা যায় ৮০% সঠিক হয়।
যারা চার্টিস্ট তারা অবশ্যই জানেন ডোজি ক্যান্ডেল স্টিক-এর কথা, যারা জানেন না তারা ইউটিউব থেকে শিখে নেবেন। ক্যান্ডেল স্টিক এর সাহায্যে কোন শেয়ারের প্রতিদিনের দর (ওপেন, হাই, লো, ক্লোজ প্রাইস) জানা যায়। কিছু ক্যান্ডেল স্টিক আছে যেগুলো বাজারে আপ-ডাউনের নির্দেশ প্রদান করে থাকে, এমনই একটা ক্যান্ডেল স্টিক হলো ডোজি। সাধারণতঃ আপট্রেন্ড-এর সময় যদি কোন চার্টের বটম লেভেলে এই ডোজি (ওপেন প্রাইস এবং ক্লোজ প্রাইস যদি একই হয় সেটাই ডোজি) তৈরী হয় তবে সেই শেয়ার ক্রয় নির্দেশ করে আর ওপরে হলে বিক্রয় নির্দেশ করে। নীচের চিত্রটি দেখুন। কোন শেয়ারের চার্টে এ রকম চিত্র যদি কেউ পেয়ে থাকেন তবে গ্রুপে পোস্ট করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রশ্নঃ বলতে হবে চার্টটি কোন শেয়ারের? ইঙ্গিতঃ শেয়ারটি ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের। দেখি কতজন স্মার্ট ইনভেস্টর আছেন এ গ্রুপে।

শনিবার, ২৬ মার্চ, ২০২২

শেয়ার বাজার থেকে Money Make করার কৌশল!! ৫ম পর্ব

শেয়ার বাজার থেকে Money Make করার কৌশল!! ৫ম পর্ব


সাপোর্ট রেজিস্ট্যান্স
কে এম ‍মিজানুর রহমান

শেয়ার বাজারে বহুল ব্যবহৃত টুলস হলো সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স। কোনও শেয়ারে আটকা পড়ে গেলে কিভাবে বের হবেন? অথবা খারাপ বাজারেও লাভ করার কৌশল কি? জানার জন্য প্রতিটা প্রফেশনাল ট্রেডার এই ট্রেডিং স্ট্রাটেজি ফলো করে। আর ফলো করে না, শেয়ার বাজারে এমন ট্রেডার নেই বললেই চলে, অবশ্য যারা জানেন না তাদের কথা ভিন্ন।
চিত্রঃ ওইমেক্স ইলেকট্রোড

সাপোর্ট রেজিস্ট্যান্স কি? তা আপনাদের শেয়ার বাজারের একটা শেয়ার দিয়ে বুঝিয়ে দেবো
সাপোর্টঃ সাপোর্ট মানে সমর্থন বা সহায়তা করা, শেয়ার ট্রেডিংয়ের ভাষায় কিনতে সহায়তা করা, যখন কোন শেয়ার প্রাইস সাপোর্ট জোনে আসে তখন ঐ সাপোর্ট জোন শেয়ার কিনতে ডিমান্ড তৈরী করে, আর তখনই শেয়ার প্রাইস বেড়ে যায়। সাধারণভাবে সাপোর্ট হলো একটা শেয়ার প্রাইস(ক্যান্ডেল স্টিকস্) যখন কমতে কমতে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় এসে থেমে যায়,আর নিচে নামে না, এই থেমে যাওয়ার জায়গাটাকে বলে সাপোর্ট। সহজে বা সেল প্রেসার খুব বেশী না হলে প্রাইস আর নিচে নামে না।
রেজিস্ট্যান্সঃ রেজিস্ট্যান্স অর্থ প্রতিরোধ করা বা বাধা দেয়া, শেয়ার ট্রেডিংয়ের ভাষায় প্রাইসকে আরো ওপরে যেতে বাধা প্রদান করে, যখন বিক্রি চাপ বেড়ে যায় বা প্রফিট টেক করার প্রবনতা বেড়ে যায়, আর তখনই প্রাইস পড়তে থাকে। তাহলে বোঝা যায় যে সাপোর্ট থেকে প্রাইস যখন আবার বাড়তে বাড়তে উপরের দিকে উঠে যায়, উঠে আগের প্রাইস লাইনের নির্দিষ্ট জায়গায় রেজিস্ট্যান্স বা বাধা পেয়ে নিচে নামতে থাকে। এই ওপরে বাধা পাওয়ার জায়গাটাকে বলে রেজিস্ট্যান্স। এখনে বাই প্রেসার খুব বেশী না থাকলে আর ওপরে উঠতে পারে না বা বায়ারগণ ক্রয় চাপ সৃষ্টি না করলে বাধা ডিঙাতে পারে না।
এটা থেকে কি শিখলাম? দর যখন সার্পোট লাইনে থাকে তখন ক্রয় এবং রেজিস্ট্যান্স লাইনে থাকে তখন বিক্রয়।
দুইটা লাইন টেনে এই সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স জোন চিহ্নিত করা হয়। সাধারণতঃ এই দুই লাইনের মধ্যেই প্রাইস ওঠা-নামা করে
নিচের চিত্রে দেখুন ক্যান্ডেল স্টিকস্ এর সাথে একটা সবুজ লাইন দেয়া হয়েছে, ওইটা হলো প্রাইস লাইন। প্রাইস লাইন একবার ওপরে উঠছে আরেকবার নীচে নামছে। ওপরে যেখানে বাধা পাচ্ছে সেটা রেজিস্ট্যান্স লাইন আর যখন নীচের লাইনে বাধা পাচ্ছে সেটা হলো সাপোর্ট লাইন।
এর আগে আমি শিখিয়েছি investing.com ওয়েব সাইট থেকে কিভাবে কোনো শেয়ারের চার্ট আনতে হয় এবং প্রাইস(ক্যান্ডেল স্টিক) দেখতে হয়। না দেখে থাকলে কৌশলগুলো দেখে আসতে পারেন।
এখন প্রশ্ন হলো শেয়ার দর ঐ(সাপোর্ট রেজিস্ট্যান্স) লাইন ভেঙ্গে কি ওপরে ওঠে না বা নীচে নামে না? এক কথায় উত্তর হ্যাঁ ওঠে বা নামে।
নিচের চিত্রটি দেখুন রেজিস্ট্যান্স লাইন ভেঙ্গে দর ওপরে উঠে গেছে এবং দর আরও বাড়ছে। বা অরও বাড়বে।

চিত্র-১ঃ আপট্রেন্ডে সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স জোন।


ওপরে যে চার্টটা আমরা দেখছি তা Aamra technologies Ltd-এর ডেইলি চার্ট এবং investing.com ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া, এটা একদম ফ্রি ভার্সন। যা বের করা থেকে এর ব্যবহার করা পর্যন্ত আগে আপনাদেরকে দেখিয়েছি।
ব্রেক আউটঃ অনেক সময় প্রাইস অনেক আগের (সাপ্তাহিক ক্যান্ডেল স্টিক) হাই প্রাইসকে টপকে রেজিস্ট্যান্স লাইন ভেঙ্গে ওপরে উঠে যায় তখন তাকে বলা হয় ব্রেকআউট। এ সময় কেনার প্রচুর চাপ সৃষ্টি হয় অর্থাৎ বড় ভলিয়মে দর বেড়ে যায়, এক কথায় নিউট্রিনো শক্তি পায়। তখন দর কমপক্ষে ৪০% বেড়ে যায়, সর্বোচ্চ  আনলিমিটেড, এ শেয়ারটা দেখুন খুব ছন্দ মেনেই আপট্রেন্ডে আছে এবং আগের হাই প্রাইসকে ব্রেকআউট করেছে (ওপরের ভূমি বরাবর রেখাটা) এর অর্থ এ শেয়ারটার প্রাইস আরও বাড়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। কিছু নিয়ম মেনে এখানে ক্রয় করা যেতে পারে। যদিও দর বা প্রাইস অনেক বেড়েছে।
ঠিক সে রকমই যখন ‍সাপোর্ট লাইন ভেঙ্গে শেয়ার প্রাইস নীচে নেমে যায় তখন আর ক্রয় নয় বরং কোন শেয়ার হাতে থাকলে তা বিক্রী করে দেয়া উচিৎ। (চিত্র-২ দেখুন, ডাউনট্রেন্ডে সাপোর্ট রেজিস্ট্যন্স)
সাধারণতঃ সাপোর্ট লাইনে ক্রয়, রেজিস্ট্যান্স লাইনে সেল সেটার ডিরেকশন উর্ধ্বমূখী, নিম্নমূখি, বা ভূমি বরাবর যে ডিরেকশনেই থাকুক না কেনো।
খারাপ বাজারেও শেয়ার ক্রয় বিক্রয়ঃ বলছিলাম খারাপ বাজারেও শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়, কিভাবে? নিশ্চয়ই এতোক্ষণে বুঝে গেছেন। বাজার ডিরেকশন যেদিকেই হোক, সাপোর্ট জোনে ক্রয় রেজিস্ট্যান্স জোনে বিক্রয়, কারণ টাকা হাতে বসে থাকা কিন্তু খুবই কষ্টকর।
যারা শেয়ার কিনে আটকে পড়েছেনঃ যারা শেয়ার কিনে আটকে পড়েছেন তারা বসে বসে মজা দেখবেন? আপনি কি আবার সেই আগের দরের অপেক্ষা করবেন? সে গুড়ে-বালি, সেই দর কবে আসবে? তা কি আপনি জানেন? সেটা হতে পারে সপ্তাহ, মাস বা বছরের পর বছর তাহলে উপায়? উপায় হলো আগে কি দরে শেয়ার কিনেছেন তার কথা একদম ভুলে যেতে হবে, এর পর রেজিস্ট্যান্স লাইনে বিক্রয় আর সাপোর্ট জোনে ক্রয় করে লস কভার করে ঐ শেয়ার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
আবারও বলছি সব শেয়ার কিন্তু একই নিয়ম ফলো করে না, কোন্ নিয়ম ফলো করে? তা জানতে হবে।


চিত্র-২ঃ ডাউনট্রেন্ডে সাপোর্ট রেজিস্ট্যন্স (আমি জাস্ট ওপরের চিত্রটাকে উল্টিয়ে দিয়েছি)

প্রাইস যখন ডাউন ট্রেন্ডে থাকে তবে সেটার প্রাইস আরও নিচের দিকে নামতে থাকে। তখন সেল বা না কেনা উত্তম। এখন প্রশ্ন হলো সব শেয়ার দর কি এই নিয়ম মেনে চলে? না একই নিয়ম মেনে চলে না, অন্য কোন প্যাটার্ন তৈরী করে আর এই প্যাটার্ন সম্বন্ধে যদি ধারাণা না তবে সে শেয়ার না কেনা উত্তম।
ডিরেকশনঃ ডিরেকশন তিন রকমের ১। আপট্রেন্ড, ২। ডাউনট্রেন্ড এবং ৩। সাইডওয়ে
শেয়ার বাজারে প্রচলিত কথা ’ট্রেন্ড ইজ ইওর ফ্রেন্ড’ তাই কোনো শেয়ার কেনোর আগে দেখবেন ট্রেন্ড। ট্রেন্ড কি? ট্রেন্ড মানে প্রবণতা, একটা নির্দিষ্ট দিকে শেয়ার দর বেড়ে বা কমে যাওয়ার প্রবণতা।
আপট্রেন্ডঃ ঐ যে সাপোর্ট রেজিস্ট্যান্স লাইনগুলো দেখছেন ঐ লাইনগুলো যদি উর্ধ্বমূখী থাকে সেটাকে বলে আপট্রেন্ড।
ডাউনট্রেন্ডঃ সাপোর্ট রেজিস্ট্যান্স লাইনগুলো লাইনগুলো যদি নিম্নমূখী থাকে সেটাকে বলে ডাউন ট্রেন্ড, এক্সপার্ট না হলে ডাউনট্রেন্ডে ক্রয় না করা ভালো।
যদি আপট্রেন্ডে থাকে তবে সাপোর্ট লাইনে বাই(ক্রয়)।
চিত্র-৩ঃ ডিরেকশন যখন সাইডওয়েতে
সাইডওয়েঃ কোনো শেয়ার প্রাইসের ট্রেন্ড লাইন যদি ভূমি বরাবর থাকে তাকে সাউডওয়ে বলে। এ সময়ে শেয়ার প্রাইস কোন্ দিকে মুভ করে সেটা দেখে ক্রয়-বিক্রয় করার উচিৎ। ওপরের দিকে গেলে ক্রয়, নিচের দিকে গেলে বিক্রয়। যতদিন সাইডওয়েতে থাকে ততোদিন শেয়ার কেনা থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
ধন্যবাদ সবাইকে
আরো জানতে ক্লিক করুন 
DSE Money Maker গ্রুপে